www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

আলেকজান্ডার জুলকারনাইন ( দ্বিতীয় অংশ)

আলেকজান্ডার জুলকারনাইন (দ্বিতীয় অংশ)
আব্দুল কাদির মিয়া
=======================
বিধির লিখন ভাগ্য খানি-
আপন রথে চড়ে,
সেতো নেই থেমে আর ছুটছে যেন-
সময় বাঁধন ছিঁড়ে।

তাই সে শাহ্ সেকান্দর তাঁর-
আশার শুধা খানি-
অমৃত সেই আবে হায়াত-
না দেখলো নয়নে।

তাঁরই দেয়া সেই আলোর মণি-
উজিরে খাজা খিজির,
সেতো ধরলো মেলে ঝুলির বাঁধন-
আর কাটলো আধার নীড়।

তবেই দেখে সেই অদূরে-
আশার শুধা পেয়ালা ভরে-
ডাকছে যেন হৃদয় কেড়ে,
কি আর আছে ভয়।

আর নহে তিল সময় তরে-
জীবন জনম মরন পারে-
সেতো পান করিয়া মন আনন্দে-
অমৃত্যু করে জয়।

মানব হৃদয়ই আশার ভুবন-
নেই যেন তাঁর শেষ,
সেই গতির শৃঙ্গেই শাহ্ সেকান্দর-
দিগ্বিজয়ী বাদশা নামদার,
আবে হায়াতের কোহে কাফে-
আজ নিজেই উপবেশ।

ঐ নিখিল প্রলয় শিঙ্গা মুখে-
উর্ধ্বমুখী জনে,
ইস্রাফিল ফেরেশতা সেতো-
শাহ্ সেকান্দর সনে।

বলছে ওহে বাদশা তুমি-
দিগ্বিজয়ী প্রখর জ্ঞানী,
রবির উদয় অস্ত ধরে-
তোমারই শাসন আইন।

যেথা ধূলি যেন জলাধারে-
তাঁর পিপাসায় হাওয়ায় উড়ে-
পড়তে সেথা ভয় করে সে,
তুমি শাসক নিপুণ নির্লোভ-
আলেকজান্ডার জুলকারনাইন।

তুমি জীবন ক্ষয়ে মৃত্যু ভয়ে-
এই জনমের ঘরে,
চির বাঁচার তরে পুন্ন জোরে-
পার পাবে কি আখের দোরে?

সেতো রবের দেয়া এক পিয়ালা-
জলেই নিবে কেড়ে।

সে তাই অধিক আশার লোভের পোষণ-
নির্বুদ্ধিতা সেও দোষন,
অমূল্য সেই রত্ন বাণী-
বিবেক করাঘাতে।

তাঁরই বিদায়ক্ষণে স্মৃতির দানে-
বিড়াল মুন্ড আকার এনে-
নিগূঢ় অচিন কি যেন এক-
দেয় তুলে তাঁর হাতে।

(বাকী অংশ পরবর্তীতে লিখা হবে...)
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ২৯৮ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৭/০৫/২০২১

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast