তনয়া
তনয়া
আব্দুল কাদির মিয়া
===========
নীল জরদের ফিঙ্গে ধরা
মটর সরষের আইলে বেড়া-
সেই গেলো বেলা,
ধূলি উড়া পথের অজানায়।
হাওড় বাওড়ে ঘেরা-
শ্যামল সবুজে উড়া,
যেন বাতাসের গিরি তনু গাঁয়।
কিশোরীর দলে হেন কার চুলে,
দেখি দোলে ঝুমকো জবা।
তনয়া নয়নে যেন মোর সনে,
বলে কথা মৌনতায় মোর অজানায়।
তৃষ্ণা আমার হৃদয় তরীতে ভেসে,
যেন তাঁর তীর খুঁজে পায়।
কত ব্যাথা বলে তাঁরে-
কত কথা তনয়ারে,
সবই শুধু হৃদনদে তাঁর অজানায়।
ডুবে বুঝি বেলা-
গগন প্রাসাদে তাঁর ডং ডং ডঙ্কার লাল।
নেমে এলো ঝড় মোর তনু মনে,
দেখি প্রদীপ জ্বালিতে ডাক-
তনয়ার কানে এলো কি হায়?
শেষ বুঝি এই ক্ষন-
মধু চিরকাল।
ছাড়িনি ভরসা-
এটে ধরি তবু হাল,
সে যে পথচলা হয়ে মুসাফির।
হাকি বার দ্বোরে-
কে আছো ভিতরে,
আমি যে গো নৈশ দায়ে।
আছে মোর সনে গহনা তনয়ার,
সে বুকে ধরে থাকি-
যদি পাই থোরা ঠাঁই।
খুলে দিয়ে দ্বোর-
সে তনয়া মধুর,
প্রদীপ আলোতে মোর চাহিয়া বদনে।
ঠোঁট কূল ভেসে-
মিট মিটি হেসে,
বলে পথিক যাবে তুমি-
আর কত দূর?
বলি তনয়ারে-
বিনয়ের সুরে,
আমি যে গো পেয়ে গেছি পথ।
মোর আঁখি সনে-
এই যে বচনে,
আমি যাব সেথা,
কতকাল খুঁজে খুঁজে,
অচেনা পথের মাঝে,
আজ হলো দেখা এই মোর মত।
লাজমনা সুরে-
বলে সে যে মোরে,
গহনাটি রেখো লুকিয়ে।
নহেতো সোহাগ নয়নের জলে,
উঠিবে লাটে গো পথীক হৃদয়ার অনলে,
যদি দস্যুরা করে সে ফওত।
বলি আমি তাঁরে,
সে নাহিগো ডরি-
হৃদয় বাঁধনে সেতো রাখিয়াছি ধরি,
যারই কপাটে মুকুট পড়ে আছে সে প্রিয়া।
ঐ শ্রাবণের ঢলে নিশিত অকূলে,
স্বপনের রাত ভরে যে দিলো হিয়া।
সেথা কত ছিলো সুর কণ্ঠ জুড়ে,
দুজনা মধুর নৃত্য করে,
যেন নীহারিকায় বেঁধেছিনু ঘর।
আর উড়েছিনু মোরা-
ভাসা মেঘ জুড়ে,
ক্লান্তি সারনে নিশি পূর্নির চড়ে,
যেন শশিমায় ডেকে দিলো বর।
আমি পেয়েছি গো তাঁরে-
আজ এই লগ্ন অদূরে স্বপনে নহে-
সেতো এই যেন তুমি,
যেথা আছো নিশ্বাসে-
মোর ধমনীর পাশে-
শুধু দাঁড়িয়ে যেখানে তুমি,
দূরে এই যেন আমি।
আব্দুল কাদির মিয়া
===========
নীল জরদের ফিঙ্গে ধরা
মটর সরষের আইলে বেড়া-
সেই গেলো বেলা,
ধূলি উড়া পথের অজানায়।
হাওড় বাওড়ে ঘেরা-
শ্যামল সবুজে উড়া,
যেন বাতাসের গিরি তনু গাঁয়।
কিশোরীর দলে হেন কার চুলে,
দেখি দোলে ঝুমকো জবা।
তনয়া নয়নে যেন মোর সনে,
বলে কথা মৌনতায় মোর অজানায়।
তৃষ্ণা আমার হৃদয় তরীতে ভেসে,
যেন তাঁর তীর খুঁজে পায়।
কত ব্যাথা বলে তাঁরে-
কত কথা তনয়ারে,
সবই শুধু হৃদনদে তাঁর অজানায়।
ডুবে বুঝি বেলা-
গগন প্রাসাদে তাঁর ডং ডং ডঙ্কার লাল।
নেমে এলো ঝড় মোর তনু মনে,
দেখি প্রদীপ জ্বালিতে ডাক-
তনয়ার কানে এলো কি হায়?
