বিশ্বাসঘাতক
...
সপ্তদশ শতকের মীরজাফর।
আর ঊনবিংশ শতাব্দীর লেন্দুপ দর্জি।
আছে আলফ্রেড রেড, বেনেডিক্ট আর্নল্ড, জুডাস, ব্রুটাস নামের পশুরা।
ওরা বিশ্বাসঘাতকের এক একটা নর্দমার কিট।
এমন অনেকেই আছে আমাদের সুহৃদ
যাদেরকে আমরা জেনেও বুকে আগলে রাখি।
খুব আপন মেনে আর খুব যতনেই।
নিরাপত্তার বলয় তৈরি করি নিজের জীবন দিয়ে।
কেন জেনেও এমন হয়?
কারন একটাই।
আমরা যুগে যুগে এমনি ছিলাম।
অবিশ্বাসের পাহাড়ের চুড়ায় বসে থাকি নিরবে।
আর এভাবেই প্রতারিত হই বারে বার।
লাঞ্ছিত হই বঞ্ছিত হই নিপীড়িত হই বারেবার।
নিজেকে নিজেই করি অত্যাচার।
নিজেই নিজের বিশ্বাস ভঙ্গ করি হয়ে বিশ্বাসঘাতক।
নিজের প্রতি করা অত্যাচার আমরা কালের আবর্তে হারিয়ে ফেলেছি।
সেই কবেই!
সব হারিয়ে শেষে ভাবি যদি এমন হতো! অহ!
আবার সব ভুলে যখন উঠে দাঁড়াই।
খুব কাছ থেকে দেখতে পাই।
ভাত কাপড়ে ভাগ বসিয়ে আবার নিশ্চিহ্ন করে দিতে আসে ওরা।
ওরাই মীরজাফরদের দল, জুডাসদের ভয়ংকর থাবা।
কখনো খেড়ে নেয় বাসস্থান।
কখনো মুখের খাবার।
কখনো ঝড়িয়ে ধরে খুব যতনেই ছুরিকাঘাত করে বুকে।
কখনো আবার নিজের মনে করে যা ইচ্ছে দামে বিকিয়ে দেয়।
আমারা বলে বলেই দিন শেষ করে দেই।
মনে মনে সব বুঝে ফেলি, কই ফোটাই জ্ঞানের।
আবার তাও জানি নিজেও কত অকর্মা।
জানি তো?
যুগে যুগে আসি ভাবনার তরী সঙ্গে নিয়ে।
ভেবেই কাটিয়ে দেই বেলা অবেলা।
হেরে হেরে বার বার মনে মনে জিতে আসি
সকাল বিকেল সাঁজে।
জীবন তরী নামক ভেলাতে ভাসাই যেন শুধু কাজ।
আর কিছু মানুষ আছি মুখে বলি বিপ্লবের কথা।
আর অন্তরে পুষে রাখি নিজের খুব খিদে।
আর কিছু মানুষ আছি যারা ভয়ানক আর বীভৎসরূপ অবয়বে।
ফুটে থাকে মনুষ্যত্বের প্রাচুর্যতা।
অতচ কি অত্যাচারী মনোভাব মনেতে লালন করে।
এরা খুব কষ্ট দেয় মানুষকে; মানুষের ইজ্জত নিয়ে বাজি খেলে।
সুযোগের সন্ধানে রাত নেই; দিন নেই যে নিজেকে বিকায় না।
নিজের স্বার্থে আমরা অস্তির,
অন্য কারোর ভালথাকা যেন হতেই পারে না।
নিজেকে বিকিয়ে চলি বারে বার
অতচ কি যে নির্লজ্জতা, কি যে দুর্গন্ধ। অহ!
মুখে বলি বাহবা, আর অন্তরে বলি তা কি করে সম্ভব।
এহেন মনুষ্যত্বের বিচ্ছিরী বিকিরণ আমাদের করেছে বিপদগামী।
আমরা এভাবেই নিজের ক্ষণিকের জীবনকে কলঙ্কিত করি।
আমরা বিশ্বাস ঘাতক খুঁজি কেন
দেশ বিদেশ জুড়ে?
এই কথা সত্য যে আমরাই বিশ্বাসঘাতক।
আমরাই বিচরণ করি আমাদের চারিপাশ জুড়ে।
আমরা আমাদের বড় বিশ্বাসঘাতক।
সপ্তদশ শতকের মীরজাফর।
আর ঊনবিংশ শতাব্দীর লেন্দুপ দর্জি।
আছে আলফ্রেড রেড, বেনেডিক্ট আর্নল্ড, জুডাস, ব্রুটাস নামের পশুরা।
ওরা বিশ্বাসঘাতকের এক একটা নর্দমার কিট।
এমন অনেকেই আছে আমাদের সুহৃদ
যাদেরকে আমরা জেনেও বুকে আগলে রাখি।
খুব আপন মেনে আর খুব যতনেই।
নিরাপত্তার বলয় তৈরি করি নিজের জীবন দিয়ে।
কেন জেনেও এমন হয়?
