ময়নার সুলুক
ময়নার সুলুক
আব্দুল কাদির মিয়া
============
সেই দেখি এক দিল দরিয়া
ভুবন খানি বেড়ে।
নিজকে বিলায় উজার করে-
রুখতে না কেউ পারে।
আর দেখি এক হৃদয় পাথর,
পাথর ও কিছু ক্ষয়।
তবে নেই কিছু ক্ষয়-
ঐ পাথরে,
রোষের নরক বয়।
কে সে জীবে আছে ধরায়-
এমনি দেমাগ লইয়ে,
যার হুকুমে রক্ত ঝরে,
যায় মৃত্যু নদী বয়ে।
সুলুক দিলো ময়না পাখি-
টিয়ার মাথা ঘুরে,
ভাবে লম্বা ঠোঁটা কালির কাছে,
মান রবে কি হেরে?
একটু পরে চোখ দুটি তাঁর-
কেমন বড় করে,
ছুটলো কথা খই যেন তাঁর,
খোলায় ফোটন ধরে।
এবার বলছে টিয়া মানুষ মানুষ-
শোনরে ঠোঁটা শোন।
সে আরও কত ক্ষমতা রাখে-
শোন দিয়া তুই মন।
সূর্য্য উদয়ে তাঁরে-
ঐ মানুষে ধরে,
জ্ঞান রশিতে ফাঁদ পাতিয়া-
বিজলী আদায় করে।
মনের খুশি যেমনি ধরে,
ইচ্ছে মতো জ্বলায় তাঁরে।
নিজের জোরে চকমকিয়া-
দিন কি রাতের ঘরে।
আকাশ কালো মেঘ আধারে-
ডুবায় যদি তাঁরে।
তবুও কিছু যায় আসে না-
ঝকমকি তাঁর কেউ নাশে না,
ধরছে যেমন তেমনি ধরায়,
জ্বলছে আগেরই জোরে।
মানুষ আরদালি সাজিয়া-
পা হাটুতে রাখিয়া,
যেন,
বাবু সেজে সুরুজ উদয়,
খাজনা আদায় করে।
আরোও-
যারে নাদেখে দুই চোখ জুড়িয়া,
না শোনে তাঁর কথা।
দিন দুনিয়ার এক কিনারায়-
যে খানে তাঁর থাকা।
তাঁরে একটু খানি আয়নার ভিতর-
একটিপেতে দেখে,
ইচ্ছে হলেই কথার আওয়াজ,
কানের পর্দা কাঁপে।
এই মানুষের এতো শক্তি-
পাইলো কেমন করে?
বাপরে বাপ,
জিন কালাম পড়ে ফুকদিলে,
সব দানব নাকি পুড়ে।
এবার ময়না পাখি মিট মিটিয়া-
বলছে বোচা নাকি,
আমর জানা মানুষের জোর,
অর্ধেকই তোর বাকি।
একটা ছোট কথা বলি-
শোন কানে মন দিয়া,
বল-
পিঞ্জরে তুই শিখলি কথা-
কোন স্কুলে গিয়া?
মানুষ ই তোর ভব গুরু-
সব জীবেরি তরে,
আবার নিরপরাধ পিঁপড়ে মেরে,
নরক গড়ায় পরে।
ভয় লাগে তাই এমন কথা-
মুখে মুখে বলে,
রাগলে গুরু পিঁপড়ে ছেড়ে,
আমায় যদি ডলে।
আবার মানুষই ওরা-
সর্বসেরা,
মহান প্রভু বলে।
সে এক ক্ষুদ্র প্রানীর তৃষ্ণা মিটায়-
স্বর্গে যাবে চলে।
আব্দুল কাদির মিয়া
============
সেই দেখি এক দিল দরিয়া
ভুবন খানি বেড়ে।
নিজকে বিলায় উজার করে-
রুখতে না কেউ পারে।
আর দেখি এক হৃদয় পাথর,
পাথর ও কিছু ক্ষয়।
তবে নেই কিছু ক্ষয়-
ঐ পাথরে,
রোষের নরক বয়।
কে সে জীবে আছে ধরায়-
এমনি দেমাগ লইয়ে,
যার হুকুমে রক্ত ঝরে,
যায় মৃত্যু নদী বয়ে।
সুলুক দিলো ময়না পাখি-
টিয়ার মাথা ঘুরে,
ভাবে লম্বা ঠোঁটা কালির কাছে,
মান রবে কি হেরে?
