প্রাক্তনের সঙ্গে যদি আবার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়ে যায় তবে মাথায় রাখতে হবে কিছু কথা।
সময় মাঝে মাঝে আমাদের সাথে আজব আচরণ করে। কখনো কোনো রাস্তার বাঁকে চলতে চলতে দেখা হয়ে যায় এমন কারো , যার সাথে একসময় একটা রোমান্সের সম্পর্ক হয়েছিল কিন্তু তা স্থায়ী হয়নি।
অনেক ক্ষেত্রে এই হঠাৎ দেখা থেকে শুরু হয় ফের যোগাযোগ। কথাবার্তা চলতে চলতে দু'জন মিলে হঠাৎই আবিষ্কার করি, একসময় মনের মধ্যে পরস্পরের প্রতি যে অনুভূতি জমেছিল তার ওপর সময়ের পলি পড়লেও গভীরে তা একই রকম টাটকা রয়েছে।
এরকম পরিস্থিতিতে অনেকেরই নতুন করে সম্পর্কটা শুরু করতে চায়। প্রাক্তন নতুন করে সম্পর্ক শুরু করাটা নিঃসন্দেহে দারুণ ব্যাপার, কিন্তু দ্বিতীয়বার হ্যাঁ বলার আগে মাথায় রাখতে হবে কিছু জরুরি বিষয়।
প্রেমটা কেন ভেঙে ছিলঃ
প্রাক্তনের নতুন করে পথ চলা শুরু করার আগে নিজেকে উপরের প্রশ্নটা করা দরকার । একটা সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পেছনে নানারকম কারণ থাকতে পারে। সম্পর্কটা দীর্ঘ বা সংক্ষিপ্ত যাই হোক না কেন, ভেঙে যাওয়ার পেছনে নিশ্চিয়ই কোনো কারণ ছিল। অনেক সময় এমন সব কারণে সম্পর্ক ভাঙে যার উপর কারো কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। যেমন- পারিবারিক চাপ, চাকরি সূত্রে অন্য দেশে চলে যেতে বাধ্য হওয়া। এরকম কোনো কারণে বিচ্ছেদ হয়ে থাকলে চিন্তার কিছু নেই, নতুন করে জীবন শুরু করতেই পারে যে কেউ। কিন্তু যদি মতের অমিল, ঝগড়াঝাঁটির মতো কারণে আলাদা হয়ে থাকলে , নতুনভাবে সব কিছু শুরু করার আগে একটু ভাবার দরকার আছে। কারণ সমস্যাগুলো যে আবার ফিরে আসবে না, তার কোনো গ্যারান্টি কিন্তু নেই!
অতীতের কথা ভুলে যেতে হবেঃ
যদি সব পার্থক্য উপেক্ষা করে প্রাক্তনেরই নতুন করে জীবন শুরু হয়, তা হলে কিন্তু অতীতের সমস্ত তিক্ততা ভুলে যেতে হবে। পুরোনো বোঝা নিয়ে ঘুরে লাভ নাই।
অতীতের তুলনা করা যাবে নাঃ
নতুন করে সম্পর্ক শুরু মানে আর মতপার্থক্য হবে না, তা তো নয়! কিন্তু তর্কবিতর্কের সময় বর্তমান সময়টাকে অতীতের নিরিখে বিচার করা ঠিক না। বর্তমান সমস্যাটা মেটানোর ওপরে জোর দিতে হবে, সঙ্গীর আচরণে পুরোনো প্যাটার্ন খুঁজে বের করার চেষ্টা বন্ধ করতে হবে। অতীত থেকে বের করে আনতে হবে নিজেকে।
পারফেকশনের পিছনে দৌড়ে লাভ কীঃ
কেউই নিখুঁত হয় না। তাই জুটি কেন পারফেক্ট কাপলের উদাহরণ হয়ে উঠছে না তা ভেবে মাথা নষ্ট করার মানে হয় না। প্রত্যাশার পারদ নামিয়ে রাখতে হবে, জীবনের ছন্দের তাল মেলানোর চেষ্টাই করা উচিত।
পা বাস্তবের মাটিতে রাখা বাঞ্ছনীয়ঃ
যদি প্রাক্তনের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক শুরু করার ব্যাপারে কেউ সিরিয়াস হয়, তাহলে তার খোলামেলা কথা বলতে হবে। তার মতামত জানতে হবে। আগে থেকে খোলাখুলি কথা বলে নিলে ভবিষ্যতে অনেক অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এড়ানো যাবে।
(বিবাহিত সকল নর-নারী সংসারে সুখী হন।)
