গোধূলি বেলায় তোমার চেহারা
(দুই)
হিমালয় পৃথিবীর সৌন্দর্যের রাণী । এই সৌন্দর্যের রাণীকে দেখে শুধু মানুষের চোখই জুড়ায় না, হিমালয়ের বরফগলা পানি ভারত উপমহাদেশের মানুষের জীবন জীবিকার সাথেও অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। অর্থাৎ হিমালয়ের বরফগলা পানি ভারত, বাংলাদেশ পাকিস্তানের নদীতেই প্রবাহিত হয়। তবে এখন আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে গরমকালে অতিরিক্ত বরফগলে যায়। আবহাওয়াবিদগণের মতে এইভাবে বরফ গলতে থাকলে অদুর ভবিষ্যতে হিমালয়ে আর বরফ থাকবে না। তখন পরিবেশের উপর মারত্মক প্রভাব পড়বে, এবং পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে। হিমালয়ের পানিই যেহেতু ভারত হয়ে অন্য দেশে যায় তাই ভারত এই দুই দেশের পানি নিয়ে রাজনীতি করে সবসময়। হয়তো একদিন এই পানি নিয়ে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ অবস্থা হবে, ছোট বাংলাদেশ ভারত হতে আইন অনুসারে পানি না পেলেও চুপ থাকবে। হিমালয়ের পানি আসা বন্ধ হলে হয়তো এই তিন দেশের এক তৃতীয়াংশ মরুভূমিতে পরিনত হতে পারে তাই ভারত নিজ দেশকে বাঁচাতে অন্য দেশের সাথে কেমন আচরণ করবে এখনকার পানি রাজনীতি দেখেই অনুমান করা যায়।
আরে , রোহিত একদম চুপ হয়ে গেলে যে, কষ্ট পেয়েছো মনে হচ্ছে।
না , কষ্ট পাওয়া আমার উচিত নয় । কষ্ট দেওয়াই আমার কাজ।
একদম ঠিক বলেছো বাস্তবতা দেখলেই পালিয়ে বেড়ানো যেমন তোমার কাজ, তেমনি মানুষকে জীবনের অন্ধকার রাস্তায় ফেলে দেওয়াই তোমার কাজ। তাইতো বিখ্যাত প্রবাদ বাক্য “রাখে আল্লাহ মারে কে”। হাঃ হাঃ হাঃ।
তোমার হাসিটা স্কুল কলেজের সেই তরুণীর মত। কিন্তু এখন তুমি একটা মহিলা তাই তোমার হাসিতে বুকটা কেঁপে উঠে।
ওহ তাই, বোকার মত এত দুরে বসেছো কেনো বাতাসের শব্দে কথাই বুঝতে পারছি না। শুনো, আশা আকাঙ্ক্ষা ভালবাসা যন্ত্রণা এই নিয়েই আমাদের জীবন । মনের যন্ত্রণা যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যায় তখন আশা আকাঙ্ক্ষা মুখ থুবড়ে পড়ে, আশারা নির্মূল হয় এবং দীর্ঘ নিঃশ্বাসের ধোঁয়ায় কালো হয়ে যায় ভবিষ্যত আর হতাশার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় উৎস ও আকাঙ্ক্ষার দুপ ।
তুমি যখন বিদেশে যাবো বিদেশে যাবো করতে তখন খুব বিরক্ত লাগতো।
হ্যাঁ কিছুটা আমি বুঝতে পারতাম মিতালি।
সত্যিই তুমি একদিন চলে গেলে । এরপর তোমার দেওয়া সময়টাকে দুঃখের কিস্তি করে পার করতে লাগলাম। বিয়ের আগে সেই দুই বছরে কতবার যে বাবার মার খেয়েছি কতবার যে মার বকা শুনেছি হিসাব রাখতে পারিনি। কতবার বিয়ে ভেঙ্গে চরিত্রহীন অপবাদ পেয়েছি আমার রুমের ফ্যানটা জানে। না , মরে পাপ করেনি জীবিত থেকে পৃথিবী আবাদ করেছি, ভালোবাসার রূপান্তর করেছি। তাই একদিন আবিষ্কার করলাম আমার পাশে সুদর্শন এক রাজকুমারকে। তার হাতে সমর্পণ করলাম নিজেকে। কিন্তু এই সমর্পণ সম্পূর্ণ করতে মন সায় দিতো না কারণ প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হওয়া ভালোবাসাটা দেয়াল সৃষ্টি করতো। খুব কান্না আসতো যখন লোকটা আমাকে নিয়ে টিলা পাহাড় পর্বত আরোহী হতো। আস্তে আস্তে ভদ্রলোক সব জেনে গেল এবং আমাকে আরো আরো ভালোবাসার স্বাধীনতা দিলো। চিমটি কামড় গালি এইসব দিতে দিতে একদিন আবিষ্কার করি আমি রমণী, তাই একটা প্রাণের অস্তিত্ব ধারণ করলাম।
খুব খুব কান্না আসলো তোমার মায়াবী মুখ কল্পনা করে। ঘর ভর্তি একদল বাচ্চা তার মাঝে তুমি আমি এমন জগত বানাতে বানাতে সেই অসহ্য লোকটার সন্তানের মা হলাম আর জানলাম তূমি স্পেনের মাদ্রিদের নাগরিক।
ফ য় জু ল ম হী
২২/০২/২২
