আলোহীন প্রদীপ একজন নয় এমন আরো বহু আছে বাংলাদেশে।
জেলে ভাল আছেন ওসি প্রদীপ বাবু। বাবুর মতোই ফুরফুরে মেজাজে দিন পার করছেন । তিনি জেলকর্মীদের সঙ্গে হাসিখুশি কথা বলছেন। তাদের কাছে শুধু একা থাকার সুবিধা চেয়েছেন। ওসি প্রদীপ কুমার দাশের হাসিমাখা চেহারা দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় জেলে আছেন। দেখেছি শুনানির দিনও আদালতে হাসিখুশি ছিলেন ওসি প্রদীপ। রহস্যময় সব সোনার বাংলাদেশে।
ইয়াবা বিরোধী যুদ্ধের অংশ হিসেবে কথিত ক্রসফায়ার বাণিজ্য চালাতে ওসি প্রদীপ কুমার দাস টেকনাফ থানার নিজের আস্থাভাজন পুলিশ সদস্যদের দিয়ে বিশেষ টিম গঠন করেন। ক্রসফায়ার দেওয়ার আগে এই বিশেষ টিমের সদস্যরা প্রদীপ দাসের নির্দেশে যাকে ক্রসফায়ার দেওয়া হবে তার দখলে থাকা ইয়াবা , অবৈধ অস্ত্র এবং টাকা হাতিয়ে নিত। আবার ক্রসফায়ার থেকে রক্ষা করার নামে টাকা হাতিয়ে নিত সংশ্লিষ্ট আটক ব্যক্তির পরিবারের কাছ থেকে। উদ্ধারকৃত ইয়াবা আবার গোপনে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিতেন ওসি প্রদীপের বিশেষ টিমের সদস্যরা। আর মেজর সিনহার ইয়াবা ও ক্রসফায়ার নিয়ে তথ্যমূলক প্রামাণ্য চিত্র তৈরিতে তার জীবনের অবসান হলো।
একটা দলের কিছু ইয়াবা খুচরা বিক্রেতা ওসি প্রদীপের গ্রেফতারের প্রতিবাদে ব্যানার নিয়ে টেকনাফের রাস্তায় দাড়াতে দেখা গেছে। প্রদীপের অপসারণ তারা মেনে নিতে পারছেনা। তারা চিন্তিত প্রদীপ স্যার না থাকলে সামনে ইয়াবার চালান তাদের কাছে কারা পৌছে দেবে?
ঘটনা যাই হোক , তার নামে কেউতো ব্যানার নিয়ে রাস্তায় দাড়িয়েছে আর এটাতেও কিছু সংকেত আছে। ওসি প্রদীপ ইয়াবা ব্যবসায়ী এইটা যেমন সঠিক আবার শুধু এই কারণেই যে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ জানাইতেছে বিষয়টি এমন না। এরা ওসি প্রদীপের অতীত ক্ষমতা এবং উচ্চ মহলে তার অবস্থান সব জানে, কয়দিন বাদেই ওসি স্যার থানায় যোগ দিবেন। তখন এসব খুচরা বিক্রেতার সব কয়টারে বাঁশ ঢলা দিবে। সেই বাঁশ ঢলা থেকে বাঁচতে আগে থেকে কিছু ছবি তুলে রাখা । প্রদীপ স্যার ফিরে আসলে যেন এইগুলা দেখাইতে পারে।
এসআই, ওসি, এসপি এমন করে যেভাবে ঘটনা উপর দিকে উঠতেছে তাতে প্রদীপের বিচার হওয়া নিয়ে আমার সন্দেহ জাগে। তবে দেশের জনগণকে ধন্যবাদ তারা কিছু মানুষ হত্যাকারী ডাকাতের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড প্রতিবাদ গড়ে তুলেছে। টেকনাফের মহিলা নেত্রী নাজনীন সরওয়ার কাবেরী বিচার চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন যা পেপারেও প্রকাশ হয়েছে।এই স্ট্যাটাসে মুহূর্তের মধ্যেই ৫ শতাধিক কমেন্টস পড়ে। শত শত শেয়ার হয়ে যায়। সাহসী লিখনির জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে অনেকেই।
