বিশ্বাসে বিধাতা মিলে ।
চাচা, আপনার দোকানে কি ঈশ্বর আছে? প্রশ্নো শুনে বৃদ্ধ দোকানদার কিউরিয়াস ফিল করলেন । হাফপ্যান্ট পরা দরিদ্র এক কিশোর ক্রেতা ।
ঈশ্বর দিয়া কি করবে? দোকানি জানতে চাইলেন। আমার বাবা নাই, জবাব দিল কিশোর। আম্মার খুব অসুখ হাসপাতেলে ভর্তি। ডাক্তার বলেছে একমাত্র ঈশ্বরই নাকি উনাকে বাঁচাতে পারে। উনি মারা গেলে আমাকে কে খাওয়াবে ? আছে আপনার দোকানে ঈশ্বর , চাচা? হুম, আছে তো, দোকানি পেশাদার কন্ঠে জবাব দেন। কিন্তু কত আছে তোমার কাছে? বিশ টাকা । আচ্ছা , ব্যাপার না এমনিতে ঈশ্বরের দাম একটু বেশি কিন্তু বিশ টাকায় দেওয়া যাইবে । আগে টাকা দাও । কম হবে না ? ২০ টাকার নোট এগিয়ে দিতে দিতে বলে কিশোরটি। ২০ টাকা দামের একটা পানির বোতল কিশোরের দিকে এগিয়ে দিয়ে বৃদ্ধ দোকানি বললেন, এই পানিটা বিসমিল্লাহ বলে খেয়ে ফেলো। দেখবে দুই দিন পর তোমার মা ভাল হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। আর তোমার মা কোন হাসপাতালে আছে লিখে দিয়ে যাও।
অপারেশনের ঠিক দুদিন পর হাসপাতালের ক্যাশিয়ার এসে মাকে বলে, চিন্তা করবেন না। আপনার বিল অলরেডি পরিশোধ করা হয়ে গেছে। এক বৃদ্ধ লোক বিল পরিশোধ করেছেন আর এই চিঠিটা দিয়ে গেছেন। চিঠি! কি লেখা? অবাক হয়ে মা জানতে চান। চিঠিটা খুলে পড়তে লাগলো ক্যাশিয়ার সাহেব । আমাকে ধন্যবাদ দিবেন না । আমি কেবল উছিলা মাত্র । ধন্যবাদ দিলে আপনার বেকুব ছেলেকে দিবেন। আপনি যখন হাসপাতালের বিছানায় পড়ে ছিলেন তখন তার বিশ্বাস ছিল যে একমাত্র ঈশ্বরই পারেন আপনাকে বাঁচাতে আর সেই বিশ্বাস নিয়ে সে সত্যি সত্যি ঈশ্বরকে খুঁজতে বের হয়েছিল। তার এই বিশ্বাসটা অটুট রাখা জরুরী , খুবই জরুরী। (সংগ্রহকৃত)
এই বিশ্বাসের পরও কিছু মা বৃদ্ধা আশ্রমে যাবে একটা নিদিষ্ট সময়ের পর। কিছু মা একা একা বন্ধ বাসায় অন্ধকার রুমে মরে থাকবে। কয়েকদিন পর প্রতিবেশীরা না দেখলে থানায় খবর দিবে । পুলিশ এসে গলিত মার মৃতদেহ বাহির করবে। তখন হয়তো সন্তান ব্যস্ত থাকবে দেশে কিংবা বিদেশে ।
আজকাল ধর্মীয় অনুশাসন মানুষকে বশ্যতায় রাখতে পারছে না। ধর্ম নিরহ হয়ে ধর্মের জায়গায় পড়ে আছে। আর মানুষ পাখি হয়ে আকাশে উড়ছে । যেমন কোন এরাবিয়ানের চীনে গিয়ে হালাল খাবার খোজ করার মত। অথচ সেই লোক চীন যায় কোন নামকরা কোম্পানির পণ্য নকল করার তদারকিতে। আমরাও এই মহামারীতে কীট হয়ে পলিটিক্স করছি।
