www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

একটি দুর্গন্ধযুক্ত শিশুতোষ গল্প

>> গল্পটা পড়ার আগে শেষে থাকা মন্তব্যটি পড়ার অনুরােধ রইলো
..................................................
একটি দুর্গন্ধযুক্ত শিশুতোষ গল্প
'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
২২/১১/২০১১ তে লেখা
''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''

১.

প্রতি শুক্রবার বিকেলে ওরা সবাই মিলে আড্ডা দেয় তুষার ভাইয়ের চায়ের দোকানে ।
ওরা সবাই মানে পাঁচজন ,প্রত্যেকেই স্কুল বন্ধু ।
কলেজে ভর্তি হওয়ার পর ১৪৪ ধারার মত এ নিয়ম চালু আছে । সপ্তাহে অন্তত একবারের জন্যে হলেও প্রত্যেকে তাদের অতীত , বর্তমান , ভবিষ্যতকে একবার করে চোখ বুলিয়ে নেয় আড্ডার মাঝে , আর হাতে থাকে তুষার ভাইয়ের কফির গুড়া ছিটা মিষ্টি ……… হ্যাঁ মিষ্টি চা ।
অতীতের কথা স্মরণ করতে গেলে প্রত্যেকেই নিজ নিজ বীরত্ব মাথায় রেখে তারপর বলা শুরু করে । তবে যে কথাই বলা শুরু হোকনা কেন তা শেষ পর্যন্ত কানে ধরা নাহয় টিচারদের নির্দয় ভালবাসায় গিয়ে গলা ঠেকিয়ে মরে।
এইতো সেদিনের আড্ডায় আসিফ তার পুরোনো বীরত্বের কথা বলতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত চুপ হয়ে গেল । কারণ শেষেরটুকু বর্ণনা করা বাকিদের পৈশাচিক দায়িত্ব ।
ঘটনাটা প্রায় দু থেকে তিন বছর আগের কথা হবে । কামাল স্যার এসেছেন , অংক ক্লাস । সবাই মনোযোগ দিয়ে স্যারের কথা শুনছে না হয় গিলছে । গেলাটাই স্বাভাবিক কারণ অংক বোঝার মত পাপ খুব কম মানুষই করে । আর এ কারনেই স্যার নিজেও এক অংক কখনও দুবার বলেননা ।
অংক করাতে করাতে হঠাৎ করে স্যারের চোখ পড়ল আসিফের দিকে । ক্লাসের জানালা থেকে পাশের দালানগুলো খুব ভালভাবে দেখা যায় । আর ঠিক সেদিক দিয়েই আসিফ তাকিয়ে আছে জানালার ধারে বসে থাকা একটা স্কার্ট পরা মেয়ের দিকে । মেয়েটা সম্পর্কে যতদূর ধারনা করা যায় অবশ্যই কাজের মেয়েই হবে নাহয় দুষ্টু মেয়ে , তা না হলে কেউ জানালার ধারে পা এলিয়ে বসে থাকত না ।
তবে এ লোভনীয় দৃশ্যটা যে জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার আসিফ ক্লাসে বসে খুব উপভোগ করছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই । তবে তার চেয়ে বেশি উপভোগ করল বাকিরা , স্যার আর আসিফের বীরগাথা কালজয়ী এ ঘটানার পর ।
স্যার চুপিসারে আসিফের কাছে গিয়ে হাতে থাকা চকের গুড়ো ঢুকিয়ে দিলেন রমনীগুণে মুগ্ধ আসিফের হা করা মুখের ভেতর । আসিফ কিছু বুঝে উঠার আগেই পুরো ক্লাস ফেটে পড়ল হাসিতে ।
