কতিপয় কুকুর
আমির সাহেবের আজ একটু ফিরতে দেরিই হল।অফিসের টেবিলে কমপক্ষে দুই গন্ডা ফাইলের কাজ আজ এক দিনেই করতে হল।এ কারনেই বেশ পরিশ্রান্ত তিনি। বাসায় ফিরতে কমপক্ষে দেড় ঘন্টার পথ। আজ নির্ঘাত রাত হয়ে যাবে বাসায় ফিরতে। হয়তোবা স্ত্রীর দুই চারটা বকুণিও শুণতে হবে।
অটোরিকসায় কিছু দুর এসে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন।তখন সূর্য প্রায় ডোবে ডোবে। বাস স্ট্যান্ডের পিছনের জমিতে চোখ পরে গেল সহসাই। এক মিনিটের মধ্যেই শরীরের ঘাম ঝরা শুরু হল। কি দেখছেন তিনি! নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছেন না। গমের জমিতে একজন লোক উপুর হয়ে পরে আছে। পরনে কোর্ট প্যান্ট। পায়ে চামড়ার স্যান্ডেল। তবে সব কিছুই পুরোনো। কয়েক জায়গায় ছেঁড়া।আশে পাশে ঘিরে আছে পাঁচ সাতটি কুকুর। কেউবা পাও টানছে কেউবা হাত কামড়াচ্ছে। কিন্তু লোকটি নির্বিকার একেকারে। ভিষণ অবাক হলেন। এটাও কি সম্ভব? নাকি তিনি স্বপ্ন দেখছেন।বাস্তবতা নিশ্চিত হতে চোখ বন্ধ করলেন ;সব অন্ধকার। চোখ খুললেন। আবার সেই দৃশ্য!
আমিন সাহেব নিশ্চিত হলেন। যা দেখছেন সব সত্য। অনেকটা ভয় তাকে পেয়ে বসল। সেই সাথে কৌতুহলটা আরো বেড়ে যাচ্ছে। গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। লোকটাকে বাঁচাতে হবে এই সব হৃদয়হীণ কুকুরগুলোর হাত থেকে।
আমিন এগিয়ে যাচ্ছেন আর বুঝতে পারছেন কোথায় যেন একটা ভূল। কাছে যেতে যেতে তিন গজের মধ্যে চলে গেলেন। কুকুরগুলো হৈচৈ করতে করতে পাশে সরে গেল অনেকটা। তিনি বুঝতে পারলেন এতক্ষণ যাকে কোর্ট প্যান্ট পড়া ভদ্রলোক মনে করেছেন আসলে ওটা ছিল একটা কাকতাড়ুয়া।
এতক্ষণ পর আমিন সাহেবের ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল। নিজেকে বেশ হালকা মনে হচ্ছে। খুশি মনে বাসস্ট্যান্ডে ফিরে এলেন। দু' এক অপেক্ষামাত্র। এর মধ্যেই বাস চলে আসল। এখন তিনি ফিরে যাবেন পরিবারের কাছে। যদি অনেকটা দেরি হল আজ।
আমিন সাহেব বসে আছেন বাসের পিছনের দিকে বাঁ পাশের একটা সীটে।
কিছুক্ষণের মধ্যে চোখ বন্ধ হয়ে এলো। সেই সাথে অদ্ভূত এক চিন্তা তাকে ঘিরে ধরল। আচ্ছা এই সব কুকুরগুলো ভুল বুঝে কাকতাড়ুয়াকে নিয়ে যে খেলছিল তাতে আর কুকুরগুলোকে কতটুকু দোষি সাব্যাস্ত করা যায়।
কিন্তু যারা নিরীহ জিবন্তমানুষকে একযোগে আক্রমন করে তাদের বিষাক্ত দাঁত দিয়ে কেটে ছিন্নভিন্ন করে তাদেরকে কি নামে অভিষিক্ত করা যায়। তাদের সঙ্গে ঐসব কুকুরগুলোর কি তুলনা হতে পারে?
