আজ শত বছর পরে
দুটি কবর পাশাপাশি।
সম্পর্কে একজন আমলা আরেকজন কামলা।
পরিস্থিতে ওদের কবর পাশাপাশি, নামে তারা জনাব বাহাদুর আর বিরান মিয়াঁ।
শত বছর পরে মিয়াঁর প্রশ্নের তীর, নির্ভয়ে জনাবের কাছে।
কেমন আছেন জনাব?
বহুদিন পর আকস্মিক আপনার কথা মনে হল।
পাশাপাশি আমরা অতচ কথা নেই, কিছুই কি বলার নেই।
অতচ কতদিন কেটেছে আমাদের একসাথে।
আজ যখন সুযোগ হল কথার, চেয়ে দেখি আশপাশ।
নিরিবিলি চারপাশ, নিশ্তব্দ তিমির রজনী।
এখানে গভীর অন্ধকার নামে রাতবিরাতে।
কেয়ামতের অপেক্ষাে।
মাঝে মাঝে বিকট আওয়াজ হয় এখানে ওখানে।
আর কোন শব্দ নেই।
জনাব, জনাব আজ কি কোন উত্তর নেই আপনার?
এই যে আপনার দাপুটে সমাজ ফেলে এসেছেন?
সেখানে এখন অস্ত্রের ঝনঝনানি হয় প্রতিদিন।
আপনি ইচ্ছে করলেও আর দেখতেও পারবেন না।
এখন সবার কাছে আপনি মহাশূন্য।
আপনার ফেলে আশা সম্পত্তিতে বসেছে ভাগের হিরিক।
আপনার জন্য এক প্যাকেট বিস্কিট মসজিদে দেয়ার কেউ নাই আজ।
বুঝলেন তো মশাই কেমন ভাল ছিলেন আপনি।
আর আপনার সমাজ......হা হা হা হা।
একটা অন্ধকার, হানিহানির ভয়ানক আবাস্থল।
এক জনের পিছনে আরেকজন লেগে থাকে প্রতিদিন।
কারোর ভাল কেউ চায় না।
ঠিক আগের মত, ওরাও মনে হয় জানে না এটা কতদিনের শিক্ষা তাদের।
কারোর বড় হওয়া কেউ দেখতে পারে না।
অমুক বেনাইম্মার ছেলের ভাল স্থান হয়ে যাবে?
না না না এ হতে পারে, লেগে যা সবাই ওর পিছে।
এত বছর পরে আমার কি মনে হচ্ছে জানেন জনাব?
আমাদের খুব দরকার।
বেঁচে থাকতে কারোর উপকার করতে পারি নাই ঠিক।
তবে ক্ষতি তো করি নাই।
আমাদের দিয়ে সমাজ ভাল ছিল।
আমাদের কাছে সমাজ শান্তি পেত।
আর আপনারা?
ক্ষমতা লোভে কি না করেছেন?
এত সুন্দর পাঠশালা ভেঙ্গে করেছিলেন বেশ্যালয়।
পুরানো সরকারী চালের গুদাম ভেঙ্গে করেছিলেন আয়েসখানা।
সমাজের সুন্দর সংঘটন এখন সুধের কারখানা।
কি শিখিয়ে এসেছেন সমাজ কে?
অনেক কিছুই করার ছিল আপনার।
কি করে এসেছেন?
ছেলে কে বানিয়ে এসেছিলেন গাঁজা পাড়ার মালিক।
মেয়েকে বিয়ে দিয়ে এসেছেন একটা লুটতরাজের কাছে।
আপনি আজ বড় অসহায়, আপনার মুখের জবাব স্তব্ধ।
বাক শূন্য হয়ে গেছেন সেই কবেই আপনি।
আমার অনেক কিছুই বলার আছে জনাব।
যা আপনার নেই।
আজ শত বছর পরে কেন জানি মনে হচ্ছে।
আমার অনেক সাদ রয়ে গেছে।
সুন্দর দুনিয়ায় আবার যাবার দরকার ছিল।
একটি কথা চিৎকার করে বলে আসতাম শুধু।
এখানে আমরা সবাই ক দিনের বসবাসকারী ভাইসব।
আমরা সবাই শান্তিতে থাকবো, শান্তির মিছিলে নামবো।
চল সবাই মিলে একটি শ্লোগানে বাঁচি।
সুন্দর জীবন উপভোগ করি।
ইসলামের মত মানবতার বাতিঘরে।
বিশ্বকে প্রতিষ্ঠা করি।
রচনা কালঃ ২০১৭, ২৫ অক্টোবর সকাল ০৮৪৫
রচনার ধরণ ঃ গদ্যকতবিতা
সম্পর্কে একজন আমলা আরেকজন কামলা।
পরিস্থিতে ওদের কবর পাশাপাশি, নামে তারা জনাব বাহাদুর আর বিরান মিয়াঁ।
শত বছর পরে মিয়াঁর প্রশ্নের তীর, নির্ভয়ে জনাবের কাছে।
কেমন আছেন জনাব?
