গোধূলি বেলায় তোমার চেহারা ।
(তিন)
সত্যিকার অর্থে মেয়ে মানুষের আমৃত্যু কোনো ঘর হয় না। যে ঘরে একটা মেয়ের জন্ম হয় যে মানুষ গুলি আদর স্নেহ দিয়ে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে ঠিক তারাই এক সময় মেয়েটাকে ঘর বদলে মরিয়া হয়ে উঠে। আর এই প্রক্রিয়ায় বদল হওয়া ঘর কখনো কখনো জন-মানব পূর্ণ কবরে পরিণত হয় যেখানে বসত করে জিন্দা লাশ। শোন রোহিত, মেয়েদের বড়জোর একটা সংসার হয় আর এই সংসারে মানব থাকলে আলো বাতাস থাকে,বসত করার রসদ থাকে। আর যদি মানব না থাকে তাহলে সেটা একটা মেয়ের জন্য আলো-বাতাসহীন কবর হয়। যে কবরকে সংসার মনে করে ইচ্ছামত হাল চাষ করে নির্দয় কৃষক।
তারপরও কেনো মেয়েরা ঘর বদল করায় ব্যস্ত থাকে মিতালি । স্বামী, সংসার, সন্তান সব কিছূ ছেড়ে ঘর-বর বদল করে।
কারণ মেয়েরা সব সময় ভালোবাসা খোজে । অনেক মেয়েও আজকাল স্বামীকে মানসিক যন্ত্রণায় তিক্ত করে যা ঘর সংসারে প্রভাব পড়ে।
এইটা অতি নগণ্য রোহিত, আমাদের দেশে এখনো নারীরা পুরুষকে নির্যাতন করতে সাহস করে না।
একটা মেয়ের নারীত্ব সার্থক হয় যখন মেয়েটা একটা ঘর পায়, একটা সংসার পায়, সেই সংসারে পার্থিব স্বর্গীয় আমেজ পায়। কিন্তু বদল হওয়া ঘরের মানুষের কুৎসিত আচরণ মেয়েটাকে জীবিতই কবরবাসী করে। যে কবরে জীবত মানুষ থাকে, যে কবরে দেবতা থাকে, যে কবরে বিচার হয় এবং শাস্তি হয় । প্রকৃত কবরের মত সাপ বিচ্ছু ঠোক্কর মারে কিন্তু উহ্ করা যায় না। দেবতার অতিষ্ঠ আচরণের ভিতরও অশ্বরিকভাবে মেয়েটা মা হয়। কিন্তু সুখ কিংবা ভালোবাসা পায় না। ছোটকালে যেমন পড়েছো কৃষক ’রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে সোনালী ফসল ফলায়” ঠিক তেমনি একটা মেয়ে কবর নামক সংসারের অনলে পুড়ে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলে হয়তো ভালোবাসার মানুষের জন্য। মূলতঃ ভালোবাসা অধরা থেকেই যায়।
মিতালি রাগ করলে আগের মত তোমার নাকটা লাল হয়ে যায়। আর কপালের কাটা দাগটায় বার বার ডান হাত দাও। এখনো সেই আগের মত--।
হ্যা, এখনো আগের মত তোমাকেও ভালোবাসি।
তাহলে চলে আসো আমার কাছে। হাঃ হাঃ ।
রোহিত তোমার সংসার সন্তান নিয়ে কিছুই বললে না। এতবার জিজ্ঞাসা করলাম অথচ তুমি এড়িয়ে গিয়েছো, কেনো বলতে চাচ্ছো না।
যা নেই তাই নিয়ে কী বলবো বলো।
মানে কী রোহিত।
মানে তেমন কিছুই না মিতালি, জয়নাল হাজারীর এক লেখায় পড়ে ছিলাম যাযাবরের “দৃষ্টিপাত” পড়ে নারীর প্রতি অনিহা সৃষ্টি হয় উনার। আমি “দৃষ্টিপাত ”পড়ে তোমাকে আরো বেশী বেশী ভালোবাসতে শিখি। তাই হয়তো নিজ সীমানায় তোমাকে খোঁজ করেছি এক নজর দেখার জন্য।
তুমি আমার প্রশ্ন কেনো এড়িয়ে যাচ্ছো বুঝতেছি না। তোমার মা-বাবা কেমন আছেন।
উনারা কেউ এখন আর বেঁচে নাই।
দুঃখিত রোহিত,আমার জানা ছিলো না।
ফয়জুল মহী।
০২/০৩/২২
সত্যিকার অর্থে মেয়ে মানুষের আমৃত্যু কোনো ঘর হয় না। যে ঘরে একটা মেয়ের জন্ম হয় যে মানুষ গুলি আদর স্নেহ দিয়ে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে ঠিক তারাই এক সময় মেয়েটাকে ঘর বদলে মরিয়া হয়ে উঠে। আর এই প্রক্রিয়ায় বদল হওয়া ঘর কখনো কখনো জন-মানব পূর্ণ কবরে পরিণত হয় যেখানে বসত করে জিন্দা লাশ। শোন রোহিত, মেয়েদের বড়জোর একটা সংসার হয় আর এই সংসারে মানব থাকলে আলো বাতাস থাকে,বসত করার রসদ থাকে। আর যদি মানব না থাকে তাহলে সেটা একটা মেয়ের জন্য আলো-বাতাসহীন কবর হয়। যে কবরকে সংসার মনে করে ইচ্ছামত হাল চাষ করে নির্দয় কৃষক।