(জৈবচয়ন। সত্য ঘটনা অবলম্বনে।)
অটোরিকসায় কিছু দুর এসে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন।তখন সূর্য প্রায় ডোবে ডোবে। বাস স্ট্যান্ডের পিছনের জমিতে চোখ পরে গেল সহসাই। এক মিনিটের মধ্যেই শরীরের ঘাম ঝরা শুরু হল। কি দেখছেন তিনি! নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছেন না। গমের জমিতে একজন লোক উপুর হয়ে পরে আছে। পরনে কোর্ট প্যান্ট। পায়ে চামড়ার স্যান্ডেল। তবে সব কিছুই পুরোনো। কয়েক জায়গায় ছেঁড়া।আশে পাশে ঘিরে আছে পাঁচ সাতটি কুকুর। কেউবা পাও টানছে কেউবা হাত কামড়াচ্ছে। কিন্তু লোকটি নির্বিকার একেকারে। ভিষণ অবাক হলেন। এটাও কি সম্ভব? নাকি তিনি স্বপ্ন দেখছেন।বাস্তবতা নিশ্চিত হতে চোখ বন্ধ করলেন ;সব অন্ধকার। চোখ খুললেন। আবার সেই দৃশ্য!
আমিন সাহেব নিশ্চিত হলেন। যা দেখছেন সব সত্য। অনেকটা ভয় তাকে পেয়ে বসল। সেই সাথে কৌতুহলটা আরো বেড়ে যাচ্ছে। গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। লোকটাকে বাঁচাতে হবে এই সব হৃদয়হীণ কুকুরগুলোর হাত থেকে।
আমিন এগিয়ে যাচ্ছেন আর বুঝতে পারছেন কোথায় যেন একটা ভূল। কাছে যেতে যেতে তিন গজের মধ্যে চলে গেলেন। কুকুরগুলো হৈচৈ করতে করতে পাশে সরে গেল অনেকটা। তিনি বুঝতে পারলেন এতক্ষণ যাকে কোর্ট প্যান্ট পড়া ভদ্রলোক মনে করেছেন আসলে ওটা ছিল একটা কাকতাড়ুয়া।
এতক্ষণ পর আমিন সাহেবের ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল। নিজেকে বেশ হালকা মনে হচ্ছে। খুশি মনে বাসস্ট্যান্ডে ফিরে এলেন। দু' এক অপেক্ষামাত্র। এর মধ্যেই বাস চলে আসল। এখন তিনি ফিরে যাবেন পরিবারের কাছে। যদি অনেকটা দেরি হল আজ।
আমিন সাহেব বসে আছেন বাসের পিছনের দিকে বাঁ পাশের একটা সীটে।
কিছুক্ষণের মধ্যে চোখ বন্ধ হয়ে এলো। সেই সাথে অদ্ভূত এক চিন্তা তাকে ঘিরে ধরল। আচ্ছা এই সব কুকুরগুলো ভুল বুঝে কাকতাড়ুয়াকে নিয়ে যে খেলছিল তাতে আর কুকুরগুলোকে কতটুকু দোষি সাব্যাস্ত করা যায়।
কিন্তু যারা নিরীহ জিবন্তমানুষকে একযোগে আক্রমন করে তাদের বিষাক্ত দাঁত দিয়ে কেটে ছিন্নভিন্ন করে তাদেরকে কি নামে অভিষিক্ত করা যায়। তাদের সঙ্গে ঐসব কুকুরগুলোর কি তুলনা হতে পারে?
(জৈবচয়ন। সত্য ঘটনা অবলম্বনে।)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
তুষার রায় ১৬/০৫/২০১৭আকস্মিকতায় ভরা অপূর্ব গল্প
-
মুহাম্মাদ রাসেল উদ্দীন ১৬/০৫/২০১৭চমৎকার!
-
কাকলি মল্লিক ১৬/০৫/২০১৭বেশ হৃদয়গ্রাহী রচনা । অসংখ্য শুভেচ্ছা ।
-
রুবেল চন্দ্র দাস ১৬/০৫/২০১৭Omg
-
Tanju H ১৬/০৫/২০১৭OMG..