উপহার
আজ আকাশের বিয়ে ।তাও কি বিকাল পেরিয়ে রাতে এলেই বিড়ল মারার পালা ,মানে বসর রাত । এ সময় টুকু শুধু সময়ের সাথে যুদ্ধ । বিয়ে মানে জীবন শুরু ও শেষের মহা কাব্য । আর বাসর রাত হল তার সূচীপত্র। এখানে্ই জীবন নামের অধ্যয় গুলোর পৃষ্টা লেখা হয় ।আকাশের সময় আর কাটছে না ।বাসায় লোকে ভরা । প্রতিবেশীরা বউ দেখে যাচ্ছে ।কেউ কেউ দুষ্টুমিতে মেতে আছে । আকাশের সেই দিকে ভুক্ষেপ নেই । সে মুখিয়ে আছে স্বপ্নমাখা আনাবিল আনন্দে ও অপেক্ষায় ,ঠিক যেমন যুদ্ধ জয়ের মত । মাঝে মাঝে শরীর ঘামছে স্বাধীনতা রক্ষার ভয়ে । যুদ্ধইতো,কোকিলের গান শুনতে হলে বসন্তের অপেক্ষায় থাকতে হয় । হাতিকে কথায় কথায় উঠ বস করাতে হলে তাকে পোষ মানাতে হয়।নারী যে হাতির চেয়েও উদ্ধে । এদের সুন্দর শরীর আছে বুদ্ধি নেই । কিন্তু নারী ! এদের যেমন সুন্দর রূপ আছে তেমনি আছে মায়াবি চতুরতা । আকাশ ছটপট করছে কখন রাত হবে । তারপর মেঘলার সাথে সামনা সামনি কথা হবে । আসলে তাদের এই প্রেমে সামান্য একটা কিন্ত আছে । কিন্তটা পরে বলছি ।প্রেমের শুরুটাই শুরু করি । আকাশ আর আদিল ক্লোজ বন্ধু । ময়মনসিংহ আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অর্থনীতিতে মাস্টারস শেষ বর্ষের ছাত্র । দুই জনেই শান্ত ,ভদ্র ও মেধাবী ছাত্র । আকাশের বাড়ি জামালপুর আর আদিলের বাড়ি কিশোরগঞ্জ । উভয়ে একই মেচে থাকত ।একদিন আকাশ মেসে একা এমন সময় আদিলের টেবিলে মোঠো ফোন বেজে উটল ্ আকাশ বুঝতে পারে আদিল ভুলে ফোনটা রেখেগেছৈ । তাই ফোনটা রিসিভ করে,হ্যালো বলতেই উপাশ থেকে জবাব আসে কেমন আছো ভাইয়া । সরি ,আদিল ভুলে ফোনটা ফেলে গেছে ।আমি ওর বন্ধু । আপনি কে? আমি ওর বোন ।ওকে কিছু বলতে হবে ? না থাক পরে কল করবো । ফোনটা কেটে যায় । অসময়ে হঠাৎ করে ঘুমে ব্যাঘাত করলে কিছু সময়ের জন্য যেমন তাল গোল পাকিয়ে ফেলে , ঠিক আকাশের তাই হল । আসলে প্রেম এমনি রহস্যময় ঘেরা যে, কখন,কোথায় ,কিভবে অন্তরে জাগ্রত হবে তা বুঝা মুশকিল ।সুমধুর কন্ঠের কয়েকটি কথা যেন, পুরো চেহারা আকাশের চোখে ছবি করে দিল । হ্রদয় ঘড়িতে ঘন্টা পড়লো জেগে উঠো, বসন্ত এসেছে।মাঝে অনেক কথা । পরিচয় থেকে যোগাযোগ তারপর প্রেম । অত;পর আজ বিয়ে । কিন্ত কিন্তটা কিন্তুই রয়েগেছে । আর নয়, কিন্তর বিন্দুটা দাড়ি টানছি । বাসর ঘরে লম্বা ঘোমটা টেনে মেঘলা বসে আছে ।আকাশ ঘরে ডুকেই দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে মেঘলার সামনা সামনি বসলো । তারপর বিনা সংকোচে ঘুমটা সরাতে সরাতে বলল আর নয় চাদের বুকে মেঘের ছায়া । হটাৎ মুঠোফোন বেজে উটলো ,ইচ্ছা না থাকলেও ফোনটা পাঞ্জাবির পকেট থেকে হাতে নিয়ে নাম্বারটায় চোখ বুলালো । চোখের পলক থেমে গেল । মেঘলার ফোন নাম্বার । আকাশ মেঘলাকে জিঞ্জেস করলো তোমার মোবাইল সেট কোথায়? মেঘলা নিরবে সেটটা বের করে সামনে রাখল । আকাশ আরো অবাক হলো ।আকশ ঘরের বাহিরে চলে গেল । ফোনটা রিসিভ করে বলল হ্যালো । ওপাশ থেকে সেই সু-মধুর কন্ঠে আওয়াজ এলো কেমন আছেন ? ভাল! মেঘলা তুমি ? হ্যা আমি । তবে বাসর ঘরে কে? সে বর্তমান মেঘলা । আমি অতীতের মেঘলা ছিলাম । তার মানে ! মানেটা আজ আর লোকাবোনা । অাপনি আমাকে চিনেন, আপনার শ্যালিকা হিসাবে । সুন্দর রূপ থাকার পরও জম্ম থেকে একটি পা খোড়া ,লাঠি ভর করে হাটতে হয় । আকাশ বলল ফোনে তো তোমার সাথে কথা হতো । আমি তোমাকে তোমার নাম জিঞ্জাস করলে তুমিতো মেঘলাই বলেছিলে ,আমি তোমার কাছে ছবি চেয়ে ছিলাম । তুসি তো--- হ্যা আমার বোনের ছবি পাঠিয়ে ছিলাম । আপনার আর আমার মাঝে যা হয়েছে তার কিছু আমার পরিবারের কেউ যানেনা । যাক, ওসসব আজ মিথ্যা । আপনাকে বলেছিলাম এই ভ্যালেষ্টাইন ডেতে আপনাকে একটি অমূল্য উপহার দিব । আজ ভ্যালেনষ্টাইন ডে,তে আমি আমার কথা রেখেছি । কোন খেলায় কেউ প্রতিপক্ষকে জিতিয়ে দেয়না । আমি ইচ্ছে করে হারটা নিজের করে নিলাম ।কারণ জম্ম উপহাস উপহার দিয়ে আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে জয় বিজয় আমার জন্য নয় । আকাশকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ফোনটা কেটে দিল ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জহরলাল মজুমদার ২৮/০৬/২০১৫সে তো হল ভ মন্দ নয়
-
মোবারক হোসেন ১৯/০৬/২০১৫ধন্যবাদ।
-
মো: হাবিবুর রহমান বাবলু ১৯/০৬/২০১৫ভাল প্রয়াস।