www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

কাঁদিস না এই অনঙ্গ

কাঁদিসনা এই অনঙ্গ
আব্দুল কাদির মিয়া
=============
কাঁদিসনা এই অনঙ্গ
একটুও আর কাঁদবিনা,
লক্ষীটি আমার।

এইতো আর কয়টা দিন-
আমি চলে আসছি।

এই পাগলী মনে নেই তোর-
তিনটা জিনিস চাওয়া?
আমি কি ভুলতে পারি?

আ- তাঁর দুটিই কিনে ফেলছি-
শুধু মুক্তা বসানো পুতির মালাটাই-
একটু বেশি দামি।

তাই বলে কি রাতেও আর বসে নেই,
ঘাটের কুলি ঘাটেই আমার ঘর।
সাথে টিউশনের টাকাটা পেলেই-
আর কে রাখে বেঁধে,
এই বলে অচেতন কণ্ঠে-
চোখ দুটি তাঁর কাঁদে।

একলা আছে পড়ে-
নেই কাছে কেউ ধরে,
মলাট দুয়ার নাড়ছে বাতাস-
একটু পরে পরে।

গা পুড়ছে এবার পুড়ছেই যেন-
খইয়ের খোলায় বালি,
তাইতো প্রলাপ ফুটছে মুখে-
এবার ভাগ্যের কর তালি।

সেতো বলছে ওহে দিন দুনিয়ার-
মানুষগুলো দেখো,
আমার কার সাথে ঘর কেমন আছি-
তোমরা কোথায় থাকো।

এই মানুষের হৃদয়ের ধন-
একটি পুতির মালা,
যার তরে সে মৃত্যুমুখী-
এই ক্ষনে একেলা।

সেই হাজার সোনার পাতন ঘরে-
আমারই সে এক ভাই,
যার সাথে তাঁর ভাগ্য পেলো-
তাঁর কোনো দুঃখ নাই।

তবু ভাইটি আমায় দেখেই শুধু-
চোখের পানি ফেলে,
বলে আমিই নাকি ভাগ্যপতি-
সেতো মোহর ঘেরা দিলে।

এই কথনে আমার পতি-
মৃত্যুমুখী হেসে,
চোখ জলে তাঁর বিদায় ভেলা-
ভাসলো অচিন দেশে।
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ২৪৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২০/১২/২০২১

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast