ফেসবুক কবি ও কেরামত আলী
এই কেরামত উঠ মক্তবে পড়াতে যেতে হবে। বাবার চিৎকারে কেরামত পুরাতন কম্বলটা টেনে নিয়ে মুখ ঢেকে শীতের ভয়ে। একটা প্রবাদ আছে “মাঘের শীত বাঘের গায়ে” অর্থাৎ মাঘ মাসের শীত বাঘের গায়েও লাগে। মাঘ মাসে শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে ছোট বাচ্চার জন্য বাড়ির সদর দরজায় কাচারিতে সকালে আরবী পড়তে যাওয়া খুবই কষ্টকর । তবে ছোট বয়সে একটু সুরা কেরাত শিখলে নামাজ কালাম পড়তে পারবে এবং তা প্রত্যেক মুসলিম বাচ্চাদের শিখানো হয়। অসলতার কারণে কেরামত বিছানা ছেড়ে উঠতে চাইতেছে না আজ। নবাব আলীর দুই ছেলে এক মেয়ের ভিতর কেরামত আলী মেজ। নবাব আলী স্থানীয় বাজারে হোমিওপ্যাথি ডাক্তার, বড় ছেলে কলেজে পড়ে,কেরামত পড়ে মাদ্রাসায় এবং সে সকালে ছোট বাচ্চাদের মক্তবের হুজুর আর সবার ছোট মেয়েটা পড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
রোকন আলী বাপের সাথে হোমিওপ্যাথি দোকানে বসে রোজ বিকালে। তাই আস্তে আস্তে অনেকটা শিখে ফেলছে কখনো নবাব আলী না থাকলে পুত্র রোকন আলীই রোগী দেখে। এবং অবসরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুকিটাকি লেখা-লেখি করে। তবে এলাকায় যেমন নবাব আলী ডাক্তার নামে পরিচিত তেমনি রোকন আলীও ডাক্তার নামে পরিচিত। নবাব আলীর ছেলেরা সবাই মেধাবী। রোকন আলী ইদানিং ফেসবুক নিয়ে পড়ে থাকে। ফেসবুকে জন প্রতি সাহিত্য গ্রুপ থাকলেও রোকন আলীর কোন গ্রুপ নাই। তবে সে নিজে হাজার গ্রুপের সদস্য, গ্রুপে সাহিত্যের প্রতিযোগিতা হয় সেও অংশগ্রহন করে, কখনো প্রথম হয় কখনো হয় দ্বিতীয় যার ফলস্বরূপে শত শত অভিনন্দন পত্র হোমিওপ্যাথি দোকানে ঝুলতেছে। এইসব দেখে তার বন্ধুরা কেউ হাসে কেউ বাহবা দেয়। কিন্তু কেরামত এইটা পাগলী মনে করে।
দোকানে গেলে কখনো কখনো দুই একটা অভিনন্দন পত্র ছিড়ে ডাস্টবিনে ফেলে অট্টহাসি দেয়। ঘরে দুই ভাই পড়তে বসলে কেরামত মোবাইল নিয়ে ফেসবুকে রোকেনের কিংবা অন্যদের কবিতা পড়ে ভাইয়ের সাথে রাগ করে। কারণ লেখায় বানান ভুল, বিরাম চিহ্নের অতিরিক্ত ব্যবহার, ছন্দহীন, ভাবহীন, সাময়িক চিন্তাহীন, রসহীন, মানহীন, মননহীন, সৃজনহীন ও শ্রুতিমধুরহীন কবিতার প্রতিযোগিতায় রোকন প্রথম কিংবা দ্বিতীয় হয়। কেরামত মনে করে কবিতা নয় যেন ববিতার ছবি দেখা। এইসব প্রতিযোগিতায় যারা বিচারক তারাও ফেসবুকের অখ্যাত কবি। হয়তো তাদের কারো কারো কবিতা বিচারের মানদণ্ডে ফেলার যোগ্যও নয়। গদ্য কবিতা, গীতি কবিতা, পদ্য কবিতার কোন বাচবিচার নাই। নাই কোন যথাযথ ব্যাকরণ ও অর্থপূর্ণ শব্দের ব্যবহার। ভুল বানানে শব্দের অর্থ পরিবর্তন হয়ে গেলে তখন সেটা সাহিত্যের ক্ষতি সাধন।
কেরামত ভাইকে বলে যারা তোমাকে এইসব সনদ দিচ্ছে তাদের কি বাংলা একাডেমির সাহিত্যিক সনদ আছে। রোকন তখন মুচকি হাসে বলে এখন টাকা দিয়ে বাংলা একাডেমি হতে সাহিত্য পুরষ্কার নেয়। তাইতো সাহিত্যে শহর কিংবা গ্রামের মানুষের জীবনের ছবি ফুটে উঠে না। কোন গায়িকার গানের কথা “বন্ধু আমার নাইট কোচের ড্রাইভার”। কিংবা হিরো আলামের গানের কথা “বাবু খাইছো”। এই সব গানের মত ফেসবুকের বর্তমান সাহিত্যের অবস্থা কিংবা সনদ I
(প্রথম কিস্তি )।
ফেসবুক কবি ও কেরামত আলী।