কারন একটাই।
আমরা যুগে যুগে এমনি ছিলাম।
অবিশ্বাসের পাহাড়ের চুড়ায় বসে থাকি নিরবে।
আর এভাবেই প্রতারিত হই বারে বার।
লাঞ্ছিত হই বঞ্ছিত হই নিপীড়িত হই বারেবার।
নিজেকে নিজেই করি অত্যাচার।
নিজেই নিজের বিশ্বাস ভঙ্গ করি হয়ে বিশ্বাসঘাতক।
নিজের প্রতি করা অত্যাচার আমরা কালের আবর্তে হারিয়ে ফেলেছি।
সেই কবেই!
সব হারিয়ে শেষে ভাবি যদি এমন হতো! অহ!
আবার সব ভুলে যখন উঠে দাঁড়াই।
খুব কাছ থেকে দেখতে পাই।
ভাত কাপড়ে ভাগ বসিয়ে আবার নিশ্চিহ্ন করে দিতে আসে ওরা।
ওরাই মীরজাফরদের দল, জুডাসদের ভয়ংকর থাবা।
কখনো খেড়ে নেয় বাসস্থান।
কখনো মুখের খাবার।
কখনো ঝড়িয়ে ধরে খুব যতনেই ছুরিকাঘাত করে বুকে।
কখনো আবার নিজের মনে করে যা ইচ্ছে দামে বিকিয়ে দেয়।
আমারা বলে বলেই দিন শেষ করে দেই।
মনে মনে সব বুঝে ফেলি, কই ফোটাই জ্ঞানের।
আবার তাও জানি নিজেও কত অকর্মা।
জানি তো?
যুগে যুগে আসি ভাবনার তরী সঙ্গে নিয়ে।
ভেবেই কাটিয়ে দেই বেলা অবেলা।
হেরে হেরে বার বার মনে মনে জিতে আসি
সকাল বিকেল সাঁজে।
জীবন তরী নামক ভেলাতে ভাসাই যেন শুধু কাজ।
আর কিছু মানুষ আছি মুখে বলি বিপ্লবের কথা।
আর অন্তরে পুষে রাখি নিজের খুব খিদে।
আর কিছু মানুষ আছি যারা ভয়ানক আর বীভৎসরূপ অবয়বে।
ফুটে থাকে মনুষ্যত্বের প্রাচুর্যতা।
অতচ কি অত্যাচারী মনোভাব মনেতে লালন করে।
এরা খুব কষ্ট দেয় মানুষকে; মানুষের ইজ্জত নিয়ে বাজি খেলে।
সুযোগের সন্ধানে রাত নেই; দিন নেই যে নিজেকে বিকায় না।
নিজের স্বার্থে আমরা অস্তির,
অন্য কারোর ভালথাকা যেন হতেই পারে না।
নিজেকে বিকিয়ে চলি বারে বার
অতচ কি যে নির্লজ্জতা, কি যে দুর্গন্ধ। অহ!
মুখে বলি বাহবা, আর অন্তরে বলি তা কি করে সম্ভব।
এহেন মনুষ্যত্বের বিচ্ছিরী বিকিরণ আমাদের করেছে বিপদগামী।
আমরা এভাবেই নিজের ক্ষণিকের জীবনকে কলঙ্কিত করি।
আমরা বিশ্বাস ঘাতক খুঁজি কেন
দেশ বিদেশ জুড়ে?
এই কথা সত্য যে আমরাই বিশ্বাসঘাতক।
আমরাই বিচরণ করি আমাদের চারিপাশ জুড়ে।
আমরা আমাদের বড় বিশ্বাসঘাতক।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোলাইমান ২৭/১০/২০১৭অসাধারণ লেখনী । মনকে নাড়া দিল । লিখে যান ,লিখে যান ।
-
টি এম আমান উল্লাহ ২২/১০/২০১৭representational
-
কামরুজ্জামান সাদ ১৯/১০/২০১৭ইতিহাস নির্ভর
-
আব্দুল হক ১৯/১০/২০১৭অনেক সুন্দর লিখা , ধন্যবাদ!!
-
আজাদ আলী ১৯/১০/২০১৭Valo laglo
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১৯/১০/২০১৭শুভ দীপাবলী