আমার শহর
আমার শহর
আব্দুল কাদির মিয়া
===========
হে ভীনদেশী মানব স্বজন
এসো গো আমার বাড়ী-
তোমায় দেখাবো আমার ললিত শহর,
দার ঘেষে যার নদী ও নহর-
বইছে নীলাভ জল ভাটিতে।
কেমন সোনার সাজন ধরি,
এক সবুজ শ্যামল স্বপন পুরি-
যেন ডাকছে তোমায় নীলাম্বরী-
বকুল মালা হাতে।
ঐ নীলাম্বুধি সৈকত পেড়ে-
যেথা ঢেউয়ের ছোঁয়ায় শিশির পড়ে,
তোমায় করিতে বরন সোহাগ ডালায়,
আমি ঘর বেধেছি তাতে।
আমার শহর ও বাড়ীর মাটি-
সেতো পবিত্র আর বড়ই খাঁটি-
যার ফোঁটায় ফোঁটায় রক্ত ঝরা-
ঐ বঙ্গবীরের গড়া।
যে শিমুল হিজল কদম তলে-
এই জারুল স্বর্ন লতা তলে-
আজই নীরব নিথর সেই মুক্তি শহীদ,
সবে ঘুমিয়ে রয়েছে ওরা।
ওগো আমার শহর মুখের হাসি-
বর্ন বিভেদ ভুলা,
সেতো অতিথির তরে স্বর্গ খুশির-
যেন পেলো সে নতুন দুলা।
আরো মায়ার দুহাত বাড়িয়ে ডাকে-
সন্তানের আদরে,
সেথা ঘুরবে যেথাই মনের খুশি,
ইচ্ছে যাহা ধরে।
তবে বিনয় আমার বেলা বেলি-
এসো গো আমার বাড়ী,
নহেতো শহর পার করিতে,
রাতের প্রহর ধরি।
গুনতে হবে কড়ায় কড়ায়-
আর চোখে পেলে ঘুম-
হয়তো ধড়াস পড়ে ব্যাথার জ্বালায়,
পারে আটকে যেতে দম।
ওহে এসোনা একবার মোদের বাড়ী-
দেখে যাও শহর ঘুরে,
তোমার দুঃখগুলো সব ভুলিয়ে দিবে-
তাঁর হৃদয় স্নেহ ঘিরে।
হে ভীনদেশী মানব স্বজন,
আমার যদিও ছোট্ট ঘর,
তবু মনের ঘরেই রবে সবাই-
কেউ নহে মোর পর।
দেখো আমার বাড়ীর ধার ঘেষে ঐ-
নদী গেলো বয়ে-
যার পূবাল হাওয়ায় পালের তরী-
ছুটছে ভাটির নেয়ে।
উজান দেশে বাইছে কেহ-
মাস্তুলে ডোর বেঁধে,
নদীর পাড় ঘেষে গানে ছুটছে টেনে,
দাঁড় ধরা এক জনে।
দিন কি আধার রাতের কালো-
নেই ভেদাভেদ শুধুই আলো,
যেন আমার শহর স্বর্ন ঝরা,
পূর্নি চাঁদের ফালি ধরা,
আরোও আকাশ কানন ফুলগুলো সব-
মাথার উপর হাসে।
শুধু একটি কথা বলতে গেলে-
হাতের কলম আর না চলে,
ঐ গাড়ীর চাপায় মরলে মানুষ-
তাঁর চোখ জলে বুক ভাসে।
আব্দুল কাদির মিয়া
===========
হে ভীনদেশী মানব স্বজন
এসো গো আমার বাড়ী-
তোমায় দেখাবো আমার ললিত শহর,
দার ঘেষে যার নদী ও নহর-
বইছে নীলাভ জল ভাটিতে।
কেমন সোনার সাজন ধরি,
এক সবুজ শ্যামল স্বপন পুরি-
যেন ডাকছে তোমায় নীলাম্বরী-
বকুল মালা হাতে।
ঐ নীলাম্বুধি সৈকত পেড়ে-
যেথা ঢেউয়ের ছোঁয়ায় শিশির পড়ে,
তোমায় করিতে বরন সোহাগ ডালায়,
আমি ঘর বেধেছি তাতে।
আমার শহর ও বাড়ীর মাটি-
সেতো পবিত্র আর বড়ই খাঁটি-
যার ফোঁটায় ফোঁটায় রক্ত ঝরা-
ঐ বঙ্গবীরের গড়া।
যে শিমুল হিজল কদম তলে-
এই জারুল স্বর্ন লতা তলে-
আজই নীরব নিথর সেই মুক্তি শহীদ,
সবে ঘুমিয়ে রয়েছে ওরা।
ওগো আমার শহর মুখের হাসি-
বর্ন বিভেদ ভুলা,
সেতো অতিথির তরে স্বর্গ খুশির-
যেন পেলো সে নতুন দুলা।
আরো মায়ার দুহাত বাড়িয়ে ডাকে-
সন্তানের আদরে,
সেথা ঘুরবে যেথাই মনের খুশি,
ইচ্ছে যাহা ধরে।
তবে বিনয় আমার বেলা বেলি-
এসো গো আমার বাড়ী,
নহেতো শহর পার করিতে,
রাতের প্রহর ধরি।
গুনতে হবে কড়ায় কড়ায়-
আর চোখে পেলে ঘুম-
হয়তো ধড়াস পড়ে ব্যাথার জ্বালায়,
পারে আটকে যেতে দম।
ওহে এসোনা একবার মোদের বাড়ী-
দেখে যাও শহর ঘুরে,
তোমার দুঃখগুলো সব ভুলিয়ে দিবে-
তাঁর হৃদয় স্নেহ ঘিরে।
হে ভীনদেশী মানব স্বজন,
আমার যদিও ছোট্ট ঘর,
তবু মনের ঘরেই রবে সবাই-
কেউ নহে মোর পর।
দেখো আমার বাড়ীর ধার ঘেষে ঐ-
নদী গেলো বয়ে-
যার পূবাল হাওয়ায় পালের তরী-
ছুটছে ভাটির নেয়ে।
উজান দেশে বাইছে কেহ-
মাস্তুলে ডোর বেঁধে,
নদীর পাড় ঘেষে গানে ছুটছে টেনে,
দাঁড় ধরা এক জনে।
দিন কি আধার রাতের কালো-
নেই ভেদাভেদ শুধুই আলো,
যেন আমার শহর স্বর্ন ঝরা,
পূর্নি চাঁদের ফালি ধরা,
আরোও আকাশ কানন ফুলগুলো সব-
মাথার উপর হাসে।
শুধু একটি কথা বলতে গেলে-
হাতের কলম আর না চলে,
ঐ গাড়ীর চাপায় মরলে মানুষ-
তাঁর চোখ জলে বুক ভাসে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ১৩/০৫/২০২১সুন্দর লেখনী।
-
মিঠুন দত্ত (বাবু) ১৩/০৫/২০২১মন জুড়িয়ে গেল
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৩/০৫/২০২১ভালো হয়েছে।
-
অভিজিৎ হালদার ১৩/০৫/২০২১ভালো
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১২/০৫/২০২১খুব সুন্দর হয়েছে কবি!
-
ফয়জুল মহী ১২/০৫/২০২১খুব সুন্দর শব্দ গাথা মালা।