বিবেক বর্জিত দেশ বিদেশ। হাওয়ায় উঠে বিবেক ।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ একজন বিকৃত মস্তকের মানুষ। সাথে করে যে বউটা নিয়ে হাটে সে পঁচিশ বছরের বড় তার স্কুল শিক্ষিকা। ছোটকালে এই মহিলার সাথে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে স্কুল ছাড়া হয়। মাক্রোঁ অন্য স্কুলে ভর্তি হয় আর শিক্ষিকাকে বদলী করা হয় অন্যত্র তারপরও তাদের অবৈধ সম্পর্কের বিচ্ছেদ হয়নি। ছোটকাল হতে চতুুর একরোখা বদমেজাজি মাক্রোঁ। আর বর্তমানে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে মুসলিমদের ধর্মে আঘাত করে বিমাতা সুলভ আচরণ করতেছে।
হযরত মুহাম্মদ (সা.) একজন মহামানব। উনার আদর্শ সমগ্র মানব জাতির জন্য কল্যাণকর। হযরত মুহাম্মদ (সা.) মুসলিম জাতির সর্বশেষ নবী ও রাসূল এবং পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া মহামানবদের একজন। তাই উনাকে ব্যঙ্গ কিংবা কটাক্ষ করার অধিকার কোন ব্যক্তি সমাজ এবং রাষ্ট্রের নাই । যদিও উনার কোন ছবি কিংবা চিত্র পৃথিবীতে নাই তারপরও কল্পনা করেও অসম্মান করতে পারেন না কেউ। ফ্রান্স যা করেছে তা খুবই ঘৃণিত কাজ এবং নিন্দনীয় তারা খুবই হীনমন্যতার পরিচয় দিচ্ছে। একজন মহামানবকে ব্যঙ্গ করার নিন্দা জানানোর জন্য কোন নিদিষ্ট জাতি কিংবা গোষ্ঠির লোক হতে হবে এমন কথা নাই। আপনি সুস্থ ও মানবিক হলে সুস্থ ও মানবিক পথে ঘৃণা জানাবেনই। এবং প্রতিটি ধর্মের লোককে মুহাম্মদ(সা.) এর মত সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে হবে। উনি শুধু মাত্র মুসলিমদের জন্য নয় সমগ্র মানব জাতির কল্যাণে কাজ করেছেন।
অথচ দুঃখের বিষয় এমন মহামানবকে অপমানে আমরা বেছে নিয়েছি উগ্রতাকে। তবে আশার কথা হল মালেয়শিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মহাথীর শালীনভাবে প্রচণ্ড প্রতিবাদ করেছেন। তুর্কী প্রেসিডেন্ট প্রতিবাদে সবার আগে আছে। এমনকি রাশিয়াও এগিয়ে এসেছে। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে, রাশিয়া যে দৃষ্টিকোণ থেকে কথা বলেছে এটাই আসল কথা।
রাশিয়া বলেছে 'ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করার কারণে ফ্রান্সে সহিংসতা বেড়ে গেছে। কাজেই সবার আগে এ ধরনের অবমাননাকর কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে।'এছাড়া অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে, রাশিয়া বলেছে 'কোনো ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অবমাননা ও ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠীর অনুভূতিতে আঘাত হানা রাশিয়ার দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়।'
মুল বিষয় হলো, রোগের মেডিসিন না দিয়ে যদি বলেন রোগ সারে না কেন তাহলে তো বিপদ! রাশিয়ার মত আমিও মনে করি ইসলাম অবমাননা অব্যাহত রাখলে ফ্রান্সের উপর হামলা কেউ ঠেকাইতে পারবে না। হামলা নিয়ে দুনিয়াব্যাপী যত নিন্দা জ্ঞাপন করেন কোন লাভ হবে না।
বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান প্রতিবাদে উত্তাল। তাদের দুতাবাস ঘেরাও করেছে এবং পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশসহ বেশ কিছু মুসলিম দেশ। কাতার ,কুয়েত ও তুর্কী পণ্য বয়কটের ডাক যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। মুসলমানদের তীর্থস্থান মক্কা মদিনার মালিক ম্যাও ম্যাও করেছে একবার । আমরা গরিব মুসলিম নবীজীকে প্রাণের চেয়েও বেশী ভালোবাসি কিন্তু আমাদের পঞ্চাশ ষাট হাজার লোক ফান্সে থাকে আমাদের পোষাক তারা কিনে পরে আর এইটা হলো গরিব বাংলাদেশের অলংকার । ফান্সের সব জিনিসপত্রই দামি যেমন কসমেটিক্স ও ইলেকট্রিক পণ্য উল্লেখ যোগ্য । আমার বিশ্বাস রাস্তায় যারা চিৎকার করছে তাদের লোকজন ফান্স থাকে না এবং চিৎকারকারী একজন লোকের ঘরেও ফরাসী পারফিউমও নাই তাহলে কি বয়কট করবো আমরা।
