আমি কবি
আমি কবি
আব্দুল কাদির মিয়া
========================
আমি কবি
জগৎ বেড়ে মোর খ্যাতি অর্জন।
আমি দিবস কোলাহলে-
সপ্নের সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে,
যশ ভরা তৈজস আড়ম্ভর সুখ্যাতি এক-
জ্যান্ত সবল লোম হর্ষ রাক্ষসী?
মোর জীবনের ভাগ্য দোয়ারে-
দাঁড় করাতে নমঃধ্বনি,
চাকচিক্য রাশিমালা,
মোর জয়গান।
যেন জয় ললিত ওষ্ঠে,
নব বারতার এক-
অন্তহীন গুরুগম্ভীর সুধিজন?
আমি ভেসেছি ডিঙ্গায় যেন-
উঠেছি তারার দেশে,
আর দেখেছি মেঘমুল্লুক-
ঘুরেছি স্তর ভেদে,
পানি, লৌহ, তামা, রুপা, স্বর্ন-
আর ইয়াকুত মারযান,
ঐ ফাবি আইয়ে আলা ই-
রাব্বি কুমা তুকাজ্জি বান।
শুধা স্বর্গীয় বানী-
মহা কালামেতে শুনি,
যারি নেই লয় নেই ক্ষয়-
মিথ্যের নেই ভয়,
হাজার সত্য সে আসমানি।
আমি কুঞ্জ কাননে দেখি-
গগনি রঞ্জন হাসি।
তরু গুলো কাঁদে,
কেউ নন্দ রানী।
ঝরা পাতার মর মরে-
মৃত্যু হাহা কারে,
শোকাতরে স্বজনেরা-
কেউ নৃত্য দোলনে।
আমি কবি,
হৃদয়ে অঙ্কন এই ধরনীর ছবি।
নিশির শশিতে ভাসা-
মন ভেলা খানি,
সেথা জীবনের সব ভরে-
জনমের শেষ দূরে,
আজো আমি সেই কবি,
মৃত্যুর পারে।
ওগো মা পৃথিবী,
ওগো নিখিলের প্রান।
জনম জনম ধরে গেয়েছি যারি,
বুকঞ্জলিতে পুষে রেখেছি ধরি।
গাইবে কি ওরা কেউ এক জনাতে?
আমি শবের পালকি ছেড়ে-
যবে ধূলি গড়াতে,
ঐ নীরব কুঞ্জে মোর-
একরতি, জীবনের গান?
সংক্ষিপ্ত ব্যাখা- লোভ লালসার এই জাগতিক সকল চাওয়া পাওয়া
পদদলিত করে লেখক এখানে তার জীবনের সকল
সুখ্যাতি সুনাম অর্জন ও তার অতি নীরব ধ্যান মগ্ন
সাধনায় সকল অর্জিত মূল্যায়ন কে নগন্য থেকে
অতি নগন্য বলে অখ্যায়িত করেছেন।যেহেতু মহান
স্রষ্টা হতে এক আয়তনহীন জ্ঞান মহা সমুদ্র হতে
এই অধম গোলাম বান্দা কে বিন্দুহীন কিছু মাত্র
কৃপা করেছেন বলে আল্লাহ্ তার পবিত্র কালামে
বলেছেন ফাবি আইয়ে আলা ই রাব্বি কুমা
তুকাজ্জিবান অর্থাৎ বলো তোমরা আমার কোন
নেয়ামতকে অস্বীকার করবে? সেহেতু লেখক
মহান প্রভুর কাছে তার অশেষ কৃতজ্ঞতার কথা
স্বীকার করেছেন।যেহেতু মহান রব্ হইতেই তাঁর
দয়ার বরকতে এই কিছুমাত্র বিন্দু থেকে বিন্দুহীন
জ্ঞান তার ভাগ্যে জুটেছে বলে এবং তাঁর সাথে
এও বলেছেন যে তাঁর মৃত্যুর পর কবর জীবনে
একজনও কি কেউ তাঁকে স্বরন করবে? ঐ চিরপারে
মুক্তির দিশায়,এই রতি পরিমান? তবেই তাঁর
জীবন স্বার্থক।
আব্দুল কাদির মিয়া
========================
আমি কবি
জগৎ বেড়ে মোর খ্যাতি অর্জন।
আমি দিবস কোলাহলে-
সপ্নের সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে,
যশ ভরা তৈজস আড়ম্ভর সুখ্যাতি এক-
জ্যান্ত সবল লোম হর্ষ রাক্ষসী?
