গর্ব ধূলায় লুটে
গর্ব ধূলায় লুটে
আব্দুল কাদির মিয়া
=============
গাঁদা পাতায় কাজল আভা-
বইছে শরৎ এসে,
ঝুমকু জবা পাশ ঘেষে তাঁর-
উঠলো দেখে হেসে।
বলছে সখী থাকিস ভালো-
তোর বদনে দেখছি আলো,
ফুটবে কলি তাই তো জোয়ার-
অঙ্গে এলো শাঁখে।
পূবাল হাওয়ায় দোলছে লাজে-
সইতে যেন চোখ না বুজে,
ঐ দমকা উড়ান ঝাপটা এসে-
চোট লেগে তোর কাঁখে।
জবার সখা আনারকলি-
এই কথনে উঠলো বলি,
কিগো সখী আজ দরদের-
এ কোন বাঁশীর সুর?
যে আমার ফুলের রং বাহারে-
বাজতো ভাবের সুখ আহারে,
এই বুঝি তোর প্রাণের ভয়ের-
সেই আমার বোঁটার জোর?
আমি উঠলে বেঁধে দানায় কানায়-
যৌবনে ভার দোল সহনায়,
আমার তলে তোর কপালে-
হয় কিনা চুরমুর।
এবার বেলি চাঁপা গন্ধ রাজে-
সাজলো উকিল বোকার সাজে,
বলছে ওহে আনারকলি-
রাগ করোনা ভাই।
তোমার জোরেই আমরা আছি-
এইতো তোমার কাছাকাছি,
ঐযে দেখো যোম তালেতে-
বড়ই যে ভয় পাই।
ঠিক যে তোমার মাথার উপর-
নড়ছে যেন দৈত্য গোঁয়ার,
ধরাস করে পড়লো বুঝি-
তাইতো কিছু দূরে।
আমরা সবাই কাঁপছি ডরে-
জবার ঝুমকো রাখছি ধরে,
ডাল হেলানে একটু দেখো-
সবই সে তোমার পরে।
এই ক্ষনেতে আনারকলি-
চক্ষু করে লাল,
বলে আমার মরণ ভাবলি না কেউ-
দেয় রাগে তিন ফাল।
এক ফালেতে বোঁটায় ফাটল-
দুই ফালেতে জ্বরে,
তিন ফালেতে আনারকলি-
মাটিত লুটে পড়ে।
এবার ফুলগুলো সব-
চোখের জলে-
গগনমুখী বলে,
প্রভু জাতের ভোষণ-
নিষ্পাপেই রেখো ক্ষমার বলে।
আব্দুল কাদির মিয়া
=============
গাঁদা পাতায় কাজল আভা-
বইছে শরৎ এসে,
ঝুমকু জবা পাশ ঘেষে তাঁর-
উঠলো দেখে হেসে।
বলছে সখী থাকিস ভালো-
তোর বদনে দেখছি আলো,
ফুটবে কলি তাই তো জোয়ার-
অঙ্গে এলো শাঁখে।
পূবাল হাওয়ায় দোলছে লাজে-
সইতে যেন চোখ না বুজে,
ঐ দমকা উড়ান ঝাপটা এসে-
চোট লেগে তোর কাঁখে।
জবার সখা আনারকলি-
এই কথনে উঠলো বলি,
কিগো সখী আজ দরদের-
এ কোন বাঁশীর সুর?
যে আমার ফুলের রং বাহারে-
বাজতো ভাবের সুখ আহারে,
এই বুঝি তোর প্রাণের ভয়ের-
সেই আমার বোঁটার জোর?
আমি উঠলে বেঁধে দানায় কানায়-
যৌবনে ভার দোল সহনায়,
আমার তলে তোর কপালে-
হয় কিনা চুরমুর।
এবার বেলি চাঁপা গন্ধ রাজে-
সাজলো উকিল বোকার সাজে,
বলছে ওহে আনারকলি-
রাগ করোনা ভাই।
তোমার জোরেই আমরা আছি-
এইতো তোমার কাছাকাছি,
ঐযে দেখো যোম তালেতে-
বড়ই যে ভয় পাই।
ঠিক যে তোমার মাথার উপর-
নড়ছে যেন দৈত্য গোঁয়ার,
ধরাস করে পড়লো বুঝি-
তাইতো কিছু দূরে।
আমরা সবাই কাঁপছি ডরে-
জবার ঝুমকো রাখছি ধরে,
ডাল হেলানে একটু দেখো-
সবই সে তোমার পরে।
এই ক্ষনেতে আনারকলি-
চক্ষু করে লাল,
বলে আমার মরণ ভাবলি না কেউ-
দেয় রাগে তিন ফাল।
এক ফালেতে বোঁটায় ফাটল-
দুই ফালেতে জ্বরে,
তিন ফালেতে আনারকলি-
মাটিত লুটে পড়ে।
এবার ফুলগুলো সব-
চোখের জলে-
গগনমুখী বলে,
প্রভু জাতের ভোষণ-
নিষ্পাপেই রেখো ক্ষমার বলে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অভিজিৎ হালদার ১৮/১১/২০২১ভালো
-
ফয়জুল মহী ১৭/১১/২০২১বাহ্ ! সুন্দর উপস্থাপন।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৭/১১/২০২১ভালো।