খেয়া মাঝির কোলে
খেয়া মাঝির কোলে
আব্দুল কাদির মিয়া
===========
কেগো তুমি যাচ্ছ কোথায়
এই রাত্রি আধু ঘরে,
পূর্ণি কি আজ নেই শশীতে,
তোমায় বেয়ে পড়ে?
বিনয় আমার একটু দাঁড়াও-
আমি দ্বীপ খেয়াপার মাঝি,
যাওনা শুনে কার তরে-
সেই ভাবের পাগল সাঁজি?
শোন হে-
এই রাত দুপুরে-
আজ নহে কাল মেলই বছর ধরে,
কাটিনু কত পথ চাহিয়া,
পরাণ খুঁজে যারে।
নেই কিছু ভয় ওগো একটু দাঁড়াও-
দিব্যি চোখের জলে,
আমি ছুঁইবো নাকো আঁচল সুতো,
সাধক সত্তা ভুলে।
এইতো জারুল সেগুন শিশু-
সাক্ষী আমার তিনে,
আমি কইনি কথা সত্য বচন,
পাইনি বলে তাঁরই দর্শন,
যুগের আধু কাটলো নিশি,
এই পথ চাহিয়া সাধন বসি,
আজই তোমায় ভিনে এক রজনী ও-
অন্য কারো সনে।
সেই জরদ হলুদে লালচে পেড়ে-
নিশি গন্ধা খোপায় পড়ে,
আমি দেখছিনু এক পদ্ম যেন,
ঐ ঝিলের ছোঁয়া ছেড়ে।
বসন্তে এক পুলক জুড়ে-
আমার হৃদয় দ্বীপ অন্তরে,
সেতো ভাবের ঝড়ে শর বিধালো,
আমার খেয়া পাড়ে।
সেইতো আমি খুঁজি গো তাঁরে-
ইছমতপে এই তেপথ মোড়ে,
আমার উদাসী স্বপন ধ্যানি সাধক-
আদেশে এই পথ ধরি।
আসবে তো সে এক রজনী-
তাঁরই ভাগ্য রথের খেলা,
এই শশি ঝরা চাঁদনি রাতের,
এক প্রহর নীরালা।
ঐ নাগর দোলা বন-বাদাড়ে-
নামহারা সাত ফুল,
এক ডালে ফুটন্ত সবই,
সাত রঙে অতুল।
সেতো ঈশান কোনে বদন মুখি-
লইতে খোঁপায় তুলি,
নাগ দৈত্য রাজের কাল ছায়াতে,
তাঁরই যায় কি জীবন শূলে?
এই দেখো সেই কবজ ধূলো-
রাখিনু মুষ্টি ধরি,
আমি বাঁচাবো তাঁরে সঙ্গ নিয়ে-
মৃত্যু লড়া যদিও ধেয়ে,
ভাগ্য বিধির দারেই আমার-
জীবন মায়া ছাড়ি।
আমার জীবন ও হৃদয় খানি-
সেই মেলা কাল ধরে-
আমি উজাড় করে দিয়েছি সবই,
তাঁরে পাই বা না পাই ফিরে।
এবার ছোবল ফনায় রাতের পরী-
যেন অনল তাপের ত্রিশাল ধরি,
আঁখি রোশের কাঁপন তুলে-
ঝড় বেগে শুধায়।
ওহে আমার জীবন কুষ্ঠি বচন-
তিল ধরে সব সত্য রচন,
এই রজনীর গভীর স্রোতে,
কেগো তুমি উঠলে মেতে,
তেন পূর্ণি ঝরা যৌবন মোর-
ইতি সাধনায়?
আজই পূর্ণ যুগের এই শেষ রজনী-
পেরিলো যে মোর চোখের মণি,
ভিন বদনে নাহি রহে তাঁর,
পলক ছুটা চাওয়া।
এইতো সাধন পূর্ণ তরে-
আমি ছুটিনু সেই বনের দারে,
ঐ সাত রাঙা ফুল খোঁপায় গুজে-
মোর প্রাণেশ্বর কেই পাওয়া।
এই বলে তাঁর দৃষ্টি চোখের-
আছড়ে পাতল পড়ে,
দেখে বন বাদাড়ের সাত রাঙা ফুল,
মাঝির অশ্রু ফুটায় ঝরে।
তবে আর নহে দূর নেই আর বচন-
মোর সাধন সাধক বলে,
এই রাতের পরী পড়লো ঢলে-
খেয়া মাঝির কোলে।
আব্দুল কাদির মিয়া
===========
কেগো তুমি যাচ্ছ কোথায়
এই রাত্রি আধু ঘরে,
পূর্ণি কি আজ নেই শশীতে,
তোমায় বেয়ে পড়ে?