সেই থেকে পুরোনো কারো সাথে দেখা হলে আসিফ এ কথা বলে , “পারবি জীবনে কোন মেয়ের জন্য চকের গুড়া খেতে। ” তবে এই পাঁচজনের যে কেউ উপস্থিত থাকলে অবশ্যই স্থান , কাল পরিবর্তন করেই বলে থাকে । অবশ্য সাইফ সাথে থাকলে স্থান , কাল যাই পরিবর্তন করা হোকনা কেন ঘটনাকে কান ধরে আবার চক খাইয়ে দেয়া তার নৈতিক দায়িত্ব ।
আজকাল অবশ্য এই রমনীগুণ মুগ্ধ আসিফের মুখে দেশাত্মবোধ জেগে উঠেছে ছত্রাকের মত । আড্ডার মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ করে দেশাত্মবোধের চরম পরিণতি প্রত্যেকে মন্ত্রমুগ্ধ করে । আসিফের ইচ্ছা ভবিষ্যতে এদেশের একজন বিখ্যাত নেতা হওয়ার । এজন্যে অবশ্য এখন থেকেই বিভিন্ন মানববন্ধনে যোগ দেয়াটা রীতিমত তার অভ্যাস হয়ে গেছে । তবে আর একটা বদঅভ্যাসও হয়েছে তার , সেটা হল সিগারেট খাওয়া ।
নেতা হতে হলে যে এ গুনটা থাকাই লাগবে তার যৌক্তিকতা অন্য কেউ খুঁজে না পেলেও আসিফ এ ব্যাপারে বিখ্যাত ব্যাক্তিদের ধুমপান করার মত আরব্য রজনী তৈরি করতে পিছপা হয়না । তবে এই পঞ্চভুতের মধ্যে অর্ণবও আসিফের সঙ্গ পেলে সিগারেটে দু‘একটা টান দিয়ে কাশতে কাশতে বলে , “আহ্ কি মজা ! ”।
এই আসিফের হাত ধরেই আজ তাদের আড্ডা এই তুষার ভাইয়ের দোকানে , যেখানে চিপায় বসে খুব সহজেই মুরব্বিদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে সিগারেট খাওয়া যায় । এর আগে প্রত্যেকের আড্ডা ছিল সাইফদের বাসার ছাদে।
এই পাঁচজনের সবাই বয়সের দোষে দোষী হলেও সাইফের মাঝে দোষটা খানিক বেশি । সারাদিন ছাদে বাইনোকুলার নিয়ে পড়ে পড়ে দেখার চেষ্টা করে কার বাসায় কি ঘটে । তবে ছাদে রাতের বেলাতেই বেশি যায় । রাতের নিঝুম প্রহরের মুগ্ধ করা বৈধ-অবৈধ দৃশ্যগুলো বন্ধুদের সামনে আকর্ষনীয়ভাবে তুলে ধরার এক অদ্ভূত ক্ষমতা আছে ওর মধ্যে । এমনভাবে বলবে যেন কাজগুলো সব নিজেরই করা । সাইফের বর্ণনার ঢঙে তারা প্রত্যেকেই এ কথা ভাবতে বাধ্য হয় যে তাদের বয়সি প্রতিটি পুরুষের জন্মই হয়েছে পূর্বাহ্ণ , মধ্যাহ্ণ এবং অপরাহ্ণ শুধু এই একটাই কাজ করার জন্যে ।
সবার মধ্যে শান্ত আরমান । ওর সম্পর্কে বলতে গেলে এতটুকুই বলতে হয় বয়সের দোষটা ওর মাঝে অনেক কম । আযান দিলেই মসজিদে নামায পড়তে ছুটে যাওয়া আরমানের একটি পারিবারিক গুণ । আরমানের সাথে থাকা হলে তাই প্রত্যেকেরই নামায পড়া হয় । নাদুস নুদুস এই বন্ধুটি আড্ডায় না থাকলে সাইফের ভাল লাগেনা । কারণ এই একজনই আছে যাকে কথায় কথায় বোল্ডআউট করে সাইফ খুব মজা পায় ।
সবার মধ্যে আদিবের সাথে আরমানের সবচেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠতা । কারণ এই দু‘জনই আড্ডার মাঝে ঠিক ঠাওর করে উঠতে পারেনা কখন কি বলা উচিত । আদিব অবশ্য বই থেকে ধার করে দু‘একটা বলার চেষ্টা করলেও আরমান শুধু শোনে আর হাসে । আর সাইফ রাগিয়ে মজা পায় ।