একটু পরে চোখ দুটি তাঁর-
কেমন বড় করে,
ছুটলো কথা খই যেন তাঁর,
খোলায় ফোটন ধরে।
এবার বলছে টিয়া মানুষ মানুষ-
শোনরে ঠোঁটা শোন।
সে আরও কত ক্ষমতা রাখে-
শোন দিয়া তুই মন।
সূর্য্য উদয়ে তাঁরে-
ঐ মানুষে ধরে,
জ্ঞান রশিতে ফাঁদ পাতিয়া-
বিজলী আদায় করে।
মনের খুশি যেমনি ধরে,
ইচ্ছে মতো জ্বলায় তাঁরে।
নিজের জোরে চকমকিয়া-
দিন কি রাতের ঘরে।
আকাশ কালো মেঘ আধারে-
ডুবায় যদি তাঁরে।
তবুও কিছু যায় আসে না-
ঝকমকি তাঁর কেউ নাশে না,
ধরছে যেমন তেমনি ধরায়,
জ্বলছে আগেরই জোরে।
মানুষ আরদালি সাজিয়া-
পা হাটুতে রাখিয়া,
যেন,
বাবু সেজে সুরুজ উদয়,
খাজনা আদায় করে।
আরোও-
যারে নাদেখে দুই চোখ জুড়িয়া,
না শোনে তাঁর কথা।
দিন দুনিয়ার এক কিনারায়-
যে খানে তাঁর থাকা।
তাঁরে একটু খানি আয়নার ভিতর-
একটিপেতে দেখে,
ইচ্ছে হলেই কথার আওয়াজ,
কানের পর্দা কাঁপে।
এই মানুষের এতো শক্তি-
পাইলো কেমন করে?
বাপরে বাপ,
জিন কালাম পড়ে ফুকদিলে,
সব দানব নাকি পুড়ে।
এবার ময়না পাখি মিট মিটিয়া-
বলছে বোচা নাকি,
আমর জানা মানুষের জোর,
অর্ধেকই তোর বাকি।
একটা ছোট কথা বলি-
শোন কানে মন দিয়া,
বল-
পিঞ্জরে তুই শিখলি কথা-
কোন স্কুলে গিয়া?
মানুষ ই তোর ভব গুরু-
সব জীবেরি তরে,
আবার নিরপরাধ পিঁপড়ে মেরে,
নরক গড়ায় পরে।
ভয় লাগে তাই এমন কথা-
মুখে মুখে বলে,
রাগলে গুরু পিঁপড়ে ছেড়ে,
আমায় যদি ডলে।
আবার মানুষই ওরা-
সর্বসেরা,
মহান প্রভু বলে।
সে এক ক্ষুদ্র প্রানীর তৃষ্ণা মিটায়-
স্বর্গে যাবে চলে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Md. Rayhan Kazi ২৭/০৬/২০২০বাহ্ চমৎকার
-
কে এম শাহ্ রিয়ার ২৫/০৬/২০২০অনুভূতির শ্রেস্ট প্রকাশ!
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৫/০৬/২০২০বেশ হয়েছে।
-
জানবক্স খান ২৫/০৬/২০২০খুব সুন্দর ভাব।
কেবল মানুষ শ্রেষ্ঠ আত্নস্বীকৃতে। -
ফয়জুল মহী ২৫/০৬/২০২০অসামান্য ভাবনায় নান্দনিক প্রকাশ
-
Md. Rayhan Kazi ২৫/০৬/২০২০ভালো ছিলো