রাহুর বাজার পুড়ছে হৃদয়
রাহুর বাজার পুড়ছে হৃদয়
আব্দুল কাদির মিয়া
==============
আমার বাড়ি আর নেই সে আমার
পড়শী আমায় কয়।
সেথা কাল নাগের সেই পড়ছে ছায়া-
ধ্বংসিলে তুই কঙ্কাল কায়া-
তাই যা ভুলে সব বাড়ির মায়া,
যদি থাকে বাঁচার ভয়।
চেয়ে দেখ কেমন ডাগর চোখে-
ঠোঁট কাটা এক তেছরে বেঁকে-
আধ মাথা চুল তালু ছাটা-
খোঁচা খোঁচা দাড়ি,
বেটা চাইলে পরান তুফান বেগে-
যেন বুকে চলে গাড়ী।
এই ক্ষনেতে কথার ফাঁকে-
ডাক দিলো সে কেমন খেপে-
বলছে আমায় এই বেটা শোন,
কি নাম কি চাস,
থাকিস টা কই-
কোথায় আছে বাড়ি?
দেখলি টা কি এদিক চেয়ে-
ফিস ফিসিয়ে কিসব কয়ে?
মতলব টা কি করতে চুরি-
আমার দামি গাড়ী?
তবে পড়শী যেজন আইলো বলে-
দৌড় দিলো এক জুতা ফেলে-
আমি শুধু শৈসবের সেই,
স্মৃতি দুচোখ ভরে।
দেখছি যেন বাবার সাথে-
খেতে বসছি যেথা পাটি পেতে-
সেই চকিটি বারান্দাতে,
আজো আছে পরে।
ঐ যে কাঁঠাল আমের তলা-
দিন ভরে কত করছি খেলা-
জামতলাতে শালিক ঠুকে,
ফেলছে কত জাম।
আজ আমার বাড়ি নেই সে আমার-
শক্তি গরুর ভক্ত খামার-
সেই করলো নিজের শুধু হাত ইশারায়-
সেথা আমিই চোর হলাম।
এইদিক আসছে দেখে জমির কাকায়-
এবার বুকে যে আমার বল খুঁজে পায়,
সেতো ছোট বেলার বাবার সাথী ঐ-
পড়শী কুলের ভাই।
তাই আমার বাড়ি আমার পালান-
সেই পরিচয় দিতে পেলাম মনে সাহস,
এবার ঘুরে দাঁড়িয়ে ভক্তি সালাম-
কাকাকে জানাই।
কতদিন পর দেখছি তাঁরে-
তাইতো পরাণ মায়ায় ভরে-
উথলে উঠে তবে বলছি কাকা,
কেমন আছো তুমি?
চোখ পলকের এই ক্ষনেতে-
দেখছি কি হায়!
আজ হৃদয় ক্ষতে,
কাকা মুখ দেখে ঐ তাঁর মুখ ফিরালো,
চেয়ে দেখলো না কে আমি।
তাই আর পারিনি রাখতে ধরে-
দুচোখ জলে উঠলো ভরে-
তবুও চেয়ে থাকি-
কাকার পায়ের চলন খানি।
দেখছি যেন নিঃস্ব চলে-
তাঁর বুকের বেদন যায় সে বলে-
ওরে যা ফিরে তুই হতভাগা,
তুই বলবি কি সে জানি।
আব্দুল কাদির মিয়া
==============
আমার বাড়ি আর নেই সে আমার
পড়শী আমায় কয়।
সেথা কাল নাগের সেই পড়ছে ছায়া-
ধ্বংসিলে তুই কঙ্কাল কায়া-
তাই যা ভুলে সব বাড়ির মায়া,
যদি থাকে বাঁচার ভয়।
চেয়ে দেখ কেমন ডাগর চোখে-
ঠোঁট কাটা এক তেছরে বেঁকে-
আধ মাথা চুল তালু ছাটা-
খোঁচা খোঁচা দাড়ি,
বেটা চাইলে পরান তুফান বেগে-
যেন বুকে চলে গাড়ী।
এই ক্ষনেতে কথার ফাঁকে-
ডাক দিলো সে কেমন খেপে-
বলছে আমায় এই বেটা শোন,
কি নাম কি চাস,
থাকিস টা কই-
কোথায় আছে বাড়ি?
দেখলি টা কি এদিক চেয়ে-
ফিস ফিসিয়ে কিসব কয়ে?
মতলব টা কি করতে চুরি-
আমার দামি গাড়ী?
তবে পড়শী যেজন আইলো বলে-
দৌড় দিলো এক জুতা ফেলে-
আমি শুধু শৈসবের সেই,
স্মৃতি দুচোখ ভরে।
দেখছি যেন বাবার সাথে-
খেতে বসছি যেথা পাটি পেতে-
সেই চকিটি বারান্দাতে,
আজো আছে পরে।
ঐ যে কাঁঠাল আমের তলা-
দিন ভরে কত করছি খেলা-
জামতলাতে শালিক ঠুকে,
ফেলছে কত জাম।
আজ আমার বাড়ি নেই সে আমার-
শক্তি গরুর ভক্ত খামার-
সেই করলো নিজের শুধু হাত ইশারায়-
সেথা আমিই চোর হলাম।
এইদিক আসছে দেখে জমির কাকায়-
এবার বুকে যে আমার বল খুঁজে পায়,
সেতো ছোট বেলার বাবার সাথী ঐ-
পড়শী কুলের ভাই।
তাই আমার বাড়ি আমার পালান-
সেই পরিচয় দিতে পেলাম মনে সাহস,
এবার ঘুরে দাঁড়িয়ে ভক্তি সালাম-
কাকাকে জানাই।
কতদিন পর দেখছি তাঁরে-
তাইতো পরাণ মায়ায় ভরে-
উথলে উঠে তবে বলছি কাকা,
কেমন আছো তুমি?
চোখ পলকের এই ক্ষনেতে-
দেখছি কি হায়!
আজ হৃদয় ক্ষতে,
কাকা মুখ দেখে ঐ তাঁর মুখ ফিরালো,
চেয়ে দেখলো না কে আমি।
তাই আর পারিনি রাখতে ধরে-
দুচোখ জলে উঠলো ভরে-
তবুও চেয়ে থাকি-
কাকার পায়ের চলন খানি।
দেখছি যেন নিঃস্ব চলে-
তাঁর বুকের বেদন যায় সে বলে-
ওরে যা ফিরে তুই হতভাগা,
তুই বলবি কি সে জানি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ধূসর প্রাচীর (তাহসিন নাবিল) ০৫/১২/২০২০ভীষণ ভালো লাগা বোধ হলো কবিতাখানি পড়ে!
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৫/১২/২০২০beautiful
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৫/১২/২০২০nice
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৪/১২/২০২০ভাল।
-
ফয়জুল মহী ০৪/১২/২০২০মনোমুগ্ধকর