মা আমার ভাবনা
প্রতিদিন রাতে মাকে স্বপ্নে দেখি
কোনদিন জড়িয়ে ধরে কাঁদে কোন দিন হাসে
কান্নার কারণ আঁচ করতে পারি কিন্ত
হাসির রহস্যটা আড়ালে থেকে যায়।
আমায় স্নেহ মমতা দিতে না পারা
নিজ হাতে ভাত খাওয়াতে না পারা
হয়তো এ জন্য তার কষ্ট।
তবে তার অমূল্য ভান্ডারের উপচে পড়া হাসিটা?
অস্থির মস্তিস্ক স্থির হয়না, ভাবনায় উত্তর মেলে না।
ঘুম ভাঙ্গলে মনে গেথে রাখি মুখস্থ করি
আবার স্বপ্নে দেখা হলে হাসির কারন জিজ্ঞেস করবো
আমার মুখস্থ বাতাসে ঢানা মেলে হারিয়ে যায়
মনের কোঠরে স্থায়ী হয়না, ভূলে যাই আর বলা হয় না।
প্রত্যেক মানুষই ছোট বেলায় দুষ্ট আর ডানপিটে থাকে
আমিও তার ব্যতিক্রম ছিলাম না।
এটা ওটার বায়না ধরে না পাওয়ার অভিমানে কান্না করতাম
মধ্যরাতে ঘুম ভাঙ্গলে বিছানায় বসে থাকতাম।
মা আমায় দুরের কোন মাঠ থেকে ভেসে আসা
শিয়ালের হুক্কা হুয়া ডাক শুনিয়ে ভয় দেখাতো।
আমি ভয়ে মায়ের বুকের সাথে মিশে যেতাম।
মা মাথায় হাত বুলাতো আমি ঘুমিয়ে যেতাম।
এখনও রাত হয়, শিয়াল ডাকে, সেদিনের মত শিহরন জাগে না।
শুথু গোমরে মরে মায়ের র্পস্শ অনুভব আর অনুপস্থিতি।
সন্ধা হলেই মা আমাকে ঘুম পাড়ানোর জন্য পিড়াপিড়ি করতো
আমি কিছুতেই ঘুমাতে চাইতাম না, মা অতিষ্ঠ হয়ে বলতো
এসো তোমায় গল্প বলতে বলতে ঘুম পাড়িয়ে দেই।
মা বলতো এক ছিল রাজা আমি বলতাম তারপর
মা বলতো এক ছিল রানী আমি বলতাম তারপর
হাজারও গল্পের সমাহারে আমার মনে জন্ম হত কল্প রাজ্য
স্বপ্নের পাখায় ভর দিয়ে কথনো পক্ষিরাজ ঘোড়ায় চড়ে
ঘুরে বেড়াতাম আকাশের শেষ সীমানায়, কখনো তারায় তারায়।
আজও স্বপ্ন দেখি, কল্পনায় ভেসে যাই, সুখ পাই না।
মায়ের বুকে মুখ বুজতে পারি না বলে,
মায়ের কোমল আদর মাখা হাত মাথায় উঠে না বলে।
দুর শহরে লেখা পড়ার কালে একের পর এক চিঠি যেত
ভাল আসিসতো খোকা,চিন্তায় আছি,ঘুম হয়না
ক,দিন ধরে ঘরের চালে কাক গুলো খুব ডাকছে
জিহবা বার বার দাঁতে কামড় লাগছে, বাড়ি চলে আয়তো বাবা।
আজ বাড়ী থেকে অনেক দুরে পড়ে থাকি কত রাত অনিদ্রায় কাটে
কেউ চিঠিও লেখে না,কেউ কাছেও আসেনা।কাছে যেতেও বলে না।
স্বার্থের মায়া জালে সবাই ডুবে আছে যার যার মত।
শুধু মা একমাত্র স্বার্থ নামের বৃত্তের বাইরে
তাইতো সে মরে গিয়েও স্বপ্নে কাছে আসে।
আমাকে কাদায় সেও কাদে।
সে হাসে আমার মলিন মুখে আলো ফুটাতে আমাকেও হাসায়।
যে জন্ম নেয়া কান্নারত শিশুটিকে সুখী করতে
মায়া মমতা স্নেহ ভালবাসা ঢেলে নরগকে স্বর্গ করে
মৃত্যুর পরেও ছায়ার মত আগলে রাথে অতৃপ্ত স্বপ্নের মোহতানে।
কোনদিন জড়িয়ে ধরে কাঁদে কোন দিন হাসে
কান্নার কারণ আঁচ করতে পারি কিন্ত
হাসির রহস্যটা আড়ালে থেকে যায়।
আমায় স্নেহ মমতা দিতে না পারা
নিজ হাতে ভাত খাওয়াতে না পারা
হয়তো এ জন্য তার কষ্ট।
তবে তার অমূল্য ভান্ডারের উপচে পড়া হাসিটা?