পুলিশ সুপার এর বিরুদ্ধে এমন কঠোর স্ট্যাটাস দেয়ার কারণ কক্সবাজার জেলার কোন থানায় টাকা ছাড়া মামলা হয় না। সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হয়। এই অবস্হা সারা বাংলাদেশে তাই দলমতের উদ্ধে উঠে এসব ভয়ংকর হায়েনাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গঠে তুলে বিচার করতে সরকারকে বাধ্য করা উচিত । মনে রাখা দরকার এই প্রদীপ কুমার বিএনপি জামাত জোটের আমলে চাকরী পেয়েছে। তখন সে বিএনপি করতো বলে চাকরী পেয়েছে। আর সেই সময় সে বিএনপি হতে সুবিধা নিয়েছে ।
বিএনপির দিন শেষ বলে আওয়ামী দিনে সে সন্ত্রাসীদের বাপ বনে পুলিশ হযে বিএনপির কর্মীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করেছে এই প্রদীপ বাবু । এখান হতে সবার শিখার আছে যে প্রদীপ দাশ কারো নয়। সে শুধু টাকা রোজগার করতে মুখোশ পরিবর্তন করেছে এবং কোটি কোটি টাকা অবৈধ রোজগার করে ভারতে পাচার করেছে । সেখানে বাড়ি গাড়ি সব করেছে , স্ত্রীর পাসপোর্টও ভারতীয় । অর্থাৎ চাকরী জীবন শেষ হলেই পালাবে প্রদীপ স্যার। আগে আরো কয়েকবার সে বিপদে পড়ে ছিল কিছুই হয়নি বলে সে এত হাসিখুশি এত বেপরোয়া । তাই লোকে বলে এই প্রদীপ কুমারের খুটির জোর অনেক উপরে! ভারতের উন্নয়ন মানে আমাদের উন্নয়ন আর আমাদের উন্নয়ন মানে ভারতের উন্নয়ন এমন কথা শুনে নিশ্চয় প্রদীপ বাবুও খুশি হয়েছেন । পেপার টিভি ও সামাজিক মাধ্যমে তার অত্যাচারের কাহিনী দেখে ও পড়ে ৭১ -এ লক্ষ লক্ষ শহীদের কাছে লজ্জিতবোধ করছি ।
সরকারী বন্দুক ব্যবহার করে জনগণকে ভয় দেখিয়ে অর্থ উপার্জনই এমন অনেকেরই পেশা ও নেশা । মানুষকে অত্যাচার নির্যাতন করা জেলে দেওয়া এবং মানুষ হতে চাঁদা আদায়ের হিসাব দেখে বলতে মন চায় মানুষ শান্তিতে নেই এই স্বাধীন দেশে। হে আম জনতা বলুন আমরা রক্তের সাগর পাড়ি দিয়ে চিনিয়ে এনেছি বাংলাদেশ । এমন হাজারো আলোহীন প্রদীপের জন্য নয়।
ইয়াবা বিরোধী যুদ্ধের অংশ হিসেবে কথিত ক্রসফায়ার বাণিজ্য চালাতে ওসি প্রদীপ কুমার দাস টেকনাফ থানার নিজের আস্থাভাজন পুলিশ সদস্যদের দিয়ে বিশেষ টিম গঠন করেন। ক্রসফায়ার দেওয়ার আগে এই বিশেষ টিমের সদস্যরা প্রদীপ দাসের নির্দেশে যাকে ক্রসফায়ার দেওয়া হবে তার দখলে থাকা ইয়াবা , অবৈধ অস্ত্র এবং টাকা হাতিয়ে নিত। আবার ক্রসফায়ার থেকে রক্ষা করার নামে টাকা হাতিয়ে নিত সংশ্লিষ্ট আটক ব্যক্তির পরিবারের কাছ থেকে। উদ্ধারকৃত ইয়াবা আবার গোপনে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিতেন ওসি প্রদীপের বিশেষ টিমের সদস্যরা। আর মেজর সিনহার ইয়াবা ও ক্রসফায়ার নিয়ে তথ্যমূলক প্রামাণ্য চিত্র তৈরিতে তার জীবনের অবসান হলো।
একটা দলের কিছু ইয়াবা খুচরা বিক্রেতা ওসি প্রদীপের গ্রেফতারের প্রতিবাদে ব্যানার নিয়ে টেকনাফের রাস্তায় দাড়াতে দেখা গেছে। প্রদীপের অপসারণ তারা মেনে নিতে পারছেনা। তারা চিন্তিত প্রদীপ স্যার না থাকলে সামনে ইয়াবার চালান তাদের কাছে কারা পৌছে দেবে?