ভাইয়া ফেসবুক গ্রুপের প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে ভার্চুয়াল সনদ পেয়ে এবং যে তোমার টাইমলাইনে পোষ্ট দাও এতে তোমার লজ্জা লাগার কথা, অথচ তোমার খুশি লাগে! কারণ যারা প্রকৃত সাহিত্য চর্চা করে তারা কখনো এমন পোষ্ট দিবে বলে মনে হয় না। কেরামতের কথায় রোকন আহতবোধ করে কিন্তু কোনো উত্তর দেয় না। ঠিক এই সময় কয়েকটা বার্তা আসে ম্যাসেঞ্জার বক্সে কোনোটা সনদ পেয়ে নিজেকে প্রচার করা আবার কোনোটা ভার্চুয়াল লাইভ অনুষ্ঠানের আত্ম প্রচার যা বিভিন্ন গ্রুপের পরিচালকের বার্তা। মনে হয় যেন এই প্রচারে সে দেশ সেরা কবি হয়ে যাবে।
এই যা তোর পড়া পড়তে যা রোকন রাগ করে কেরামত আলীর সাথে।
আরেকটা কথা ভাইয়া এখন ফেসবুকের গলিতে গলিতে কবিতা আবৃত্তিকার পাওয়া যায়। তাদের কি কবিতা আবৃতির প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দীক্ষা আছে?
কারণ কবিতা আবৃতির জন্য সঠিক বাচনভঙ্গি দরকার, শুদ্ধ উচ্চারণ দরকার, শ্রুতিমধুরতা দরকার।
তুই এবার একটু চুপ কর ভাই। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিধাতার দেওয়া নেইমা থাকে মানুষের ভিতর। যেমন কাজী নজরুল ইসলাম।
হাঃ হাঃ হাঃ এমন প্রতিভা হাজারে একটা হয় ভাইয়া।
তা ঠিক, রোকন বলে, সব সময় লেখার মান এক রকম হয় না। যারা পাঠক প্রিয় জিনিয়াস লেখক তাদের লেখাও সব এক রকম নয়।
তাই আমি বলতে চাই ভাইয়া। শত শত ফেসবুক সাহিত্যিক আছে যাদের লেখার মান খুব উচু মানের কিন্তু সব লেখা নয় তাই প্রতিযোগিতা করে লেখার মান যাচাই করা মোটেই যুক্তিপূর্ণ নয়। তাহাছাড়া ফেসবুক গ্রুপ সাহিত্যের কোনো উপকারেই আসছে না তবে কিছু অনলাইন সংগঠন ও সংগঠক সৃষ্টি হয়েছে যারা কখনো কখনো গ্রুপিং করে এবং নিজেকে রাঘববোয়াল ভাবতে ভালোবাসে।
শুন কেরামত ফেসবুকে লিখেই অনেক কবি লেখক সৃষ্টি হয়েছে। শতভাগ সত্য কথা। যারা নিজের টাকা খরচ করে বই বাহির করে প্রতি দিন নিজের টাইমলাইনে বিজ্ঞাপন দেয় বইয়ের। ইনবক্সেও অন্যকে বলে আমার বইটা কিনুন। আবার কখনো কখনো প্রতারক প্রকাশকের খপ্পরে পড়ে আমও যায় ছালাও যায়। তবে আমারও কিন্তু কবিতা লিখতে ইচ্ছে করে।
"রাম, লক্ষণ ও সীতার সুখের সংসার
রাবণ দুষ্ট মুগ্ধ হয় সীতার রূপে। অথচ
রাবণ ধর্ষণ করেনি সীতাকে
কিন্তু রহিমেরা রোজ ধর্ষণ করে সেতারাকে।"
তুই মৌলভী মানুষ কবিতার কি বূঝবি, তোর ফেসবুক দেখাও ঠিক না।
কেন দেখা ঠিক না, ভুল ধারণা তোমার ভাইয়া। বর্তমানে ফেসবুক পেপার পত্রিকার চেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। ভালো খারাপ নিয়ে যেহেতু দুনিয়া তাই ভালো গ্রহণ করবো খারাপ পরিহার করবো। নুসরাত, তিন্নি সিনহা ও রায়হান এদের ঘটনা ফেসবুকের কারণে দেশে কাঁপন হয়েছে, সেই কাঁপনে বিচার হচ্ছে।
ফেইক আইডির ফেইক খবর আমি দেখি না তাই আমি কবিতা লিখি ও পড়ি বুঝলি কেরামত।
(দ্বিতীয় কিস্তি )।
ফেসবুক কবি ও কেরামত আলী।
আরো একটা দিক লক্ষণীয় ফেসবুকে সেটা অবশ্যই বিতর্কমূলক আর রাজনৈতিক পোষ্ট। রাজনৈতিক নেতা মারা গেলে একপক্ষ সেই লোককে খারাপ বলে পোষ্ট দেয় যা ভাইরাল হয় খুব দ্রুত, এইটা আমার দৃষ্টিতে ঘৃণিত কাজ। আরেক পক্ষ তা সহ্য করতে না পারলে মামলা হামলার আশ্রয় নেয়। এই দুইটাই বাজে কাজ, মৃত লোককে সব কিছুর উপরে রাখা ভদ্রতা কারণ বিধাতা তাঁর আত্মার মালিক। কেউ খারাপ কিংবা ভালো বললে মৃত লোকের কিছুই আসে যায় না। এই ফেসবুক অনেককে হিরো আবার অনেককে জিরো বানিয়েছে। তবে একটা কথা বলা দরকার যেটা তোর আমার বেলায় প্রযোজ্য ।
