অতীতের বিটিভি চাই শত চ্যানেল চাই না।
খবর! খবর! খবর!
চারিদিকে শুধুই খবর আর খবর। ঘুম থেকে উঠলেন, সোফায় বসে সকালের পত্রিকাটা চোখের সামনে ধরেছেন, খবরে ভর্তি, টিভি অন করলেন, শুধুই খবর, চ্যানেল বদলালেন কিন্তু মুক্তি পেলেন না, তা-ও-উ ঐ একই খবর। অনলাইনে ঢুকলেন, একই অবস্থা।একটি নাটক দেখবেন? তাও মুক্তি নেই, স্কীনের নীচ দিয়ে চলতে থাকবে খবর।
খবর, তবে শুধুই খারাপ খবর। প্রতিটা জায়গায় শুধুই খারাপ খবরে ভর্তি। সাথে ভয়ংকর ভয়ংকর কিছু ছবিও। আমাদের দেশের যেকোন একটি চ্যানেলে যদি কোন বিদেশীর কোন ভাবে চোখ পড়ে, তবে তিনি অবশ্যই ভাববেন যে আমাদের দেশে হানাহানি, মারামারি ছাড়া আর কিছুই ঘটে না।
সারাদিনের কর্ম ব্যস্ততার পর একটু বিনোদনের জন্য টিভি অন করুন, কোন মুক্তি নেই, শুধুই বকবকানি। যে বকবকানির বাস্তবে কোনই মুল্য নেই। অথচ যদি আসলেই এসব টক-শোর মুল্যায়ন হতো, সকল টক-শো বাদ দিন, যেকোন এক রাতের, যেকোন একটি চ্যানেলের, যে কোন একটি টক-শোতে আলোচিত বিষয় যদি বাস্তবে বাস্তবায়িত হত, তবে আমাদের দেশের জনগন অনেক সমস্যা থেকে বাস্তবেই মুক্তি পেত। বাস্তবায়িত হবেও বা কি কোন দিন? হবে না। কোনও দিনও সম্ভব নয়।
তবে এ সকল খবর বা টক-শো প্রচার করে লাভ অবশ্য হয়, অবশ্যই দেশের বা দেশের জনগনের নয়, শুধু মাত্র ব্যবসায়ীদের, মিডিয়া ওয়ালাদের, আর টকশোতে অংশ গ্রহনকারী ব্যাক্তিদের। বর্তমানে কোন টিভি চ্যানেলে খবর ও টক-শো প্রচারের মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমেই আয় হয় সবচেয়ে বেশি।
আমাদের দেশের মিডিয়া আমাদের মানষিকতা বুজতে পেরেছে। আমরা জাতি হিসেবে সবাই অন্যের সমালোচনা করতে ও শুনতে বেশি পছন্দ করি। আর তাই দেশের প্রতিটি মিডিয়া মালিকগন তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য এই অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছেন।
অথচ দেখুন, এক সময়ে শুধুমাত্র একটি মাত্র চ্যানেল 'বিটিভি' আমাদের কতটা বিনোদন দিতো! কতটা আগ্রহী ছিলাম প্রচারিত নাটক গুলো দেখার জন্য। 'সংশপ্তক', 'বহুব্রীহি', 'অয়োময়', 'কোথাও কেউ নেই' ইত্যাদি নাটক গুলো কতই না জনপ্রিয় ছিল! আর বাকের ভাইয়ের কথাতো বলার অপেক্ষাই রাখে না। মিছিল বের করেছিলাম তার ফাঁসি না দেওয়ার জন্য। কতজনেরই যে চোখের পানি ঝড়েছে, বাকের ভাইয়ের ফাঁসির রায়ে!
