মায়ের খবর
মায়ের খবর
আব্দুল কাদির মিয়া
===========
মাগো,তুই তরমুজের দানাগুলো
আপেলের শাঁস গুলো,
কমলার কোয়া আর মাল্টার জোস।
যত মনে চায় মা-
নেই কোন ভাবনা,
পেট ভরে খাবি সবই,
তোর মনের খোশ।
কলা আর দুধ দিলাম-
পাতিল ভরা দই।
মনে চায় যত খাবি-
রাখিস না মা কোনো দাবী,
তুই মরলে কি আর আইবি ফিরে?
তোরে পামু কই।
সব দিলাম মা খাচি ভরে-
আইবো সোনা মাথায় করে,
দোয়া করিস সে যে আমার,
জান পরানের ধন।
যারে সোনা জলদি করে-
সব কথাই মনে করে,
বুঝিয়ে বলিস।
মা যেন সেই হেলা করে-
না করে তাঁর ভুল।
আর যদি তুই করিস দেরি-
এই যে আমি ফিরলাম বাড়ি,
এক এক করে ছিড়বো আমি,
তোর মাথার সব চুল।
এখন আসি-
যাই চলে গঞ্জে।
এই দিকে সেই সোনা মিয়া-
মাথার চুল তালুতে নিয়া,
বাঁধলো ঝুটি তীর কাঠি সই,
হাতে শিকল প্যাচে।
মোবাইল কটি টিপলো পরে-
ইংরেজী গান বাজালে জোরে,
হুশ গেলো তাঁর চড়ায় উঠে,
জোসের নাচন নেচে।
ডিসকু মতি সঙ্গীরা সব-
পাগল হয়ে ছুটে-
আইলে খাচির সবগুলো সেই-
উঠলো গোদা পেটে।
এবার দুই দিন পরে-
ডাকলো জোরে-
কইরে সোনা ধন।
আয়না কাছে-
মায়ের খবর,
শুনি মা কেমন।
তবে ঘাসের ডগা নাকের ভিতর-
গোপন করে নেড়ে-
সোনা হাচির জোরে ভান করে সেই-
কাশির কুর্দন মারে।
সোনার বাপের চোখ দুটি তাঁর-
কপাল মুখি উঠে-
শুধু সোনার মায়ায় করুনার ডর,
কাঁন্দে লুটে পুটে।
ঐ যেন সেই ভ্রান্তি গুলো-
মায়ের তরে খেলা-
সেই কাটলো করুন জনম জনম,
এইগুলো কার হেলা?
আজ ভাবতে হবে বুঝতে হবে-
আমরা যে একদিন,
বৃদ্ধ হলে মায়ের মতো-
মনের চাওয়া রুচির যত-
রুখবে সেতো ছেলের ছেলে-
ঐ ভ্রান্তি ধরা ঋন।
আব্দুল কাদির মিয়া
===========
মাগো,তুই তরমুজের দানাগুলো
আপেলের শাঁস গুলো,
কমলার কোয়া আর মাল্টার জোস।
যত মনে চায় মা-
নেই কোন ভাবনা,
পেট ভরে খাবি সবই,
তোর মনের খোশ।
কলা আর দুধ দিলাম-
পাতিল ভরা দই।
মনে চায় যত খাবি-
রাখিস না মা কোনো দাবী,
তুই মরলে কি আর আইবি ফিরে?
তোরে পামু কই।
সব দিলাম মা খাচি ভরে-
আইবো সোনা মাথায় করে,
দোয়া করিস সে যে আমার,
জান পরানের ধন।
যারে সোনা জলদি করে-
সব কথাই মনে করে,
বুঝিয়ে বলিস।
মা যেন সেই হেলা করে-
না করে তাঁর ভুল।
আর যদি তুই করিস দেরি-
এই যে আমি ফিরলাম বাড়ি,
এক এক করে ছিড়বো আমি,
তোর মাথার সব চুল।
এখন আসি-
যাই চলে গঞ্জে।
এই দিকে সেই সোনা মিয়া-
মাথার চুল তালুতে নিয়া,
বাঁধলো ঝুটি তীর কাঠি সই,
হাতে শিকল প্যাচে।
মোবাইল কটি টিপলো পরে-
ইংরেজী গান বাজালে জোরে,
হুশ গেলো তাঁর চড়ায় উঠে,
জোসের নাচন নেচে।
ডিসকু মতি সঙ্গীরা সব-
পাগল হয়ে ছুটে-
আইলে খাচির সবগুলো সেই-
উঠলো গোদা পেটে।
এবার দুই দিন পরে-
ডাকলো জোরে-
কইরে সোনা ধন।
আয়না কাছে-
মায়ের খবর,
শুনি মা কেমন।
তবে ঘাসের ডগা নাকের ভিতর-
গোপন করে নেড়ে-
সোনা হাচির জোরে ভান করে সেই-
কাশির কুর্দন মারে।
সোনার বাপের চোখ দুটি তাঁর-
কপাল মুখি উঠে-
শুধু সোনার মায়ায় করুনার ডর,
কাঁন্দে লুটে পুটে।
ঐ যেন সেই ভ্রান্তি গুলো-
মায়ের তরে খেলা-
সেই কাটলো করুন জনম জনম,
এইগুলো কার হেলা?
আজ ভাবতে হবে বুঝতে হবে-
আমরা যে একদিন,
বৃদ্ধ হলে মায়ের মতো-
মনের চাওয়া রুচির যত-
রুখবে সেতো ছেলের ছেলে-
ঐ ভ্রান্তি ধরা ঋন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শ.ম. শহীদ ২৬/১১/২০২০চমৎকার লেখা।
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ২৫/১১/২০২০অসামান্য স্তবকে সমাপ্তি প্রিয় কবি।
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ২৪/১১/২০২০বেশ ভালো।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৪/১১/২০২০মায়ের প্রতি দরদ।
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ২৪/১১/২০২০চমৎকার।
-
হাসান আল মাহদী ২৪/১১/২০২০অসাধারণ
-
ফয়জুল মহী ২৪/১১/২০২০Excellent