“একটা মোবাইল ভিতরে ইন্টারনেট, একটা মোটরসাইকেল ও একটা নির্জন কক্ষ,একজন সন্তান ধ্বংস। একটা স্বপ্ন ধ্বংস ও একটা পরিবার ধ্বংস।” আমাদের দেশে মিথ্যা এবং গুজবের উর্বর ক্ষেত্র ফেসবুক যেটা অন্য দেশে নেই এমনকি টুইটারসহ অন্য মাধ্যমে মিথ্যা প্রচার করা যায় না। তারা অভিযোগ পেলে যাচাই করে এবং পোষ্ট ডিলিট করে সর্তক করে পরে আবার একই কাজ করলে আইডি ব্যান করে দেয়। এতে আমেরিকা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেও ছাড় দেয়নি টুইটার কতৃপক্ষ।
আর লিংকডইনে আইডি করাও কঠিন। সেখানে ব্যবসা বাণিজ্যসহ সব প্রচার হয় এবং বিশ্বের ক্ষমতাধর ও শক্তিমান নেতা, বড় বড় বহুজাতিক কোম্পানির আইডি আছে এবং চাকরী খোজ করার একটা বড় মাধ্যম। ফেসবুকের মত গাধা-ঘোড়ার দৌড়াদৌড়ি নাই। বগ্লতো আধুনিক যুগের উৎকৃষ্ট লেখার মাধ্যম সেখানে আধুনিক মানুষের আধুনিক চিন্তা রচনা হয়। তবে কিছু ইসলাম ধর্ম বিরোধী লেখা বাদ দিলে বগ্ল খুবই উত্তম মাধ্যম। যারা নাস্তিক তাদের লেখাও খুবই জ্ঞান গম্ভীর এবং আস্তিকদের লেখাও হাদিস কোরানের আলোকে এতই আকর্ষণীয় থাকে যে চিন্তার ধরন শক্ত করে। যেমন সামওয়্যার বগ্লে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছটিয়ে থাকা বাংলা ভাষার মানুষের বিচরণ ক্ষেত্র। সেখানে এমন প্রতিযোগিতা চোখে পড়ে না তবে সব ধরনের লেখায় গভীর আলোচনা-সমালোচনা হয় যা লেখক সহজ সরলভাবে মেনে নেয় এবং নিজেকে উন্নত করে।
ভাইয়া যাই করো যাই লিখো দেশে ডিজিটাল আইনের ৫৭ ধারা আছে। আমরা গরিব মানুষ, আমাদের জন্য খেয়ে পরে বেঁচে থাকাই যেখানে কঠিন সেখানে লেখাপড়া নষ্ট করে ফেসবুক উপভোগ করা বিলাসিতা।
ঠিক কথা। তাই কিছু রাজনৈতিক পোষ্ট এড়িয়ে চলি। বিশেষ করে দলীয় ভিডিও ও লেখা যা ফেসবুকে খুব জনপ্রিয় হয়, যা হাজার হাজার লাইক কমেন্টে ভরপুর থাকে। কিছু মাওলানার সত্য মিথ্যার মিশ্রণে ওয়াজ, মঞ্চে বসে সুর করে হেলেদুলে ওয়াজ লাইক কমেন্টে ভরপুর থাকে অথচ এই ওয়াজ ভারতবর্ষেই বিদ্যমান শুধু। এইটা কখনোই ধর্মের উপকারী নয়। ধর্ম শুনার নয় গবেষণার জিনিস যা পড়লেই আমরা জানতে পারবো।
ওয়াজ যেহেতু আমাদের দেশে একটা প্রচলিত প্রথা তাই মেনে চলাই ভালো। এতে কিছু মাওলানার সংসার চলে এইসব বন্ধ করা উচিত নয়। আর বর্তমান যুগে বাধা দিয়ে কোনো কিছু দমিয়ে রাখা যাবে না, গেলেও সেটা সাময়িক কারণ বাংলাদেশ ধর্মপ্রাণ মুসলিমের দেশ তবে জঙ্গীদের নয় প্রতিটি মানুষ বিজ্ঞানময় আধুনিক কর্মের শিক্ষায় শিক্ষিত হলে মানুষ যখন শিক্ষা শেষে চাকরী পাবে এইসব ওয়াজ নসীহত এমনিতে বন্ধ হয়ে যাবে।
(তৃতীয় কিস্তি)।
ফেসবুক কবি ও কেরামত আলী।
চুপচাপ দেখ কোন কথা বলবি না।
ঠিক আছে ভাইয়া, তবে একটা পোষ্ট দিবো তোমার টাইমলাইনে, লেখা শেষ হলে তোমাকে দেখিয়ে তারপর পোষ্ট করবো। অনেকের গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ পড়তে খুব ভালো লাগে আরো ভালো লাগে তুমি নামের আগে কিংবা পরে কোন বিশেষণ ব্যবহার করো না। অনেকে কবি, প্রবন্ধকার, গল্পকার, গীতিকার ও কথা সাহিত্যিক লিখে নিজেকে সাহিত্যের তালগাছ মনে করে।
আর কোন কথা বলবি না চুপচাপ লেখ।
ইয়েস ব্রাদার।কেরামত হাসি দিয়ে লিখতে থাকে।
নবাব এলএলবি সিনেমার পরিচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ হলো পুলিশকে অপমান করা হয়েছে। কিন্তু ইসলামকে অপমান করায় “কমান্ডো” মুভির পরিচালককে কিছুই করা হয়নি!