অধীর আগ্রহে থাকতাম কখন মঙ্গলবার আসবে ধারাবাহিক নাটক দেখব বলে। কখন বুধবার আসবে ম্যাগ-গাইভার দেখব। আর কখন বৃহঃস্পতিবার আসবে এ সাপ্তাহের নাটক দেখব বলে। তিন মাস অধীর আগ্রহে প্রহর গুনতে থাকতাম ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান 'ইত্যাদি' দেখব বলে।
আর এখন, শ'খানেক চ্যানেল কি দিতে পেরেছে এমন একটি জনপ্রিয় নাটক? ঝড়াতে কি পেরেছে কোন দর্শকের চোখের পানি? না, পারেনি, চেষ্টাও করেনি কোন দিন। চেষ্টা করবেও না কখনও। কেননা এমন কিছু করতে চাইলে অনেক বেশি বিনিয়োগ ও ধৈর্য সহকারে মান সম্মত অনুষ্ঠান সম্প্রচার চালিয়ে যেতে হবে। অনুষ্ঠান বা নাটকও তৈরী করতে হবে মেধা খাটিয়ে এবং বিনিয়োগ বাড়িয়ে। তবে আমাদের চ্যানেল মালিকদের এত ধৈর্য ও বিনিয়গের ঝুকি নেওয়ার কোন রুপ আগ্রহ নেই। তারা চায় যত কম বিনিয়গে বেশী লাভ করা যায়। তাই হাতে গোনা তিন থেকে চারটি চরিত্র নিয়ে একটি নাটক বানিয়ে ফেলে। এ সব নাটক লেখকেরা আবার অনেক মাথা খাটিয়ে গল্প গুলো তৈরী করেন। গল্প লেখার সময় তাদের মাথায় কাজ করে কিভাবে প্রোযেজকের টাকা বাঁচানে যায়। কিভাবে অল্প সংখ্যক শিল্পী দ্বারা নাটকটি সম্পন্ন করা যায়। সব সময় ভয় কাজ করে অতিরিক্ত বাজেট হলে হয়তো কোন প্রোযেজকই পাওয়া যাবে না।
তাই সহজ উপায়ে দ্রুত শুধু মাত্র টাকা আয়ের উদ্দেশ্যে অভিনব উপায়ে দায় সারা ভাবে অনুষ্ঠান তৈরী ও সম্প্রচার হয়ে থাকে।
সকল চ্যানেলই শুধু খবর আর এ্যাড প্রচার নিয়েই ব্যস্ত। হঠাৎ কোন একটি নাটক ভাল লাগলো, দেখা শুরু করেছেন, অমনি হঠাৎ শুরু হয়ে গেল এ্যাড। সেই যে শুরু আর শেষই হয় না, যেন এ্যাডের বস্তা খুলে বসেছে। বিরক্তি উপেক্ষা করে অধিক পরিমান ধৈর্য নিয়ে বসে থাকলেন, পুনরায় শুরু হলো নাটক। কিন্তু লম্বা বিরতির কারনে পূর্বের কাহিনীও হয়তো ভুলে গেছেন, পুনরায় দেখা শুরু করে পূর্বের কাহিনী মনে করার আপ্রান চেষ্টা করছেন, অমনি শুরু হয়ে গেল জনপ্রিয় অনুষ্ঠান খবর। খবর, তাও শুধুই ঐ খারাপ খবরই। মাঝে মাঝে আবার হঠাৎ লাইভ খবরও। কোন্ ভিআইপি কার বাসায় দাওয়াত খেতে গেল, কোথায় মিটিংয়ে বসলো, তাও লাইভ প্রচারিত হয়। এসব লাইভ সংবাদ প্রচারকদের আবার বেশির ভাগ সময় নষ্ট হয় এ্যা এ্যা করে। কেননা তাদের চোখের সামনে অন্যের লেখা স্ক্রিপ্ট থাকে না। বেরিয়ে আসে এদের আসল যোগ্যতা।
সারাদিনে কোন চ্যানেলে ভাল একটি খবরও প্রচারিত হয় কিনা আমার সন্দেহ হয়। তাই বলে কি সারাদেশে একটিও ভাল কাজ সম্পন্ন হয় না? হয়, তবে আমাদের দেশের বর্তমান সময়ের বেশির ভাগ সাংবাদিকগনেরই সেগুলো চোখে পরে না। এ সকল খবর সংগ্রহে তাদের আগ্রহ কম। কেননা বতর্মান বাজারে ঐ সকল খবরের কোন মুল্য নেই। মার্কেটে চলে না, দর্শক জনপ্রিয়তাও পাওয়া যায় না, বিজ্ঞাপনের প্রচারও বাড়ে না।
কিছু কিছু পরিচিত সাংবাদিকের লেখা পড়ি, ভাল লাগে। আবার ভাবনায়ও পরে যাই। তাদের লেখার ধরন দেখে মনে হয় তারা কলম ধরার আগে চিন্তা করে নেয়, যা লিখছি তাতে কাকে খুশি করা যাবে? কারও বিরুদ্ধে লিখলে তার ক্ষমতা কতটুকু আছে যাচাই করে নেয় মনে মনে, যেন নিজের বা চাকুরির কোন ক্ষতি না হয়। সর্বপরি চ্যানেল বা পত্রিকা যেন বন্ধ না হয়। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার, তাদের আপ্রান চেষ্টা থাকে, কিভাবে জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়? কেননা বর্তমানে মিডিয়ার সুপার স্টার বলতে সাংবাদিকরাই, তারাই এ আসন দখল করে রেখেছেন।
