ঐ চিরপার হবে জ্ঞানের বিচার
ঐ চিরপার হবে জ্ঞানের বিচার
আব্দুল কাদির মিয়া
=============
আর কত রাত পোহাবে চেয়ে
দুটি চোখ করে গুঞ্জন।
ওরা বুঝতে পারেনি যে-
আমি জেনে গেছি সব।
ওরা বলে যে আমার জীবনের তরে-
বেঁচে থাকার সেই ওরাই রতন।
তবে ওরা কি বুঝতে পেরেছে?
যে আমি বড় অভিমানি,
তাই সে রাতের প্রহরের পর প্রহর জেগে-
দেখি আছে কি শক্তি-
ওরা আসে মোর খুনে।
আমি রয়েছি সেই দর্প ভেঙে-
চুরমারে ওরা জানিতে যে,
সেই আমিই ওদের জীবনের তরে,
বেঁচে থাকার এক মহাশক্তি,
আমিই ওদের এক এক করে,
বাঁচা কি মরার,
মহা ভাগ্য শনি।
তবে বিবেক বলে যে তাঁর-
নেই কোন ভয়।
আমি আর চোখ দুটি-
নই যে তাঁর কোন খুটি,
কোন ত্রুটি-
মৃত্যু কি বেঁচে থাকার-
নেই তাঁর সাথে ঝুটি।
সেতো এক মহা নর,
অধ নর,অধন নর-
জীবনের প্রতি ঘরে,
কি সুখ মহা সুখি-
কি দুঃখ সহাপতি,
সবি তরে একি গতি একি সাথী,
মগজের তারে তারে-
মৃত্যু কি বাঁচাঘরে,
চিরতরে চিরপারে-
মজ্জিত লাশ পরে,
পূর্ন সে আছে ধরে-
একি করে,
জীবন ও মরনেতে অক্ষয়।
তাইতো সে বলে-
তাঁর আছে কি সে ভয়?
যে আগুনে পুড়ে পুড়ে-
পরফের চাপা পড়ে,
হাজার হাজার বছর পরে ও যে নফছ্।
বলেছিলো প্রভুকে তুমি তুমি-
এইতো আর আমি আমি,
উপোষের পরে করুনের সুরে,
বলেছিলো ওগো প্রভু-
করো মোরে ক্ষমা,
আমি যে শুধুই তোমারি গোলাম,
তুমিই মোর সব।
এবার হৃদয়ের বানী-
বলে কি সে শুনি।
বলে ও, হে জ্ঞান তুমি সবকিছু জেনে-
ধূর্ত সাজিলে তাই মরি আমি ঘিনে।
কর্মের ভাব শুধু জাগে মোর মাঝে-
তুমি সে জ্ঞানের চড়কে তুলে,
অঙ্গ প্রত্যঙ্গ মেলে,
ন্যায় কি সেই পাপগুলো,
ঘড়ে তোলো কাজে।
তবে কেমবে বলিবে তোমার-
নেই কোনো দায়?
তুমি নরকের হুংকারে-
নাকি সোনার স্বর্গ তরে,
সেইদিন চিরপারে-
ঐ মিজানের রায়,
দিবে শুধু জাররা জাররা ধরে-
জ্ঞানেরই বিচার করে,
নেই সেথা অনু ওজর-
প্রভু বলে তাই।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাঃ-
==========
নফছ্- যাহা মানুষের মনের বাসনা কি ভালো কি মন্দ পূর্ন
করাই একমাত্র তাহার কাজ।
যাহা লোভ লালসা (আকাঙ্ক্ষা) মহান আল্লাহ্ এই নফছ্ কে
সৃষ্টি করে জিজ্ঞেস করিলো হে নফছ্-
বলো আমি তোমার কে?
নফছ্ তাহার দাম্ভিক লোভ লালসার কুরুচিপূর্ন উত্তর দিলো যে,
তুমি তুমি,আমি আমি-
অর্থাৎ আল্লাহকে সে তাহার প্রভু বলে মানতে রাজি নয়।
তখন মহান আল্লাহ তাহাকে হাজার হাজার বৎসর নরকের
অগ্নিতে পুড়িয়ে এবং হাজার হাজার বৎসর বরফে চাপা দিয়া
পুঃন পুঃন জিজ্ঞেস করিলে প্রথম ও দ্বিতীয় বার নফছ্ একি উত্তর
প্রদান করিলে এবার মহাম প্রভু তাঁর আহার বন্ধ করিয়া দিলে
এখন তাঁহার খাদ্য অভাবে সে দুর্বল হতে হতে একদম নিস্তেজ
হয়ে পড়ে তখন মহান আল্লাহ তাঁকে আবারো ঐ কথা জিজ্ঞেস
করিলে এবার নফছ্ অতি লজ্জি,নম্র ও কাকুতি মিনতির সুরে
বলে যে ওগো প্রভু আমাকে তোমার দয়ায় ক্ষমা করে দাও।
তুমিই আমার একমাত্র স্রষ্টা।
আমি যে শুধুই তোমার গোলাম।
(জাররা- একটি পিপীলিকার একদিনের খাদ্যের ৭০ ভাগের এক
ভাগকে এক জাররা বলা হয়)
লেখক এখানে সেই কথাই বলেছেন।
আব্দুল কাদির মিয়া
=============
আর কত রাত পোহাবে চেয়ে
দুটি চোখ করে গুঞ্জন।
ওরা বুঝতে পারেনি যে-
আমি জেনে গেছি সব।
ওরা বলে যে আমার জীবনের তরে-
বেঁচে থাকার সেই ওরাই রতন।
তবে ওরা কি বুঝতে পেরেছে?