২.

আজ অবশ্য সবার আগেই তুষার ভাইয়ের দোকানে হাজির হয়েছে আসিফ আর অর্ণব । আদিব এসে দেখল ওরা দু‘জন মনের সুখে সিগারেট ভাগাভাগি করে টানছে । আদিব আসতেই অর্ণব আসিফের হাতে সিগারেট দিয়ে সাপ্তাহিক কুশলাদি জিজ্ঞেস করতে শুরু করে দিল ।
প্রত্যেক বন্ধুই আড্ডার মাঝে পালা করে গল্প বলে । আজ আদিবের পালা । তাই অর্ণবের আগ্রহটা তার দিকেই সবচেয়ে বেশি । যদিও অন্যান্য বারের মত এবারও আদিব বই থেকে পড়ে এসেছে ।
আসিফ সিগারেট টানা শেষ করেই আদিবের কাছে এসে বলল , “বুঝছস্ , আমগো জাতীয় সংগীত চেইঞ্জ হইব ।”
কিছুক্ষণ অবাক হয়ে তাকিয়ে আদিব প্রশ্ন করল , “কেন ?”
“দেহস্ না , যেমনে বডিগার্ডের “তেরি মেরি” গান সবার কানে কানে বাজা শুরু হইছে তোর কি মনে হয় আমরা আমগো জাতীয় সংগীত এর চেয়ে বেশি গাই । ” দেশপ্রেমিক আসিফের এ কথায় অর্ণব ইতিবাচক সায় দিলেও আদিব কোনো উত্তর দিতে পারল না । কারণ এই গানটা ওর মোবাইলেও মজুদ আছে । তবে এতটুকু না বললেই নয় আকাশ সংস্কৃতির ভিড়ে আজ যা অবস্থা শুরু হয়েছে কোনদিন না আমাদের জাতীয় সংগীতটাই …….। হায় আফসোস ।
একটু পরেই সাইফ এসে পড়ল । আদিব বুঝতে পাড়ল ওর গল্প বলার সময় হয়ে গেছে । আরমানকে দূর থেকে আসতে দেখে তুষার ভাইকে বলা হল ওনার বিখ্যাত কফির গুড়া ছিটা চা বানানোর জন্যে ।
আরমান আসার পর অর্নবকে বলা হল চা পরিবেশনের জন্যে ।
অর্ণব তুষার ভাইকে বলল , “ভাই , চা ডা দেন্ তো । ”
“কারে ?”- তুষার ভাইয়ের নিঃসংকোচ উত্তর।
অর্ণব আবার একই কথা বললে তুষার ভাইও একই উত্তর দিল । হঠাৎ রেগে যাওয়ার বদঅভ্যাস আছে অর্ণবের । তাই রেগে গিয়ে বলল , “ধ্যাৎ মিয়া , আপ্নেরে কইলাম চা দেন আর আপ্নে কিনা কারে কারে করতাছেন । ”
তুষার ভাইয়ের নির্দয় উত্তর ,“আপ্নেই তো আমারে “চাডা” দিতে কইলেন । আমার কি দোষ ”
একথা শুনে উপস্থিত সবাই হাসিতে ফেটে পড়ল ।
গলার মধ্যে এক বিশেষ গাম্ভীর্যতা এনে আদিব গল্প বলা শুরু করল আর তখন সবার হাতে তুষার ভাইয়ের কাছে বোল্ড হওয়া অর্ণব পরিবেশিত চা ।
“আইনস্টাইন একবার এক হোটেলে খেতে যাওয়ার সময় ভুলে চশমা বাড়ি ফেলে যান । চশমা ছাড়া মেনু পড়তে না পেরে পাশের এক লোককে বলেন , “আমার মেনুটা একটু পড়ে দেবেন ?”