বিনয় আমার একটু দাঁড়াও-
আমি দ্বীপ খেয়াপার মাঝি,
যাওনা শুনে কার তরে-
সেই ভাবের পাগল সাঁজি?
শোন হে-
এই রাত দুপুরে-
আজ নহে কাল মেলই বছর ধরে,
কাটিনু কত পথ চাহিয়া,
পরাণ খুঁজে যারে।
নেই কিছু ভয় ওগো একটু দাঁড়াও-
দিব্যি চোখের জলে,
আমি ছুঁইবো নাকো আঁচল সুতো,
সাধক সত্তা ভুলে।
এইতো জারুল সেগুন শিশু-
সাক্ষী আমার তিনে,
আমি কইনি কথা সত্য বচন,
পাইনি বলে তাঁরই দর্শন,
যুগের আধু কাটলো নিশি,
এই পথ চাহিয়া সাধন বসি,
আজই তোমায় ভিনে এক রজনী ও-
অন্য কারো সনে।
সেই জরদ হলুদে লালচে পেড়ে-
নিশি গন্ধা খোপায় পড়ে,
আমি দেখছিনু এক পদ্ম যেন,
ঐ ঝিলের ছোঁয়া ছেড়ে।
বসন্তে এক পুলক জুড়ে-
আমার হৃদয় দ্বীপ অন্তরে,
সেতো ভাবের ঝড়ে শর বিধালো,
আমার খেয়া পাড়ে।
সেইতো আমি খুঁজি গো তাঁরে-
ইছমতপে এই তেপথ মোড়ে,
আমার উদাসী স্বপন ধ্যানি সাধক-
আদেশে এই পথ ধরি।
আসবে তো সে এক রজনী-
তাঁরই ভাগ্য রথের খেলা,
এই শশি ঝরা চাঁদনি রাতের,
এক প্রহর নীরালা।
ঐ নাগর দোলা বন-বাদাড়ে-
নামহারা সাত ফুল,
এক ডালে ফুটন্ত সবই,
সাত রঙে অতুল।
সেতো ঈশান কোনে বদন মুখি-
লইতে খোঁপায় তুলি,
নাগ দৈত্য রাজের কাল ছায়াতে,
তাঁরই যায় কি জীবন শূলে?
এই দেখো সেই কবজ ধূলো-
রাখিনু মুষ্টি ধরি,
আমি বাঁচাবো তাঁরে সঙ্গ নিয়ে-
মৃত্যু লড়া যদিও ধেয়ে,
ভাগ্য বিধির দারেই আমার-
জীবন মায়া ছাড়ি।
আমার জীবন ও হৃদয় খানি-
সেই মেলা কাল ধরে-
আমি উজাড় করে দিয়েছি সবই,
তাঁরে পাই বা না পাই ফিরে।
এবার ছোবল ফনায় রাতের পরী-
যেন অনল তাপের ত্রিশাল ধরি,
আঁখি রোশের কাঁপন তুলে-
ঝড় বেগে শুধায়।
ওহে আমার জীবন কুষ্ঠি বচন-
তিল ধরে সব সত্য রচন,
এই রজনীর গভীর স্রোতে,
কেগো তুমি উঠলে মেতে,
তেন পূর্ণি ঝরা যৌবন মোর-
ইতি সাধনায়?
আজই পূর্ণ যুগের এই শেষ রজনী-
পেরিলো যে মোর চোখের মণি,
ভিন বদনে নাহি রহে তাঁর,
পলক ছুটা চাওয়া।
এইতো সাধন পূর্ণ তরে-
আমি ছুটিনু সেই বনের দারে,
ঐ সাত রাঙা ফুল খোঁপায় গুজে-
মোর প্রাণেশ্বর কেই পাওয়া।
এই বলে তাঁর দৃষ্টি চোখের-
আছড়ে পাতল পড়ে,
দেখে বন বাদাড়ের সাত রাঙা ফুল,
মাঝির অশ্রু ফুটায় ঝরে।
তবে আর নহে দূর নেই আর বচন-
মোর সাধন সাধক বলে,
এই রাতের পরী পড়লো ঢলে-
খেয়া মাঝির কোলে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৬/০৪/২০২১sweet
-
Md. Rayhan Kazi ২৬/০৪/২০২১দারুণ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৫/০৪/২০২১বেশ!
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ২৫/০৪/২০২১খেয়া মাঝি
তোমায় দেখে
বৃষ্টি আজই। -
ফয়জুল মহী ২৫/০৪/২০২১অনিন্দিত।