রেসাল্ট পর্ব
আচ্ছা অসীম! এই রেসাল্ট নিয়ে জীবনে কি করবো আমি!
--> তুই ফাইনালি ভেবেই নিয়েছিস যে - রেসাল্ট দিয়েই জীবনের সবকিছু হয়!
--> শোন। জীবনে ভালো রেসাল্টের প্রয়োজন আছে বৈকি । তবে রেসাল্ট যে জীবনের সবকিছু এমনটা কিন্তুু নয় ।
দেখ অসীম, আমার দুর্দিনে আজ অনেক বড় বড় কথা বলছিস!
তুই নিজেকে এই মুহুর্তে একবার আমার জায়গায় কল্পনা করতে পারবি?
--> দেখ অহেনজিতা, আমি তোকে জ্ঞান কিংবা উপদেশ দিচ্ছিনা। তোর অবস্থাও বুঝতে পারছি। তবে কি আর করবি বল ! যেটা হয়ে গেছে সেটার জন্য বসে বসে কাঁদবি? কি লাভ হবে বলতো!!
--> আর শোন। সবার রেসাল্ট সব সময় ভালো হয় এটা তোকে কে বলেছে? শুনি!
--> দেখ অহেনজিতা! জীবনে অনেকগুলো পরীক্ষা তোকে দিতে হবে -- এটা তো মাত্র শুরু। শুরুতেই যদি ভেঙে পড়িস - কি করে হবে বলতো?
--> দেখ। দোষটা পুরোপুরি তোকেও দেওয়া যাবেনা। কারণ আমাদের সমাজটাই এটা শিক্ষা দেয় যে- ভালো রেসাল্ট করবি - ভালো সরকারী চাকরী করবি - ব্যস! এই তো হয়ে গেলো একটা আদর্শ জীবন।
সমস্যা হলো চাকরীর চাইতে বড় কিছু করার মোটিভেশন আমাদের সোসাইটি দেয়না। আমরা সীমাবদ্ধ পরিসরে ভাবি। তাই আমাদের ভাবনারা আহত হয় । দুর্বলতা বলতে শুধু এটুকুই।
--> রেসাল্ট খারাপ হয়েছে। এতে চোখের জল ফেলার মতো কিছু হয়নি। এত ভেঙে পড়িস না।
--> দেখ অহেনজিতা, তুই হয়তো আজ নিজেকে অযোগ্য ভাবতে পারিস। তুচ্ছ ভাবতে পারিস। কিন্তুু আমি বলছি তুই সবার থেকে আলাদা। তোর মধ্যে শুধু ভয় কাজ করছে। ঝেড়ে ফেল ওটা।
--> মন খারাপ করে নিজেকে লুকিয়ে রাখিস না। চোখ মুছে ফেল।
--> যা ঘরে যা। গিয়ে তোর পুরানো ক্যানভাসে তুলি চালা তোর মনের আঁকাবাকা রাস্তায়। ধুলো ঝেড়ে পাগলের মতো বাজা তোর ঘরের কোনে রাখা গিটারখানি ।
--> দেখ অহেনজিতা, জীবন হলো অনেকগুলা দায়িত্বের সমষ্টি। শুধুমাত্র একটা রেসাল্ট দিয়ে জীবনের সাফল্য ব্যার্থতা কল্পনা করাটা বোকামী।
--> তুই হয়তো ভাবতে পারিস তুই একটা তুচ্ছ মেয়ে - সমাজের কেউ তোকে হয়তো দাম দেবেনা। কিন্তুু বিশ্বাস কর অহেঞ্জিতা, এই পৃথিবীতে এমনও কেউ আছেন যারা চান - শুধু তুই ভালো থাক। তাদের কথা মাথায় রাখিস।
--> আমি জানি তুই চাকরী বাকরী নির্বিশেষে একদিন অনেক বড় হবি। তোর অনেক হবে। যতটা তোর প্রয়োজন তার চাইতে অনেক বেশী। আমার বিশ্বাস সেদিনও তুই আমায় মনে রাখবি।
--> আমি তোর পাশে থাকবো । তুই অনেক ভালো থাকিস অহেনজিতা।
--> তুই ফাইনালি ভেবেই নিয়েছিস যে - রেসাল্ট দিয়েই জীবনের সবকিছু হয়!