খারাপ কাজ এবং খারাপ লোকের রূপক অর্থে মুখে দাড়ি মাথায় টুপি নাটক সিনেমায় দেখানো পুরানো রেওয়াজ। এবার ইসলামকে অপমান করতে সরাসরি কালিমা ব্যবহারের স্পর্ধা দেখিযেছে! পোস্টারে শুধু কালেমা না, নব্যুওতের মোহরও ব্যবহার করা হয়েছে! জঙ্গীবাদের সাথে এই ধারণা কিভাবে আসে? এই স্পর্ধা কোথায় পেলো এই “কমান্ডো” ছবির কলাকৌশলি!
কালেমা শ্রদ্ধার, সম্মানের, শান্তির ও গৌরবের। এ কলেমাকে দুনিয়ার বুকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য স্বয়ং নবী তৎকালে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন, এবং বুঝিয়েছেন কলেমার মহাত্ম্য। এটি ইসলামের একটা অবিচ্ছদ্য অংশ, এই কলেমা খচিত পতাকার অবমাননা কোনো বিবেকবান মুসলিমের পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব নয়। আপশোস হলো এই সিনেমায় জড়িত অনেকেই আবার মুসলিম।
এছাড়া আরেকটা বিষয় হলো ‘'কমান্ডো'‘ ছবিতে কোন বাংলাদেশকে দেখানো হয়েছে বুঝতেছি না। ছবিটিতে দেখানো হয়েছে বাংলাদেশ যেন সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য। আর সন্ত্রাসীদের দেখানো হয়েছে সুন্নতের লেবাসে। সন্ত্রাসীদের প্রতীক কালেমা খচিত পতাকা, '‘নারায়ে তাকবীর-আল্লাহু আকবার'‘ মুখে স্লোগান এবং তাদের উপস্থাপন করা হয়েছে ইসলামি জিহাদি হিসাবে।একজন এসে এইসব জিহাদিদের দমন করে। এরকম কাল্পনিক মনগড়া গল্প বানিয়ে র্বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ব্যাপারে কী বার্তা দেয়া হচ্ছে! অথচ বাংলাদেশ হলো উদার মুসলমানদের দেশ।
এ রকম ছবি তৈরি করার উদ্দেশ্য কী? এরা কার দালালি করতেছে, কার টাকায় এমন ছবি। অন্য ধর্ম নিয়ে এমন ছবি এমন মনগড়া প্রচার কেউ করে না। একদল লোক মুসলিম হয়ে কেন নিজের ধর্ম অবমাননা করে বুঝি না, পছন্দ না হলে ধর্ম ত্যাগ করা যেতে পারে। কালেমা ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করি এবং এর চেতনা ধারণ করি। তাই আমার অপরিহার্য দায়িত্ব তা ব্যাপক ভাবে তুলে ধরা ও প্রচার করা। ইসলামের বিজয় যুগে যুগে হয়েছে। ইসলামের স্বর্ণালী উপাখ্যান বার বার সামনে আসবে।
নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকা, সাংবাদিক-সাহিত্যিক, বয়াতি মোটকথা উচ্চ পর্যায়ের নাগরিক সমাজ জীবনকে খুবই উপভোগ করে। দেশে বিদেশে ভ্রমণে আরাম আয়াসে এদের কমতি হয় না কারণ উনাদের কাছে অঢেল টাকা-পয়সা থাকে। মজার বিষয় মরণের আগে আবার রাষ্ট্রের কাছেই হাত পাতে চিকিৎসার জন্য। গুণী লোকের কদর করা রাষ্ট্রের অবশ্যই দায়িত্ব তাই রাষ্ট্রের টাকায় চিকিৎসা চলে। আর সেই টাকা আপনার ও আমার, তাঁরা যাদের ধর্মকর্মে আঘাত করে তাদের টাকায় চিকিৎসা করে কেউ ভালো হয়, কেউ মরে। কেরামত আলী ক্ষোভ নিয়ে লিখে ফেসবুকে।
(শেষ কিস্তি)।
