আলেকজান্ডার জুলকারনাইন (শেষ অংশ)
আলেকজান্ডার জুলকারনাইন (শেষ অংশ)
আব্দুল কাদির মিয়া
======================
তবে উড়ন্ত সেই পাখির দুটি ডানাই যে তাঁর-
আজ গন্তব্যের শেষ ঠিকানার প্রান্ত,
কূলের এক বিমর্ষ অন্তরায়।
অজানা এক কালো ঝড় যেন তাঁর-
দুচোখের দৃষ্টিকে-
বাতাসের ভয়াল স্রোত ঝাপটে,
আজ তাঁর চলার গতীকে-
এক বেগতিক প্রহারে আচ্ছন্ন করে,
মনের সকল আশা আকাঙ্ক্ষাকেই-
যেন ধূলোয় মিশিয়ে আর মূহুর্তক্ষনও-
যেন তাঁর শক্তির অধরতায়,
এক জীবন প্রতিকূলতার মধ্যে যেন-
তাঁর মনের সকল দিক নির্দেশনার-
বৈরীতে আবদ্ধ।
তেমনিকরে জুলকারনাইন আজ-
নিজের জীবন খানি,
পিছু ফেলা সব কর্মই যেন-
শুধু প্রলোভনের সু-উচ্চ শেখর-
ভ্রান্ত বিফল জেনে।
জয় ধরা তাঁর এই পৃথিবীর উদয়াচল ঘরে-
তাঁর জয় প্রতাবই অধিক বাঁচার-
আশা পোষণ করে।
হেন ভাবনাতে আজ বড়ই লাজুক-
দুঃখ হৃদয়ে বুজলো দুচোখ।
তবে ফিরলো সে মুখ অনাথবনে-
আসলো যে পথ ধরে,
সেই পথেই ক্লান্ত মনে-
সঙ্গী দলে ফিরে।
সেই আশাহত অধীর মনে-
শাহি হেকিম লোকমান সনে,
বলছে ওহে বলো হেকিম-
এই উপহার খানি।
আছে কি তাঁর খ্যাতি গুণী-
মান কি আছে নাহি সে জানি,
হয়তো জীবন যায় কি বয়ে-
টেনে ভুলের গ্লানি?
তাইতো হেকিম নত শিরে-
বলছে শহী করো জোরে,
হে দিগ্বিজয়ী বাদশা নামদার-
আলেকজান্ডার জুলকারনাইন।
এই বস্তুটি সব জহরত সেরা-
ভুবন বলয়ে রত্ন চূড়া,
মনির রাজা রাজ্য মুকুট-
সকল ধনের পরে।
হাজার স্রোতের বৈঠা টেনে-
এক মাপুনির কাঁটায় এনে,
সবমিলে তাঁর ওজন খানি,
কেউ না পেরোতে পারে।
আশা যেন নেই কোনো তাঁর-
যতই যশের শেষ,
এই যেন এক আশার ই সে ধন-
সব ওজনের বেশ।
পার্থিব এই পৃথিবী ঘরে-
হিরা মুতি ইয়াকুৎ নারে তাঁর-
মূল্য তরে কেউ শক্তি রাখে-
সেতো অশেষ খাঁটির খাঁটি।
তবে মানব জীবন মৃত্যু পরে-
তাঁর আশার উদর দেয় যে ভরে,
শুধু তাঁরই তুল্যে সে-
সমানে সমান,
এই ক'মুষ্টি মাটি।
আব্দুল কাদির মিয়া
======================
তবে উড়ন্ত সেই পাখির দুটি ডানাই যে তাঁর-
আজ গন্তব্যের শেষ ঠিকানার প্রান্ত,
কূলের এক বিমর্ষ অন্তরায়।
অজানা এক কালো ঝড় যেন তাঁর-
দুচোখের দৃষ্টিকে-
বাতাসের ভয়াল স্রোত ঝাপটে,
আজ তাঁর চলার গতীকে-
এক বেগতিক প্রহারে আচ্ছন্ন করে,
মনের সকল আশা আকাঙ্ক্ষাকেই-
যেন ধূলোয় মিশিয়ে আর মূহুর্তক্ষনও-
যেন তাঁর শক্তির অধরতায়,
এক জীবন প্রতিকূলতার মধ্যে যেন-
তাঁর মনের সকল দিক নির্দেশনার-
বৈরীতে আবদ্ধ।
তেমনিকরে জুলকারনাইন আজ-
নিজের জীবন খানি,
পিছু ফেলা সব কর্মই যেন-
শুধু প্রলোভনের সু-উচ্চ শেখর-
ভ্রান্ত বিফল জেনে।
জয় ধরা তাঁর এই পৃথিবীর উদয়াচল ঘরে-
তাঁর জয় প্রতাবই অধিক বাঁচার-
আশা পোষণ করে।
হেন ভাবনাতে আজ বড়ই লাজুক-
দুঃখ হৃদয়ে বুজলো দুচোখ।
তবে ফিরলো সে মুখ অনাথবনে-
আসলো যে পথ ধরে,
সেই পথেই ক্লান্ত মনে-
সঙ্গী দলে ফিরে।
সেই আশাহত অধীর মনে-
শাহি হেকিম লোকমান সনে,
বলছে ওহে বলো হেকিম-
এই উপহার খানি।
আছে কি তাঁর খ্যাতি গুণী-
মান কি আছে নাহি সে জানি,
হয়তো জীবন যায় কি বয়ে-
টেনে ভুলের গ্লানি?
তাইতো হেকিম নত শিরে-
বলছে শহী করো জোরে,
হে দিগ্বিজয়ী বাদশা নামদার-
আলেকজান্ডার জুলকারনাইন।
এই বস্তুটি সব জহরত সেরা-
ভুবন বলয়ে রত্ন চূড়া,
মনির রাজা রাজ্য মুকুট-
সকল ধনের পরে।
হাজার স্রোতের বৈঠা টেনে-
এক মাপুনির কাঁটায় এনে,
সবমিলে তাঁর ওজন খানি,
কেউ না পেরোতে পারে।
আশা যেন নেই কোনো তাঁর-
যতই যশের শেষ,
এই যেন এক আশার ই সে ধন-
সব ওজনের বেশ।
পার্থিব এই পৃথিবী ঘরে-
হিরা মুতি ইয়াকুৎ নারে তাঁর-
মূল্য তরে কেউ শক্তি রাখে-
সেতো অশেষ খাঁটির খাঁটি।
তবে মানব জীবন মৃত্যু পরে-
তাঁর আশার উদর দেয় যে ভরে,
শুধু তাঁরই তুল্যে সে-
সমানে সমান,
এই ক'মুষ্টি মাটি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কে. পাল ০৬/০৬/২০২১Bess
-
আলমগীর সরকার লিটন ০৬/০৬/২০২১বেশ ছন্দময় প্রকাশ কবি দা
-
ফয়জুল মহী ০৫/০৬/২০২১অসাধারণ লেখা। খুব ভালো লাগলো .