সঙ্গীর সঙ্গ
কিরে অন্তর কথা বলছিস না যে, কিছু হয়েছে না কী?
না তেমন কিছু না। ঐ যে পাশের ফ্ল্যাটের একটা ছেলে এসেছে না কি যেন নাম? ও মনে পরছে রায়হান, ওকে কেমন যেন মনে হয় আমার কাছে। কারো সাথে কোনো বেশি একটা কথা বলে না। বেশির ভাগ সময় বাসায় থাকে, আর সুমন এর সাথে যে কি ভাব! অন্তর বলল।
হ্যাঁ তুই থিক বলেছিস সেদিনই তো আমি আমার একটা প্রয়োজনে সুমন এর কাছে সাড়ে সাতশ টাকা চাইতেই পাঁচ হাজার টাকা মানিব্যাগ থেকে বের করে তার থেকে আমাকে এক হাজার টাকা আমাকে দিয়ে দিল আর তার পরে যা বলল তাতে তো আমার কাছে মনে হচ্ছিল যে আমি বোধহয় আকাশ থেকে পড়ব! আমি বললাম।
কি বললরে বলনা, অন্তর বলল।
আরে বলছিতো, সুমন বলল যে এই টাকা আমাকে না দিলেও চলবে, কারন এই রকম হাজারের নোট এখন আমার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়। যদি পাঁচ হাজারের নোট বানাত সরকার তবে আমার জন্য অনেক ভাল হত। কারন কি জানিস, আমার কাছে এত এক হাজার এর টাকা থাকে যে আর ভাল লাগে না। তারপর আমি জিজ্জেস করলাম সুমন তোকে এত টাকা দেয় কে, আঙ্কেল দেয় নাকি? সুমন বলল আরে পাগল আব্বু যদি আমাকে কোনো দিন একশ টাকা হাতে দিয়ে বলত যে নে এই টাকা তোকে আমি দিলাম, তবে তো আমার কাছে মনে হতো যে ভুতের মুখে রাম রাম। তারপরে আমি বললাম ঠিক বলেছিস রে আমিও ঠিক এই সমস্যায় ভুগছি। তার উত্তরে সুমন বলল তাহলে এক সপ্তাহ পরে আমার সঙ্গে কামরুলদের বাসার সামনে দেখা করিস ঠিক জুম্মার নামাজের পরপর। আমি বললাম তুই কিন্তু আমার কথা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিস। সুমন বলল না এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিস না যেদিন দেখা করতে বললাম সেদিন দেখা করলেই বলবো। আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে। আবার দেখা হবে।
তারপরে কি হল? অন্তর বলল।
কিছুই না, আমি বিদায় নিয়ে চলে আসলাম। আমি বললাম।
আচ্ছা ঠিক আছে তাহ্লে কি দেখা করলি সুমন এর সঙ্গে। অন্তর বলল।
না আরও তিনদিন বাকি আছে। আমি বললাম।
তাহ্লে আমি যাইরে আম্মু বলছে তারাতারি বাসায় যাওয়ার জন্য। আমাকে বলিস কিন্তু সুমন এর সঙ্গে দেখা করে ও কি বলে। অন্তর বলল।
আচ্ছা তাহলে আমিও চলে যাই।
কি হল কিছুইতো বুঝলাম না, সুমন কি আমারকে মিথ্যা কথা বলল। তাহলে একবার কামরুল এর বাসায় গিয়ে সুমনকে জিজ্ঞেস করি বরং সুমন এর জন্য অপেক্ষা না করে।
কামরুলদের বাসার বেলটা টিপতেই একটা গান বেজে উঠলো, আমার খুব হাঁসি পেল। তারপরে প্রায় বিশ সেকেন্ড পরে কামরুলদের বাসার গেট খুলল তাদের বাসার কাজের মেয়ে। কাজের মেয়েটা আমাকে চিনতো। বাসার ভিতর থেকে কামরুলের আম্মুর গলার আওয়াজ পেলাম। সে বলল এই নিলা দেখ তো কে এসেছে। নিলা নামের কাজের মেয়েটা উত্তরে বলল খালাম্মা কামরুল ভাইয়ার বন্ধু এসেছে। আমি মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করলাম কামরুল কি বাসায় আছে? কিছুক্ষণ আগে সুমন ভাইয়ার ফোন এসেছিল, তখনই তারাতারি করে কামরুল ভাইয়া বাসা থেকে চলে গেল। তারপরে আমি বিদায় নিয়ে চলে আসলাম কামরুলদের বাসা থেকে।
