বঞ্চক
বঞ্চক
আব্দুল কাদির মিয়া
===========
কেমন আছো সত্যিই বলছি আজ
এই রাত শেষ পাড়ে-
জ্বলন্ত অভিমান ধুকে ধুকে পুড়ে ছাই-
ভশ্ম স্তুপাকার এই বিরহ বেদনার-
নির্লজ্জ হৃদয়ের তাড়নায়।
শুধু কলমের মুখে অনেক রাত জাগা-
দু চোখের চাহনিতে এক ঝড় বিধ্বংসী,
বুকের আর্তনাদ অসহনীয় মৃত্যু মুখি-
মমতার শত মিনতির অসহ্য,
যন্ত্রনার স্থির হীন ব্যকুলতার-
প্রলোভনে ঘন নিঃশ্বাসে-
শত ঘৃণিত বিরক্তের প্রকাশ রেখে-
বলছি আবারো কেমন আছো?
মনে নেই আজ সেই কতদিন-
কত কাল চলেগেলো জীবনের এইদিন-
তাঁর ফুড়াবে কবে সেও কিছু জানিনা-
শুধু মনে পরে আজ-
ত্রিশে নভেম্বর এইদিন।
এসেছিলে আমায় ফিরিয়ে দিতে-
আমার হিসেবের সব যেন পাই।
আমি নিয়েছি তাঁর চেয়েও কিছু বেশি।
তাই বলে কিছুই চাইবোনা ক্ষমা-
এই জর্জরিত ঘুনে খাওয়া-
লাজহীন হৃদয়ে একটু হলেও-
হয়তো আজও রয়েছে সজীব।
তাইতো আমার নিঃশব্দ ধমনীর-
ঠুক ঠুকে অনুভূতির গভীরে-
ভেসে উঠে তোমারই সেই ভয়ঙ্কর-
রুচি বৈরী নগ্ন নিঠুর প্রাণ নাশিনী-
নর নির্মম প্রতিমার ছায়া।
যে আমার মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়ে-
ক্ষত হীন বিন্দু সেই হৃদয় টুকুও-
যে তাঁর ছলনার মায়া জাদুর-
লৌহ প্রকোষ্ঠ বন্দীর খেলেছে-
হতভম্ব এক মৃত্যুর খেলা।
তাইতো পুড়ুক না সেই বাকিটুকু-
যত কারে পারে।
আজও জিরিয়ে রয়েছে কেন তাঁর-
সেই ভ্রান্ত অস্তিত্বের-
বিন্দু চিহ্ন সজীব?
আমিতো জীবনের সব ঢেলেই-
দিয়েছি ঐ বঞ্চক হৃদয়ের ঘরে-
এই শক্ত হাতের তালু স্পর্শ-
আঘাতে যার জীবনের সকল,
দায় মুক্তির এক স্মৃতির-
আমরন চিহ্ন রেখে,
শুধু যে এটুকুই নিয়েছি বেশি।
আব্দুল কাদির মিয়া
===========
কেমন আছো সত্যিই বলছি আজ
এই রাত শেষ পাড়ে-
জ্বলন্ত অভিমান ধুকে ধুকে পুড়ে ছাই-
ভশ্ম স্তুপাকার এই বিরহ বেদনার-
নির্লজ্জ হৃদয়ের তাড়নায়।
শুধু কলমের মুখে অনেক রাত জাগা-
দু চোখের চাহনিতে এক ঝড় বিধ্বংসী,
বুকের আর্তনাদ অসহনীয় মৃত্যু মুখি-
মমতার শত মিনতির অসহ্য,
যন্ত্রনার স্থির হীন ব্যকুলতার-
প্রলোভনে ঘন নিঃশ্বাসে-
শত ঘৃণিত বিরক্তের প্রকাশ রেখে-
বলছি আবারো কেমন আছো?
মনে নেই আজ সেই কতদিন-
কত কাল চলেগেলো জীবনের এইদিন-
তাঁর ফুড়াবে কবে সেও কিছু জানিনা-
শুধু মনে পরে আজ-
ত্রিশে নভেম্বর এইদিন।
এসেছিলে আমায় ফিরিয়ে দিতে-
আমার হিসেবের সব যেন পাই।
আমি নিয়েছি তাঁর চেয়েও কিছু বেশি।
তাই বলে কিছুই চাইবোনা ক্ষমা-
এই জর্জরিত ঘুনে খাওয়া-
লাজহীন হৃদয়ে একটু হলেও-
হয়তো আজও রয়েছে সজীব।
তাইতো আমার নিঃশব্দ ধমনীর-
ঠুক ঠুকে অনুভূতির গভীরে-
ভেসে উঠে তোমারই সেই ভয়ঙ্কর-
রুচি বৈরী নগ্ন নিঠুর প্রাণ নাশিনী-
নর নির্মম প্রতিমার ছায়া।
যে আমার মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়ে-
ক্ষত হীন বিন্দু সেই হৃদয় টুকুও-
যে তাঁর ছলনার মায়া জাদুর-
লৌহ প্রকোষ্ঠ বন্দীর খেলেছে-
হতভম্ব এক মৃত্যুর খেলা।
তাইতো পুড়ুক না সেই বাকিটুকু-
যত কারে পারে।
আজও জিরিয়ে রয়েছে কেন তাঁর-
সেই ভ্রান্ত অস্তিত্বের-
বিন্দু চিহ্ন সজীব?
আমিতো জীবনের সব ঢেলেই-
দিয়েছি ঐ বঞ্চক হৃদয়ের ঘরে-
এই শক্ত হাতের তালু স্পর্শ-
আঘাতে যার জীবনের সকল,
দায় মুক্তির এক স্মৃতির-
আমরন চিহ্ন রেখে,
শুধু যে এটুকুই নিয়েছি বেশি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ১৬/১২/২০২০বেশ চমৎকার।
-
Md. Jahangir Hossain ১৫/১২/২০২০সুন্দর প্রকাশ।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৪/১২/২০২০ভাল ।
-
ফয়জুল মহী ১৪/১২/২০২০অনিন্দ্য সুন্দর মনোভাবের সাবলীল প্রকাশ।