অলক্ষী বধূ---শেষ পর্ব
আপন, পর কত করিল ভেদাভেদ, কাছে থেকেও দূর ভাবে তবুও ভাবে আপন তো আপন ই, হায়রে এক মায়ের দুই সন্তান তাতেও থাকে ভেদাভেদ, আর এই তো আপন আর পর,
নাহ বুঝে আপন নাহ বুঝে পর সকলেই যে তারি সাথে করেছিলো ভেদাভেদ ।
অতশত বুঝা বাদ দিয়ে ছোট্ট কিশোরী অলক্ষী সেঁজেছে নতুন বধূ,,কত কিছু পরেছে আজ নাকে নলক, কানে দুল, মাথায় টিকলি, কপালে লাল টিপ, হাতে চুড়ি,পায়ে আলতা রাঙ্গা নুপুর যাবে যে আজ পালকী চড়ে নিজের বাড়িতে ।
যাবার কালে একবার ফিরে তাকিয়ে ছিলো ছোট্ট তার ঘরে, শূন্যতা ভর করেছে হচ্ছে বিদায় অলক্ষী যে ।
নতুন ঘরে পা রাখিবে সুখে থাকবে শুধু, মা বলেছে বলবে নাহ আর কেউ অলক্ষী তাকে, নতুন করে মা পাবে, পাবে নতুন বাবা, আদর করে রাখবে তাকে যতন করে ঘরে, তাদের কথা শুনলে থাকবে শান্তিতে,, কিন্তুু এমন কিছু হলো নাহ যে,মা যে বলল কত আদর করবে আমায়!!?
প্রথম যেদিন পা রেখেছি উঠল বলে,
এসেছে আমার ঘরে অলক্ষীর ছায়া,
এবার তবে ধ্বংস করবে আমার ঘরের চুলা!!
তারপর থেকে রোজ রোজ না জানি কত কি বলত, বোকা অলক্ষী সারাক্ষণ থাকত চুপ করে,,মিষ্টি মুখের হাসি সেই যে গেলো পালকী থেকে নামার পর আজও আর আসিল নাহ,
এক কোণে বসে থাকত সারাদিন, দুইদিনে খেতে দিতো বড়জোরো,ভেবে ভেবে আনমনে বলত এই সুখের কথা বলেছিলো কি মা!!?? বোকা অলক্ষী এখন আর নেই যে অবুঝ সুখটা কেমন সে যে হাড়ে হাড়ে প্রতিক্ষন টের পাই!!
মা কে খুব বলতে ইচ্ছে করছে তার এই সুখ এর কথা বলেছিলো কি মা??
খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে মায়ের কোলে, বলতে ইচ্ছে করছে কেনো তাকে দিলো পর করে?? সে কি খুব বেশি বোঝা ছিলো?
কি এমন দোষ করেছিল অলক্ষী হতে হলো জন্মের পর থেকে?
কেনোই বা ছোট্ট অলক্ষীকে এতো বড় বানিয়ে দিলো এখনও তো স্বাদ নিতে পারিনি শৈশবের? কেনোই বা মিথ্যে কথার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দূর করিল?? এতো জলদি ছিলো অলক্ষী বিদায় করার?? কেনো,কিভাবে,কিসের জন্য অবুঝ একটা শিশুকে অলক্ষী বানিয়ে দিলো তারপর অন্য এক পরিচয় দিয়ে বলে আজ থেকে নিজের ঘরে যাবি সেখানে গিয়েও কিছুই পরিবর্তন হয় নাহ উল্টো আরও একটা নাম জুড়ে দেয় অলক্ষীর সাথে!! এভাবে অলক্ষী থেকে অলক্ষী বধূর যাত্রা.....????