লোকটি বলল , “আপনার মত আমিও পড়তে জানিনা।”। ”
কেউ হাসল কি না হাসল তার তোয়াক্কা না করেই আদিব আবার আরেকটা বলা শুরু করে দিল। হাজার হোক মুখস্থ বিদ্যা বলে কথা ।
“একবার বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস আল্ভা এডিসন নিজের নাম ভুলে গিয়েছিলেন । ট্যাক্স জমা দেয়ার জন্যে কোর্টের হাউসে গিয়ে তিনি কিছুতেই নিজের নাম মনে করতে পারছিলেন না। এমন সময় তার এক প্রতিবেশি তাঁকে দেখে বলে উঠলেন , “আরে টমাস আল্ভা এডিসন না?” তখন তার নিজের নাম মনে পড়ে ।”
বলতে বলতে আদিব চোখ বন্ধ করে ফেলেছিল । কারণটা খুব স্পষ্ট , তার গল্প কিংবা কৌতুক কোন কিছু শুনেই কেউ হাসেনা । যা হওয়ার তাই হল , আজো কেউ হাসলো না । তবে আরমানের মুখের মৃদু হাসি আদিবকে অনুপ্রাণিত করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করলনা ।
গল্পরাজ সাইফ বলল , “দেখ্ তোরে দিয়া কিচ্ছু অইব না । আমি এহন্ একটা কৌতুক কমু তোরা খালি প্রশ্ন করবি । ঠিক আছে ?” সবাই হ্যাঁসূচক মাথা নাড়ল ।
“শোন্ , একজন ভগন্দর রোগওয়ালা ড্রাইভার সামনে থাকা বাহনগুলারে কি কইব ?”
বাকি সবাই কথামত সমস্বরে বলে উঠল , “কি কইব ?”
সাইফের কুটিল উত্তর , “ওই সব সামনেত্তে সর , নাইলে চুইষা ফালামু ।”
তাৎক্ষনিক হাসিতে সবাই লুটোপুটি খেল । কিন্তু আরমান প্রতিবারের মত এইবারও বলল , “আচ্ছা ভগন্দর কথাডা না বল্লে অয় না ।”
এবারও সাইফ ঘুরে দাড়াল , “দেখ্ তুই এখনও স্কুলেই পইরা রইছস । দয়া কইরা বাপ একটু বড় হ । মামনিকে বল “কমপ্লেন” খাওয়াতে ।”
অন্যান্য বারের মত এবারও আরমান মুখ কালো করে । আড্ডা শেষ হয় । সবাই যার যার মত ঘরে ফিরে আসে । তবে সবার মুখেই হাস্যদ্বীপ্ত বলিরেখা প্রকাশ পায় । প্রথম কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে আগামী শুক্রবার শাস্তিস্বরূপ আরমানকে গল্প বলতে হবে । নাহয় তুষার ভাইয়ের দোকানের পাশে থাকা বিউটি পার্লার থেকে বেড়িয়ে আসা মহিলাগুলোকে দেখে । যাদের দেখলে মনে হয় মুদির দোকানের সব আটা , ময়দা , সুজি এক মুখেই খতম ।