তারপরে শানকে একটা ফোন দিলাম, ফোন দিয়ে বললাম শান তুই কি সুমন আর কামরুলকে দেখেছিস কোথায়ও পাশ থেকে শান এর উত্তরের আগেই আমি সুমনের কথা বলার আওয়াজ পেলাম সুমন বলে উঠলো শান কে ফোন দিছেরে দোস্ত। শান উত্তরে বলল সাব্বির ফোন দিছে। তারপর সুমন বলে উঠলো আচ্ছা সাব্বিরকে (আমাকে) আসতে বল। শানও আমাকে তাই বলল। আমি বললাম আচ্ছা আসছি কিন্তু কোথায় আসব। তারপরে শান বলল কামরুলদের বাসার পিছনে একটা ফাঁকা মাঠ আছে, মাঠের শেষের দিকে একটু ঘন জংলা তার পিছনে ছোট্ট একটা ঘর আছে সেখানে চলে আয়। আমি উত্তরে বললাম কি বলছিস এসব তুই কি পাগল হয়ে গেলি নাকি? শান বলল নারে তুই আগে আয় তারপরেই বুঝতে পারবি। আমি শানের কথামতো সেই স্থানে চলে গেলাম।
কিরে শান তুই কি করছিস সি সি সি সিগারেট খাচ্ছিস। তারপাশে দেখলাম কামরুল, সুমনও সিগারেট খাচ্ছে আর সবার পরে দেখলাম আমাকে দেখে নেতার মতো নেতৃত্বদানের জন্য সিগারেট ফেলে দিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রায়হান দারিয়ে পড়ল কিন্তু কোন কথা বলল না। আমি তো পুরোপুরি অবাক এরা কারা! এরাই কি আমার বন্ধুরা যারা কখনও কথাও সিগারেট খাওয়া হচ্ছে দেখলে সেখানে ভুলেও একবারের জন্যও দাঁড়াত না, এরা কি তারাই না অন্য কেউ। আমি তারপর সুমকে উদ্দেশ্য করে বললাম কিরে তুই আমাকে কি এর জন্য এখানে ডেকেছিস। সুমন বলল আরে তুই এত অবাক হচ্ছিস কেন? তুই কি এমন দেখে ফেললি যে পুরো আকাশ ভেঙ্গে পড়লি। না তোরা যে এই কাজ করিস তা কি কেউ কি জানে আমি বললাম। না পাগল নাকি যে কেউ জানবে সুমন বলল। আমি বললাম তাহলে এবার আনবে আমি বললাম আর তার সঙ্গে ঐ স্থান থেকে বের হয়ে চলে আসব ঠিক সেই সময় শান আমার হাত ধরে বলতে শুরু করল আরে সাব্বির শুনেই তো দেখ একবার। আমি মানতে চাইলাম না কিন্তু সবার এতবার বলার পরে আমি বললাম কি হয়েছে তোরা কি বলবি বল। কামরুল বলল যে তুই তো জানিসই আমরা কি সমস্যায় আছি পরিবার থেকে কোন টাকা-পয়সা দেয়না তাহলে বল আমরা কিভাবে চলব, ঠিক সেই সময় উজ্জ্বল পথের দিশারি হয়ে এই রায়হান আমাদের সামনে এসে দাঁড়াল আর আমাদের জন্য একটা ব্যবস্থা করে দিল। আর তুই যেগুলোকে বলছিস সেগারেট সেগুলো আসলে সিগারেট না এগুলো হচ্ছে অন্য কিছু। তখন আমি বললাম তাহলে এগুলো কি? এবার সুমন বলল এগুলো যে কি তা পরে জানাব আর তুইও জেনে যাবি। তখন আমি বললাম তাহলে এবার বল তোদের এত এত টাকা আসে কথা থেকে? শান বলল এইসব কি জানা এতটাই প্রয়োজনীয়? তখন আমি বললাম হ্যাঁ অবশ্যই জানার তো প্রয়োজন আছেই। তারপরে হঠাৎ রায়হান বলে উঠলো ওরা ব্যবসা করে। ওরা সবাই আমার দেওয়া পন্য বিক্রি করে আর তুমি হয়তো জিজ্ঞেস করবে কি পন্য তাহলে শোন ওরা মদ, ইয়াবা, গাজাসহ আরও নেশা জাতীয় পন্য বিভিন্ন ধনী ঘরের ছেলেদের কাছে বিক্রি করে পার্সেল করে। তারপরে আমি রাগ হয়ে আমি ঐ জায়গা থেকে চলে আসি তখন কেউ আর আমাকে পিছন থেকে ডাকল না। তারপরে সপ্তাহ খানেক আমার সঙ্গে আর কারও দেখা সাক্ষাৎ হল না। শনিবার শুনতে পেলাম ওদের সবাইকে নাকি সেই শুক্রবারই পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে আর অনেক অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে আর তারসঙ্গে পাঁচ বছরের জেল।
(পনের বছর পরে) আমার এখন ঢাকা শহরে তিনটা ফটো স্টুডিও ও দুইটা ফটো ল্যাব আছে। রাস্তায় একা একা হাঁটছি আর সেই দিনের কথা বার বার কেন জানি মনে পরছে। হঠাৎ চোখ ঘুরাতেই সুমন এর মতো কাকে যেন রিক্সা চালাতে চালাতে যেতে দেখলাম তখনই আমি সুমন বলে দাক দিতে না দিতেই রিক্সা চালন আমার দিকে ফিরে এল। তখন চিনতে পারলাম এই তো আমার বন্ধু সুমন। আমি তো প্রায় কেঁদে দিতে লাগলাম তখনই সুমনও আমাকে চিনতে পারলাম। তখন দুজনে গলা মিলালাম। সুমনকে আমার মিরপুরের স্টুডিওতে নিয়ে গেলাম। তখন সুমন ওর জীবনের শেষ গল্পটুকু আমাকে বলল। তখন আমি ওকে কাজ শিখিয়ে আমার একটা ল্যাব ওকে বুঝিয়ে দিলাম। তারপরে ও সুখে-শান্তিতে জীবন পার করতে হল। তখনই ও বুঝতে পারল জীবনে বাঁচার জন্য দরকার টাকা-পয়সা না একজন সঠিক সঙ্গী।