বহুদিন পর আকস্মিক আপনার কথা মনে হল।
পাশাপাশি আমরা অতচ কথা নেই, কিছুই কি বলার নেই।
অতচ কতদিন কেটেছে আমাদের একসাথে।
আজ যখন সুযোগ হল কথার, চেয়ে দেখি আশপাশ।
নিরিবিলি চারপাশ, নিশ্তব্দ তিমির রজনী।
এখানে গভীর অন্ধকার নামে রাতবিরাতে।
কেয়ামতের অপেক্ষাে।
মাঝে মাঝে বিকট আওয়াজ হয় এখানে ওখানে।
আর কোন শব্দ নেই।
জনাব, জনাব আজ কি কোন উত্তর নেই আপনার?
এই যে আপনার দাপুটে সমাজ ফেলে এসেছেন?
সেখানে এখন অস্ত্রের ঝনঝনানি হয় প্রতিদিন।
আপনি ইচ্ছে করলেও আর দেখতেও পারবেন না।
এখন সবার কাছে আপনি মহাশূন্য।
আপনার ফেলে আশা সম্পত্তিতে বসেছে ভাগের হিরিক।
আপনার জন্য এক প্যাকেট বিস্কিট মসজিদে দেয়ার কেউ নাই আজ।
বুঝলেন তো মশাই কেমন ভাল ছিলেন আপনি।
আর আপনার সমাজ......হা হা হা হা।
একটা অন্ধকার, হানিহানির ভয়ানক আবাস্থল।
এক জনের পিছনে আরেকজন লেগে থাকে প্রতিদিন।
কারোর ভাল কেউ চায় না।
ঠিক আগের মত, ওরাও মনে হয় জানে না এটা কতদিনের শিক্ষা তাদের।
কারোর বড় হওয়া কেউ দেখতে পারে না।
অমুক বেনাইম্মার ছেলের ভাল স্থান হয়ে যাবে?
না না না এ হতে পারে, লেগে যা সবাই ওর পিছে।
এত বছর পরে আমার কি মনে হচ্ছে জানেন জনাব?
আমাদের খুব দরকার।
বেঁচে থাকতে কারোর উপকার করতে পারি নাই ঠিক।
তবে ক্ষতি তো করি নাই।
আমাদের দিয়ে সমাজ ভাল ছিল।
আমাদের কাছে সমাজ শান্তি পেত।
আর আপনারা?
ক্ষমতা লোভে কি না করেছেন?
এত সুন্দর পাঠশালা ভেঙ্গে করেছিলেন বেশ্যালয়।
পুরানো সরকারী চালের গুদাম ভেঙ্গে করেছিলেন আয়েসখানা।
সমাজের সুন্দর সংঘটন এখন সুধের কারখানা।
কি শিখিয়ে এসেছেন সমাজ কে?
অনেক কিছুই করার ছিল আপনার।
কি করে এসেছেন?
ছেলে কে বানিয়ে এসেছিলেন গাঁজা পাড়ার মালিক।
মেয়েকে বিয়ে দিয়ে এসেছেন একটা লুটতরাজের কাছে।
আপনি আজ বড় অসহায়, আপনার মুখের জবাব স্তব্ধ।
বাক শূন্য হয়ে গেছেন সেই কবেই আপনি।
আমার অনেক কিছুই বলার আছে জনাব।
যা আপনার নেই।
আজ শত বছর পরে কেন জানি মনে হচ্ছে।
আমার অনেক সাদ রয়ে গেছে।
সুন্দর দুনিয়ায় আবার যাবার দরকার ছিল।
একটি কথা চিৎকার করে বলে আসতাম শুধু।
এখানে আমরা সবাই ক দিনের বসবাসকারী ভাইসব।
আমরা সবাই শান্তিতে থাকবো, শান্তির মিছিলে নামবো।
চল সবাই মিলে একটি শ্লোগানে বাঁচি।
সুন্দর জীবন উপভোগ করি।
ইসলামের মত মানবতার বাতিঘরে।
বিশ্বকে প্রতিষ্ঠা করি।
রচনা কালঃ ২০১৭, ২৫ অক্টোবর সকাল ০৮৪৫
রচনার ধরণ ঃ গদ্যকতবিতা
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোলাইমান ২৬/১০/২০১৭অনন্য সুন্দর ভাবনায় লেখা দারুন সুন্দর কবিতা। অনেক অনেক শুভকামনা রইল প্রিয় কবি।।
-
আব্দুল হক ২৫/১০/২০১৭বেশ ভালো ধন্যবাদ!
-
সুমন দাস। ২৫/১০/২০১৭খুব ভালো হয়েছে
-
কামরুজ্জামান সাদ ২৫/১০/২০১৭মানুষ তার কর্মে বেঁচে থাকে
-
ডঃ সুজিতকুমার বিশ্বাস ২৫/১০/২০১৭সুন্দর।
-
আজাদ আলী ২৫/১০/২০১৭Khub Valo laglo priy
-
মধু মঙ্গল সিনহা ২৫/১০/২০১৭বেশ সুন্দর।