ব্যাঙের ছাতার মত মিডিয়া আর সাংবাদিক জন্মানো দেখে আমি প্রায়ই শংকিত হয়ে পরি। সাংবাদিকতার মত মহান পেশার ভবিষ্যত নিয়েও শংকা জাগে। বর্তমানে সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহের প্রতিযোগিতা দেখে প্রায়ই মনে হয়, ভিক্ষুকেরা যেমন সকালে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় মনে মনে দোয়া করে, 'হে খোদা আজ যেন ভাল ভিক্ষা পাই', কোন চোর যেমন ঘর থেকে বের হওয়ার সময় ভাবে, 'হে খোদা, যেন আজ চুরি করার ভাল একটা সুযোগ পাই,' ঠিক তেমনি কিছু হলুদ সাংবাদিকেরা সকালে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় ভাবে, 'হে খোদা আজ যেন কোন দুর্ঘটনা আমার সামনে ঘটে, আমিই যেন প্রথম ক্যাপচার করতে পারি, বিনিময়ে একটা প্রোমশন আদায় যেন করতে পারি, চাকুরী যেন বাঁচিয়ে রাখতে পারি, সর্বপরি নতুন গজানো চ্যানেল বা পত্রিকা যেন টিকিয়ে রাখতে পারি।'
এমন অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে এমনও হওয়া অস্বাভাবিক নয় যে, কোন সাংবাদিক টাকা খরচ করে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে নিজে প্রথম ক্যাপচার করবে, বিনিময়ে উক্ত খবর বিক্রি করে ব্যয়িত টাকার অনেক গুন আয় করবে এবং চাকুরি টিকিয়ে রাখা বা প্রোমশনও বাগিয়ে নিবে। নতুন গজানো চ্যানেল বা পত্রিকাও টিকিয়ে রাখতে পাড়বে।
তাই শুধু খবর আর এ্যাডে ভর্তি এত সব ডিজিটাল চ্যানেল চাই না, অতীতের মত বিনোদনে ভর্তি একটি মাত্র চ্যানেলই যথেষ্ট।
চারিদিকে শুধুই খবর আর খবর। ঘুম থেকে উঠলেন, সোফায় বসে সকালের পত্রিকাটা চোখের সামনে ধরেছেন, খবরে ভর্তি, টিভি অন করলেন, শুধুই খবর, চ্যানেল বদলালেন কিন্তু মুক্তি পেলেন না, তা-ও-উ ঐ একই খবর। অনলাইনে ঢুকলেন, একই অবস্থা।একটি নাটক দেখবেন? তাও মুক্তি নেই, স্কীনের নীচ দিয়ে চলতে থাকবে খবর।
খবর, তবে শুধুই খারাপ খবর। প্রতিটা জায়গায় শুধুই খারাপ খবরে ভর্তি। সাথে ভয়ংকর ভয়ংকর কিছু ছবিও। আমাদের দেশের যেকোন একটি চ্যানেলে যদি কোন বিদেশীর কোন ভাবে চোখ পড়ে, তবে তিনি অবশ্যই ভাববেন যে আমাদের দেশে হানাহানি, মারামারি ছাড়া আর কিছুই ঘটে না।
সারাদিনের কর্ম ব্যস্ততার পর একটু বিনোদনের জন্য টিভি অন করুন, কোন মুক্তি নেই, শুধুই বকবকানি। যে বকবকানির বাস্তবে কোনই মুল্য নেই। অথচ যদি আসলেই এসব টক-শোর মুল্যায়ন হতো, সকল টক-শো বাদ দিন, যেকোন এক রাতের, যেকোন একটি চ্যানেলের, যে কোন একটি টক-শোতে আলোচিত বিষয় যদি বাস্তবে বাস্তবায়িত হত, তবে আমাদের দেশের জনগন অনেক সমস্যা থেকে বাস্তবেই মুক্তি পেত। বাস্তবায়িত হবেও বা কি কোন দিন? হবে না। কোনও দিনও সম্ভব নয়।
তবে এ সকল খবর বা টক-শো প্রচার করে লাভ অবশ্য হয়, অবশ্যই দেশের বা দেশের জনগনের নয়, শুধু মাত্র ব্যবসায়ীদের, মিডিয়া ওয়ালাদের, আর টকশোতে অংশ গ্রহনকারী ব্যাক্তিদের। বর্তমানে কোন টিভি চ্যানেলে খবর ও টক-শো প্রচারের মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমেই আয় হয় সবচেয়ে বেশি।
আমাদের দেশের মিডিয়া আমাদের মানষিকতা বুজতে পেরেছে। আমরা জাতি হিসেবে সবাই অন্যের সমালোচনা করতে ও শুনতে বেশি পছন্দ করি। আর তাই দেশের প্রতিটি মিডিয়া মালিকগন তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য এই অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছেন।
অথচ দেখুন, এক সময়ে শুধুমাত্র একটি মাত্র চ্যানেল 'বিটিভি' আমাদের কতটা বিনোদন দিতো! কতটা আগ্রহী ছিলাম প্রচারিত নাটক গুলো দেখার জন্য। 'সংশপ্তক', 'বহুব্রীহি', 'অয়োময়', 'কোথাও কেউ নেই' ইত্যাদি নাটক গুলো কতই না জনপ্রিয় ছিল! আর বাকের ভাইয়ের কথাতো বলার অপেক্ষাই রাখে না। মিছিল বের করেছিলাম তার ফাঁসি না দেওয়ার জন্য। কতজনেরই যে চোখের পানি ঝড়েছে, বাকের ভাইয়ের ফাঁসির রায়ে!
