ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া
একবার এক লোক তার বউয়ের সাথে গল্প করছিল। পেশায় সে রেলের লাইনম্যান। গল্পের মধ্য দিয়ে সে বোঝাতে চাইছিল তার ক্ষমতার বাহাদুরী কতখানি। বউকে লোকটি বললো, জানো আমার এক ইশারায় চলন্ত ট্রেন থেমে যায়। বউটি ছিল গ্রামের স্বল্পশিক্ষিত, অবলা এক মেয়ে। চোখ বড় বড় করে বললো, ও মা তাই না কি!
লোকটি বেশ ভাব নিয়ে বললো, হ্যা। এবার বউ বায়না ধরে স্বামীর এই বাহাদুরী দেখার। কি আর করা, বউয়ের বায়না বলে কথা! নিয়ে এলো তার কর্মস্থলে। বউকে পাশে দাঁড় করিয়ে রাখলো। একটা ট্রেন ছুটে আসছে। বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ হাতের ফ্ল্যাগ উঁচিয়ে সিগন্যাল দেখিয়ে দিল। ট্রেন চালক ট্রেন থামিয়ে লাইনম্যানকে ট্রেন থামানোর কারণ জানতে চাইলো। সে তার কোন সদুত্তর দিতে পারলো না।
চালক এবার ক্ষেপে কষে চড় বসিয়ে দেয় লাইনম্যানের গালে। তারপর সে ট্রেন চালাতে ফিরে যায়। লাইনম্যানের বউ দৌড়ে এসে ঘটনা জানতে চায়। লাইনম্যান তখন তার বউকে জবাব দেয়, আমি আমার ক্ষমতা তোমাকে দেখিয়েছি, সে তার বউকে তার ক্ষমতা দেখিয়েছে।
গল্পের এখানেই শেষ না। এ কেবল শুরু। আমরা মানুষেরা একটু ক্ষমতা পেলে ধরাকে সরা জ্ঞান করি। এর পাওনা ওকে দেই, ওর পাওনা একে দেই। ভাবখানা, সে চিরদিনের জন্য এখানে গেঁড়ে বসেছে। অথচ সুরা লোকমানে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন বলছেন-"অথচ কেউই জানে না আগামীকাল তার জন্য কি অপেক্ষা করছে, আর কেউ জানে না কোথায় তার মৃত্যু হবে (আয়াতঃ৩৪)।
আমি জানি না আগামীকাল কি হবে, তারপরো আমি কত বেপরোয়া! ঐ লাইনম্যানের মতো যদি স্রষ্টার চড় আমাদের গালে বসে, তাহলে রক্ষা করার কে থাকবে?
"প্রত্যেক ক্রিয়ার একটা প্রতিক্রিয়া থাকে"। আজ আপনি ক্ষমতা পেয়ে একের প্রাপ্য অন্যকে দিচ্ছেন, প্রাপ্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছেন, সূত্র অনুযায়ী স্রষ্টা যখন আপনার পাওনা ধরে টান দেবেন, সহ্য করতে পারবেন তো?
"মানুষ অনেক কিছুই ভুলে যায়, কিন্তু প্রকৃতি ভোলে না। সে সুদে আসলে সব ফেরৎ দেয়"। ক্ষমতা পেয়ে যা ইচ্ছে হচ্ছে তাই করছেন! ভাবখানা কেউ দেখছে না!
"আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তিনি শ্বাশ্বত ও চিরঞ্জীব। বিশ্বপ্রকৃতির সর্বসত্তার ধারক। তিনি তন্দ্রা নিদ্রাহীন সদাসজাগ"(সুরা বাকারা, আয়াত ২৫৫)
তো আপনার এই অপকর্মগুলো ঢাকবেন কি দিয়ে?
"ওরা চক্রান্তের জাল বোনে আর শেষ পর্যন্ত সে জালে নিজেরাই জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু (আফসোস!) জাল বোনার সময় ওরা তা বোঝে না" (সূরা আনআম, আয়াতঃ১২৩)।
অন্যকে বঞ্চিত করে, নিপীড়ন করে খুব সুখ সুখ অনুভব করছেন? প্রাকৃতিক নিয়মে জালে যখন জড়াবেন, কে বাঁচাবে আপনাকে?
"আসলে যে সীমালঙ্ঘন করেছে এবং পার্থিব জীবনের লোভ লালসাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, জাহান্নামই হবে তার নিবাস" (সূরা নাজিয়াত, আয়াতঃ৩৭-৩৯)।
ভাবছেন দিল্লী বহু দূর! আসলে কি দূর? এরশাদ শিকদার যখন মানুষ মেরে ভৈরব নদীতে ডুবিয়ে দিচ্ছিল, একবারের জন্যও কি ভেবেছিল এই মরা মানুষের হাড়গুলোই তার শেষ বিদায়ের ঘণ্টা বাজিয়ে দেবে? দয়া করে কারো অনিষ্ট করবেন না। সাময়িক ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে যাবেন না। সময় আছে, নিজেকে শুধরে নিন।
"একটি সুঁইয়ের ছিদ্র দিয়ে উটের প্রবেশ যেমন অসম্ভব, সত্য অস্বীকারকারীদের জান্নাতে প্রবেশও তেমনি অসম্ভব" (সূরা আরাফ, আয়াতঃ৪০)।
জান্নাত জাহান্নাম শুধু পরকালেই নয়, এই দুনিয়ায়ও আছে। একটা দিন শারীরিক কিংবা মানসিক দূঃসহ যন্ত্রণায় কাটিয়ে দেখুন, জাহান্নামকে দেখতে পান কি না! বিপথগামী ছেলে মেয়ের বাবা মাকে জিজ্ঞেস করুন, জাহান্নাম কেমন? কাছের স্বজন দুরারোগে আক্রান্ত, কাড়ি কাড়ি টাকা, কিছুই করতে পারছেন না, বুঝবেন জাহান্নাম কেমন?
