মঙ্গল কামনার মাহেন্দ্রক্ষণ
অনেক জল গড়িয়েছে দীপাবলি নিয়ে।বাজির উপর নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিমকোর্টের।বাজি প্রেমিক ভক্তগণ সন্তুষ্ট নন।তবুও মহামান্য আদালতের নির্দেশ অমান্য করা ঠিক হবেনা।যে কাজ আমাদের ভবিষৎ বংশধরের ক্ষতি সাধন করে সে কাজ থেকে দূরে থাকা প্রতিটি সুনাগরিকেরই একান্ত কর্তব্য।তবে আমাদের দীপাবলি কি বা কিভাবে পালন করা যুক্তিসঙ্গত সে সম্পর্কে আমাদের অবহিত হওয়া প্রয়োজন।
আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশীর দিন ধনতেরাস অথবা ধনত্রয়োদশী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দীপাবলি উৎসবের সূচনা হয়।কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই উৎসব শেষ হয়।
দীপাবলি" নামটির অর্থ "প্রদীপের সমষ্টি"।একাধিক প্রদীপ জ্বালানোর অনুষ্ঠান।দীপাবলি মানে আলোর উৎসব।প্রত্যেকের মঙ্গল কামনার উৎসব,নিজের মঙ্গল কামনার উৎসব।
আজকের শুভ দিনে আমরা ঘরে ঘরে ছোটো মাটির প্রদীপ ও বাতি জ্বালিয়ে দিই।দরজা জানালা,উঠোন,বাড়ির ছাদ,তুলসী মঞ্চ,শ্মশান প্রভৃতি সর্বত্র আলোর মেলা বসায়।লম্বা বাঁশের মাথায় কাগজের তৈরি ছোট ঘরে প্রদীপ জ্বালায়।
এখন প্রশ্ন হলো আমরা আলোর অরণ্য গড়ি কেন?আসলে প্রতিটি উৎসবের অন্দরে লুকিয়ে থাকে এক মহৎ উদ্দ্যেশ্য।এই প্রদীপ জ্বালানো অমঙ্গল বিতাড়নের প্রতীক।সার্বজনীন আনন্দের এই উৎসব মন্দের বিরুদ্ধে ভালোর জয়কে উদযাপন করার দিন,অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলো জ্বালার দিন।'দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন' বা 'ন্যায়ের কাছে অন্যায়ের পরাজয়ের দিন।নিজের ভেতরের বাহিরের সকল অজ্ঞতা ও তমঃকে দীপ শিখায় বিদূরিত করার দিন। প্রেম-প্রীতি-ভালবাসার চিরন্তন শিখা প্রজ্বলিত করার দিন।জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির বিজয়ের শুভ মাহেন্দ্রক্ষণ।সন্ধ্যায় বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্বালন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনকে স্মরণ করার দিন।
সমগ্র বিশ্ববাসীর জীবন যাতে আলোর মতো ঝলমলে হয়ে উঠে,যাতে প্রতিটি সময় বিশ্ববাসীর হৃদয়ে মঙ্গলের প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত থাকে তা কামনা করার দিন।
দীপাবলি সারি-সারি প্রদীপের আলোকে স্বর্গের দেবতাকে মর্তের কুটিরে বরণ করে নেবার এক মহান পবিত্রতম দিন।অন্তরকে বিকশিত করে পরমাত্মার কাছে সমর্পণের দিন।আত্মাকে প্রজ্বলিত করে পরিশুদ্ধ করে পরমব্রহ্মে লীন হওয়ার দিন।
আজকের দিনেই দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের মাধ্যমে ভক্তের জীবনে কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে পৃথিবীতে আগমন ঘটে দেবী শ্যামা বা কালীর।মা কালী শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামের প্রতীক।এদিক থেকে দীপাবলি উৎসব তাঁর আগমনি উৎসব বলে মনে করি।
দীপাবলির সম্পর্কে উপনিষদে বলা হয়েছে "অসতো মা সৎ গময়। তমসো মা জ্যোতির্গময়। মৃত্যোর্মা অমৃতং গময়। ওঁ শান্তিঃ॥ ওঁ শান্তিঃ॥ ওঁ শান্তিঃ॥" অর্থাৎ "অসৎ হইতে সত্যে লইয়া যাও, অন্ধকার হইতে জ্যোতিতে লইয়া যাও, মৃত্যু হইতে অমরত্বে লইয়া যাও। সর্বত্র যেন ছড়াইয়া পড়ুক শান্তির বার্তা॥"
আসুন আমাদের হৃদয়ে শুভ শক্তির প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করে সন্ত্রাস বিদীর্ণ অন্ধকারময় বিশ্বের মানুষের কাছে শান্তির দীপশিখা প্রদীপ্ত করি।বিশ্বের সকল মানুষ যাতে সুস্থ ও সুন্দর ভাবে জীবন অতিবাহিত করতে পারেন তার দিশারী হয়।আরও একবার বিশ্বের কাছে বার্তা প্রদান করি আমাদের উৎসব জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকলের মঙ্গল কামনার জন্য,ত্যাগের মাধ্যমে শান্তির লেলিহান শিখা প্রজ্জ্বলনের জন্য,জীব সেবার ব্রতে নিজেকে নিয়োজিত করার জন্য।
আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশীর দিন ধনতেরাস অথবা ধনত্রয়োদশী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দীপাবলি উৎসবের সূচনা হয়।কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই উৎসব শেষ হয়।
দীপাবলি" নামটির অর্থ "প্রদীপের সমষ্টি"।একাধিক প্রদীপ জ্বালানোর অনুষ্ঠান।দীপাবলি মানে আলোর উৎসব।প্রত্যেকের মঙ্গল কামনার উৎসব,নিজের মঙ্গল কামনার উৎসব।
আজকের শুভ দিনে আমরা ঘরে ঘরে ছোটো মাটির প্রদীপ ও বাতি জ্বালিয়ে দিই।দরজা জানালা,উঠোন,বাড়ির ছাদ,তুলসী মঞ্চ,শ্মশান প্রভৃতি সর্বত্র আলোর মেলা বসায়।লম্বা বাঁশের মাথায় কাগজের তৈরি ছোট ঘরে প্রদীপ জ্বালায়।
এখন প্রশ্ন হলো আমরা আলোর অরণ্য গড়ি কেন?আসলে প্রতিটি উৎসবের অন্দরে লুকিয়ে থাকে এক মহৎ উদ্দ্যেশ্য।এই প্রদীপ জ্বালানো অমঙ্গল বিতাড়নের প্রতীক।সার্বজনীন আনন্দের এই উৎসব মন্দের বিরুদ্ধে ভালোর জয়কে উদযাপন করার দিন,অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলো জ্বালার দিন।'দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন' বা 'ন্যায়ের কাছে অন্যায়ের পরাজয়ের দিন।নিজের ভেতরের বাহিরের সকল অজ্ঞতা ও তমঃকে দীপ শিখায় বিদূরিত করার দিন। প্রেম-প্রীতি-ভালবাসার চিরন্তন শিখা প্রজ্বলিত করার দিন।জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির বিজয়ের শুভ মাহেন্দ্রক্ষণ।সন্ধ্যায় বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্বালন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনকে স্মরণ করার দিন।
সমগ্র বিশ্ববাসীর জীবন যাতে আলোর মতো ঝলমলে হয়ে উঠে,যাতে প্রতিটি সময় বিশ্ববাসীর হৃদয়ে মঙ্গলের প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত থাকে তা কামনা করার দিন।
দীপাবলি সারি-সারি প্রদীপের আলোকে স্বর্গের দেবতাকে মর্তের কুটিরে বরণ করে নেবার এক মহান পবিত্রতম দিন।অন্তরকে বিকশিত করে পরমাত্মার কাছে সমর্পণের দিন।আত্মাকে প্রজ্বলিত করে পরিশুদ্ধ করে পরমব্রহ্মে লীন হওয়ার দিন।
আজকের দিনেই দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের মাধ্যমে ভক্তের জীবনে কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে পৃথিবীতে আগমন ঘটে দেবী শ্যামা বা কালীর।মা কালী শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামের প্রতীক।এদিক থেকে দীপাবলি উৎসব তাঁর আগমনি উৎসব বলে মনে করি।
দীপাবলির সম্পর্কে উপনিষদে বলা হয়েছে "অসতো মা সৎ গময়। তমসো মা জ্যোতির্গময়। মৃত্যোর্মা অমৃতং গময়। ওঁ শান্তিঃ॥ ওঁ শান্তিঃ॥ ওঁ শান্তিঃ॥" অর্থাৎ "অসৎ হইতে সত্যে লইয়া যাও, অন্ধকার হইতে জ্যোতিতে লইয়া যাও, মৃত্যু হইতে অমরত্বে লইয়া যাও। সর্বত্র যেন ছড়াইয়া পড়ুক শান্তির বার্তা॥"
আসুন আমাদের হৃদয়ে শুভ শক্তির প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করে সন্ত্রাস বিদীর্ণ অন্ধকারময় বিশ্বের মানুষের কাছে শান্তির দীপশিখা প্রদীপ্ত করি।বিশ্বের সকল মানুষ যাতে সুস্থ ও সুন্দর ভাবে জীবন অতিবাহিত করতে পারেন তার দিশারী হয়।আরও একবার বিশ্বের কাছে বার্তা প্রদান করি আমাদের উৎসব জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকলের মঙ্গল কামনার জন্য,ত্যাগের মাধ্যমে শান্তির লেলিহান শিখা প্রজ্জ্বলনের জন্য,জীব সেবার ব্রতে নিজেকে নিয়োজিত করার জন্য।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আজাদ আলী ১৯/১০/২০১৭Valo . HAPPY DEEPAWALI