অকারন
মালেক বিয়ে করেছে প্রায় এক সপ্তাহ হল।শুনেছি বিয়ের পরে মানুষ বদলে যায়।
সাপ খোলস পাল্টালে্ উপরের শরীরটা নরম হয়ে যায় আর বিয়ের পরে মানুষের অন্তরটা নরম হয়ে যায়।
আগের বন্ধু বান্ধব অপরিচিত হয়ে উঠ। প্রতি দিনের জায়গায় হঠাৎ কখনো দেখা মিলে।
আর দেখা হলেও আগের মতো আন্তরিকতা ফুটে উঠে না।কেমন আছিস এইটুকুতেই দুরত্বের ইশারা দেয়।
মালেকের বেলায় কিন্ত এমন কিছুই হল না্।রাস্তার মোড়ে যে বট গাছটা আছে, সেখানে প্রতিদিনিই
রাতে মালেক, জহির, মিজান আর আমি অনেকক্ষন পর্যন্ত আড্ডা দিতাম।আজও আড্ডায় জড়ো হয়েছি।
অনেক ধরনের কথা হইতে ছিল।কথার মধ্যে জহির একটা সিগারেট ধরালো।
আড্ডার একটা রীতি আছে যে, জনে জনে সিগারেটধরায় না একটা সিগারেট সবাই পালাক্রমে টানে।
সিগারেট টা মালেককে দিতেই সে বলল, নারে দোস্ত আমি সিগারেট ছেরে দিয়েছি।
মিজান বলল বাহ্ রে যাকে ভালো করে চিনলিই না।কয়দিনের মধ্যেই তার বশ হয়ে গেলি।
মালেক বলল, আমি প্রতিদিন তার সাথে উঠবস করি এক সাথে ঘুমাই অথচ আমি তাকে চিনিনা।
আমার চেয়ে তুই বেশি চিনিশ নাকি। মিজান ঠোটের কোনে হাসি এনে বলল অপর্কোস
অন্ধকারেও আমি তার ঠোটে দুষ্ঠামির হাসিটা দেখতে পেলাম।মালেক এবার মিজানের পিঠ চাপকে বলল
তা তুই কি চিনিস বলতো।মিজান বলল অনেক কিছু জানি।মালেক বলল অনেক কিছুর দরকার নেই একটা শুধু বল তাহলে মনে করবো তুই সবজান্তা।আমিও খুব উৎসাহ ভরে বল্লাম বলনা।
বল,তখন বুঝিনি এই ঠাড্ডা যে এক হ্রদয় বিদারক দৃশ্যের সূচনা করিতেছে, ব্যক্তিত্বকে তাচ্ছিল আর হেলা ঝট পাকাইয়া যে এক আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি করিতেছে। আসলে মানুষ পরে যাহা ভাবনায় সচ্ছতা খুজিয়া পায়,
তাহা আগে পাইলে কোন ঘটনারই সৃষ্টি হইতো না।মিজান দাতে মাড়ি কামড়ে ধরে বলল তোর বউয়ের ডান হাটুর উপরে একটা তিল চিহ্ন আছে।মালেক মুখের কথা কেড়ে নিয়ে অট্র হাসি হাসতে হাসতে বলল
বেশ দেখা যাবে।আমি মিজানকে বললাম, তুইতো বিয়েতে ছিলিনা এমন কি তাকে দেখিস নাই কোন দিন।তা এমন কথা বললি কি ভাবে,মিজান শুধু হুম বলে সিগারেট ধরিয়ে ধোয়া ছাড়তে লাগলো।আরও অনেক ক্ষন ধরে
আমরা হাসাহাসি করলাম,তারপর উৎফুল্ল নিয়ে সবাই বাড়ি ফিরে গেলাম।আচমকা মিজান আর জহিরের ধাক্কায় সকালে আমার ঘুম ভাঙালো। ধড়মড় করে উঠে বসলাম।কিছুক্ষন কিছুই বুঝতে পারলাম না।মিজান বলল তারাতাড়ি হাত মুখ ধুয়ে আয়,সিরিয়াস কথা আছে এক্ষনি বের হতে হবে।পথে হাটতে হাটতে বললাম কি হয়েছে এবার বল।মিজানকে কেমন জানি ফ্যাকাসে লাগছিল।তাছাড়া আজ সে কথাও বেশি বলছে না।আবারও বললাম