মোর জীবনের ভাগ্য দোয়ারে-
দাঁড় করাতে নমঃধ্বনি,
চাকচিক্য রাশিমালা,
মোর জয়গান।
যেন জয় ললিত ওষ্ঠে,
নব বারতার এক-
অন্তহীন গুরুগম্ভীর সুধিজন?
আমি ভেসেছি ডিঙ্গায় যেন-
উঠেছি তারার দেশে,
আর দেখেছি মেঘমুল্লুক-
ঘুরেছি স্তর ভেদে,
পানি, লৌহ, তামা, রুপা, স্বর্ন-
আর ইয়াকুত মারযান,
ঐ ফাবি আইয়ে আলা ই-
রাব্বি কুমা তুকাজ্জি বান।
শুধা স্বর্গীয় বানী-
মহা কালামেতে শুনি,
যারি নেই লয় নেই ক্ষয়-
মিথ্যের নেই ভয়,
হাজার সত্য সে আসমানি।
আমি কুঞ্জ কাননে দেখি-
গগনি রঞ্জন হাসি।
তরু গুলো কাঁদে,
কেউ নন্দ রানী।
ঝরা পাতার মর মরে-
মৃত্যু হাহা কারে,
শোকাতরে স্বজনেরা-
কেউ নৃত্য দোলনে।
আমি কবি,
হৃদয়ে অঙ্কন এই ধরনীর ছবি।
নিশির শশিতে ভাসা-
মন ভেলা খানি,
সেথা জীবনের সব ভরে-
জনমের শেষ দূরে,
আজো আমি সেই কবি,
মৃত্যুর পারে।
ওগো মা পৃথিবী,
ওগো নিখিলের প্রান।
জনম জনম ধরে গেয়েছি যারি,
বুকঞ্জলিতে পুষে রেখেছি ধরি।
গাইবে কি ওরা কেউ এক জনাতে?
আমি শবের পালকি ছেড়ে-
যবে ধূলি গড়াতে,
ঐ নীরব কুঞ্জে মোর-
একরতি, জীবনের গান?
সংক্ষিপ্ত ব্যাখা- লোভ লালসার এই জাগতিক সকল চাওয়া পাওয়া
পদদলিত করে লেখক এখানে তার জীবনের সকল
সুখ্যাতি সুনাম অর্জন ও তার অতি নীরব ধ্যান মগ্ন
সাধনায় সকল অর্জিত মূল্যায়ন কে নগন্য থেকে
অতি নগন্য বলে অখ্যায়িত করেছেন।যেহেতু মহান
স্রষ্টা হতে এক আয়তনহীন জ্ঞান মহা সমুদ্র হতে
এই অধম গোলাম বান্দা কে বিন্দুহীন কিছু মাত্র
কৃপা করেছেন বলে আল্লাহ্ তার পবিত্র কালামে
বলেছেন ফাবি আইয়ে আলা ই রাব্বি কুমা
তুকাজ্জিবান অর্থাৎ বলো তোমরা আমার কোন
নেয়ামতকে অস্বীকার করবে? সেহেতু লেখক
মহান প্রভুর কাছে তার অশেষ কৃতজ্ঞতার কথা
স্বীকার করেছেন।যেহেতু মহান রব্ হইতেই তাঁর
দয়ার বরকতে এই কিছুমাত্র বিন্দু থেকে বিন্দুহীন
জ্ঞান তার ভাগ্যে জুটেছে বলে এবং তাঁর সাথে
এও বলেছেন যে তাঁর মৃত্যুর পর কবর জীবনে
একজনও কি কেউ তাঁকে স্বরন করবে? ঐ চিরপারে
মুক্তির দিশায়,এই রতি পরিমান? তবেই তাঁর
জীবন স্বার্থক।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৫/০৩/২০২০বাঃ
-
আলমগীর সরকার লিটন ১৫/০৩/২০২০চমৎকার ভাবনা
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১৫/০৩/২০২০সুন্দর
-
ফয়জুল মহী ১৫/০৩/২০২০ভালো লাগলো।