হৃদয় পরী
হৃদয় পরী
আব্দুল কাদির মিয়া
============
স্বপন ধরা রং বরণে ওগো প্রজাপতি
বসন্তের এই আধ বিকেলে-
যাচ্ছো কি সেই পুনকি বিলে,
পদ্ম নাহয় সরষে ফুলের-
মধু তুলে নিতে?
ঐ পাড়েতে চাঁদের পরী-
আমি শুধুই তাঁর ভিখারি,
আমার পরান সব লয়ে যে-
মনের রাজ্য জুড়ে।
আলতা পায়ে চপল ছেড়ে-
একটু হাঁটে একটু ফিরে,
চায় সে আমায় কিছু দিতে-
লইতে গেলে বুঝতে নারি-
যায় কেন সে ফিরে।
ওগো সোনার প্রজাপতি-
চোখ জোড়ানো তোমার প্রীতি,
মন ভরে দেয় সুন্দরে সেই-
তাই কি ফুলের রেণুর।
পরাগ শুঁকে লও সে মধু-
সেথা নেই কোনো দুঃখ-
তবুও শুধু,
ফুটন্ত সেই খুশবো ছোঁয়ায়-
হাসেই ফুলের তনু।
সেই আমার চাঁদের চোখের তারায়-
নিজেই আমি নিজকে হারাই,
একবার ও তাঁর হৃদ গগনে-
ফুটতে নাহি পেরে।
এই জনম পারে উদাস নীড়ে-
সব খোলা দ্বোর রবেই পড়ে,
তাঁর পায়ের আলতা লাল শোভনে-
আশার স্বপন ঘিরে।
ওগো ফুলের প্রজাপতি-
হৃদয় তোমার কোমলমতি,
যে ভাগ্য মলয় স্বর্গ শুধা-
গড়া নহর পাড়ে।
সেই রত্ন মানিক হীরক কূলে-
কাননে যার জীবন পেলো,
ঐ অকূল সুখী পুষ্পেই তুমি-
যাও আলিঙ্গন করে।
তাই সে তোমার হৃদয় প্রানে-
কান্তিময় সেই চাঁদের কানে,
বলবে আমার একটু কথা?
আমি যে গো মরি।
এইযে চপল রঙ্গিন চুড়ি-
পঞ্চমির ঐ হাটে?
লইছি বেছে নন্দি মেলার-
রুপার কাঞ্চি সাটে।
সেই চিরন দাদী বললো আমায়-
সরল মনে হেসে,
ওরে পরাবি গলায় গন্ডি গাঁধা-
যারে মরলি ভালোবেসে।
এইযে সুতো তিন ঘিটাতে-
দিলাম আমি পড়ে,
আর দৈত্য মায়া জাদুর ধোকায়-
পরবেনা তোর পরী।
সেতো কেমন করে ছুঁয়াই তাঁরে-
বলো হে প্রজাপতি,
তুমি একটু দয়া করো আমায়-
আমার নয়তো মরন গতি।
আব্দুল কাদির মিয়া
============
স্বপন ধরা রং বরণে ওগো প্রজাপতি
বসন্তের এই আধ বিকেলে-
যাচ্ছো কি সেই পুনকি বিলে,
পদ্ম নাহয় সরষে ফুলের-
মধু তুলে নিতে?
ঐ পাড়েতে চাঁদের পরী-
আমি শুধুই তাঁর ভিখারি,
আমার পরান সব লয়ে যে-
মনের রাজ্য জুড়ে।
আলতা পায়ে চপল ছেড়ে-
একটু হাঁটে একটু ফিরে,
চায় সে আমায় কিছু দিতে-
লইতে গেলে বুঝতে নারি-
যায় কেন সে ফিরে।
ওগো সোনার প্রজাপতি-
চোখ জোড়ানো তোমার প্রীতি,
মন ভরে দেয় সুন্দরে সেই-
তাই কি ফুলের রেণুর।
পরাগ শুঁকে লও সে মধু-
সেথা নেই কোনো দুঃখ-
তবুও শুধু,
ফুটন্ত সেই খুশবো ছোঁয়ায়-
হাসেই ফুলের তনু।
সেই আমার চাঁদের চোখের তারায়-
নিজেই আমি নিজকে হারাই,
একবার ও তাঁর হৃদ গগনে-
ফুটতে নাহি পেরে।
এই জনম পারে উদাস নীড়ে-
সব খোলা দ্বোর রবেই পড়ে,
তাঁর পায়ের আলতা লাল শোভনে-
আশার স্বপন ঘিরে।
ওগো ফুলের প্রজাপতি-
হৃদয় তোমার কোমলমতি,
যে ভাগ্য মলয় স্বর্গ শুধা-
গড়া নহর পাড়ে।
সেই রত্ন মানিক হীরক কূলে-
কাননে যার জীবন পেলো,
ঐ অকূল সুখী পুষ্পেই তুমি-
যাও আলিঙ্গন করে।
তাই সে তোমার হৃদয় প্রানে-
কান্তিময় সেই চাঁদের কানে,
বলবে আমার একটু কথা?
আমি যে গো মরি।
এইযে চপল রঙ্গিন চুড়ি-
পঞ্চমির ঐ হাটে?
লইছি বেছে নন্দি মেলার-
রুপার কাঞ্চি সাটে।
সেই চিরন দাদী বললো আমায়-
সরল মনে হেসে,
ওরে পরাবি গলায় গন্ডি গাঁধা-
যারে মরলি ভালোবেসে।
এইযে সুতো তিন ঘিটাতে-
দিলাম আমি পড়ে,
আর দৈত্য মায়া জাদুর ধোকায়-
পরবেনা তোর পরী।
সেতো কেমন করে ছুঁয়াই তাঁরে-
বলো হে প্রজাপতি,
তুমি একটু দয়া করো আমায়-
আমার নয়তো মরন গতি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ২৭/১২/২০২১বেশ ভাল।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০১/১২/২০২১ভাল।
-
ফয়জুল মহী ০১/১২/২০২১কমনীয় ভাবনায় সৃজনী সৃষ্টি।