শেষ বুঝি এই ক্ষন-
মধু চিরকাল।
ছাড়িনি ভরসা-
এটে ধরি তবু হাল,
সে যে পথচলা হয়ে মুসাফির।
হাকি বার দ্বোরে-
কে আছো ভিতরে,
আমি যে গো নৈশ দায়ে।
আছে মোর সনে গহনা তনয়ার,
সে বুকে ধরে থাকি-
যদি পাই থোরা ঠাঁই।
খুলে দিয়ে দ্বোর-
সে তনয়া মধুর,
প্রদীপ আলোতে মোর চাহিয়া বদনে।
ঠোঁট কূল ভেসে-
মিট মিটি হেসে,
বলে পথিক যাবে তুমি-
আর কত দূর?
বলি তনয়ারে-
বিনয়ের সুরে,
আমি যে গো পেয়ে গেছি পথ।
মোর আঁখি সনে-
এই যে বচনে,
আমি যাব সেথা,
কতকাল খুঁজে খুঁজে,
অচেনা পথের মাঝে,
আজ হলো দেখা এই মোর মত।
লাজমনা সুরে-
বলে সে যে মোরে,
গহনাটি রেখো লুকিয়ে।
নহেতো সোহাগ নয়নের জলে,
উঠিবে লাটে গো পথীক হৃদয়ার অনলে,
যদি দস্যুরা করে সে ফওত।
বলি আমি তাঁরে,
সে নাহিগো ডরি-
হৃদয় বাঁধনে সেতো রাখিয়াছি ধরি,
যারই কপাটে মুকুট পড়ে আছে সে প্রিয়া।
ঐ শ্রাবণের ঢলে নিশিত অকূলে,
স্বপনের রাত ভরে যে দিলো হিয়া।
সেথা কত ছিলো সুর কণ্ঠ জুড়ে,
দুজনা মধুর নৃত্য করে,
যেন নীহারিকায় বেঁধেছিনু ঘর।
আর উড়েছিনু মোরা-
ভাসা মেঘ জুড়ে,
ক্লান্তি সারনে নিশি পূর্নির চড়ে,
যেন শশিমায় ডেকে দিলো বর।
আমি পেয়েছি গো তাঁরে-
আজ এই লগ্ন অদূরে স্বপনে নহে-
সেতো এই যেন তুমি,
যেথা আছো নিশ্বাসে-
মোর ধমনীর পাশে-
শুধু দাঁড়িয়ে যেখানে তুমি,
দূরে এই যেন আমি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Md. Rayhan Kazi ০৩/০৪/২০২১অসাধারণ লেখনী
-
আলমগীর সরকার লিটন ২৭/০৩/২০২১বেশ ভাবনাময়
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ২৭/০৩/২০২১অতিশয় হৃদয়গ্রাহী কবিতা।
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ২৬/০৩/২০২১চমৎকার অনুভূতির প্রকাশ।
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২৫/০৩/২০২১দারুন লেখা সতত শুভেচ্ছা কবি প্রিয়।
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ২৫/০৩/২০২১Wonderful.
-
Biswanath Banerjee ২৫/০৩/২০২১excellent
-
ফয়জুল মহী ২৫/০৩/২০২১শ্বেত শুভ্র অপরূপ আপনার চিন্তা শক্তি। সুনিপুনতায় ভরপুর সুনীলবর্ণ চয়ন