রোকন আলী বাপের সাথে হোমিওপ্যাথি দোকানে বসে রোজ বিকালে। তাই আস্তে আস্তে অনেকটা শিখে ফেলছে কখনো নবাব আলী না থাকলে পুত্র রোকন আলীই রোগী দেখে। এবং অবসরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুকিটাকি লেখা-লেখি করে। তবে এলাকায় যেমন নবাব আলী ডাক্তার নামে পরিচিত তেমনি রোকন আলীও ডাক্তার নামে পরিচিত। নবাব আলীর ছেলেরা সবাই মেধাবী। রোকন আলী ইদানিং ফেসবুক নিয়ে পড়ে থাকে। ফেসবুকে জন প্রতি সাহিত্য গ্রুপ থাকলেও রোকন আলীর কোন গ্রুপ নাই। তবে সে নিজে হাজার গ্রুপের সদস্য, গ্রুপে সাহিত্যের প্রতিযোগিতা হয় সেও অংশগ্রহন করে, কখনো প্রথম হয় কখনো হয় দ্বিতীয় যার ফলস্বরূপে শত শত অভিনন্দন পত্র হোমিওপ্যাথি দোকানে ঝুলতেছে। এইসব দেখে তার বন্ধুরা কেউ হাসে কেউ বাহবা দেয়। কিন্তু কেরামত এইটা পাগলী মনে করে।
দোকানে গেলে কখনো কখনো দুই একটা অভিনন্দন পত্র ছিড়ে ডাস্টবিনে ফেলে অট্টহাসি দেয়। ঘরে দুই ভাই পড়তে বসলে কেরামত মোবাইল নিয়ে ফেসবুকে রোকেনের কিংবা অন্যদের কবিতা পড়ে ভাইয়ের সাথে রাগ করে। কারণ লেখায় বানান ভুল, বিরাম চিহ্নের অতিরিক্ত ব্যবহার, ছন্দহীন, ভাবহীন, সাময়িক চিন্তাহীন, রসহীন, মানহীন, মননহীন, সৃজনহীন ও শ্রুতিমধুরহীন কবিতার প্রতিযোগিতায় রোকন প্রথম কিংবা দ্বিতীয় হয়। কেরামত মনে করে কবিতা নয় যেন ববিতার ছবি দেখা। এইসব প্রতিযোগিতায় যারা বিচারক তারাও ফেসবুকের অখ্যাত কবি। হয়তো তাদের কারো কারো কবিতা বিচারের মানদণ্ডে ফেলার যোগ্যও নয়। গদ্য কবিতা, গীতি কবিতা, পদ্য কবিতার কোন বাচবিচার নাই। নাই কোন যথাযথ ব্যাকরণ ও অর্থপূর্ণ শব্দের ব্যবহার। ভুল বানানে শব্দের অর্থ পরিবর্তন হয়ে গেলে তখন সেটা সাহিত্যের ক্ষতি সাধন।
কেরামত ভাইকে বলে যারা তোমাকে এইসব সনদ দিচ্ছে তাদের কি বাংলা একাডেমির সাহিত্যিক সনদ আছে। রোকন তখন মুচকি হাসে বলে এখন টাকা দিয়ে বাংলা একাডেমি হতে সাহিত্য পুরষ্কার নেয়। তাইতো সাহিত্যে শহর কিংবা গ্রামের মানুষের জীবনের ছবি ফুটে উঠে না। কোন গায়িকার গানের কথা “বন্ধু আমার নাইট কোচের ড্রাইভার”। কিংবা হিরো আলামের গানের কথা “বাবু খাইছো”। এই সব গানের মত ফেসবুকের বর্তমান সাহিত্যের অবস্থা কিংবা সনদ I
(প্রথম কিস্তি )।
ফেসবুক কবি ও কেরামত আলী।
ভাইয়া ফেসবুক গ্রুপের প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে ভার্চুয়াল সনদ পেয়ে এবং যে তোমার টাইমলাইনে পোষ্ট দাও এতে তোমার লজ্জা লাগার কথা, অথচ তোমার খুশি লাগে! কারণ যারা প্রকৃত সাহিত্য চর্চা করে তারা কখনো এমন পোষ্ট দিবে বলে মনে হয় না। কেরামতের কথায় রোকন আহতবোধ করে কিন্তু কোনো উত্তর দেয় না। ঠিক এই সময় কয়েকটা বার্তা আসে ম্যাসেঞ্জার বক্সে কোনোটা সনদ পেয়ে নিজেকে প্রচার করা আবার কোনোটা ভার্চুয়াল লাইভ অনুষ্ঠানের আত্ম প্রচার যা বিভিন্ন গ্রুপের পরিচালকের বার্তা। মনে হয় যেন এই প্রচারে সে দেশ সেরা কবি হয়ে যাবে।
এই যা তোর পড়া পড়তে যা রোকন রাগ করে কেরামত আলীর সাথে।
আরেকটা কথা ভাইয়া এখন ফেসবুকের গলিতে গলিতে কবিতা আবৃত্তিকার পাওয়া যায়। তাদের কি কবিতা আবৃতির প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দীক্ষা আছে?
