জীবন শেষের বেলা
জীবন শেষের বেলা
আব্দুল কাদির মিয়া
============
নিশুতিতে বৃষ্টি ঝরে
ভেঙে যায় ঘুম।
ভেসে এলো সুর কানে-
ঘুম ঘুম সুখ তানে,
মন মজে শুনে যায়,
একাকি নিগুম।
নেই তাল নেই বাঁশি-
মায়াবির কিছু হাসি,
ছন্দের মুখে কথা কয়।
চার কোল ঘেরা বনে-
নেই কিছু নিজ ভীনে,
কে সে তুমি কথাগুলো,
চেনা মনে হয়!
চোখ মলি হাতে-
মনেপড়ে তাতে ।
ফেলে আসা দিনগুলো-
স্বপনের মাঝে।
সাথী হারা সেই সুখী-
সে আজ বড় দুঃখে,
বলে শৈশব গেলে ভুলে,
শুধু সার্থ্যের কাজে?
তাই ব্যাকুলতা পেয়ে-
বর্ষার বিলে নাও ভাসিয়ে,
মন চাহে করি খেলা।
যেমনি খেলে কাটতো সকাল-
উপোষ বিকেল বেলা।
ঝরে ঝরে পড়া মেঘের গুড়ি-
সেই যেন এক মায়ার পুরী,
কদম কেয়া দোল বেদোলে,
বাহারি বনো ফুল।
সবগুলো মোর মনের কোনে-
ডাকছে ওরা সংগোপনে,
আয় না ভিজি আগের মতো,
ভাসা মেঘের কোল।
এই জীবনের চাওয়া পাওয়ার-
হিসাব নথির ভিড়ে-
সেই দিনগুলো সব ফুড়ালো কবে,
না চাই কভু ফিরে।
আজ স্বপনের নীরব ক্ষনে-
আষাঢ় স্মৃতি কথা,
সেই ছোট কাল পড়লে মনে,
উথলে পড়ে ব্যথা।
তবেই আমি বেড়িয়ে পরি-
সহিতে না পেরে,
যাই ছুটে সেই নদীর উপাড়,
গাঁও গেরামের ধারে।
পাড় ঘেষা জল নতুন স্রোতে-
নল সারি দল ঝাড়।
দুলছে করাল ভাটির টানে-
একটু ফাঁকে তাঁর।
বউ সাঁতারে কলসি ধরে-
কেউ জালে মাছ শিকার করে,
দল বাঁধা এক ল্যাংটা ছুটা,
লাফায় গোলে মালে।
ছুটছি আমি মনের ভাবুক-
আমায় তবে কয়।
দেখনা হৃদয় চক্ষু মেলে-
এই নতুনের ছোয়া পেলে,
রইবে কি তোর সেই পুরোনো,
স্মৃতি হারার ভয়?
তবে আর কি দেরি সয়?
না না আমার দলে থাকা-
ঘরপোষেরা ঘরনিও,
এক কথা সেই পাকা।
সবাই নামলো ঝপার ঝপ।
আমিও যেন পেলাম খুঁজে-
সেই ছোট কাল আষাঢ় বুঝে,
উজান চরের সেই ঘাটেতে,
হারানো দিনের সব।
কেউ বা ডুবায় হাবুস হুবুস-
কেউ বা সাঁতার কাটে।
আমার পরান উঠলো নেচে-
গানের কলি কেটে।
একটু সুরে একটু ডুবি-
হায়রে সাধের খেলা।
এমনি করে ডুবতো যদি-
জীবন শেষের বেলা।
আব্দুল কাদির মিয়া
============
নিশুতিতে বৃষ্টি ঝরে
ভেঙে যায় ঘুম।
ভেসে এলো সুর কানে-
ঘুম ঘুম সুখ তানে,
মন মজে শুনে যায়,
একাকি নিগুম।
নেই তাল নেই বাঁশি-
মায়াবির কিছু হাসি,
ছন্দের মুখে কথা কয়।
চার কোল ঘেরা বনে-
নেই কিছু নিজ ভীনে,
কে সে তুমি কথাগুলো,
চেনা মনে হয়!
চোখ মলি হাতে-
মনেপড়ে তাতে ।
ফেলে আসা দিনগুলো-
স্বপনের মাঝে।
সাথী হারা সেই সুখী-
সে আজ বড় দুঃখে,
বলে শৈশব গেলে ভুলে,
শুধু সার্থ্যের কাজে?
তাই ব্যাকুলতা পেয়ে-
বর্ষার বিলে নাও ভাসিয়ে,
মন চাহে করি খেলা।
যেমনি খেলে কাটতো সকাল-
উপোষ বিকেল বেলা।
ঝরে ঝরে পড়া মেঘের গুড়ি-
সেই যেন এক মায়ার পুরী,
কদম কেয়া দোল বেদোলে,
বাহারি বনো ফুল।
সবগুলো মোর মনের কোনে-
ডাকছে ওরা সংগোপনে,
আয় না ভিজি আগের মতো,
ভাসা মেঘের কোল।
এই জীবনের চাওয়া পাওয়ার-
হিসাব নথির ভিড়ে-
সেই দিনগুলো সব ফুড়ালো কবে,
না চাই কভু ফিরে।
আজ স্বপনের নীরব ক্ষনে-
আষাঢ় স্মৃতি কথা,
সেই ছোট কাল পড়লে মনে,
উথলে পড়ে ব্যথা।
তবেই আমি বেড়িয়ে পরি-
সহিতে না পেরে,
যাই ছুটে সেই নদীর উপাড়,
গাঁও গেরামের ধারে।
পাড় ঘেষা জল নতুন স্রোতে-
নল সারি দল ঝাড়।
দুলছে করাল ভাটির টানে-
একটু ফাঁকে তাঁর।
বউ সাঁতারে কলসি ধরে-
কেউ জালে মাছ শিকার করে,
দল বাঁধা এক ল্যাংটা ছুটা,
লাফায় গোলে মালে।
ছুটছি আমি মনের ভাবুক-
আমায় তবে কয়।
দেখনা হৃদয় চক্ষু মেলে-
এই নতুনের ছোয়া পেলে,
রইবে কি তোর সেই পুরোনো,
স্মৃতি হারার ভয়?
তবে আর কি দেরি সয়?
না না আমার দলে থাকা-
ঘরপোষেরা ঘরনিও,
এক কথা সেই পাকা।
সবাই নামলো ঝপার ঝপ।
আমিও যেন পেলাম খুঁজে-
সেই ছোট কাল আষাঢ় বুঝে,
উজান চরের সেই ঘাটেতে,
হারানো দিনের সব।
কেউ বা ডুবায় হাবুস হুবুস-
কেউ বা সাঁতার কাটে।
আমার পরান উঠলো নেচে-
গানের কলি কেটে।
একটু সুরে একটু ডুবি-
হায়রে সাধের খেলা।
এমনি করে ডুবতো যদি-
জীবন শেষের বেলা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এম. মাহবুব মুকুল ২৭/০৬/২০২০
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ২৭/০৬/২০২০সুন্দর অনুভূতি।
-
Md. Rayhan Kazi ২৭/০৬/২০২০অনন্য বৈশিষ্ট মন্ডিত
-
ফয়জুল মহী ২৭/০৬/২০২০Valo laglo
শুভেচ্ছা রইল।