করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আপনার কুল বাঁচান।
বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ছাড়িয়ে গেছে গত সোমবার। শীতকাল আসন্ন ফলে এই ভাইরাস আবার দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ার একটা বড় ঝুঁকি রয়েছে। এমনিতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা অবশ্যই অনেক বেশি, পরীক্ষা পদ্ধতিতে ঘাপলা করে অনেক দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে দেখানো হচ্ছে। জানি না মৃতের সঠিক সংখ্যা কত।
বৃটিশ দ্বিতীয় দফার করোনা সংক্রমণ মোকাবিলার চেষ্টা করছেন, বৃটেনের বিভিন্ন অংশে লকডাউন দেয়া হয়েছে। ফ্রান্সে আরোপ করা হয়েছে রাত্রিকালিন কারফিউ। ইউরোপের অন্যদেশে স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জরুরি নয় এমন অপারেশন। মেডিকেল শিক্ষার্থীদেরকে সার্ভিসে যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ভারতে সব মিলিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এই পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৭৪ লাখ ৩০ হাজার। বড় আকারে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে ইরান ও মধ্যপ্রাচ্যে। মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর শনিবার তৃতীয় সপ্তাহের জন্য রাজধানী তেহরানে লকডাউন রয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু থেকে মারা গেছেন কমপক্ষে ১১ লাখ মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মৃতের এই সংখ্যা সফল একটি টিকা আসার আগে ২০ লাখে দাঁড়াতে পারে!
আমাদের দেশে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি এখন রীতিমতো রূপকথা। একেকজন তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ধরা পড়েন আর আমরা শিউরে উঠি তাদের সম্পদের হিসাব মিলাতে হিমশিম খান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। কেউ কেউ আফসোস করে বলেন, আহা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ি চালকও যদি হওয়া যেতো।
কর্মকর্তাদের ধরলে আরও অবৈধ সম্পদের উৎস ও অর্থ লোপাটের তথ্য পাওয়া যাবে। এইসব কর্মকর্তার স্ত্রীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিছু দিন পরপরই আমরা স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিবাজ ধরার খবর পাই আর এদের প্রায় সবাই কর্মচারী। তাদের সম্পদ দেখে আমরা বিস্মিত হই। আবজাল ও গাড়ি-চালক মালেক এখন কারাগারে দেশ দেশে তাদের সম্পদের ফিরিস্তি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
আসল কথা হচ্ছে, এই কর্মচারীদের কারও হাতেই আলাদিনের চেরাগ নেই। স্যারদের সহযোগিতা ছাড়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয় কোটিপতি ক্লাবের সদস্য হওয়া। কেবল এই কর্মচারীদের আইনের আওতায় আনলেই স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি বন্ধ হবে না। কান টানাই দুর্নীতি বন্ধের জন্য যথেষ্ট নয়। প্রয়োজনে বড় বড় দুর্নীতিবাজদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।
আমাদের দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার আগে থেকেই মন্ত্রী-আমলারা বলে আসছিল, ভাইরাস মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। পরে দেশের জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে, কতটা প্রস্তুত ছিল সরকার! কতটা অসহায় ছিল জনগণ । কতটা বেপরোয়া ছিল সাহেদ ও সাবরিনা , মুনাফাখোর ও দুর্নীতিবাজ। একইভাবে এখন ভ্যাকসিন নিয়েও বক্তৃতা চলছে। তা কি শুধুই মুখে মুখে নাকি বাস্তবেও তার ভিত্তি রয়েছে, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই জনমনে প্রশ্ন থাকা স্বাভাবিক ।
আমাদের দেশের জনগণও অচেতন একরোখা গুজবের পিছনে দৌড়ানো সবাই। সৌদিতে মাক্স ব্যবহার বাধ্যতামুলক করে সফলতা পেয়েছে মাক্স না পরলে এক হাজার রিয়েল জরিমানা করে । আইনের কঠোর প্রয়োগে জনগণ মানতে বাধ্য। প্রায় সাতশ জনের মত বাংলাদেশী করোনায় নিহত হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশী চট্টগ্রামের প্রবাসী। এমনও হয়েছে একই রুমে চারজনই মারা গিয়েছে সতর্ক হয়ে না চলায়। প্রবাসী যে যেখানে আছেন সতর্ক হয়ে চলবেন শুধু রোজগারের পিছনে ছুটবেন না। কষ্ট হচ্ছে সবার টিকা আসা পর্যন্ত আরেকটু কষ্ট করলে অনেকের জীবন বাঁচবে হয়তো। সচেতন হবেন ও মাক্স পরবেন যথাসম্ভব জনসমাগম এড়িয়ে চলুন।
বৃটিশ দ্বিতীয় দফার করোনা সংক্রমণ মোকাবিলার চেষ্টা করছেন, বৃটেনের বিভিন্ন অংশে লকডাউন দেয়া হয়েছে। ফ্রান্সে আরোপ করা হয়েছে রাত্রিকালিন কারফিউ। ইউরোপের অন্যদেশে স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জরুরি নয় এমন অপারেশন। মেডিকেল শিক্ষার্থীদেরকে সার্ভিসে যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ভারতে সব মিলিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এই পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৭৪ লাখ ৩০ হাজার। বড় আকারে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে ইরান ও মধ্যপ্রাচ্যে। মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর শনিবার তৃতীয় সপ্তাহের জন্য রাজধানী তেহরানে লকডাউন রয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু থেকে মারা গেছেন কমপক্ষে ১১ লাখ মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মৃতের এই সংখ্যা সফল একটি টিকা আসার আগে ২০ লাখে দাঁড়াতে পারে!