আমি মুসলিম হিসাবে মুসলিম দেশের সরকার কে বলবো কূটনীতিক তৎপরতা বাড়ানোর জন্য যাতে উদারমনা দেশগুলি ফান্সের উপর চাপ প্রয়োগ করে এবং এতে আমাদের নবীকে অসম্মান করতে পারবে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম মানবতার ধর্ম। সহনশীল আচরণই ইসলামের মূলনীতি । আমরা একপক্ষ প্রচণ্ড কট্টর ধর মার কাট আরেক পক্ষ (মুসলিম ) ইসলাম ধ্বংস করতে পারলেই সুখ। মাথায় টুপি দিয়ে রমজান মাসেই জিনিসের দাম বাড়াই। মুনাফা করি ,ঘুষ খাই ,সুদ খাই সেই টাকায় ঈদের বাজার করি। নামের সাথে হাজি লাগিয়ে সন্ত্রাস করি । আবার সুযোগমতো তাবলীগও করি।
আমাদের মত মুসলিম দেশেই গণ পিটুনির বহু প্রচলন আছে। গরিব চোর ধরে গণপিটুনিতে মারি, লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে গণ পিটুনিতে মারি, ছেলে ধরা বলে মহিলাকে গণ পিটুনিতে মারি সর্বশেষ কোরান অবমাননায় গণ পিটুনি দিয়ে পুড়িয়ে মারি । যাদের মারি তারাও মুসলিম। ঘরে তাদের ফুটফুটে নিষ্পাপ সন্তানও থাকে তারা মা মা ,বাবা বাবা চিৎকার করে। কিন্তু মুসলিম শাসক বিচারও করে না। তারপরও বলবো মাক্রোঁ মানসিক রোগী সৌদি আরব বর্বর তাদের সঙ্গী । তবে আশার কথা হচ্ছে মাক্রোঁ আল জাজিরা টিভিকে বলেছেন -মহানবীকে (সা.) অবমাননা করে কার্টুন প্রকাশে মুসলিমদের ‘অনুভূতি’ কেমন হয়েছে তা বুঝতে পারছেন। কিছুটা আমাদের দেশের মত রাজনৈতিক কৌশলও অবলম্বন করেছেন। তাঁর বিরোধী রাজনৈতিক দলকে দোষারোপ করে বলেছেন উনার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করছে তারা।
হযরত মুহাম্মদ (সা.) একজন মহামানব। উনার আদর্শ সমগ্র মানব জাতির জন্য কল্যাণকর। হযরত মুহাম্মদ (সা.) মুসলিম জাতির সর্বশেষ নবী ও রাসূল এবং পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া মহামানবদের একজন। তাই উনাকে ব্যঙ্গ কিংবা কটাক্ষ করার অধিকার কোন ব্যক্তি সমাজ এবং রাষ্ট্রের নাই । যদিও উনার কোন ছবি কিংবা চিত্র পৃথিবীতে নাই তারপরও কল্পনা করেও অসম্মান করতে পারেন না কেউ। ফ্রান্স যা করেছে তা খুবই ঘৃণিত কাজ এবং নিন্দনীয় তারা খুবই হীনমন্যতার পরিচয় দিচ্ছে। একজন মহামানবকে ব্যঙ্গ করার নিন্দা জানানোর জন্য কোন নিদিষ্ট জাতি কিংবা গোষ্ঠির লোক হতে হবে এমন কথা নাই। আপনি সুস্থ ও মানবিক হলে সুস্থ ও মানবিক পথে ঘৃণা জানাবেনই। এবং প্রতিটি ধর্মের লোককে মুহাম্মদ(সা.) এর মত সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে হবে। উনি শুধু মাত্র মুসলিমদের জন্য নয় সমগ্র মানব জাতির কল্যাণে কাজ করেছেন।
অথচ দুঃখের বিষয় এমন মহামানবকে অপমানে আমরা বেছে নিয়েছি উগ্রতাকে। তবে আশার কথা হল মালেয়শিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মহাথীর শালীনভাবে প্রচণ্ড প্রতিবাদ করেছেন। তুর্কী প্রেসিডেন্ট প্রতিবাদে সবার আগে আছে। এমনকি রাশিয়াও এগিয়ে এসেছে। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে, রাশিয়া যে দৃষ্টিকোণ থেকে কথা বলেছে এটাই আসল কথা।
রাশিয়া বলেছে 'ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করার কারণে ফ্রান্সে সহিংসতা বেড়ে গেছে। কাজেই সবার আগে এ ধরনের অবমাননাকর কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে।'এছাড়া অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে, রাশিয়া বলেছে 'কোনো ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অবমাননা ও ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠীর অনুভূতিতে আঘাত হানা রাশিয়ার দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়।'