হিমালয় পৃথিবীর সৌন্দর্যের রাণী । এই সৌন্দর্যের রাণীকে দেখে শুধু মানুষের চোখই জুড়ায় না, হিমালয়ের বরফগলা পানি ভারত উপমহাদেশের মানুষের জীবন জীবিকার সাথেও অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। অর্থাৎ হিমালয়ের বরফগলা পানি ভারত, বাংলাদেশ পাকিস্তানের নদীতেই প্রবাহিত হয়। তবে এখন আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে গরমকালে অতিরিক্ত বরফগলে যায়। আবহাওয়াবিদগণের মতে এইভাবে বরফ গলতে থাকলে অদুর ভবিষ্যতে হিমালয়ে আর বরফ থাকবে না। তখন পরিবেশের উপর মারত্মক প্রভাব পড়বে, এবং পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে। হিমালয়ের পানিই যেহেতু ভারত হয়ে অন্য দেশে যায় তাই ভারত এই দুই দেশের পানি নিয়ে রাজনীতি করে সবসময়। হয়তো একদিন এই পানি নিয়ে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ অবস্থা হবে, ছোট বাংলাদেশ ভারত হতে আইন অনুসারে পানি না পেলেও চুপ থাকবে। হিমালয়ের পানি আসা বন্ধ হলে হয়তো এই তিন দেশের এক তৃতীয়াংশ মরুভূমিতে পরিনত হতে পারে তাই ভারত নিজ দেশকে বাঁচাতে অন্য দেশের সাথে কেমন আচরণ করবে এখনকার পানি রাজনীতি দেখেই অনুমান করা যায়।
আরে , রোহিত একদম চুপ হয়ে গেলে যে, কষ্ট পেয়েছো মনে হচ্ছে।
না , কষ্ট পাওয়া আমার উচিত নয় । কষ্ট দেওয়াই আমার কাজ।
একদম ঠিক বলেছো বাস্তবতা দেখলেই পালিয়ে বেড়ানো যেমন তোমার কাজ, তেমনি মানুষকে জীবনের অন্ধকার রাস্তায় ফেলে দেওয়াই তোমার কাজ। তাইতো বিখ্যাত প্রবাদ বাক্য “রাখে আল্লাহ মারে কে”। হাঃ হাঃ হাঃ।
তোমার হাসিটা স্কুল কলেজের সেই তরুণীর মত। কিন্তু এখন তুমি একটা মহিলা তাই তোমার হাসিতে বুকটা কেঁপে উঠে।
ওহ তাই, বোকার মত এত দুরে বসেছো কেনো বাতাসের শব্দে কথাই বুঝতে পারছি না। শুনো, আশা আকাঙ্ক্ষা ভালবাসা যন্ত্রণা এই নিয়েই আমাদের জীবন । মনের যন্ত্রণা যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যায় তখন আশা আকাঙ্ক্ষা মুখ থুবড়ে পড়ে, আশারা নির্মূল হয় এবং দীর্ঘ নিঃশ্বাসের ধোঁয়ায় কালো হয়ে যায় ভবিষ্যত আর হতাশার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় উৎস ও আকাঙ্ক্ষার দুপ ।
তুমি যখন বিদেশে যাবো বিদেশে যাবো করতে তখন খুব বিরক্ত লাগতো।
হ্যাঁ কিছুটা আমি বুঝতে পারতাম মিতালি।
সত্যিই তুমি একদিন চলে গেলে । এরপর তোমার দেওয়া সময়টাকে দুঃখের কিস্তি করে পার করতে লাগলাম। বিয়ের আগে সেই দুই বছরে কতবার যে বাবার মার খেয়েছি কতবার যে মার বকা শুনেছি হিসাব রাখতে পারিনি। কতবার বিয়ে ভেঙ্গে চরিত্রহীন অপবাদ পেয়েছি আমার রুমের ফ্যানটা জানে। না , মরে পাপ করেনি জীবিত থেকে পৃথিবী আবাদ করেছি, ভালোবাসার রূপান্তর করেছি। তাই একদিন আবিষ্কার করলাম আমার পাশে সুদর্শন এক রাজকুমারকে। তার হাতে সমর্পণ করলাম নিজেকে। কিন্তু এই সমর্পণ সম্পূর্ণ করতে মন সায় দিতো না কারণ প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হওয়া ভালোবাসাটা দেয়াল সৃষ্টি করতো। খুব কান্না আসতো যখন লোকটা আমাকে নিয়ে টিলা পাহাড় পর্বত আরোহী হতো। আস্তে আস্তে ভদ্রলোক সব জেনে গেল এবং আমাকে আরো আরো ভালোবাসার স্বাধীনতা দিলো। চিমটি কামড় গালি এইসব দিতে দিতে একদিন আবিষ্কার করি আমি রমণী, তাই একটা প্রাণের অস্তিত্ব ধারণ করলাম।
খুব খুব কান্না আসলো তোমার মায়াবী মুখ কল্পনা করে। ঘর ভর্তি একদল বাচ্চা তার মাঝে তুমি আমি এমন জগত বানাতে বানাতে সেই অসহ্য লোকটার সন্তানের মা হলাম আর জানলাম তূমি স্পেনের মাদ্রিদের নাগরিক।
ফ য় জু ল ম হী
২২/০২/২২
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Md. Rayhan Kazi ০২/০৩/২০২২চমৎকার
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২৬/০২/২০২২পরিবেশ থেকে ভালোবাসায় উত্তরণের গল্প। বেশ ভালো।
-
জানবক্স খান ২৩/০২/২০২২গোধূলি বেলায় তোমার চেহারা, ১, ২ পড়েছি। ভালো লাগছে।
-
শুভজিৎ বিশ্বাস ২৩/০২/২০২২বেশ সুন্দর...
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ২৩/০২/২০২২পরিবেশ দিয়ে শুরু হয়ে ভালোবাসার দিকে ধাবিত হওয়া গল্প। বেশ ভালো লাগলো।