অধীর আগ্রহে থাকতাম কখন মঙ্গলবার আসবে ধারাবাহিক নাটক দেখব বলে। কখন বুধবার আসবে ম্যাগ-গাইভার দেখব। আর কখন বৃহঃস্পতিবার আসবে এ সাপ্তাহের নাটক দেখব বলে। তিন মাস অধীর আগ্রহে প্রহর গুনতে থাকতাম ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান 'ইত্যাদি' দেখব বলে।
আর এখন, শ'খানেক চ্যানেল কি দিতে পেরেছে এমন একটি জনপ্রিয় নাটক? ঝড়াতে কি পেরেছে কোন দর্শকের চোখের পানি? না, পারেনি, চেষ্টাও করেনি কোন দিন। চেষ্টা করবেও না কখনও। কেননা এমন কিছু করতে চাইলে অনেক বেশি বিনিয়োগ ও ধৈর্য সহকারে মান সম্মত অনুষ্ঠান সম্প্রচার চালিয়ে যেতে হবে। অনুষ্ঠান বা নাটকও তৈরী করতে হবে মেধা খাটিয়ে এবং বিনিয়োগ বাড়িয়ে। তবে আমাদের চ্যানেল মালিকদের এত ধৈর্য ও বিনিয়গের ঝুকি নেওয়ার কোন রুপ আগ্রহ নেই। তারা চায় যত কম বিনিয়গে বেশী লাভ করা যায়। তাই হাতে গোনা তিন থেকে চারটি চরিত্র নিয়ে একটি নাটক বানিয়ে ফেলে। এ সব নাটক লেখকেরা আবার অনেক মাথা খাটিয়ে গল্প গুলো তৈরী করেন। গল্প লেখার সময় তাদের মাথায় কাজ করে কিভাবে প্রোযেজকের টাকা বাঁচানে যায়। কিভাবে অল্প সংখ্যক শিল্পী দ্বারা নাটকটি সম্পন্ন করা যায়। সব সময় ভয় কাজ করে অতিরিক্ত বাজেট হলে হয়তো কোন প্রোযেজকই পাওয়া যাবে না।
তাই সহজ উপায়ে দ্রুত শুধু মাত্র টাকা আয়ের উদ্দেশ্যে অভিনব উপায়ে দায় সারা ভাবে অনুষ্ঠান তৈরী ও সম্প্রচার হয়ে থাকে।
সকল চ্যানেলই শুধু খবর আর এ্যাড প্রচার নিয়েই ব্যস্ত। হঠাৎ কোন একটি নাটক ভাল লাগলো, দেখা শুরু করেছেন, অমনি হঠাৎ শুরু হয়ে গেল এ্যাড। সেই যে শুরু আর শেষই হয় না, যেন এ্যাডের বস্তা খুলে বসেছে। বিরক্তি উপেক্ষা করে অধিক পরিমান ধৈর্য নিয়ে বসে থাকলেন, পুনরায় শুরু হলো নাটক। কিন্তু লম্বা বিরতির কারনে পূর্বের কাহিনীও হয়তো ভুলে গেছেন, পুনরায় দেখা শুরু করে পূর্বের কাহিনী মনে করার আপ্রান চেষ্টা করছেন, অমনি শুরু হয়ে গেল জনপ্রিয় অনুষ্ঠান খবর। খবর, তাও শুধুই ঐ খারাপ খবরই। মাঝে মাঝে আবার হঠাৎ লাইভ খবরও। কোন্ ভিআইপি কার বাসায় দাওয়াত খেতে গেল, কোথায় মিটিংয়ে বসলো, তাও লাইভ প্রচারিত হয়। এসব লাইভ সংবাদ প্রচারকদের আবার বেশির ভাগ সময় নষ্ট হয় এ্যা এ্যা করে। কেননা তাদের চোখের সামনে অন্যের লেখা স্ক্রিপ্ট থাকে না। বেরিয়ে আসে এদের আসল যোগ্যতা।
সারাদিনে কোন চ্যানেলে ভাল একটি খবরও প্রচারিত হয় কিনা আমার সন্দেহ হয়। তাই বলে কি সারাদেশে একটিও ভাল কাজ সম্পন্ন হয় না? হয়, তবে আমাদের দেশের বর্তমান সময়ের বেশির ভাগ সাংবাদিকগনেরই সেগুলো চোখে পরে না। এ সকল খবর সংগ্রহে তাদের আগ্রহ কম। কেননা বতর্মান বাজারে ঐ সকল খবরের কোন মুল্য নেই। মার্কেটে চলে না, দর্শক জনপ্রিয়তাও পাওয়া যায় না, বিজ্ঞাপনের প্রচারও বাড়ে না।