যে আমি বড় অভিমানি,
তাই সে রাতের প্রহরের পর প্রহর জেগে-
দেখি আছে কি শক্তি-
ওরা আসে মোর খুনে।
আমি রয়েছি সেই দর্প ভেঙে-
চুরমারে ওরা জানিতে যে,
সেই আমিই ওদের জীবনের তরে,
বেঁচে থাকার এক মহাশক্তি,
আমিই ওদের এক এক করে,
বাঁচা কি মরার,
মহা ভাগ্য শনি।
তবে বিবেক বলে যে তাঁর-
নেই কোন ভয়।
আমি আর চোখ দুটি-
নই যে তাঁর কোন খুটি,
কোন ত্রুটি-
মৃত্যু কি বেঁচে থাকার-
নেই তাঁর সাথে ঝুটি।
সেতো এক মহা নর,
অধ নর,অধন নর-
জীবনের প্রতি ঘরে,
কি সুখ মহা সুখি-
কি দুঃখ সহাপতি,
সবি তরে একি গতি একি সাথী,
মগজের তারে তারে-
মৃত্যু কি বাঁচাঘরে,
চিরতরে চিরপারে-
মজ্জিত লাশ পরে,
পূর্ন সে আছে ধরে-
একি করে,
জীবন ও মরনেতে অক্ষয়।
তাইতো সে বলে-
তাঁর আছে কি সে ভয়?
যে আগুনে পুড়ে পুড়ে-
পরফের চাপা পড়ে,
হাজার হাজার বছর পরে ও যে নফছ্।
বলেছিলো প্রভুকে তুমি তুমি-
এইতো আর আমি আমি,
উপোষের পরে করুনের সুরে,
বলেছিলো ওগো প্রভু-
করো মোরে ক্ষমা,
আমি যে শুধুই তোমারি গোলাম,
তুমিই মোর সব।
এবার হৃদয়ের বানী-
বলে কি সে শুনি।
বলে ও, হে জ্ঞান তুমি সবকিছু জেনে-
ধূর্ত সাজিলে তাই মরি আমি ঘিনে।
কর্মের ভাব শুধু জাগে মোর মাঝে-
তুমি সে জ্ঞানের চড়কে তুলে,
অঙ্গ প্রত্যঙ্গ মেলে,
ন্যায় কি সেই পাপগুলো,
ঘড়ে তোলো কাজে।
তবে কেমবে বলিবে তোমার-
নেই কোনো দায়?
তুমি নরকের হুংকারে-
নাকি সোনার স্বর্গ তরে,
সেইদিন চিরপারে-
ঐ মিজানের রায়,
দিবে শুধু জাররা জাররা ধরে-
জ্ঞানেরই বিচার করে,
নেই সেথা অনু ওজর-
প্রভু বলে তাই।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাঃ-
==========
নফছ্- যাহা মানুষের মনের বাসনা কি ভালো কি মন্দ পূর্ন
করাই একমাত্র তাহার কাজ।
যাহা লোভ লালসা (আকাঙ্ক্ষা) মহান আল্লাহ্ এই নফছ্ কে
সৃষ্টি করে জিজ্ঞেস করিলো হে নফছ্-
বলো আমি তোমার কে?
নফছ্ তাহার দাম্ভিক লোভ লালসার কুরুচিপূর্ন উত্তর দিলো যে,
তুমি তুমি,আমি আমি-
অর্থাৎ আল্লাহকে সে তাহার প্রভু বলে মানতে রাজি নয়।
তখন মহান আল্লাহ তাহাকে হাজার হাজার বৎসর নরকের
অগ্নিতে পুড়িয়ে এবং হাজার হাজার বৎসর বরফে চাপা দিয়া
পুঃন পুঃন জিজ্ঞেস করিলে প্রথম ও দ্বিতীয় বার নফছ্ একি উত্তর
প্রদান করিলে এবার মহাম প্রভু তাঁর আহার বন্ধ করিয়া দিলে
এখন তাঁহার খাদ্য অভাবে সে দুর্বল হতে হতে একদম নিস্তেজ
হয়ে পড়ে তখন মহান আল্লাহ তাঁকে আবারো ঐ কথা জিজ্ঞেস
করিলে এবার নফছ্ অতি লজ্জি,নম্র ও কাকুতি মিনতির সুরে
বলে যে ওগো প্রভু আমাকে তোমার দয়ায় ক্ষমা করে দাও।
তুমিই আমার একমাত্র স্রষ্টা।
আমি যে শুধুই তোমার গোলাম।
(জাররা- একটি পিপীলিকার একদিনের খাদ্যের ৭০ ভাগের এক
ভাগকে এক জাররা বলা হয়)
লেখক এখানে সেই কথাই বলেছেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Md. Rayhan Kazi ১৪/০৭/২০২০অনন্য বুনন শৈলী
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ১৪/০৭/২০২০মূল্যবান উপস্থাপন প্রিয় কবি।
ভীষণ ভালো লেগেছে। -
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৩/০৭/২০২০উপদেশমূলক।
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১৩/০৭/২০২০অপূর্ব
-
ফয়জুল মহী ১৩/০৭/২০২০অত্যন্ত মনোমুদ্ধকর