ঘটনা যাই হোক , তার নামে কেউতো ব্যানার নিয়ে রাস্তায় দাড়িয়েছে আর এটাতেও কিছু সংকেত আছে। ওসি প্রদীপ ইয়াবা ব্যবসায়ী এইটা যেমন সঠিক আবার শুধু এই কারণেই যে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ জানাইতেছে বিষয়টি এমন না। এরা ওসি প্রদীপের অতীত ক্ষমতা এবং উচ্চ মহলে তার অবস্থান সব জানে, কয়দিন বাদেই ওসি স্যার থানায় যোগ দিবেন। তখন এসব খুচরা বিক্রেতার সব কয়টারে বাঁশ ঢলা দিবে। সেই বাঁশ ঢলা থেকে বাঁচতে আগে থেকে কিছু ছবি তুলে রাখা । প্রদীপ স্যার ফিরে আসলে যেন এইগুলা দেখাইতে পারে।
এসআই, ওসি, এসপি এমন করে যেভাবে ঘটনা উপর দিকে উঠতেছে তাতে প্রদীপের বিচার হওয়া নিয়ে আমার সন্দেহ জাগে। তবে দেশের জনগণকে ধন্যবাদ তারা কিছু মানুষ হত্যাকারী ডাকাতের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড প্রতিবাদ গড়ে তুলেছে। টেকনাফের মহিলা নেত্রী নাজনীন সরওয়ার কাবেরী বিচার চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন যা পেপারেও প্রকাশ হয়েছে।এই স্ট্যাটাসে মুহূর্তের মধ্যেই ৫ শতাধিক কমেন্টস পড়ে। শত শত শেয়ার হয়ে যায়। সাহসী লিখনির জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে অনেকেই।
পুলিশ সুপার এর বিরুদ্ধে এমন কঠোর স্ট্যাটাস দেয়ার কারণ কক্সবাজার জেলার কোন থানায় টাকা ছাড়া মামলা হয় না। সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হয়। এই অবস্হা সারা বাংলাদেশে তাই দলমতের উদ্ধে উঠে এসব ভয়ংকর হায়েনাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গঠে তুলে বিচার করতে সরকারকে বাধ্য করা উচিত । মনে রাখা দরকার এই প্রদীপ কুমার বিএনপি জামাত জোটের আমলে চাকরী পেয়েছে। তখন সে বিএনপি করতো বলে চাকরী পেয়েছে। আর সেই সময় সে বিএনপি হতে সুবিধা নিয়েছে ।
বিএনপির দিন শেষ বলে আওয়ামী দিনে সে সন্ত্রাসীদের বাপ বনে পুলিশ হযে বিএনপির কর্মীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করেছে এই প্রদীপ বাবু । এখান হতে সবার শিখার আছে যে প্রদীপ দাশ কারো নয়। সে শুধু টাকা রোজগার করতে মুখোশ পরিবর্তন করেছে এবং কোটি কোটি টাকা অবৈধ রোজগার করে ভারতে পাচার করেছে । সেখানে বাড়ি গাড়ি সব করেছে , স্ত্রীর পাসপোর্টও ভারতীয় । অর্থাৎ চাকরী জীবন শেষ হলেই পালাবে প্রদীপ স্যার। আগে আরো কয়েকবার সে বিপদে পড়ে ছিল কিছুই হয়নি বলে সে এত হাসিখুশি এত বেপরোয়া । তাই লোকে বলে এই প্রদীপ কুমারের খুটির জোর অনেক উপরে! ভারতের উন্নয়ন মানে আমাদের উন্নয়ন আর আমাদের উন্নয়ন মানে ভারতের উন্নয়ন এমন কথা শুনে নিশ্চয় প্রদীপ বাবুও খুশি হয়েছেন । পেপার টিভি ও সামাজিক মাধ্যমে তার অত্যাচারের কাহিনী দেখে ও পড়ে ৭১ -এ লক্ষ লক্ষ শহীদের কাছে লজ্জিতবোধ করছি ।
সরকারী বন্দুক ব্যবহার করে জনগণকে ভয় দেখিয়ে অর্থ উপার্জনই এমন অনেকেরই পেশা ও নেশা । মানুষকে অত্যাচার নির্যাতন করা জেলে দেওয়া এবং মানুষ হতে চাঁদা আদায়ের হিসাব দেখে বলতে মন চায় মানুষ শান্তিতে নেই এই স্বাধীন দেশে। হে আম জনতা বলুন আমরা রক্তের সাগর পাড়ি দিয়ে চিনিয়ে এনেছি বাংলাদেশ । এমন হাজারো আলোহীন প্রদীপের জন্য নয়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জানবক্স খান ২২/০৮/২০২০সর্ষের ভুত তাড়াতে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। ভালো লিখেছেন।
-
এম. মাহবুব মুকুল ১৫/০৮/২০২০ওরা যুগে যুগে থাকবে। অকাজ কুকাজ করেবে।
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১২/০৮/২০২০খুবই তাৎপর্যপূর্ণ
-
Biswanath Banerjee ১১/০৮/২০২০valo
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ০৯/০৮/২০২০রক্ষক যখন ভক্ষক।
-
মোঃ মাহাবুবুর রহমান পথিক ০৯/০৮/২০২০খবুই গটনমূলক সমসাময়িক লেখা। খুব ভাল লেখেছেন। এই দুর্নীতি বাজ দের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ আজ শোষিত। মানবতা আজ নিরবে কাঁদে। এদের বিচার চাই অচিরেই।