কিছু কিছু পরিচিত সাংবাদিকের লেখা পড়ি, ভাল লাগে। আবার ভাবনায়ও পরে যাই। তাদের লেখার ধরন দেখে মনে হয় তারা কলম ধরার আগে চিন্তা করে নেয়, যা লিখছি তাতে কাকে খুশি করা যাবে? কারও বিরুদ্ধে লিখলে তার ক্ষমতা কতটুকু আছে যাচাই করে নেয় মনে মনে, যেন নিজের বা চাকুরির কোন ক্ষতি না হয়। সর্বপরি চ্যানেল বা পত্রিকা যেন বন্ধ না হয়। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার, তাদের আপ্রান চেষ্টা থাকে, কিভাবে জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়? কেননা বর্তমানে মিডিয়ার সুপার স্টার বলতে সাংবাদিকরাই, তারাই এ আসন দখল করে রেখেছেন।
ব্যাঙের ছাতার মত মিডিয়া আর সাংবাদিক জন্মানো দেখে আমি প্রায়ই শংকিত হয়ে পরি। সাংবাদিকতার মত মহান পেশার ভবিষ্যত নিয়েও শংকা জাগে। বর্তমানে সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহের প্রতিযোগিতা দেখে প্রায়ই মনে হয়, ভিক্ষুকেরা যেমন সকালে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় মনে মনে দোয়া করে, 'হে খোদা আজ যেন ভাল ভিক্ষা পাই', কোন চোর যেমন ঘর থেকে বের হওয়ার সময় ভাবে, 'হে খোদা, যেন আজ চুরি করার ভাল একটা সুযোগ পাই,' ঠিক তেমনি কিছু হলুদ সাংবাদিকেরা সকালে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় ভাবে, 'হে খোদা আজ যেন কোন দুর্ঘটনা আমার সামনে ঘটে, আমিই যেন প্রথম ক্যাপচার করতে পারি, বিনিময়ে একটা প্রোমশন আদায় যেন করতে পারি, চাকুরী যেন বাঁচিয়ে রাখতে পারি, সর্বপরি নতুন গজানো চ্যানেল বা পত্রিকা যেন টিকিয়ে রাখতে পারি।'
এমন অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে এমনও হওয়া অস্বাভাবিক নয় যে, কোন সাংবাদিক টাকা খরচ করে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে নিজে প্রথম ক্যাপচার করবে, বিনিময়ে উক্ত খবর বিক্রি করে ব্যয়িত টাকার অনেক গুন আয় করবে এবং চাকুরি টিকিয়ে রাখা বা প্রোমশনও বাগিয়ে নিবে। নতুন গজানো চ্যানেল বা পত্রিকাও টিকিয়ে রাখতে পাড়বে।
তাই শুধু খবর আর এ্যাডে ভর্তি এত সব ডিজিটাল চ্যানেল চাই না, অতীতের মত বিনোদনে ভর্তি একটি মাত্র চ্যানেলই যথেষ্ট।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ২৫/০২/২০১৫অনেক ভালো লিখেছেন।
-
সবুজ আহমেদ কক্স ২২/০২/২০১৫ভালো লাগলো .........।।
-
সহিদুল ইসলাম ২০/০২/২০১৫ধন্যবাদ লেখাটি প্রকাশ করার জন্য।