কারণ কবিতা আবৃতির জন্য সঠিক বাচনভঙ্গি দরকার, শুদ্ধ উচ্চারণ দরকার, শ্রুতিমধুরতা দরকার।
তুই এবার একটু চুপ কর ভাই। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিধাতার দেওয়া নেইমা থাকে মানুষের ভিতর। যেমন কাজী নজরুল ইসলাম।
হাঃ হাঃ হাঃ এমন প্রতিভা হাজারে একটা হয় ভাইয়া।
তা ঠিক, রোকন বলে, সব সময় লেখার মান এক রকম হয় না। যারা পাঠক প্রিয় জিনিয়াস লেখক তাদের লেখাও সব এক রকম নয়।
তাই আমি বলতে চাই ভাইয়া। শত শত ফেসবুক সাহিত্যিক আছে যাদের লেখার মান খুব উচু মানের কিন্তু সব লেখা নয় তাই প্রতিযোগিতা করে লেখার মান যাচাই করা মোটেই যুক্তিপূর্ণ নয়। তাহাছাড়া ফেসবুক গ্রুপ সাহিত্যের কোনো উপকারেই আসছে না তবে কিছু অনলাইন সংগঠন ও সংগঠক সৃষ্টি হয়েছে যারা কখনো কখনো গ্রুপিং করে এবং নিজেকে রাঘববোয়াল ভাবতে ভালোবাসে।
শুন কেরামত ফেসবুকে লিখেই অনেক কবি লেখক সৃষ্টি হয়েছে। শতভাগ সত্য কথা। যারা নিজের টাকা খরচ করে বই বাহির করে প্রতি দিন নিজের টাইমলাইনে বিজ্ঞাপন দেয় বইয়ের। ইনবক্সেও অন্যকে বলে আমার বইটা কিনুন। আবার কখনো কখনো প্রতারক প্রকাশকের খপ্পরে পড়ে আমও যায় ছালাও যায়। তবে আমারও কিন্তু কবিতা লিখতে ইচ্ছে করে।
"রাম, লক্ষণ ও সীতার সুখের সংসার
রাবণ দুষ্ট মুগ্ধ হয় সীতার রূপে। অথচ
রাবণ ধর্ষণ করেনি সীতাকে
কিন্তু রহিমেরা রোজ ধর্ষণ করে সেতারাকে।"
তুই মৌলভী মানুষ কবিতার কি বূঝবি, তোর ফেসবুক দেখাও ঠিক না।
কেন দেখা ঠিক না, ভুল ধারণা তোমার ভাইয়া। বর্তমানে ফেসবুক পেপার পত্রিকার চেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। ভালো খারাপ নিয়ে যেহেতু দুনিয়া তাই ভালো গ্রহণ করবো খারাপ পরিহার করবো। নুসরাত, তিন্নি সিনহা ও রায়হান এদের ঘটনা ফেসবুকের কারণে দেশে কাঁপন হয়েছে, সেই কাঁপনে বিচার হচ্ছে।
ফেইক আইডির ফেইক খবর আমি দেখি না তাই আমি কবিতা লিখি ও পড়ি বুঝলি কেরামত।
(দ্বিতীয় কিস্তি )।
ফেসবুক কবি ও কেরামত আলী।
আরো একটা দিক লক্ষণীয় ফেসবুকে সেটা অবশ্যই বিতর্কমূলক আর রাজনৈতিক পোষ্ট। রাজনৈতিক নেতা মারা গেলে একপক্ষ সেই লোককে খারাপ বলে পোষ্ট দেয় যা ভাইরাল হয় খুব দ্রুত, এইটা আমার দৃষ্টিতে ঘৃণিত কাজ। আরেক পক্ষ তা সহ্য করতে না পারলে মামলা হামলার আশ্রয় নেয়। এই দুইটাই বাজে কাজ, মৃত লোককে সব কিছুর উপরে রাখা ভদ্রতা কারণ বিধাতা তাঁর আত্মার মালিক। কেউ খারাপ কিংবা ভালো বললে মৃত লোকের কিছুই আসে যায় না। এই ফেসবুক অনেককে হিরো আবার অনেককে জিরো বানিয়েছে। তবে একটা কথা বলা দরকার যেটা তোর আমার বেলায় প্রযোজ্য ।
“একটা মোবাইল ভিতরে ইন্টারনেট, একটা মোটরসাইকেল ও একটা নির্জন কক্ষ,একজন সন্তান ধ্বংস। একটা স্বপ্ন ধ্বংস ও একটা পরিবার ধ্বংস।” আমাদের দেশে মিথ্যা এবং গুজবের উর্বর ক্ষেত্র ফেসবুক যেটা অন্য দেশে নেই এমনকি টুইটারসহ অন্য মাধ্যমে মিথ্যা প্রচার করা যায় না। তারা অভিযোগ পেলে যাচাই করে এবং পোষ্ট ডিলিট করে সর্তক করে পরে আবার একই কাজ করলে আইডি ব্যান করে দেয়। এতে আমেরিকা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেও ছাড় দেয়নি টুইটার কতৃপক্ষ।
