সুখিত মায়ের ঘর
সুখিত মায়ের ঘর
আব্দুল কাদির মিয়া
--------------------------
খই চিড়া দই মায়ের হাতে
মগ ভরা জল কাঁখে।
উঠ কালা চাঁন বাপটি আমার,
সখের বুলি ডাকে।
ঘর খানি সেই দোর ছিলো যার,
নিমের পাটাতনে।
পূব দিকের ঐ কুঞ্জ ভিটা,
আম লকিটির সনে।
আজ, যোগ পেরোলো বদলো সবি,
উঠুন ভিটের অচিন ছবি।
চাঁদ বদনে নিরব নিশি,
পরলো মাথায় টাক।
এত বদলো,তবু বদলো না-
সেই মায়ের মধুর ডাক।
এই যেন রাত পোহায় ক্ষনে,
ঘুম সরেনা চোখের কোনে।
আবার দেখি হাত ধরা হাত,
কে যেন কি বলে।
ঐ তো দেখি বাবার হাতে,
আমার জুতা লাল ফিতাতে।
আমায় ধরে বলছে কালা,
জাদু সোনা ধন।
একটা কথা বলি তোকে,
মায়ের সখের স্মৃতি টাকে।
বুকে ধরে রাখিস মানিক,
জীবন করে পন।
ঝরা ক্ষেতের ধান কুড়িয়ে,
মুষ্টি রাখা চাল বিকিয়ে।
বেওয়া শাকের মূল্য কত,
দিলো হাতে তুলে।
শুধুই ছিলো একটা চাওয়া,
তোর জুতো লাল ফিতায় পাওয়া।
হেলায় হেলায় গঞ্জে যেন,
আর নাহি যাই ভুলে।
আজ পরছে মনে অনেকবারে,
দিনগুলো ঐ কেমন করে।
ফুরলো জীবন টুপ টুপে রস
ভরাট নদীর স্রোত।
যে উজান তরী ভাটির সুরে,
গুন টানিয়া মুল্লুক ঘুরে।
তবুও মাঝির অলস হাসলো-
সে দিন,
যেন ডালিম দানার দূত।
আজ, আধ পাকা কেশ আধা কালো,
সানের ঘরে ঝলমল আলো।
কানায় কানায় সুখ গাহনের,
বইছে খেতির ঢল।
তবুও উড়ে পরান পাখি,
যেন,মায়ের কথায় ঘুমায় সুখে।
আর,তাপায় ভোরে রবির কিরন,
আম লকিটির তল।
ভাবনা আমার,এই কথাগুলো,
ঘুমের দেশে স্বপন হলো।
তাই,কবির সুরে পাতায় পাতায়,
কথা মালার ঝড়।
বইছে বুকে কলম চলে,
নইলে কি কেউ কবি বলে?
কবি সত্য স্বপন নহে,
মনের স্বপন সত্য কহে।
বাস করে সব জাত অবাধে,
আর,সুখিত মায়ের ঘর।
আব্দুল কাদির মিয়া
--------------------------
খই চিড়া দই মায়ের হাতে
মগ ভরা জল কাঁখে।
উঠ কালা চাঁন বাপটি আমার,
সখের বুলি ডাকে।
ঘর খানি সেই দোর ছিলো যার,
নিমের পাটাতনে।
পূব দিকের ঐ কুঞ্জ ভিটা,
আম লকিটির সনে।
আজ, যোগ পেরোলো বদলো সবি,
উঠুন ভিটের অচিন ছবি।
চাঁদ বদনে নিরব নিশি,
পরলো মাথায় টাক।
এত বদলো,তবু বদলো না-
সেই মায়ের মধুর ডাক।
এই যেন রাত পোহায় ক্ষনে,
ঘুম সরেনা চোখের কোনে।
আবার দেখি হাত ধরা হাত,
কে যেন কি বলে।
ঐ তো দেখি বাবার হাতে,
আমার জুতা লাল ফিতাতে।
আমায় ধরে বলছে কালা,
জাদু সোনা ধন।
একটা কথা বলি তোকে,
মায়ের সখের স্মৃতি টাকে।
বুকে ধরে রাখিস মানিক,
জীবন করে পন।
ঝরা ক্ষেতের ধান কুড়িয়ে,
মুষ্টি রাখা চাল বিকিয়ে।
বেওয়া শাকের মূল্য কত,
দিলো হাতে তুলে।
শুধুই ছিলো একটা চাওয়া,
তোর জুতো লাল ফিতায় পাওয়া।
হেলায় হেলায় গঞ্জে যেন,
আর নাহি যাই ভুলে।
আজ পরছে মনে অনেকবারে,
দিনগুলো ঐ কেমন করে।
ফুরলো জীবন টুপ টুপে রস
ভরাট নদীর স্রোত।
যে উজান তরী ভাটির সুরে,
গুন টানিয়া মুল্লুক ঘুরে।
তবুও মাঝির অলস হাসলো-
সে দিন,
যেন ডালিম দানার দূত।
আজ, আধ পাকা কেশ আধা কালো,
সানের ঘরে ঝলমল আলো।
কানায় কানায় সুখ গাহনের,
বইছে খেতির ঢল।
তবুও উড়ে পরান পাখি,
যেন,মায়ের কথায় ঘুমায় সুখে।
আর,তাপায় ভোরে রবির কিরন,
আম লকিটির তল।
ভাবনা আমার,এই কথাগুলো,
ঘুমের দেশে স্বপন হলো।
তাই,কবির সুরে পাতায় পাতায়,
কথা মালার ঝড়।
বইছে বুকে কলম চলে,
নইলে কি কেউ কবি বলে?
কবি সত্য স্বপন নহে,
মনের স্বপন সত্য কহে।
বাস করে সব জাত অবাধে,
আর,সুখিত মায়ের ঘর।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ হাবিবুল হক চয়ন (নিরব নির্বাসন) ২৩/০২/২০২০পুরাতন স্মৃতি ফিরে এলো মনে। চমৎকার কবি
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ২৩/০২/২০২০সুন্দর অনুভূতির ছোঁয়া।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২২/০২/২০২০ভালোলাগা রইলো।
-
মোহন দাস (বিষাক্ত কবি) ২২/০২/২০২০বেশ
-
আলমগীর সরকার লিটন ২২/০২/২০২০বেশ অনুভূতির ছুঁয়া