তারপরও কেনো মেয়েরা ঘর বদল করায় ব্যস্ত থাকে মিতালি । স্বামী, সংসার, সন্তান সব কিছূ ছেড়ে ঘর-বর বদল করে।
কারণ মেয়েরা সব সময় ভালোবাসা খোজে । অনেক মেয়েও আজকাল স্বামীকে মানসিক যন্ত্রণায় তিক্ত করে যা ঘর সংসারে প্রভাব পড়ে।
এইটা অতি নগণ্য রোহিত, আমাদের দেশে এখনো নারীরা পুরুষকে নির্যাতন করতে সাহস করে না।
একটা মেয়ের নারীত্ব সার্থক হয় যখন মেয়েটা একটা ঘর পায়, একটা সংসার পায়, সেই সংসারে পার্থিব স্বর্গীয় আমেজ পায়। কিন্তু বদল হওয়া ঘরের মানুষের কুৎসিত আচরণ মেয়েটাকে জীবিতই কবরবাসী করে। যে কবরে জীবত মানুষ থাকে, যে কবরে দেবতা থাকে, যে কবরে বিচার হয় এবং শাস্তি হয় । প্রকৃত কবরের মত সাপ বিচ্ছু ঠোক্কর মারে কিন্তু উহ্ করা যায় না। দেবতার অতিষ্ঠ আচরণের ভিতরও অশ্বরিকভাবে মেয়েটা মা হয়। কিন্তু সুখ কিংবা ভালোবাসা পায় না। ছোটকালে যেমন পড়েছো কৃষক ’রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে সোনালী ফসল ফলায়” ঠিক তেমনি একটা মেয়ে কবর নামক সংসারের অনলে পুড়ে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলে হয়তো ভালোবাসার মানুষের জন্য। মূলতঃ ভালোবাসা অধরা থেকেই যায়।
মিতালি রাগ করলে আগের মত তোমার নাকটা লাল হয়ে যায়। আর কপালের কাটা দাগটায় বার বার ডান হাত দাও। এখনো সেই আগের মত--।
হ্যা, এখনো আগের মত তোমাকেও ভালোবাসি।
তাহলে চলে আসো আমার কাছে। হাঃ হাঃ ।
রোহিত তোমার সংসার সন্তান নিয়ে কিছুই বললে না। এতবার জিজ্ঞাসা করলাম অথচ তুমি এড়িয়ে গিয়েছো, কেনো বলতে চাচ্ছো না।
যা নেই তাই নিয়ে কী বলবো বলো।
মানে কী রোহিত।
মানে তেমন কিছুই না মিতালি, জয়নাল হাজারীর এক লেখায় পড়ে ছিলাম যাযাবরের “দৃষ্টিপাত” পড়ে নারীর প্রতি অনিহা সৃষ্টি হয় উনার। আমি “দৃষ্টিপাত ”পড়ে তোমাকে আরো বেশী বেশী ভালোবাসতে শিখি। তাই হয়তো নিজ সীমানায় তোমাকে খোঁজ করেছি এক নজর দেখার জন্য।
তুমি আমার প্রশ্ন কেনো এড়িয়ে যাচ্ছো বুঝতেছি না। তোমার মা-বাবা কেমন আছেন।
উনারা কেউ এখন আর বেঁচে নাই।
দুঃখিত রোহিত,আমার জানা ছিলো না।
ফয়জুল মহী।
০২/০৩/২২
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মশিউর ইসলাম (বিব্রত কবি) ১০/০৩/২০২২মনমাতানো লেখনী
-
এস. কে. সুবল চন্দ্র মামাহাত্ম্য ০৭/০৩/২০২২এ যেন ব্যর্থ প্রেমের একরাশ গাম্ভীর্য অভিমান।
-
মোঃ আমিনুল ইসলাম মিঠু ০৫/০৩/২০২২নারী ভাবনার এক অনন্য লেখা।
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ০৫/০৩/২০২২বেশ আকর্ষণীয় লেখা!
আবেশিত সুধা হৃদয় আলোড়িত করলো! -
এস. কে. সুবল চন্দ্র মামাহাত্ম্য ০৪/০৩/২০২২অনেক সুন্দর লেখেছেন। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
-
আলমগীর সরকার লিটন ০৩/০৩/২০২২অনেক শুভেচ্ছা জানাই মহী দা
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০৩/০৩/২০২২বেদনাবিধুর অন্ত