আর লিংকডইনে আইডি করাও কঠিন। সেখানে ব্যবসা বাণিজ্যসহ সব প্রচার হয় এবং বিশ্বের ক্ষমতাধর ও শক্তিমান নেতা, বড় বড় বহুজাতিক কোম্পানির আইডি আছে এবং চাকরী খোজ করার একটা বড় মাধ্যম। ফেসবুকের মত গাধা-ঘোড়ার দৌড়াদৌড়ি নাই। বগ্লতো আধুনিক যুগের উৎকৃষ্ট লেখার মাধ্যম সেখানে আধুনিক মানুষের আধুনিক চিন্তা রচনা হয়। তবে কিছু ইসলাম ধর্ম বিরোধী লেখা বাদ দিলে বগ্ল খুবই উত্তম মাধ্যম। যারা নাস্তিক তাদের লেখাও খুবই জ্ঞান গম্ভীর এবং আস্তিকদের লেখাও হাদিস কোরানের আলোকে এতই আকর্ষণীয় থাকে যে চিন্তার ধরন শক্ত করে। যেমন সামওয়্যার বগ্লে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছটিয়ে থাকা বাংলা ভাষার মানুষের বিচরণ ক্ষেত্র। সেখানে এমন প্রতিযোগিতা চোখে পড়ে না তবে সব ধরনের লেখায় গভীর আলোচনা-সমালোচনা হয় যা লেখক সহজ সরলভাবে মেনে নেয় এবং নিজেকে উন্নত করে।
ভাইয়া যাই করো যাই লিখো দেশে ডিজিটাল আইনের ৫৭ ধারা আছে। আমরা গরিব মানুষ, আমাদের জন্য খেয়ে পরে বেঁচে থাকাই যেখানে কঠিন সেখানে লেখাপড়া নষ্ট করে ফেসবুক উপভোগ করা বিলাসিতা।
ঠিক কথা। তাই কিছু রাজনৈতিক পোষ্ট এড়িয়ে চলি। বিশেষ করে দলীয় ভিডিও ও লেখা যা ফেসবুকে খুব জনপ্রিয় হয়, যা হাজার হাজার লাইক কমেন্টে ভরপুর থাকে। কিছু মাওলানার সত্য মিথ্যার মিশ্রণে ওয়াজ, মঞ্চে বসে সুর করে হেলেদুলে ওয়াজ লাইক কমেন্টে ভরপুর থাকে অথচ এই ওয়াজ ভারতবর্ষেই বিদ্যমান শুধু। এইটা কখনোই ধর্মের উপকারী নয়। ধর্ম শুনার নয় গবেষণার জিনিস যা পড়লেই আমরা জানতে পারবো।
ওয়াজ যেহেতু আমাদের দেশে একটা প্রচলিত প্রথা তাই মেনে চলাই ভালো। এতে কিছু মাওলানার সংসার চলে এইসব বন্ধ করা উচিত নয়। আর বর্তমান যুগে বাধা দিয়ে কোনো কিছু দমিয়ে রাখা যাবে না, গেলেও সেটা সাময়িক কারণ বাংলাদেশ ধর্মপ্রাণ মুসলিমের দেশ তবে জঙ্গীদের নয় প্রতিটি মানুষ বিজ্ঞানময় আধুনিক কর্মের শিক্ষায় শিক্ষিত হলে মানুষ যখন শিক্ষা শেষে চাকরী পাবে এইসব ওয়াজ নসীহত এমনিতে বন্ধ হয়ে যাবে।
(তৃতীয় কিস্তি)।
ফেসবুক কবি ও কেরামত আলী।
চুপচাপ দেখ কোন কথা বলবি না।
ঠিক আছে ভাইয়া, তবে একটা পোষ্ট দিবো তোমার টাইমলাইনে, লেখা শেষ হলে তোমাকে দেখিয়ে তারপর পোষ্ট করবো। অনেকের গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ পড়তে খুব ভালো লাগে আরো ভালো লাগে তুমি নামের আগে কিংবা পরে কোন বিশেষণ ব্যবহার করো না। অনেকে কবি, প্রবন্ধকার, গল্পকার, গীতিকার ও কথা সাহিত্যিক লিখে নিজেকে সাহিত্যের তালগাছ মনে করে।
আর কোন কথা বলবি না চুপচাপ লেখ।
ইয়েস ব্রাদার।কেরামত হাসি দিয়ে লিখতে থাকে।
নবাব এলএলবি সিনেমার পরিচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ হলো পুলিশকে অপমান করা হয়েছে। কিন্তু ইসলামকে অপমান করায় “কমান্ডো” মুভির পরিচালককে কিছুই করা হয়নি!