আর এর বিপরীতেই জান্নাতি শান্তি। আর পরকাল, সে তো আছেই
লোকটি বেশ ভাব নিয়ে বললো, হ্যা। এবার বউ বায়না ধরে স্বামীর এই বাহাদুরী দেখার। কি আর করা, বউয়ের বায়না বলে কথা! নিয়ে এলো তার কর্মস্থলে। বউকে পাশে দাঁড় করিয়ে রাখলো। একটা ট্রেন ছুটে আসছে। বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ হাতের ফ্ল্যাগ উঁচিয়ে সিগন্যাল দেখিয়ে দিল। ট্রেন চালক ট্রেন থামিয়ে লাইনম্যানকে ট্রেন থামানোর কারণ জানতে চাইলো। সে তার কোন সদুত্তর দিতে পারলো না।
চালক এবার ক্ষেপে কষে চড় বসিয়ে দেয় লাইনম্যানের গালে। তারপর সে ট্রেন চালাতে ফিরে যায়। লাইনম্যানের বউ দৌড়ে এসে ঘটনা জানতে চায়। লাইনম্যান তখন তার বউকে জবাব দেয়, আমি আমার ক্ষমতা তোমাকে দেখিয়েছি, সে তার বউকে তার ক্ষমতা দেখিয়েছে।
গল্পের এখানেই শেষ না। এ কেবল শুরু। আমরা মানুষেরা একটু ক্ষমতা পেলে ধরাকে সরা জ্ঞান করি। এর পাওনা ওকে দেই, ওর পাওনা একে দেই। ভাবখানা, সে চিরদিনের জন্য এখানে গেঁড়ে বসেছে। অথচ সুরা লোকমানে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন বলছেন-"অথচ কেউই জানে না আগামীকাল তার জন্য কি অপেক্ষা করছে, আর কেউ জানে না কোথায় তার মৃত্যু হবে (আয়াতঃ৩৪)।
আমি জানি না আগামীকাল কি হবে, তারপরো আমি কত বেপরোয়া! ঐ লাইনম্যানের মতো যদি স্রষ্টার চড় আমাদের গালে বসে, তাহলে রক্ষা করার কে থাকবে?
"প্রত্যেক ক্রিয়ার একটা প্রতিক্রিয়া থাকে"। আজ আপনি ক্ষমতা পেয়ে একের প্রাপ্য অন্যকে দিচ্ছেন, প্রাপ্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছেন, সূত্র অনুযায়ী স্রষ্টা যখন আপনার পাওনা ধরে টান দেবেন, সহ্য করতে পারবেন তো?
"মানুষ অনেক কিছুই ভুলে যায়, কিন্তু প্রকৃতি ভোলে না। সে সুদে আসলে সব ফেরৎ দেয়"। ক্ষমতা পেয়ে যা ইচ্ছে হচ্ছে তাই করছেন! ভাবখানা কেউ দেখছে না!
"আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তিনি শ্বাশ্বত ও চিরঞ্জীব। বিশ্বপ্রকৃতির সর্বসত্তার ধারক। তিনি তন্দ্রা নিদ্রাহীন সদাসজাগ"(সুরা বাকারা, আয়াত ২৫৫)
তো আপনার এই অপকর্মগুলো ঢাকবেন কি দিয়ে?
"ওরা চক্রান্তের জাল বোনে আর শেষ পর্যন্ত সে জালে নিজেরাই জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু (আফসোস!) জাল বোনার সময় ওরা তা বোঝে না" (সূরা আনআম, আয়াতঃ১২৩)।
অন্যকে বঞ্চিত করে, নিপীড়ন করে খুব সুখ সুখ অনুভব করছেন? প্রাকৃতিক নিয়মে জালে যখন জড়াবেন, কে বাঁচাবে আপনাকে?
"আসলে যে সীমালঙ্ঘন করেছে এবং পার্থিব জীবনের লোভ লালসাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, জাহান্নামই হবে তার নিবাস" (সূরা নাজিয়াত, আয়াতঃ৩৭-৩৯)।
ভাবছেন দিল্লী বহু দূর! আসলে কি দূর? এরশাদ শিকদার যখন মানুষ মেরে ভৈরব নদীতে ডুবিয়ে দিচ্ছিল, একবারের জন্যও কি ভেবেছিল এই মরা মানুষের হাড়গুলোই তার শেষ বিদায়ের ঘণ্টা বাজিয়ে দেবে? দয়া করে কারো অনিষ্ট করবেন না। সাময়িক ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে যাবেন না। সময় আছে, নিজেকে শুধরে নিন।
"একটি সুঁইয়ের ছিদ্র দিয়ে উটের প্রবেশ যেমন অসম্ভব, সত্য অস্বীকারকারীদের জান্নাতে প্রবেশও তেমনি অসম্ভব" (সূরা আরাফ, আয়াতঃ৪০)।
জান্নাত জাহান্নাম শুধু পরকালেই নয়, এই দুনিয়ায়ও আছে। একটা দিন শারীরিক কিংবা মানসিক দূঃসহ যন্ত্রণায় কাটিয়ে দেখুন, জাহান্নামকে দেখতে পান কি না! বিপথগামী ছেলে মেয়ের বাবা মাকে জিজ্ঞেস করুন, জাহান্নাম কেমন? কাছের স্বজন দুরারোগে আক্রান্ত, কাড়ি কাড়ি টাকা, কিছুই করতে পারছেন না, বুঝবেন জাহান্নাম কেমন?
আর এর বিপরীতেই জান্নাতি শান্তি। আর পরকাল, সে তো আছেই
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।