শাকচুন্নির শাস্তি
রফিক হালদার প্রভাশালী লোক ।অথ প্রতিপত্তি,খ্যাতি কোন কিছুরই কমতি নেই । কিন্তু দঃখ একটাই নিঃসন্তান । একে একে ছয়টি সন্তান তার স্ত্রী প্রসব করেছেন কিন্ত একটিও বাচেনি।সন্তান
প্রসবের পরে ছয়দিন পযর্ন্ত বাচ্চা ভালই থাকে,তবে সাত দিনের দিন থেকে আস্তে আস্তে শরীর
হলুদ হতে শুরু করে।আর বাচ্চা টা-টা করে কান্না করতে থাকে।কোন কিছু খায় না।জোর করে
মুখে দিলেও বমি করে ফেলে দেয়।এই ভাবে কয়েকদিন বেচে থাকে তারপর মারা যায়।এ ব্যাপারে
রফিক হালদার ডাক্তারও কম দেখাননি।তাতে কোন লাভ হয়নি।এবার তার স্ত্রীর পেটে সপ্তম সন্তান
এসেছে।তাই তার খুব চিন্তা।এবারও যদি বাচ্চাটা মরে যায়। তিনি এবার ডাক্তারের সরনাপন্ন না হয়ে এক কবিরাজের সরনাপন্ন হলেন । কবিরাজকে সব বিস্তারিত বলেলন ।সব শুনে কবিরাজ রফিক হালদারকে আসস্ত করে বলেলন,এবার বাচ্চা মরবে না ।তবে আমি যা বলবো তাই করতে হবে ।
আমি যা করবো তা কষ্ট হলে্ও বাধা দেওয়া যাবে না ।আমার কথায় যদি রাজি থাকেন তাহলে
আমি আপনার বাচ্চা বাচিয়ে দেব। ঠিক আছে তাই হবে । এবার বলুন কি করতে হবে ।যেদিন বাচ্চা জন্ম নিবে সে দিন থেকে সাত দিন আমি বাচ্চা পাহাড়া দিবো ।সে জন্য আতুর ঘরের সামনে
আমার থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।আতুর ঘরে একজন্ মহিলা পাহাড়া রাখতে হবে এবং সব সময় আলো জ্বালিয়ে রাখতে হবে ।রফিক সাহেব সম্মতি প্রদান করে বাড়ি চলে গেলেন ।
রফিক হলাদারের স্ত্রী বাচ্চা প্রসব করলো ,বাড়ির উঠোনে একটা আলাদা আতুর ঘর বানানো হল । তার সামনে খোলা আকাশের নিচে কবিরাজ বিছানা পাতলো ।রাতে করিরাজ পাহাড়া দেয় দিনে বাড়ি গিয়ে ঘুমিয়ে নেয় ।এবাবে ছয় দিন পার হল ।সাত দিনের দিন শেষ রাতে কবিরাজ তার বিছানায় চুপ করে শুয়ে আছে এমন সময় দেখল দুটি মহিলা চুপি চুপি আতুর ঘরের দিকে যাচ্ছে ।কবিরাজ চুপ করে উঠে তাদের পিছু নিলো ।মহিলা দুটির একটি আতুর ঘরে ডৃকে গেল আর এক
জন দরজায় দাড়লো। কবিরাজ এবার দরজার কাছে গিয়ে মহিলাটিকে আস্তে করে বলল কে?যেই বলল অমনি মহিলাটি শূণ্যে মিলিয়ে গেল ।এবার কবিরাজ মাথায় চাদর দিয়ে দরজায় দাড়িয়ে থাকলো । কিছুক্ষণ পর আতুর ঘরের ভিতরের মহিলাটি একটি বাচ্চা এনে দরজায় দাড়িয়ে থাকা মহিলা রুপি কবিরাজের কোলে দিল ।কবিরাজ বাচ্চাটি নিয়ে চলে গেল ।
পরের দিন খুব ভোরে ঘুম ভাঙ্গলো রফিক হালদারের ।বিছানা থেকে বাইরে এসে দেখলো কবিরাজ বিছানায় নেই ।ও দিকে আতুর ঘরের বাচ্চাটা টা-টা করে কাদছে ।রফিক হালদারের রাগ হলো আতুর ঘরের কাছে গিয়ে স্ত্রীকে একটা দমক দিল ,তুমি ঘুমাচ্ছ আর বাচ্চাটা কাদচ্ছে।এমন সময় কবিরাজ এল ।রফিক হালদার রাগে গজ গজ করতে করতে বলল লাভ কি হল আপনার পাহাড়া দিয়ে ,বাচ্চাতো আগের বারের মতেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে । কবিরাজ বলল লাভ আছে । আপনি বড় একটা কড়াই আর পাঁচ কেজি সরিষার তৈলের ব্যবস্থা করুন ।সেই তৈল ড়েলে আগুনে টগবগ করে ফুটিয়ে আমার সামনে আনুন ।রফিক হালদার বিরক্ত হয়ে বলল ওসব দিয়ে কি হবে । কবিরাজ রেগে গিয়ে বলল যা বলছি তাই করুন আগেই তো বলছি আমার কাজে বাধা দেওয়া যাবেনা ।