খারাপ কাজ এবং খারাপ লোকের রূপক অর্থে মুখে দাড়ি মাথায় টুপি নাটক সিনেমায় দেখানো পুরানো রেওয়াজ। এবার ইসলামকে অপমান করতে সরাসরি কালিমা ব্যবহারের স্পর্ধা দেখিযেছে! পোস্টারে শুধু কালেমা না, নব্যুওতের মোহরও ব্যবহার করা হয়েছে! জঙ্গীবাদের সাথে এই ধারণা কিভাবে আসে? এই স্পর্ধা কোথায় পেলো এই “কমান্ডো” ছবির কলাকৌশলি!
কালেমা শ্রদ্ধার, সম্মানের, শান্তির ও গৌরবের। এ কলেমাকে দুনিয়ার বুকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য স্বয়ং নবী তৎকালে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন, এবং বুঝিয়েছেন কলেমার মহাত্ম্য। এটি ইসলামের একটা অবিচ্ছদ্য অংশ, এই কলেমা খচিত পতাকার অবমাননা কোনো বিবেকবান মুসলিমের পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব নয়। আপশোস হলো এই সিনেমায় জড়িত অনেকেই আবার মুসলিম।
এছাড়া আরেকটা বিষয় হলো ‘'কমান্ডো'‘ ছবিতে কোন বাংলাদেশকে দেখানো হয়েছে বুঝতেছি না। ছবিটিতে দেখানো হয়েছে বাংলাদেশ যেন সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য। আর সন্ত্রাসীদের দেখানো হয়েছে সুন্নতের লেবাসে। সন্ত্রাসীদের প্রতীক কালেমা খচিত পতাকা, '‘নারায়ে তাকবীর-আল্লাহু আকবার'‘ মুখে স্লোগান এবং তাদের উপস্থাপন করা হয়েছে ইসলামি জিহাদি হিসাবে।একজন এসে এইসব জিহাদিদের দমন করে। এরকম কাল্পনিক মনগড়া গল্প বানিয়ে র্বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ব্যাপারে কী বার্তা দেয়া হচ্ছে! অথচ বাংলাদেশ হলো উদার মুসলমানদের দেশ।
এ রকম ছবি তৈরি করার উদ্দেশ্য কী? এরা কার দালালি করতেছে, কার টাকায় এমন ছবি। অন্য ধর্ম নিয়ে এমন ছবি এমন মনগড়া প্রচার কেউ করে না। একদল লোক মুসলিম হয়ে কেন নিজের ধর্ম অবমাননা করে বুঝি না, পছন্দ না হলে ধর্ম ত্যাগ করা যেতে পারে। কালেমা ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করি এবং এর চেতনা ধারণ করি। তাই আমার অপরিহার্য দায়িত্ব তা ব্যাপক ভাবে তুলে ধরা ও প্রচার করা। ইসলামের বিজয় যুগে যুগে হয়েছে। ইসলামের স্বর্ণালী উপাখ্যান বার বার সামনে আসবে।
নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকা, সাংবাদিক-সাহিত্যিক, বয়াতি মোটকথা উচ্চ পর্যায়ের নাগরিক সমাজ জীবনকে খুবই উপভোগ করে। দেশে বিদেশে ভ্রমণে আরাম আয়াসে এদের কমতি হয় না কারণ উনাদের কাছে অঢেল টাকা-পয়সা থাকে। মজার বিষয় মরণের আগে আবার রাষ্ট্রের কাছেই হাত পাতে চিকিৎসার জন্য। গুণী লোকের কদর করা রাষ্ট্রের অবশ্যই দায়িত্ব তাই রাষ্ট্রের টাকায় চিকিৎসা চলে। আর সেই টাকা আপনার ও আমার, তাঁরা যাদের ধর্মকর্মে আঘাত করে তাদের টাকায় চিকিৎসা করে কেউ ভালো হয়, কেউ মরে। কেরামত আলী ক্ষোভ নিয়ে লিখে ফেসবুকে।
(শেষ কিস্তি)।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মশিউর ইসলাম (বিব্রত কবি) ০৯/০২/২০২১এটা দারুণ ছিলো
-
দীপঙ্কর বেরা ২৪/০১/২০২১খুব সুন্দর
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০৭/০১/২০২১Nice
-
কবির হোসেন ০১/০১/২০২১শিরোনামটা চমৎকার
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ০১/০১/২০২১সুন্দর লিখেছেন। নববর্ষের শুভেচ্ছা।