৩.

পরের সপ্তাহের শুক্রবারে সবাই যথাসময়ে তুষার ভাইয়ের চাস্টলে উপস্থিত । চা হাজির , আরমান হাজির । সবাই চুপ আরমান গল্প বলতে শুরু করল –
“একদেশে এক রাজা আর এক রানী ছিল । আশ্চর্য হলেও সত্যি রাজার মুখে কোন দাড়ি ছিল না এক গোফ ছাড়া , কিন্তু রানীর মুখে ছিল দাড়ি । এজন্য রাজা-রানী দু‘জনই শেইভ করত , যাতে করে কারো ত্রুটি প্রকাশ না পায় ।
কিন্তু একদিন রানী শেইভ করতে ভুলে গেল , আর তার ফলে জনগনের সামনে রানীর দাড়ি প্রকাশ পেয়ে গেল । রাজ্যের সব প্রজারা ছি ছি করতে লাগল , নিশ্চয়ই রানী অলক্ষী তা না হলে মুখে দাড়ি , এ কি করে সম্ভব ।
এজন্য সকল প্রজা মিলে রানীকে রাজ্যছাড়া করল । কিন্তু রানী তো ছিল গর্ভবতী ।
তাই রাজা অনেক কষ্টে রানীর সাথে কয়েক বছর পর দেখা করল । গিয়ে দেখতে পেল রানী তখন মৃত্যুশয্যায় আর তারই পাশে খেলা করছে তাদের ফুটফুটে কন্যা , রাজ্যের রাজকুমারী ।
অন্তিমশয্যায় রাজা রানীকে কথা দিলেন যে , তিনি তাদের রাজকন্যার কোন ক্ষতি হতে দেবেন না । এজন্য রাজা রাজকন্যাকে রাখলেন তার রাজ্য থেকে অনেক দূরে এক নির্জন দ্বীপে ।
দেখতে দেখতে রাজকন্যা বড় হলে রাজা চিন্তায় পরে গেলেন তার বিবাহ নিয়ে । কারণ তিনি রাজকন্যাকে কঠোর নজরদাড়িতে রেখেছিলেন , যার কারণে বাহিরের জগৎ সম্পর্কে রাজকন্যার তেমন কোন ধারনাই নেই । এজন্যে রাজা নিজের পছন্দের এক রাজকুমারকে পাঠালেন রাজকন্যার কাছে , যাতে সে রাজকন্যাকে নিজের করে নিতে পারে ।
রাজকুমার রাজকন্যাকে নিয়ে গেল এক অভয়ারণ্যে , যেখানে রয়েছে প্রকৃতি আর তারা দু‘জন।
প্রথমদিন রাজকন্যা খরগোশ দেখে জিজ্ঞেস করল , “আচ্ছা এটা কি ?”
রাজকুমার তার এ নির্জনতার সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইলো । সে বলল , “তুমি আগে আমার লিঙ্গ চেটে দাও।” রাজকন্যা কথামত রাজপুত্রের পুরুষাঙ্গ চেটে দিল । এরপর রাজপুত্র বলল , “এটা খরগোশ , বাঘের প্রিয় খাদ্য ।”
এরপর দিন রাজকুমার আবার রাজকন্যাকে নিয়ে গেল সেই অভয়ারণ্যে । সেখানে হরিণ দেখতে পেয়ে রাজকন্যা জিজ্ঞেস করল , “আচ্ছা এটা কি ?”
রাজকুমার এবারও তার প্রশ্নোত্তরের সদব্যবহার করল । রাজকন্যা তারটা আবার চেটে দিলে রাজকুমার বলল , “এটা হরিণ , এরা তৃণভোজী , বাঘের প্রিয় খাদ্য । ”
এরপর দিন রাজকুমার রাজকন্যাকে নিয়ে সেই অভয়ারণ্যে বেড়াতে এল । এমন সময় রাজকন্যা দেখতে পেল একটি ওসাম্বা । বরাবরের মত আবার রাজকন্যা জিজ্ঞেস করল, “আচ্ছা এটা কি ?” ”
ঠিক এতটুকু বলেই আরমান তার ঠান্ডা হয়ে যাওয়া তুষার ভাইয়ের কফির গুড়া ছিটা চায়ের কাপে চুমুক দিল। গল্পের আকর্ষনীয়তা দেখে প্রত্যেকেই মুগ্ধ হয়ে গেল আরমানের উপর । বিশেষ করে সাইফ , কারণ গল্পের ধরণ আর ওর স্বভাবে কোন পার্থক্য নেই।
আরমান হঠাৎ করে গল্পের মাঝখানে থেমে যাওয়ায় সকলের আগে সাইফ বলে উঠল , “আচ্ছা ওসাম্বা কি ?”
আরমানের স্বাভাবিক উত্তর , “আগে আমারটা চাইটা দে এরপর কমু ।”
একথা শোনার সাথে সাথে সবার হাসি পেল , কারণ এই প্রথমই মনে হয় আরমান সাইফকে বোল্ড করল ।
তবে একটা কথা ঠিকই ভাবনা থেকে বেরিয়ে এল,“We’re the next generation of this country.”

(সমাপ্ত)
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৭৫৮ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৩/০৫/২০১৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • What a story!
  • জাজাফী ১৯/০৫/২০১৪
    এমন সুন্দর গল্পকে কেন যে কেউ এরকম বলতে পারে মাথায় আসেনা।
  • মোঃওবায় দুল হক ১৯/০৫/২০১৪
    খুব ভাল লাগল
  • তাইতো আমরাই দেশের ভবিষ্যত। তাই সময়ের সদ্ব্যবহার করতে হবে। খুব ভালো।
    • তাইবুল ইসলাম ১৪/০৫/২০১৪
      ঠিকই
      সময়ের ব্যবহার আমরা আজ ভুলতে বসেছি
      আপনার ভাল লাগল জেনে প্রীত হলাম
      শুভেচ্ছা রইলো
  • তাইবুল ইসলাম ১৩/০৫/২০১৪
    >>আজ থেকে কয়েক বছর আগের কথা এক পত্রিকায় (পত্রিকার নাম উল্লেখ করলাম না) একটা ছোটগল্প পাঠিয়েছিলাম। ব্যর্থ আমি !!! গল্পটা প্রকাশ করা হয়নি , এর কারণ হিসেবে আমাকে বলা হয়ছিলো – গল্পটা অসংঙ্গতি পূর্ণ । কিন্তু ,আমি যেভাবে লিখেছি সেভাবে দেখলে গল্পের মূলভাবটা অসাধারন , আর বিষয়গুলো স্পষ্ট করে লেখা ।
    >>যারা মতামত দেবেন তারা গল্পের মূলভাবটা নিজের ভাষায় লিখে দেবেন ।
    আশা করি আড্ডাটা ভাল জমবে।
 
Quantcast