মুল বিষয় হলো, রোগের মেডিসিন না দিয়ে যদি বলেন রোগ সারে না কেন তাহলে তো বিপদ! রাশিয়ার মত আমিও মনে করি ইসলাম অবমাননা অব্যাহত রাখলে ফ্রান্সের উপর হামলা কেউ ঠেকাইতে পারবে না। হামলা নিয়ে দুনিয়াব্যাপী যত নিন্দা জ্ঞাপন করেন কোন লাভ হবে না।
বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান প্রতিবাদে উত্তাল। তাদের দুতাবাস ঘেরাও করেছে এবং পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশসহ বেশ কিছু মুসলিম দেশ। কাতার ,কুয়েত ও তুর্কী পণ্য বয়কটের ডাক যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। মুসলমানদের তীর্থস্থান মক্কা মদিনার মালিক ম্যাও ম্যাও করেছে একবার । আমরা গরিব মুসলিম নবীজীকে প্রাণের চেয়েও বেশী ভালোবাসি কিন্তু আমাদের পঞ্চাশ ষাট হাজার লোক ফান্সে থাকে আমাদের পোষাক তারা কিনে পরে আর এইটা হলো গরিব বাংলাদেশের অলংকার । ফান্সের সব জিনিসপত্রই দামি যেমন কসমেটিক্স ও ইলেকট্রিক পণ্য উল্লেখ যোগ্য । আমার বিশ্বাস রাস্তায় যারা চিৎকার করছে তাদের লোকজন ফান্স থাকে না এবং চিৎকারকারী একজন লোকের ঘরেও ফরাসী পারফিউমও নাই তাহলে কি বয়কট করবো আমরা।
আমি মুসলিম হিসাবে মুসলিম দেশের সরকার কে বলবো কূটনীতিক তৎপরতা বাড়ানোর জন্য যাতে উদারমনা দেশগুলি ফান্সের উপর চাপ প্রয়োগ করে এবং এতে আমাদের নবীকে অসম্মান করতে পারবে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম মানবতার ধর্ম। সহনশীল আচরণই ইসলামের মূলনীতি । আমরা একপক্ষ প্রচণ্ড কট্টর ধর মার কাট আরেক পক্ষ (মুসলিম ) ইসলাম ধ্বংস করতে পারলেই সুখ। মাথায় টুপি দিয়ে রমজান মাসেই জিনিসের দাম বাড়াই। মুনাফা করি ,ঘুষ খাই ,সুদ খাই সেই টাকায় ঈদের বাজার করি। নামের সাথে হাজি লাগিয়ে সন্ত্রাস করি । আবার সুযোগমতো তাবলীগও করি।
আমাদের মত মুসলিম দেশেই গণ পিটুনির বহু প্রচলন আছে। গরিব চোর ধরে গণপিটুনিতে মারি, লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে গণ পিটুনিতে মারি, ছেলে ধরা বলে মহিলাকে গণ পিটুনিতে মারি সর্বশেষ কোরান অবমাননায় গণ পিটুনি দিয়ে পুড়িয়ে মারি । যাদের মারি তারাও মুসলিম। ঘরে তাদের ফুটফুটে নিষ্পাপ সন্তানও থাকে তারা মা মা ,বাবা বাবা চিৎকার করে। কিন্তু মুসলিম শাসক বিচারও করে না। তারপরও বলবো মাক্রোঁ মানসিক রোগী সৌদি আরব বর্বর তাদের সঙ্গী । তবে আশার কথা হচ্ছে মাক্রোঁ আল জাজিরা টিভিকে বলেছেন -মহানবীকে (সা.) অবমাননা করে কার্টুন প্রকাশে মুসলিমদের ‘অনুভূতি’ কেমন হয়েছে তা বুঝতে পারছেন। কিছুটা আমাদের দেশের মত রাজনৈতিক কৌশলও অবলম্বন করেছেন। তাঁর বিরোধী রাজনৈতিক দলকে দোষারোপ করে বলেছেন উনার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করছে তারা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Md. Jahangir Hossain ০৪/১১/২০২০ইসলাম শান্তির ধর্ম, প্রতিবাদ প্রতিহত করার ভাষাও হবে দৃষ্টান্ত মূলক ও অর্থবহ।
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০২/১১/২০২০সঠিক
-
মোঃআব্দুল্লাহ্ আল মামুন ০২/১১/২০২০বিবেক আর নাই। না দেশে না প্রবাসে। না বিদেশে। মানুষ সুযোগ খুঁজে ।
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ০১/১১/২০২০বিবেক আর বিচার পৃথিবীতে নাই এখন। অপরাধীদের হাতে সব ক্ষমতা চলে গেছে ভাই।