কড়াই ও সরিষার তৈল গরম করে কবিরাজের সামনে রাখা হল ।এবার কবিরাজ রফিক হালদারকে বলল ,আপনার স্ত্রীর কাছ থেকে বাচ্চাটা এনে কড়াই এ ফেলে দিন ।তবেই বাচ্চার কান্না বন্ধ হয়ে যাবে।এবং বাচ্চাটা ভাল হয়ে যাবে ।রফিক হালদার অবস হয়ে গেলেন এ কিভাবে সম্ভব প্রচন্ড গরম সরিষা তৈলে বাচ্চা ছেড়ে দিলে বাচ্চাতো পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাবে ।রফিক হালদার বলেলন না,এ আমি পারবো না। বাচ্চা না বাচে না বাচুক তবুও আমি নিজের হাতে সন্তানকে হত্যা করতে পারবো না । কবিরাজ বলল বুঝেছি এ কাজটাও আমাকেই করতে হবে । বলেই দ্রুত আতুর ঘরে ডুকে বাচ্চাটাকে এনে কড়াই এ ছেড়ে দিলেন ।এত দ্রুত করলেন যে রফিক হালদার বাধা দেওয়ার সময়ও পেলেন না । বাচ্চাটা কড়াই এ পড়া মাত্র ধাপাধাপি শুরু করল ।ধাপাধাপি থামলে সবাই দেখলো ওটাতো বাচ্চা নয় ,একটা কাক। কবিরাজ রফিক হালদারকে বলেলন ,কিছু বুঝলেন ,রফিক হালদর মাথা নেড়ে বুঝালেন কিছুই বুঝেন নাই ।কবিরাজ এবার বলেলন এক মিনিট দাড়ান বলেই সে চলে গেল । তারপর বাচ্চাটা এনে রফিক হালদারের কোলে দিয়ে বলেলন এই নিন আপনার সন্তান । তারপর রাতের সব ঘটনা বিস্তারিত বলেলন ।আসলে ওসব ছিল শাকচুন্নির করসাজি।ভূত বা শাকচুন্নিরা মরে কাক হয়ে যায়।এটায় তার প্রমান।
প্রসবের পরে ছয়দিন পযর্ন্ত বাচ্চা ভালই থাকে,তবে সাত দিনের দিন থেকে আস্তে আস্তে শরীর
হলুদ হতে শুরু করে।আর বাচ্চা টা-টা করে কান্না করতে থাকে।কোন কিছু খায় না।জোর করে
মুখে দিলেও বমি করে ফেলে দেয়।এই ভাবে কয়েকদিন বেচে থাকে তারপর মারা যায়।এ ব্যাপারে
রফিক হালদার ডাক্তারও কম দেখাননি।তাতে কোন লাভ হয়নি।এবার তার স্ত্রীর পেটে সপ্তম সন্তান
এসেছে।তাই তার খুব চিন্তা।এবারও যদি বাচ্চাটা মরে যায়। তিনি এবার ডাক্তারের সরনাপন্ন না হয়ে এক কবিরাজের সরনাপন্ন হলেন । কবিরাজকে সব বিস্তারিত বলেলন ।সব শুনে কবিরাজ রফিক হালদারকে আসস্ত করে বলেলন,এবার বাচ্চা মরবে না ।তবে আমি যা বলবো তাই করতে হবে ।
আমি যা করবো তা কষ্ট হলে্ও বাধা দেওয়া যাবে না ।আমার কথায় যদি রাজি থাকেন তাহলে
আমি আপনার বাচ্চা বাচিয়ে দেব। ঠিক আছে তাই হবে । এবার বলুন কি করতে হবে ।যেদিন বাচ্চা জন্ম নিবে সে দিন থেকে সাত দিন আমি বাচ্চা পাহাড়া দিবো ।সে জন্য আতুর ঘরের সামনে
আমার থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।আতুর ঘরে একজন্ মহিলা পাহাড়া রাখতে হবে এবং সব সময় আলো জ্বালিয়ে রাখতে হবে ।রফিক সাহেব সম্মতি প্রদান করে বাড়ি চলে গেলেন ।
রফিক হলাদারের স্ত্রী বাচ্চা প্রসব করলো ,বাড়ির উঠোনে একটা আলাদা আতুর ঘর বানানো হল । তার সামনে খোলা আকাশের নিচে কবিরাজ বিছানা পাতলো ।রাতে করিরাজ পাহাড়া দেয় দিনে বাড়ি গিয়ে ঘুমিয়ে নেয় ।এবাবে ছয় দিন পার হল ।সাত দিনের দিন শেষ রাতে কবিরাজ তার বিছানায় চুপ করে শুয়ে আছে এমন সময় দেখল দুটি মহিলা চুপি চুপি আতুর ঘরের দিকে যাচ্ছে ।কবিরাজ চুপ করে উঠে তাদের পিছু নিলো ।মহিলা দুটির একটি আতুর ঘরে ডৃকে গেল আর এক