আমাদের দেশে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি এখন রীতিমতো রূপকথা। একেকজন তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ধরা পড়েন আর আমরা শিউরে উঠি তাদের সম্পদের হিসাব মিলাতে হিমশিম খান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। কেউ কেউ আফসোস করে বলেন, আহা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ি চালকও যদি হওয়া যেতো।
কর্মকর্তাদের ধরলে আরও অবৈধ সম্পদের উৎস ও অর্থ লোপাটের তথ্য পাওয়া যাবে। এইসব কর্মকর্তার স্ত্রীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিছু দিন পরপরই আমরা স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিবাজ ধরার খবর পাই আর এদের প্রায় সবাই কর্মচারী। তাদের সম্পদ দেখে আমরা বিস্মিত হই। আবজাল ও গাড়ি-চালক মালেক এখন কারাগারে দেশ দেশে তাদের সম্পদের ফিরিস্তি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
আসল কথা হচ্ছে, এই কর্মচারীদের কারও হাতেই আলাদিনের চেরাগ নেই। স্যারদের সহযোগিতা ছাড়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয় কোটিপতি ক্লাবের সদস্য হওয়া। কেবল এই কর্মচারীদের আইনের আওতায় আনলেই স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি বন্ধ হবে না। কান টানাই দুর্নীতি বন্ধের জন্য যথেষ্ট নয়। প্রয়োজনে বড় বড় দুর্নীতিবাজদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।
আমাদের দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার আগে থেকেই মন্ত্রী-আমলারা বলে আসছিল, ভাইরাস মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। পরে দেশের জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে, কতটা প্রস্তুত ছিল সরকার! কতটা অসহায় ছিল জনগণ । কতটা বেপরোয়া ছিল সাহেদ ও সাবরিনা , মুনাফাখোর ও দুর্নীতিবাজ। একইভাবে এখন ভ্যাকসিন নিয়েও বক্তৃতা চলছে। তা কি শুধুই মুখে মুখে নাকি বাস্তবেও তার ভিত্তি রয়েছে, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই জনমনে প্রশ্ন থাকা স্বাভাবিক ।
আমাদের দেশের জনগণও অচেতন একরোখা গুজবের পিছনে দৌড়ানো সবাই। সৌদিতে মাক্স ব্যবহার বাধ্যতামুলক করে সফলতা পেয়েছে মাক্স না পরলে এক হাজার রিয়েল জরিমানা করে । আইনের কঠোর প্রয়োগে জনগণ মানতে বাধ্য। প্রায় সাতশ জনের মত বাংলাদেশী করোনায় নিহত হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশী চট্টগ্রামের প্রবাসী। এমনও হয়েছে একই রুমে চারজনই মারা গিয়েছে সতর্ক হয়ে না চলায়। প্রবাসী যে যেখানে আছেন সতর্ক হয়ে চলবেন শুধু রোজগারের পিছনে ছুটবেন না। কষ্ট হচ্ছে সবার টিকা আসা পর্যন্ত আরেকটু কষ্ট করলে অনেকের জীবন বাঁচবে হয়তো। সচেতন হবেন ও মাক্স পরবেন যথাসম্ভব জনসমাগম এড়িয়ে চলুন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ২৪/১০/২০২০ভালো লেখা।
-
কল্পনা বিলাসী ২৩/১০/২০২০ধন্যবাদ, উপকারী পোস্ট
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২০/১০/২০২০আমাদের অনিশ্চিত ভবিষ্যত।