অস্থির মস্তিস্ক স্থির হয়না, ভাবনায় উত্তর মেলে না।
ঘুম ভাঙ্গলে মনে গেথে রাখি মুখস্থ করি
আবার স্বপ্নে দেখা হলে হাসির কারন জিজ্ঞেস করবো
আমার মুখস্থ বাতাসে ঢানা মেলে হারিয়ে যায়
মনের কোঠরে স্থায়ী হয়না, ভূলে যাই আর বলা হয় না।
প্রত্যেক মানুষই ছোট বেলায় দুষ্ট আর ডানপিটে থাকে
আমিও তার ব্যতিক্রম ছিলাম না।
এটা ওটার বায়না ধরে না পাওয়ার অভিমানে কান্না করতাম
মধ্যরাতে ঘুম ভাঙ্গলে বিছানায় বসে থাকতাম।
মা আমায় দুরের কোন মাঠ থেকে ভেসে আসা
শিয়ালের হুক্কা হুয়া ডাক শুনিয়ে ভয় দেখাতো।
আমি ভয়ে মায়ের বুকের সাথে মিশে যেতাম।
মা মাথায় হাত বুলাতো আমি ঘুমিয়ে যেতাম।
এখনও রাত হয়, শিয়াল ডাকে, সেদিনের মত শিহরন জাগে না।
শুথু গোমরে মরে মায়ের র্পস্শ অনুভব আর অনুপস্থিতি।
সন্ধা হলেই মা আমাকে ঘুম পাড়ানোর জন্য পিড়াপিড়ি করতো
আমি কিছুতেই ঘুমাতে চাইতাম না, মা অতিষ্ঠ হয়ে বলতো
এসো তোমায় গল্প বলতে বলতে ঘুম পাড়িয়ে দেই।
মা বলতো এক ছিল রাজা আমি বলতাম তারপর
মা বলতো এক ছিল রানী আমি বলতাম তারপর
হাজারও গল্পের সমাহারে আমার মনে জন্ম হত কল্প রাজ্য
স্বপ্নের পাখায় ভর দিয়ে কথনো পক্ষিরাজ ঘোড়ায় চড়ে
ঘুরে বেড়াতাম আকাশের শেষ সীমানায়, কখনো তারায় তারায়।
আজও স্বপ্ন দেখি, কল্পনায় ভেসে যাই, সুখ পাই না।
মায়ের বুকে মুখ বুজতে পারি না বলে,
মায়ের কোমল আদর মাখা হাত মাথায় উঠে না বলে।
দুর শহরে লেখা পড়ার কালে একের পর এক চিঠি যেত
ভাল আসিসতো খোকা,চিন্তায় আছি,ঘুম হয়না
ক,দিন ধরে ঘরের চালে কাক গুলো খুব ডাকছে
জিহবা বার বার দাঁতে কামড় লাগছে, বাড়ি চলে আয়তো বাবা।
আজ বাড়ী থেকে অনেক দুরে পড়ে থাকি কত রাত অনিদ্রায় কাটে
কেউ চিঠিও লেখে না,কেউ কাছেও আসেনা।কাছে যেতেও বলে না।
স্বার্থের মায়া জালে সবাই ডুবে আছে যার যার মত।
শুধু মা একমাত্র স্বার্থ নামের বৃত্তের বাইরে
তাইতো সে মরে গিয়েও স্বপ্নে কাছে আসে।
আমাকে কাদায় সেও কাদে।
সে হাসে আমার মলিন মুখে আলো ফুটাতে আমাকেও হাসায়।
যে জন্ম নেয়া কান্নারত শিশুটিকে সুখী করতে
মায়া মমতা স্নেহ ভালবাসা ঢেলে নরগকে স্বর্গ করে
মৃত্যুর পরেও ছায়ার মত আগলে রাথে অতৃপ্ত স্বপ্নের মোহতানে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নীল অপরাজিতা ২৮/১০/২০১৫অসাধারণ
-
শমসের শেখ ১৮/১০/২০১৫সত্যি মাকে নিয়ে অসাধারণ লেখা। তবে কবি গুরু ছন্দের প্রভাব দেখাতে পার নি। আর একটু ভেবে লিখলে সুন্দর একটা গল্পও হতে পারতো।
-
নির্ঝর ১৮/১০/২০১৫ভাল লেগেছে
-
মোঃজাহেদ হোসেন ১৮/১০/২০১৫দারুণ লেখনী
-
রুহুল আমীন রৌদ্র. ১৮/১০/২০১৫পুরো কবিতাটা একটানে পড়লাম।
পুরানো স্মৃতি আর স্বার্থের বাইরে মায়ের স্নেহ, সত্যিই অতুলনীয়।
মায়ের আঁচল কখনো শুকায় না,সে মরে গেলেও আর্শীবাদের রহমত বইতে থাকে।
দারুন লিখেছেন।