আশা বাধি শেষ পারের
আশা বাধি শেষ পারের
আব্দুল কাদির মিয়া
=============
লিখছি আরোও লিখবো কিছু
সময় যদি পাই।
তবে লিখবো যে আর কলম তুলে-
ভাবুক মন সেই বাতায়ন খুলে-
অচীন দোল বাহানায় দোলছে সেতো
সেই ভরসা নেই,
ঐ দেখোনা দিলো সে কথা-
সেতো আসবে যেমনি করে।
যেন, জলের আশা কচু পাতায় ভাসা-
তবে আসলো যে মেল-
শুধু ওকে ছাড়া,
সবাই তাহার তরে,
স্বজন পড়শী আসলো কুটুম্ব-
ফেললো চোখের জল,
কাঁদলো যে নিজে ঘর পোষেরা,
সারি হিজল তল।
অবুঝ শিশু বুঝলো না সে-
সবাই কেন কাঁদে?
তবুও যে তাঁর চোখের পানি,
গড়ায় ভীরের মাঝে।
যে আসবে বলে আসলো না আর-
আমার গভীর ঘুমের মাঝে,
এবার আসলো তো সে-
কয়দিন পরে-
নতুন দুলার সাজে।
এবার বলছে আমায় রাগ করেছো?
ওহে সময় ভাটির স্রোতে-
আমার পালের তরী ছুটলো ভেসে-
এবার এলাম তোমায় নিতে।
আমি আর যাবনা তোমায় ছেড়ে-
তুমি আমার চির পাশে,
রবে ঘর বেধে ঐ হিজল তলে-
নতুন কাটা বাঁশে।
তাই জলদি চলো-
ঐ দেখো নৌ সাজের তরী খানি,
ঘাটে উড়ছে বাদাম-
ছুটলো বলে-
নেই বেলা শেষ টানি।
আমি থাকবো হালে-
পালের রশি ধরবে তুমি টেনে।
ঐ সময়টুকুই শুধু বাকি-
নাও তুমি সে জেনে।
এবার মনের তাড়ায় ছটফটিয়ে-
খুললে চোখের পাতা,
শোনে আজান ধ্বনি পূবাল হাওয়া,
কি মধুর সুরে গাঁথা।
আজই নিজের চোখেই আসলো নেমে-
জনম বৃথা জল,
যারই সাক্ষী দিলো হৃদয়ও পরাণ,
তোর জীবন টাই বিফল।
এই ক্ষণে মনচায় যেত ওই-
ওজুর তরে ঘাটে,
তবে আর কি সময় রইলো বাকি?
নাকি উঠলো কফিন হাটে?
ঐ বাহক জনে তুলতে মাচায়-
তিন রশির বাঁধনে,
নাকি চলছে গুছান এই হলো শেষ-
আয়ু পাতার সনে?
তবে চার দশকদিন থাকলো বাকি-
এই পৃথিবীর ঘরে,
ও মন আয়নারে এই ফজর পড়ে-
শত মিনতি করুন সুরে,
ঐ নম্র লাজুক সেই মায়া বিধির-
আশা বাঁধি শেষ পারে।
আব্দুল কাদির মিয়া
=============
লিখছি আরোও লিখবো কিছু
সময় যদি পাই।
তবে লিখবো যে আর কলম তুলে-
ভাবুক মন সেই বাতায়ন খুলে-
অচীন দোল বাহানায় দোলছে সেতো
সেই ভরসা নেই,
ঐ দেখোনা দিলো সে কথা-
সেতো আসবে যেমনি করে।
যেন, জলের আশা কচু পাতায় ভাসা-
তবে আসলো যে মেল-
শুধু ওকে ছাড়া,
সবাই তাহার তরে,
স্বজন পড়শী আসলো কুটুম্ব-
ফেললো চোখের জল,
কাঁদলো যে নিজে ঘর পোষেরা,
সারি হিজল তল।
অবুঝ শিশু বুঝলো না সে-
সবাই কেন কাঁদে?
তবুও যে তাঁর চোখের পানি,
গড়ায় ভীরের মাঝে।
যে আসবে বলে আসলো না আর-
আমার গভীর ঘুমের মাঝে,
এবার আসলো তো সে-
কয়দিন পরে-
নতুন দুলার সাজে।
এবার বলছে আমায় রাগ করেছো?
ওহে সময় ভাটির স্রোতে-
আমার পালের তরী ছুটলো ভেসে-
এবার এলাম তোমায় নিতে।
আমি আর যাবনা তোমায় ছেড়ে-
তুমি আমার চির পাশে,
রবে ঘর বেধে ঐ হিজল তলে-
নতুন কাটা বাঁশে।
তাই জলদি চলো-
ঐ দেখো নৌ সাজের তরী খানি,
ঘাটে উড়ছে বাদাম-
ছুটলো বলে-
নেই বেলা শেষ টানি।
আমি থাকবো হালে-
পালের রশি ধরবে তুমি টেনে।
ঐ সময়টুকুই শুধু বাকি-
নাও তুমি সে জেনে।
এবার মনের তাড়ায় ছটফটিয়ে-
খুললে চোখের পাতা,
শোনে আজান ধ্বনি পূবাল হাওয়া,
কি মধুর সুরে গাঁথা।
আজই নিজের চোখেই আসলো নেমে-
জনম বৃথা জল,
যারই সাক্ষী দিলো হৃদয়ও পরাণ,
তোর জীবন টাই বিফল।
এই ক্ষণে মনচায় যেত ওই-
ওজুর তরে ঘাটে,
তবে আর কি সময় রইলো বাকি?
নাকি উঠলো কফিন হাটে?
ঐ বাহক জনে তুলতে মাচায়-
তিন রশির বাঁধনে,
নাকি চলছে গুছান এই হলো শেষ-
আয়ু পাতার সনে?
তবে চার দশকদিন থাকলো বাকি-
এই পৃথিবীর ঘরে,
ও মন আয়নারে এই ফজর পড়ে-
শত মিনতি করুন সুরে,
ঐ নম্র লাজুক সেই মায়া বিধির-
আশা বাঁধি শেষ পারে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১০/০৫/২০২১Excellent poem
-
ফয়জুল মহী ১০/০৫/২০২১সুন্দর লিখেছেন
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১০/০৫/২০২১excellent work