আজ আকাশের ভীষন মন খারাপ, সকাল থেকে অবিরত ঝমঝম বৃষ্টি ঝড়ে পড়ছে,, এই যে সেই ঝমঝম বৃষ্টি যার ফোঁটায় প্রথম কপাল ছুয়ে আমন্ত্রিত করেছিল নবজাতক এক শিশুর আজ আবার ও একবার তাকে ছুয়ে আমন্ত্রণ করল,,
তফাৎ শুধু এইটুকুই আজ কপাল ছুয়ে নাহ পুরো দেহ ছুয়ে দিলো উঠোন কোণে মোড়ানো সাদা কাপড় ।।
নাহ বুঝে আপন নাহ বুঝে পর সকলেই যে তারি সাথে করেছিলো ভেদাভেদ ।
অতশত বুঝা বাদ দিয়ে ছোট্ট কিশোরী অলক্ষী সেঁজেছে নতুন বধূ,,কত কিছু পরেছে আজ নাকে নলক, কানে দুল, মাথায় টিকলি, কপালে লাল টিপ, হাতে চুড়ি,পায়ে আলতা রাঙ্গা নুপুর যাবে যে আজ পালকী চড়ে নিজের বাড়িতে ।
যাবার কালে একবার ফিরে তাকিয়ে ছিলো ছোট্ট তার ঘরে, শূন্যতা ভর করেছে হচ্ছে বিদায় অলক্ষী যে ।
নতুন ঘরে পা রাখিবে সুখে থাকবে শুধু, মা বলেছে বলবে নাহ আর কেউ অলক্ষী তাকে, নতুন করে মা পাবে, পাবে নতুন বাবা, আদর করে রাখবে তাকে যতন করে ঘরে, তাদের কথা শুনলে থাকবে শান্তিতে,, কিন্তুু এমন কিছু হলো নাহ যে,মা যে বলল কত আদর করবে আমায়!!?
প্রথম যেদিন পা রেখেছি উঠল বলে,
এসেছে আমার ঘরে অলক্ষীর ছায়া,
এবার তবে ধ্বংস করবে আমার ঘরের চুলা!!
তারপর থেকে রোজ রোজ না জানি কত কি বলত, বোকা অলক্ষী সারাক্ষণ থাকত চুপ করে,,মিষ্টি মুখের হাসি সেই যে গেলো পালকী থেকে নামার পর আজও আর আসিল নাহ,
এক কোণে বসে থাকত সারাদিন, দুইদিনে খেতে দিতো বড়জোরো,ভেবে ভেবে আনমনে বলত এই সুখের কথা বলেছিলো কি মা!!?? বোকা অলক্ষী এখন আর নেই যে অবুঝ সুখটা কেমন সে যে হাড়ে হাড়ে প্রতিক্ষন টের পাই!!
মা কে খুব বলতে ইচ্ছে করছে তার এই সুখ এর কথা বলেছিলো কি মা??
খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে মায়ের কোলে, বলতে ইচ্ছে করছে কেনো তাকে দিলো পর করে?? সে কি খুব বেশি বোঝা ছিলো?
কি এমন দোষ করেছিল অলক্ষী হতে হলো জন্মের পর থেকে?
কেনোই বা ছোট্ট অলক্ষীকে এতো বড় বানিয়ে দিলো এখনও তো স্বাদ নিতে পারিনি শৈশবের? কেনোই বা মিথ্যে কথার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দূর করিল?? এতো জলদি ছিলো অলক্ষী বিদায় করার?? কেনো,কিভাবে,কিসের জন্য অবুঝ একটা শিশুকে অলক্ষী বানিয়ে দিলো তারপর অন্য এক পরিচয় দিয়ে বলে আজ থেকে নিজের ঘরে যাবি সেখানে গিয়েও কিছুই পরিবর্তন হয় নাহ উল্টো আরও একটা নাম জুড়ে দেয় অলক্ষীর সাথে!! এভাবে অলক্ষী থেকে অলক্ষী বধূর যাত্রা.....????
আজ আকাশের ভীষন মন খারাপ, সকাল থেকে অবিরত ঝমঝম বৃষ্টি ঝড়ে পড়ছে,, এই যে সেই ঝমঝম বৃষ্টি যার ফোঁটায় প্রথম কপাল ছুয়ে আমন্ত্রিত করেছিল নবজাতক এক শিশুর আজ আবার ও একবার তাকে ছুয়ে আমন্ত্রণ করল,,
তফাৎ শুধু এইটুকুই আজ কপাল ছুয়ে নাহ পুরো দেহ ছুয়ে দিলো উঠোন কোণে মোড়ানো সাদা কাপড় ।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Anjon Ch.Acharjee ২৩/০১/২০১৭ভালো লাগল বন্ধু। আমার লেখাতেও মতামত চাই বন্ধু।
-
পরশ ২২/০১/২০১৭সুন্দর তবে আরও লিখ্বেন
-
ফয়জুল মহী ২১/০১/২০১৭অসাধারণ
-
সোলাইমান ২১/০১/২০১৭খুব ভাল লাগল প্রিয় কবি।
-
মোনালিসা ১৮/০১/২০১৭সুন্দর
-
মোমিনুল হক আরাফাত ১৮/০১/২০১৭দারুণ