সৃষ্টি প্রেয়সী নর পাজরে
সৃষ্টি প্রেয়সী নর পাজরে
আব্দুল কাদির মিয়া
============
নয়ন কারে ডাকছে পরী
গানের কণ্ঠ জুড়ে,
সোনাই পাহাড় গড়ান বনে-
বাউল সুরে সুরে।
উড়ছে হাওয়া শোঁ শোঁ করে-
দিন বেলাটা মাথার পরে-
নেই বলে সে হেলান কাতে,
ডুবের চলন ধরে।
তাঁর বিদায় হাসির মলিন ধরে-
বন বাদারের নিঝুম পুরে,
পাতার ঢালে কদম ফুটা-
খোপায় দেখি কারে?
ঐতো সে তাঁর প্রাণ ষোড়শী-
যার গানের ভুবন খানি,
তাঁর কলি ভরা সেই অন্তরাতে-
বাসর সোহাগ তান পুরাতে,
সেই শশি মিলন বধূর ছোঁয়া-
যেন হৃদয় স্রোতের টানে।
ওদের নেই কোন ঝড় নিশির নিশি-
গহীনে নদীর ঢেউ বিনাশী,
অনল মরু ফুলিঙ্গ সেই-
মনের বাঁধন টারে।
ওরা সব মিলে বাঁধ প্রতিকূলে-
জোর গুলো প্রেম অথৈ জলে,
ডুবলো সবই জনম জনম-
রুখতে না কেও পারে।
যেন পুষ্প রেণুতে মধু-
তাঁরই জীবনের তরে,
কলির শরীরে হেন শাখা কোল জুড়ে।
কান্ড সে খরা তাপে-
স্রোত বাণ ধুকে ধুকে-
ধাপে ধাপে মৃত্যুটার,
শত ঝড় শয়ে।
তাঁরই মূলের চোষনী রসে-
পল্লব কুঁড়িরা শুষে,
ওরা ভীতু নহে ধুনি কুড়া,
সবল বলেতে ওরা-
রক্তিম রঞ্জনে নৃত্যের আলোড়নে,
যামিনী কুহেলী ঝড়া,
যেন রত্ন মণিতে ভরা-
হেন কবিতায় উঠে রুপলয়ে।
সেতো স্বর্গ রচিত বিধি-
লীলা খেলা ঘর,
যারই নরের প্রেয়সী জীবন-
নরের ই পাজর।
সে তাই নয়ন ডাকিলে পরী-
তাঁরই পরান পাপিয়া,
মন বিঁধানো আকুল ধ্বনি-
হৃদয় কর্ণ কুহরে শুনি,
ধরে চোখের নিমিষে পাড়ি-
যেন অকূল দরিয়া।
আব্দুল কাদির মিয়া
============
নয়ন কারে ডাকছে পরী
গানের কণ্ঠ জুড়ে,
সোনাই পাহাড় গড়ান বনে-
বাউল সুরে সুরে।
উড়ছে হাওয়া শোঁ শোঁ করে-
দিন বেলাটা মাথার পরে-
নেই বলে সে হেলান কাতে,
ডুবের চলন ধরে।
তাঁর বিদায় হাসির মলিন ধরে-
বন বাদারের নিঝুম পুরে,
পাতার ঢালে কদম ফুটা-
খোপায় দেখি কারে?
ঐতো সে তাঁর প্রাণ ষোড়শী-
যার গানের ভুবন খানি,
তাঁর কলি ভরা সেই অন্তরাতে-
বাসর সোহাগ তান পুরাতে,
সেই শশি মিলন বধূর ছোঁয়া-
যেন হৃদয় স্রোতের টানে।
ওদের নেই কোন ঝড় নিশির নিশি-
গহীনে নদীর ঢেউ বিনাশী,
অনল মরু ফুলিঙ্গ সেই-
মনের বাঁধন টারে।
ওরা সব মিলে বাঁধ প্রতিকূলে-
জোর গুলো প্রেম অথৈ জলে,
ডুবলো সবই জনম জনম-
রুখতে না কেও পারে।
যেন পুষ্প রেণুতে মধু-
তাঁরই জীবনের তরে,
কলির শরীরে হেন শাখা কোল জুড়ে।
কান্ড সে খরা তাপে-
স্রোত বাণ ধুকে ধুকে-
ধাপে ধাপে মৃত্যুটার,
শত ঝড় শয়ে।
তাঁরই মূলের চোষনী রসে-
পল্লব কুঁড়িরা শুষে,
ওরা ভীতু নহে ধুনি কুড়া,
সবল বলেতে ওরা-
রক্তিম রঞ্জনে নৃত্যের আলোড়নে,
যামিনী কুহেলী ঝড়া,
যেন রত্ন মণিতে ভরা-
হেন কবিতায় উঠে রুপলয়ে।
সেতো স্বর্গ রচিত বিধি-
লীলা খেলা ঘর,
যারই নরের প্রেয়সী জীবন-
নরের ই পাজর।
সে তাই নয়ন ডাকিলে পরী-
তাঁরই পরান পাপিয়া,
মন বিঁধানো আকুল ধ্বনি-
হৃদয় কর্ণ কুহরে শুনি,
ধরে চোখের নিমিষে পাড়ি-
যেন অকূল দরিয়া।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কে. পাল ১৬/০৬/২০২১Bess
-
সানাউল্লাহ ১৬/০৬/২০২১অপুর্ব ছন্দে দারুণ এক অনবদ্য কবিতা রচনা করেছেন কবি। শুভকামনা রইল কবি।
-
মাহতাব বাঙ্গালী ১৬/০৬/২০২১সত্যিই অনবদ্য; পাঠে ভালো লেগেছে
-
আলমগীর সরকার লিটন ১৬/০৬/২০২১অসাধারণ ছন্দময়
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ১৫/০৬/২০২১চমৎকার।
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১৫/০৬/২০২১অনবদ্য রচনা !