কি হয়েছে বলবিতো।জহির বলল মালেক তার বউকে তালাক দিয়েছে।আমি অবাক হয়ে গেলাম।সামান্য বিষয়টা
যে এমন তিক্ততায় গড়াবে কল্পনাও করতে পারিনি।বললাম এখন আর কি করা।মিজান বলল আমি পায়চিত্ত করতে
চাই।বললাম কিভাবে।আমি তাকে বিযে করবো।তুই আমার পাশে থাকলেই হবে।
তা না হয় থাকলাম।তোর বাবা মা তারা কি রাজি হবে?মিজান বলল আমি তাদের বুঝিয়ে
বলেছি।তারা রাজি আছে।এখন তুই জেসমিনের বাবাকে তুই বুঝিয়ে বল।এবং বিয়ের ব্যবস্থা
কর।তার গায়ে কলংকের দাগ লাগার আগেই দাগ মুছে দিতে চাই।একদিন ঠিকই বিয়ে হয়ে গেল।আগের বিষন্নতাও কেটে গেল অনেকখানি।শুধু মনের মাঝে খচ খচ করছিল মালেকের জন্য।কদিন যাবৎ তার সাথে দেখা নাই
বোধহয় সে ইচ্ছে করেই সামনে পড়েনা।
এক সপ্তাহ পর একদিন সকাল বেলা, ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করতে বসেছি।এমন সময় ছোট বোন বলল
দাদা জান,মালেক ভাই না আজ রাতে গলায় ফাঁস দিয়েছে।নাস্তা আর মুখে উঠলো না।দৌড়ে গিয়ে দেখি তার
বাড়ির সামনে অনেক লোকের ভিড়।ভিড় ঠেলে সামনে গিয়ে দেখি আম গাছের সাথে মালেক ফাঁস দিয়েছে।
আমি অসহায়ের মত তার মুখের দিকে তাকালাম।মনে হল তার বড় বড় চোখগুলি আমাকে অবঞ্জা করে বলছে,
তোদের মত অকৃতঞ্জ বন্ধুর মুখ দেখে বেচে থাকার চেয়ে আত্নহত্যা অনেক ভাল।
সাপ খোলস পাল্টালে্ উপরের শরীরটা নরম হয়ে যায় আর বিয়ের পরে মানুষের অন্তরটা নরম হয়ে যায়।
আগের বন্ধু বান্ধব অপরিচিত হয়ে উঠ। প্রতি দিনের জায়গায় হঠাৎ কখনো দেখা মিলে।
আর দেখা হলেও আগের মতো আন্তরিকতা ফুটে উঠে না।কেমন আছিস এইটুকুতেই দুরত্বের ইশারা দেয়।
মালেকের বেলায় কিন্ত এমন কিছুই হল না্।রাস্তার মোড়ে যে বট গাছটা আছে, সেখানে প্রতিদিনিই
রাতে মালেক, জহির, মিজান আর আমি অনেকক্ষন পর্যন্ত আড্ডা দিতাম।আজও আড্ডায় জড়ো হয়েছি।
অনেক ধরনের কথা হইতে ছিল।কথার মধ্যে জহির একটা সিগারেট ধরালো।
আড্ডার একটা রীতি আছে যে, জনে জনে সিগারেটধরায় না একটা সিগারেট সবাই পালাক্রমে টানে।
সিগারেট টা মালেককে দিতেই সে বলল, নারে দোস্ত আমি সিগারেট ছেরে দিয়েছি।
মিজান বলল বাহ্ রে যাকে ভালো করে চিনলিই না।কয়দিনের মধ্যেই তার বশ হয়ে গেলি।
মালেক বলল, আমি প্রতিদিন তার সাথে উঠবস করি এক সাথে ঘুমাই অথচ আমি তাকে চিনিনা।
আমার চেয়ে তুই বেশি চিনিশ নাকি। মিজান ঠোটের কোনে হাসি এনে বলল অপর্কোস
অন্ধকারেও আমি তার ঠোটে দুষ্ঠামির হাসিটা দেখতে পেলাম।মালেক এবার মিজানের পিঠ চাপকে বলল
তা তুই কি চিনিস বলতো।মিজান বলল অনেক কিছু জানি।মালেক বলল অনেক কিছুর দরকার নেই একটা শুধু বল তাহলে মনে করবো তুই সবজান্তা।আমিও খুব উৎসাহ ভরে বল্লাম বলনা।