জন দরজায় দাড়লো। কবিরাজ এবার দরজার কাছে গিয়ে মহিলাটিকে আস্তে করে বলল কে?যেই বলল অমনি মহিলাটি শূণ্যে মিলিয়ে গেল ।এবার কবিরাজ মাথায় চাদর দিয়ে দরজায় দাড়িয়ে থাকলো । কিছুক্ষণ পর আতুর ঘরের ভিতরের মহিলাটি একটি বাচ্চা এনে দরজায় দাড়িয়ে থাকা মহিলা রুপি কবিরাজের কোলে দিল ।কবিরাজ বাচ্চাটি নিয়ে চলে গেল ।
পরের দিন খুব ভোরে ঘুম ভাঙ্গলো রফিক হালদারের ।বিছানা থেকে বাইরে এসে দেখলো কবিরাজ বিছানায় নেই ।ও দিকে আতুর ঘরের বাচ্চাটা টা-টা করে কাদছে ।রফিক হালদারের রাগ হলো আতুর ঘরের কাছে গিয়ে স্ত্রীকে একটা দমক দিল ,তুমি ঘুমাচ্ছ আর বাচ্চাটা কাদচ্ছে।এমন সময় কবিরাজ এল ।রফিক হালদার রাগে গজ গজ করতে করতে বলল লাভ কি হল আপনার পাহাড়া দিয়ে ,বাচ্চাতো আগের বারের মতেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে । কবিরাজ বলল লাভ আছে । আপনি বড় একটা কড়াই আর পাঁচ কেজি সরিষার তৈলের ব্যবস্থা করুন ।সেই তৈল ড়েলে আগুনে টগবগ করে ফুটিয়ে আমার সামনে আনুন ।রফিক হালদার বিরক্ত হয়ে বলল ওসব দিয়ে কি হবে । কবিরাজ রেগে গিয়ে বলল যা বলছি তাই করুন আগেই তো বলছি আমার কাজে বাধা দেওয়া যাবেনা ।
কড়াই ও সরিষার তৈল গরম করে কবিরাজের সামনে রাখা হল ।এবার কবিরাজ রফিক হালদারকে বলল ,আপনার স্ত্রীর কাছ থেকে বাচ্চাটা এনে কড়াই এ ফেলে দিন ।তবেই বাচ্চার কান্না বন্ধ হয়ে যাবে।এবং বাচ্চাটা ভাল হয়ে যাবে ।রফিক হালদার অবস হয়ে গেলেন এ কিভাবে সম্ভব প্রচন্ড গরম সরিষা তৈলে বাচ্চা ছেড়ে দিলে বাচ্চাতো পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাবে ।রফিক হালদার বলেলন না,এ আমি পারবো না। বাচ্চা না বাচে না বাচুক তবুও আমি নিজের হাতে সন্তানকে হত্যা করতে পারবো না । কবিরাজ বলল বুঝেছি এ কাজটাও আমাকেই করতে হবে । বলেই দ্রুত আতুর ঘরে ডুকে বাচ্চাটাকে এনে কড়াই এ ছেড়ে দিলেন ।এত দ্রুত করলেন যে রফিক হালদার বাধা দেওয়ার সময়ও পেলেন না । বাচ্চাটা কড়াই এ পড়া মাত্র ধাপাধাপি শুরু করল ।ধাপাধাপি থামলে সবাই দেখলো ওটাতো বাচ্চা নয় ,একটা কাক। কবিরাজ রফিক হালদারকে বলেলন ,কিছু বুঝলেন ,রফিক হালদর মাথা নেড়ে বুঝালেন কিছুই বুঝেন নাই ।কবিরাজ এবার বলেলন এক মিনিট দাড়ান বলেই সে চলে গেল । তারপর বাচ্চাটা এনে রফিক হালদারের কোলে দিয়ে বলেলন এই নিন আপনার সন্তান । তারপর রাতের সব ঘটনা বিস্তারিত বলেলন ।আসলে ওসব ছিল শাকচুন্নির করসাজি।ভূত বা শাকচুন্নিরা মরে কাক হয়ে যায়।এটায় তার প্রমান।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নির্ঝর ২১/১২/২০১৫ভাল
-
নূরুল ইসলাম ২০/১২/২০১৫পুরনো গল্পের নতুর রূপ। ভাল লাগলো। ধন্যবাদ।
-
জে এস সাব্বির ২০/১২/২০১৫দাড়ান ।আগে একটু হাঁসি ।।
আপনি কি লিখছেন বা আমি ঠিক কি বুঝলাম...kuch samaj nehi aya.
আপনি কি প্রমাণ করলেন এইখানে?? শাকচুন্নির বাস্তবতা নাকি আরেক ধাপ এগিয়ে গিয়ে শাকচুন্নির কাক হয়ে যাওয়া??
ভূত-প্রতে-শাকচুন্নি এসব পৌরাণিক চরিত্রগুলা প্রমাণ করছেন আপনি!!! অদ্ভূত ।
তবে এটা স্রেফ একটা গল্প হলে ভিন্ন কথা ।ভালই লিখেছে ন । প্রমাণিত ,কথাটার প্রয়োজন ছিল না ।।ধন্যবাদ