সূত্র: ফেমিনা/ঢাকা ট্রিবিউন।
অনেক ক্ষেত্রে এই হঠাৎ দেখা থেকে শুরু হয় ফের যোগাযোগ। কথাবার্তা চলতে চলতে দু'জন মিলে হঠাৎই আবিষ্কার করি, একসময় মনের মধ্যে পরস্পরের প্রতি যে অনুভূতি জমেছিল তার ওপর সময়ের পলি পড়লেও গভীরে তা একই রকম টাটকা রয়েছে।
এরকম পরিস্থিতিতে অনেকেরই নতুন করে সম্পর্কটা শুরু করতে চায়। প্রাক্তন নতুন করে সম্পর্ক শুরু করাটা নিঃসন্দেহে দারুণ ব্যাপার, কিন্তু দ্বিতীয়বার হ্যাঁ বলার আগে মাথায় রাখতে হবে কিছু জরুরি বিষয়।
প্রেমটা কেন ভেঙে ছিলঃ
প্রাক্তনের নতুন করে পথ চলা শুরু করার আগে নিজেকে উপরের প্রশ্নটা করা দরকার । একটা সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পেছনে নানারকম কারণ থাকতে পারে। সম্পর্কটা দীর্ঘ বা সংক্ষিপ্ত যাই হোক না কেন, ভেঙে যাওয়ার পেছনে নিশ্চিয়ই কোনো কারণ ছিল। অনেক সময় এমন সব কারণে সম্পর্ক ভাঙে যার উপর কারো কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। যেমন- পারিবারিক চাপ, চাকরি সূত্রে অন্য দেশে চলে যেতে বাধ্য হওয়া। এরকম কোনো কারণে বিচ্ছেদ হয়ে থাকলে চিন্তার কিছু নেই, নতুন করে জীবন শুরু করতেই পারে যে কেউ। কিন্তু যদি মতের অমিল, ঝগড়াঝাঁটির মতো কারণে আলাদা হয়ে থাকলে , নতুনভাবে সব কিছু শুরু করার আগে একটু ভাবার দরকার আছে। কারণ সমস্যাগুলো যে আবার ফিরে আসবে না, তার কোনো গ্যারান্টি কিন্তু নেই!
অতীতের কথা ভুলে যেতে হবেঃ
যদি সব পার্থক্য উপেক্ষা করে প্রাক্তনেরই নতুন করে জীবন শুরু হয়, তা হলে কিন্তু অতীতের সমস্ত তিক্ততা ভুলে যেতে হবে। পুরোনো বোঝা নিয়ে ঘুরে লাভ নাই।
অতীতের তুলনা করা যাবে নাঃ
নতুন করে সম্পর্ক শুরু মানে আর মতপার্থক্য হবে না, তা তো নয়! কিন্তু তর্কবিতর্কের সময় বর্তমান সময়টাকে অতীতের নিরিখে বিচার করা ঠিক না। বর্তমান সমস্যাটা মেটানোর ওপরে জোর দিতে হবে, সঙ্গীর আচরণে পুরোনো প্যাটার্ন খুঁজে বের করার চেষ্টা বন্ধ করতে হবে। অতীত থেকে বের করে আনতে হবে নিজেকে।
পারফেকশনের পিছনে দৌড়ে লাভ কীঃ
কেউই নিখুঁত হয় না। তাই জুটি কেন পারফেক্ট কাপলের উদাহরণ হয়ে উঠছে না তা ভেবে মাথা নষ্ট করার মানে হয় না। প্রত্যাশার পারদ নামিয়ে রাখতে হবে, জীবনের ছন্দের তাল মেলানোর চেষ্টাই করা উচিত।
পা বাস্তবের মাটিতে রাখা বাঞ্ছনীয়ঃ
যদি প্রাক্তনের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক শুরু করার ব্যাপারে কেউ সিরিয়াস হয়, তাহলে তার খোলামেলা কথা বলতে হবে। তার মতামত জানতে হবে। আগে থেকে খোলাখুলি কথা বলে নিলে ভবিষ্যতে অনেক অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এড়ানো যাবে।
(বিবাহিত সকল নর-নারী সংসারে সুখী হন।)
সূত্র: ফেমিনা/ঢাকা ট্রিবিউন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৬/০৮/২০২৩বেশ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০১/১১/২০২২মানুষ বুঝলে ভালো হবে।
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ৩১/১০/২০২২বেশ সুন্দর বলেছেন!