ঈশ্বর দিয়া কি করবে? দোকানি জানতে চাইলেন। আমার বাবা নাই, জবাব দিল কিশোর। আম্মার খুব অসুখ হাসপাতেলে ভর্তি। ডাক্তার বলেছে একমাত্র ঈশ্বরই নাকি উনাকে বাঁচাতে পারে। উনি মারা গেলে আমাকে কে খাওয়াবে ? আছে আপনার দোকানে ঈশ্বর , চাচা? হুম, আছে তো, দোকানি পেশাদার কন্ঠে জবাব দেন। কিন্তু কত আছে তোমার কাছে? বিশ টাকা । আচ্ছা , ব্যাপার না এমনিতে ঈশ্বরের দাম একটু বেশি কিন্তু বিশ টাকায় দেওয়া যাইবে । আগে টাকা দাও । কম হবে না ? ২০ টাকার নোট এগিয়ে দিতে দিতে বলে কিশোরটি। ২০ টাকা দামের একটা পানির বোতল কিশোরের দিকে এগিয়ে দিয়ে বৃদ্ধ দোকানি বললেন, এই পানিটা বিসমিল্লাহ বলে খেয়ে ফেলো। দেখবে দুই দিন পর তোমার মা ভাল হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। আর তোমার মা কোন হাসপাতালে আছে লিখে দিয়ে যাও।
অপারেশনের ঠিক দুদিন পর হাসপাতালের ক্যাশিয়ার এসে মাকে বলে, চিন্তা করবেন না। আপনার বিল অলরেডি পরিশোধ করা হয়ে গেছে। এক বৃদ্ধ লোক বিল পরিশোধ করেছেন আর এই চিঠিটা দিয়ে গেছেন। চিঠি! কি লেখা? অবাক হয়ে মা জানতে চান। চিঠিটা খুলে পড়তে লাগলো ক্যাশিয়ার সাহেব । আমাকে ধন্যবাদ দিবেন না । আমি কেবল উছিলা মাত্র । ধন্যবাদ দিলে আপনার বেকুব ছেলেকে দিবেন। আপনি যখন হাসপাতালের বিছানায় পড়ে ছিলেন তখন তার বিশ্বাস ছিল যে একমাত্র ঈশ্বরই পারেন আপনাকে বাঁচাতে আর সেই বিশ্বাস নিয়ে সে সত্যি সত্যি ঈশ্বরকে খুঁজতে বের হয়েছিল। তার এই বিশ্বাসটা অটুট রাখা জরুরী , খুবই জরুরী। (সংগ্রহকৃত)
এই বিশ্বাসের পরও কিছু মা বৃদ্ধা আশ্রমে যাবে একটা নিদিষ্ট সময়ের পর। কিছু মা একা একা বন্ধ বাসায় অন্ধকার রুমে মরে থাকবে। কয়েকদিন পর প্রতিবেশীরা না দেখলে থানায় খবর দিবে । পুলিশ এসে গলিত মার মৃতদেহ বাহির করবে। তখন হয়তো সন্তান ব্যস্ত থাকবে দেশে কিংবা বিদেশে ।
আজকাল ধর্মীয় অনুশাসন মানুষকে বশ্যতায় রাখতে পারছে না। ধর্ম নিরহ হয়ে ধর্মের জায়গায় পড়ে আছে। আর মানুষ পাখি হয়ে আকাশে উড়ছে । যেমন কোন এরাবিয়ানের চীনে গিয়ে হালাল খাবার খোজ করার মত। অথচ সেই লোক চীন যায় কোন নামকরা কোম্পানির পণ্য নকল করার তদারকিতে। আমরাও এই মহামারীতে কীট হয়ে পলিটিক্স করছি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
বেগম সেলিনা খাতুন ১১/০৫/২০২০অনেক সুন্দর, এই গল্প থেকে অনেক কিছু আমাদের শিখার আছে।
-
কে এম শাহ্ রিয়ার ১০/০৫/২০২০Excellent
-
রূপক কুমার রক্ষিত ০৭/০৫/২০২০Good Writings
-
মশিউর ইসলাম (বিব্রত কবি) ০২/০৫/২০২০সত্যি বাস্তবতা তুলে ধরেছেন লেখায়।
মুগ্ধ হলাম -
মোহন দাস (বিষাক্ত কবি) ০২/০৫/২০২০Khub valo...
-
অধীতি ০১/০৫/২০২০এটা কি আপনি লিখেছেন?
এই গল্পটি অনেক জায়গায় পড়লাম। -
মোঃআব্দুল্লাহ্ আল মামুন ৩০/০৪/২০২০শিক্ষনীয় বিষয়। সুন্দর উপস্থাপন
-
পরিতোষ ভৌমিক ২ ৩০/০৪/২০২০শিক্ষ্নীয় বটে । দারুন ।
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ৩০/০৪/২০২০সুন্দর লিখেছেন। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে...
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৯/০৪/২০২০সুন্দর গল্প।