বারো ঘর পাড়ি
বারো ঘর পাড়ি
আব্দুল কাদির মিয়া
=============
অনেক ক্ষুধার্ত আমি
পথের ধারে বাগিচার কলা-
খেয়েছি লুকিয়ে।
মুচড়ে মুচড়ে নিয়েছি কিছু-
ভাবিনি মনে জাগেওনি একবার,
আমি বেবিচারি প্রতারক নির্লজ্জ-
স্বার্থপর উদাসী এক সীমাহীন দূরন্ত-
আমি যে কারো কাছে কিছু হলেও ঋণী।
কাগজ কুড়িয়েছি ময়লার স্তুপে-
ভাগাড়ে কুড়িয়েছি খালি বোতলের ঝুটা।
জুতার ফিতাতে বেঁধে পচনের দঁড়ি-
তাড়া বিক্রিতে প্রভাতেই ছুটা।
তবে ঘড়ির কাঁটাটি নাকি-
উঠে দশ ঘরে,
ছিলো ভয় প্রাণে কাঁপা-
সেই ডরে ডরে-
কুঁচকেনি নাকে ঘিন সবলের শ্বাস।
এমনিতে বেয়ে আমি জীবনের নেয়ে-
একদিন একবেলা হয়তো না খেয়ে,
জমিয়েছি পাড়ি দমে দমে ধরি,
দিয়ে এক দুই তিন নয়-
দশ ঘরে পাশ।
নহে ভার সহে আর-
আর নাহি সয়।
তবু মন নাহি বুঝে-
মিছে কথা কয়।
সেতো আজও চেলে দাবা বোড়ে-
ডাকে মোরে ভবঘুরে,
ওহে তুমি চোখ মেলে-
দেখো একবার।
তোমার খুচি ধরা মুখ ভরা-
গজিয়েছে কেন ওরা?
ফের বসা কেন বারো ঘর-
কমলের পাড়?
যে তুমি চাও ফিরে ফিরে-
আমি দেখি চুপিসারে,
ঐ চকচকে ধরা নাম-
ভবনের মাঝে।
সেই নিরাশার ঝড়ে-
কেঁপে থরথরে,
যেন সদ্য পাখির শাবক-
যেতে চায় নীড়ে।
ভিজিয়েছো পর জামা-
চেয়ে টেয়ে আনি,
সেতো কমল স্পর্শে নহে-
শুধু চোখ ফোঁটা জানি।
ওহে মিথ্যা বলিনা আমি-
জীবনের তরে-
যদি সত্যের একফোঁটা সিন্ধু আধারে।
শত ডুবেও একবার ভেসে তাঁর নূর,
তাঁরই আলোর গতিতে-
পথ চলে যতদূর।
সেথা হোঁচটের নাহি ভয়-
বেয়ে যেতে সিঁড়ি,
তবে রবে কিসে কোনো বাঁধা?
বারো ঘর পাড়ি?
তুমি মোর সেই বল-
রেখো ধরে জোরে,
মুছে নাও চোখ দুটি-
আমি সত্যই ধরিবো আঁটি,
দেখো তের ঘরও রবে জয়ে-
বারো ঘর ছাড়ি।
আব্দুল কাদির মিয়া
=============
অনেক ক্ষুধার্ত আমি
পথের ধারে বাগিচার কলা-
খেয়েছি লুকিয়ে।
মুচড়ে মুচড়ে নিয়েছি কিছু-
ভাবিনি মনে জাগেওনি একবার,
আমি বেবিচারি প্রতারক নির্লজ্জ-
স্বার্থপর উদাসী এক সীমাহীন দূরন্ত-
আমি যে কারো কাছে কিছু হলেও ঋণী।
কাগজ কুড়িয়েছি ময়লার স্তুপে-
ভাগাড়ে কুড়িয়েছি খালি বোতলের ঝুটা।
জুতার ফিতাতে বেঁধে পচনের দঁড়ি-
তাড়া বিক্রিতে প্রভাতেই ছুটা।
তবে ঘড়ির কাঁটাটি নাকি-
উঠে দশ ঘরে,
ছিলো ভয় প্রাণে কাঁপা-
সেই ডরে ডরে-
কুঁচকেনি নাকে ঘিন সবলের শ্বাস।
এমনিতে বেয়ে আমি জীবনের নেয়ে-
একদিন একবেলা হয়তো না খেয়ে,
জমিয়েছি পাড়ি দমে দমে ধরি,
দিয়ে এক দুই তিন নয়-
দশ ঘরে পাশ।
নহে ভার সহে আর-
আর নাহি সয়।
তবু মন নাহি বুঝে-
মিছে কথা কয়।
সেতো আজও চেলে দাবা বোড়ে-
ডাকে মোরে ভবঘুরে,
ওহে তুমি চোখ মেলে-
দেখো একবার।
তোমার খুচি ধরা মুখ ভরা-
গজিয়েছে কেন ওরা?
ফের বসা কেন বারো ঘর-
কমলের পাড়?
যে তুমি চাও ফিরে ফিরে-
আমি দেখি চুপিসারে,
ঐ চকচকে ধরা নাম-
ভবনের মাঝে।
সেই নিরাশার ঝড়ে-
কেঁপে থরথরে,
যেন সদ্য পাখির শাবক-
যেতে চায় নীড়ে।
ভিজিয়েছো পর জামা-
চেয়ে টেয়ে আনি,
সেতো কমল স্পর্শে নহে-
শুধু চোখ ফোঁটা জানি।
ওহে মিথ্যা বলিনা আমি-
জীবনের তরে-
যদি সত্যের একফোঁটা সিন্ধু আধারে।
শত ডুবেও একবার ভেসে তাঁর নূর,
তাঁরই আলোর গতিতে-
পথ চলে যতদূর।
সেথা হোঁচটের নাহি ভয়-
বেয়ে যেতে সিঁড়ি,
তবে রবে কিসে কোনো বাঁধা?
বারো ঘর পাড়ি?
তুমি মোর সেই বল-
রেখো ধরে জোরে,
মুছে নাও চোখ দুটি-
আমি সত্যই ধরিবো আঁটি,
দেখো তের ঘরও রবে জয়ে-
বারো ঘর ছাড়ি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সত্যম কুন্ডু ০৩/০৩/২০২২অনন্য উপস্থাপনা
-
মোঃ আমিনুল ইসলাম মিঠু ০১/০৩/২০২২অনন্য সুন্দর
-
মোঃ বুলবুল হোসেন ০১/০৩/২০২২অপূর্ব
-
ফয়জুল মহী ২৮/০২/২০২২চমৎকার রচিলেন
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ২৮/০২/২০২২সুন্দর প্রকাশ।
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২৮/০২/২০২২সুন্দরতম সৃজন