বল,তখন বুঝিনি এই ঠাড্ডা যে এক হ্রদয় বিদারক দৃশ্যের সূচনা করিতেছে, ব্যক্তিত্বকে তাচ্ছিল আর হেলা ঝট পাকাইয়া যে এক আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি করিতেছে। আসলে মানুষ পরে যাহা ভাবনায় সচ্ছতা খুজিয়া পায়,
তাহা আগে পাইলে কোন ঘটনারই সৃষ্টি হইতো না।মিজান দাতে মাড়ি কামড়ে ধরে বলল তোর বউয়ের ডান হাটুর উপরে একটা তিল চিহ্ন আছে।মালেক মুখের কথা কেড়ে নিয়ে অট্র হাসি হাসতে হাসতে বলল
বেশ দেখা যাবে।আমি মিজানকে বললাম, তুইতো বিয়েতে ছিলিনা এমন কি তাকে দেখিস নাই কোন দিন।তা এমন কথা বললি কি ভাবে,মিজান শুধু হুম বলে সিগারেট ধরিয়ে ধোয়া ছাড়তে লাগলো।আরও অনেক ক্ষন ধরে
আমরা হাসাহাসি করলাম,তারপর উৎফুল্ল নিয়ে সবাই বাড়ি ফিরে গেলাম।আচমকা মিজান আর জহিরের ধাক্কায় সকালে আমার ঘুম ভাঙালো। ধড়মড় করে উঠে বসলাম।কিছুক্ষন কিছুই বুঝতে পারলাম না।মিজান বলল তারাতাড়ি হাত মুখ ধুয়ে আয়,সিরিয়াস কথা আছে এক্ষনি বের হতে হবে।পথে হাটতে হাটতে বললাম কি হয়েছে এবার বল।মিজানকে কেমন জানি ফ্যাকাসে লাগছিল।তাছাড়া আজ সে কথাও বেশি বলছে না।আবারও বললাম
কি হয়েছে বলবিতো।জহির বলল মালেক তার বউকে তালাক দিয়েছে।আমি অবাক হয়ে গেলাম।সামান্য বিষয়টা
যে এমন তিক্ততায় গড়াবে কল্পনাও করতে পারিনি।বললাম এখন আর কি করা।মিজান বলল আমি পায়চিত্ত করতে
চাই।বললাম কিভাবে।আমি তাকে বিযে করবো।তুই আমার পাশে থাকলেই হবে।
তা না হয় থাকলাম।তোর বাবা মা তারা কি রাজি হবে?মিজান বলল আমি তাদের বুঝিয়ে
বলেছি।তারা রাজি আছে।এখন তুই জেসমিনের বাবাকে তুই বুঝিয়ে বল।এবং বিয়ের ব্যবস্থা
কর।তার গায়ে কলংকের দাগ লাগার আগেই দাগ মুছে দিতে চাই।একদিন ঠিকই বিয়ে হয়ে গেল।আগের বিষন্নতাও কেটে গেল অনেকখানি।শুধু মনের মাঝে খচ খচ করছিল মালেকের জন্য।কদিন যাবৎ তার সাথে দেখা নাই
বোধহয় সে ইচ্ছে করেই সামনে পড়েনা।
এক সপ্তাহ পর একদিন সকাল বেলা, ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করতে বসেছি।এমন সময় ছোট বোন বলল
দাদা জান,মালেক ভাই না আজ রাতে গলায় ফাঁস দিয়েছে।নাস্তা আর মুখে উঠলো না।দৌড়ে গিয়ে দেখি তার
বাড়ির সামনে অনেক লোকের ভিড়।ভিড় ঠেলে সামনে গিয়ে দেখি আম গাছের সাথে মালেক ফাঁস দিয়েছে।
আমি অসহায়ের মত তার মুখের দিকে তাকালাম।মনে হল তার বড় বড় চোখগুলি আমাকে অবঞ্জা করে বলছে,
তোদের মত অকৃতঞ্জ বন্ধুর মুখ দেখে বেচে থাকার চেয়ে আত্নহত্যা অনেক ভাল।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।