অলক্ষী বধূ--০১
আধা কাঁচা টিনের চালে ঝমঝম বৃষ্টির শব্দ,,টুপটুপ বৃষ্টি ফোঁটা টিনের ছিদ্র দিয়ে ঐ শিশুটির কপাল ছুয়ে গড়িয়ে পরিল,এখন সে বুঝে নাহ কি ছুয়ে গেলো তাকে,, পৃথিবীতে তার আমন্ত্রণ বৃষ্টির জলে!!
এ শিশুটির খিল খিল হাসির শব্দে আঙ্গিনায় গঞ্জুন করে উঠে খুশিতে, চারপাশে আলোর ঝলমল করে উঠে,শিশুটিকে কত আদর, তার গাল ছুয়ে,কত মায়া চোখ ভরা,মন মধ্যখানটায় জায়গা করে নেওয়া, মুখে শুধু দোয়া বেঁচে থাকুক হাজার বছর!!
পরক্ষণে নিশ্চুপ সব হঠাৎ কেউ বলে উঠে হায় আল্লাহ এই কি?
এই কোন অভিশাপের ফল আসিল ঘরে___আমার ঘরে আসিল অলক্ষী রে!!
পরমুহূর্তে এ শিশুটির হাসি হয়ে উঠিল বিষ!! মায়ার চোখে ঘৃণা,আদর ভরা মুখে অভিশাপ,অলক্ষী, আরও কত কি ;কারন এ শিশুটি যার চিহ্নিতকরণ হয়েছিলো মেয়ে বলে যখন, তখন থেকে সে হয়ে গেলো অলক্ষী!!
তার জীবনের প্রতিটি দিন কাটিবে অলক্ষী হয়ে, সুন্দর একটা নাম থাকিবে কিন্তুু ডাক দিবে অলক্ষী হয়ে ।
শুরু হলো অলক্ষীর জীবন, ছোট ছোট হাতের আঙ্গুল গুলো আজ অনেক বড় হয়ে গিয়েছে সবাই বলে,,আরেকটু বড় হলে বুড়ী হয়ে যাবে,,তাই তো এই হাতে অন্য হাত দিবার সময় এসে গিয়েছে, অলক্ষী বুঝে নাহ কিছু তাকে যা বলে সে যে তাই করে,তাই আজ বসেছে বিয়ের পিড়িতে!!
মনে মনে অলক্ষী খুব খুশি, এখন আর ডাকবে নাহ কেউ অলক্ষী,বলবে না তার জন্য হয়েছে সব অভিশাপ,,অবুঝ অলক্ষী আনন্দে উড়ে বেড়ায়,,আজ থেকে সে মুক্ত পাখি,,কত সখ ছিলো উড়ে উড়ে ঘুরে বেড়াবে,ওই দূর আকাশে ঘুড়ির মতো তার ও স্বপ্ন মুক্ত ভেসে বেড়াবে,
বোকা অবুঝ অলক্ষী সে কি আর জানে ঘুড়ি নিজ ইচ্ছেতে আকাশে উড়ে বেড়াতে পারে নাহ, তারও যে পা বাধা থাকে সুতোয়!
(অসমাপ্ত)
এ শিশুটির খিল খিল হাসির শব্দে আঙ্গিনায় গঞ্জুন করে উঠে খুশিতে, চারপাশে আলোর ঝলমল করে উঠে,শিশুটিকে কত আদর, তার গাল ছুয়ে,কত মায়া চোখ ভরা,মন মধ্যখানটায় জায়গা করে নেওয়া, মুখে শুধু দোয়া বেঁচে থাকুক হাজার বছর!!
পরক্ষণে নিশ্চুপ সব হঠাৎ কেউ বলে উঠে হায় আল্লাহ এই কি?
এই কোন অভিশাপের ফল আসিল ঘরে___আমার ঘরে আসিল অলক্ষী রে!!
পরমুহূর্তে এ শিশুটির হাসি হয়ে উঠিল বিষ!! মায়ার চোখে ঘৃণা,আদর ভরা মুখে অভিশাপ,অলক্ষী, আরও কত কি ;কারন এ শিশুটি যার চিহ্নিতকরণ হয়েছিলো মেয়ে বলে যখন, তখন থেকে সে হয়ে গেলো অলক্ষী!!
তার জীবনের প্রতিটি দিন কাটিবে অলক্ষী হয়ে, সুন্দর একটা নাম থাকিবে কিন্তুু ডাক দিবে অলক্ষী হয়ে ।
শুরু হলো অলক্ষীর জীবন, ছোট ছোট হাতের আঙ্গুল গুলো আজ অনেক বড় হয়ে গিয়েছে সবাই বলে,,আরেকটু বড় হলে বুড়ী হয়ে যাবে,,তাই তো এই হাতে অন্য হাত দিবার সময় এসে গিয়েছে, অলক্ষী বুঝে নাহ কিছু তাকে যা বলে সে যে তাই করে,তাই আজ বসেছে বিয়ের পিড়িতে!!
মনে মনে অলক্ষী খুব খুশি, এখন আর ডাকবে নাহ কেউ অলক্ষী,বলবে না তার জন্য হয়েছে সব অভিশাপ,,অবুঝ অলক্ষী আনন্দে উড়ে বেড়ায়,,আজ থেকে সে মুক্ত পাখি,,কত সখ ছিলো উড়ে উড়ে ঘুরে বেড়াবে,ওই দূর আকাশে ঘুড়ির মতো তার ও স্বপ্ন মুক্ত ভেসে বেড়াবে,
বোকা অবুঝ অলক্ষী সে কি আর জানে ঘুড়ি নিজ ইচ্ছেতে আকাশে উড়ে বেড়াতে পারে নাহ, তারও যে পা বাধা থাকে সুতোয়!
(অসমাপ্ত)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোলাইমান ১৩/০১/২০১৭অপূর্ব ৷ আপনার লেখার বৈশিষ্ট্যটাই আলাদা ৷ শুভেচ্ছা আপনাকে ৷ ভালো থাকবেন ৷
-
আবু সাহেদ সরকার ১০/০১/২০১৭বাহ্
-
ঐশিকা (প্রজীতা) বসু ১০/০১/২০১৭বেশ কাব্যভাবযুক্ত লেখাখানা।
-
ফয়জুল মহী ১০/০১/২০১৭আবিষ্ট করে আপনার লেখা
-
পরশ ১০/০১/২০১৭ভাল লেগেছে
-
সুশান্ত সরকার ০৯/০১/২০১৭অসাধারণ লিখেছেন
-
মোনালিসা ০৯/০১/২০১৭ইশ............
-
আব্দুল হক ০৯/০১/২০১৭আহারে বেচারী!