--> শোন। জীবনে ভালো রেসাল্টের প্রয়োজন আছে বৈকি । তবে রেসাল্ট যে জীবনের সবকিছু এমনটা কিন্তুু নয় ।
দেখ অসীম, আমার দুর্দিনে আজ অনেক বড় বড় কথা বলছিস!
তুই নিজেকে এই মুহুর্তে একবার আমার জায়গায় কল্পনা করতে পারবি?
--> দেখ অহেনজিতা, আমি তোকে জ্ঞান কিংবা উপদেশ দিচ্ছিনা। তোর অবস্থাও বুঝতে পারছি। তবে কি আর করবি বল ! যেটা হয়ে গেছে সেটার জন্য বসে বসে কাঁদবি? কি লাভ হবে বলতো!!
--> আর শোন। সবার রেসাল্ট সব সময় ভালো হয় এটা তোকে কে বলেছে? শুনি!
--> দেখ অহেনজিতা! জীবনে অনেকগুলো পরীক্ষা তোকে দিতে হবে -- এটা তো মাত্র শুরু। শুরুতেই যদি ভেঙে পড়িস - কি করে হবে বলতো?
--> দেখ। দোষটা পুরোপুরি তোকেও দেওয়া যাবেনা। কারণ আমাদের সমাজটাই এটা শিক্ষা দেয় যে- ভালো রেসাল্ট করবি - ভালো সরকারী চাকরী করবি - ব্যস! এই তো হয়ে গেলো একটা আদর্শ জীবন।
সমস্যা হলো চাকরীর চাইতে বড় কিছু করার মোটিভেশন আমাদের সোসাইটি দেয়না। আমরা সীমাবদ্ধ পরিসরে ভাবি। তাই আমাদের ভাবনারা আহত হয় । দুর্বলতা বলতে শুধু এটুকুই।
--> রেসাল্ট খারাপ হয়েছে। এতে চোখের জল ফেলার মতো কিছু হয়নি। এত ভেঙে পড়িস না।
--> দেখ অহেনজিতা, তুই হয়তো আজ নিজেকে অযোগ্য ভাবতে পারিস। তুচ্ছ ভাবতে পারিস। কিন্তুু আমি বলছি তুই সবার থেকে আলাদা। তোর মধ্যে শুধু ভয় কাজ করছে। ঝেড়ে ফেল ওটা।
--> মন খারাপ করে নিজেকে লুকিয়ে রাখিস না। চোখ মুছে ফেল।
--> যা ঘরে যা। গিয়ে তোর পুরানো ক্যানভাসে তুলি চালা তোর মনের আঁকাবাকা রাস্তায়। ধুলো ঝেড়ে পাগলের মতো বাজা তোর ঘরের কোনে রাখা গিটারখানি ।
--> দেখ অহেনজিতা, জীবন হলো অনেকগুলা দায়িত্বের সমষ্টি। শুধুমাত্র একটা রেসাল্ট দিয়ে জীবনের সাফল্য ব্যার্থতা কল্পনা করাটা বোকামী।
--> তুই হয়তো ভাবতে পারিস তুই একটা তুচ্ছ মেয়ে - সমাজের কেউ তোকে হয়তো দাম দেবেনা। কিন্তুু বিশ্বাস কর অহেঞ্জিতা, এই পৃথিবীতে এমনও কেউ আছেন যারা চান - শুধু তুই ভালো থাক। তাদের কথা মাথায় রাখিস।
--> আমি জানি তুই চাকরী বাকরী নির্বিশেষে একদিন অনেক বড় হবি। তোর অনেক হবে। যতটা তোর প্রয়োজন তার চাইতে অনেক বেশী। আমার বিশ্বাস সেদিনও তুই আমায় মনে রাখবি।
--> আমি তোর পাশে থাকবো । তুই অনেক ভালো থাকিস অহেনজিতা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোহন দাস (বিষাক্ত কবি) ২৫/০২/২০২০ভালো লেখা
-
দীপঙ্কর রায় ০৬/০৭/২০১৮ভালো লাগলো
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৮/০৬/২০১৮সংলাপধর্মী।
-
পবিত্র চক্রবর্তী ১৭/০৬/২০১৮ভালো লাগলো