[email protected]
না তেমন কিছু না। ঐ যে পাশের ফ্ল্যাটের একটা ছেলে এসেছে না কি যেন নাম? ও মনে পরছে রায়হান, ওকে কেমন যেন মনে হয় আমার কাছে। কারো সাথে কোনো বেশি একটা কথা বলে না। বেশির ভাগ সময় বাসায় থাকে, আর সুমন এর সাথে যে কি ভাব! অন্তর বলল।
হ্যাঁ তুই থিক বলেছিস সেদিনই তো আমি আমার একটা প্রয়োজনে সুমন এর কাছে সাড়ে সাতশ টাকা চাইতেই পাঁচ হাজার টাকা মানিব্যাগ থেকে বের করে তার থেকে আমাকে এক হাজার টাকা আমাকে দিয়ে দিল আর তার পরে যা বলল তাতে তো আমার কাছে মনে হচ্ছিল যে আমি বোধহয় আকাশ থেকে পড়ব! আমি বললাম।
কি বললরে বলনা, অন্তর বলল।
আরে বলছিতো, সুমন বলল যে এই টাকা আমাকে না দিলেও চলবে, কারন এই রকম হাজারের নোট এখন আমার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়। যদি পাঁচ হাজারের নোট বানাত সরকার তবে আমার জন্য অনেক ভাল হত। কারন কি জানিস, আমার কাছে এত এক হাজার এর টাকা থাকে যে আর ভাল লাগে না। তারপর আমি জিজ্জেস করলাম সুমন তোকে এত টাকা দেয় কে, আঙ্কেল দেয় নাকি? সুমন বলল আরে পাগল আব্বু যদি আমাকে কোনো দিন একশ টাকা হাতে দিয়ে বলত যে নে এই টাকা তোকে আমি দিলাম, তবে তো আমার কাছে মনে হতো যে ভুতের মুখে রাম রাম। তারপরে আমি বললাম ঠিক বলেছিস রে আমিও ঠিক এই সমস্যায় ভুগছি। তার উত্তরে সুমন বলল তাহলে এক সপ্তাহ পরে আমার সঙ্গে কামরুলদের বাসার সামনে দেখা করিস ঠিক জুম্মার নামাজের পরপর। আমি বললাম তুই কিন্তু আমার কথা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিস। সুমন বলল না এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিস না যেদিন দেখা করতে বললাম সেদিন দেখা করলেই বলবো। আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে। আবার দেখা হবে।
তারপরে কি হল? অন্তর বলল।
কিছুই না, আমি বিদায় নিয়ে চলে আসলাম। আমি বললাম।
আচ্ছা ঠিক আছে তাহ্লে কি দেখা করলি সুমন এর সঙ্গে। অন্তর বলল।
না আরও তিনদিন বাকি আছে। আমি বললাম।
তাহ্লে আমি যাইরে আম্মু বলছে তারাতারি বাসায় যাওয়ার জন্য। আমাকে বলিস কিন্তু সুমন এর সঙ্গে দেখা করে ও কি বলে। অন্তর বলল।
আচ্ছা তাহলে আমিও চলে যাই।
কি হল কিছুইতো বুঝলাম না, সুমন কি আমারকে মিথ্যা কথা বলল। তাহলে একবার কামরুল এর বাসায় গিয়ে সুমনকে জিজ্ঞেস করি বরং সুমন এর জন্য অপেক্ষা না করে।
কামরুলদের বাসার বেলটা টিপতেই একটা গান বেজে উঠলো, আমার খুব হাঁসি পেল। তারপরে প্রায় বিশ সেকেন্ড পরে কামরুলদের বাসার গেট খুলল তাদের বাসার কাজের মেয়ে। কাজের মেয়েটা আমাকে চিনতো। বাসার ভিতর থেকে কামরুলের আম্মুর গলার আওয়াজ পেলাম। সে বলল এই নিলা দেখ তো কে এসেছে। নিলা নামের কাজের মেয়েটা উত্তরে বলল খালাম্মা কামরুল ভাইয়ার বন্ধু এসেছে। আমি মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করলাম কামরুল কি বাসায় আছে? কিছুক্ষণ আগে সুমন ভাইয়ার ফোন এসেছিল, তখনই তারাতারি করে কামরুল ভাইয়া বাসা থেকে চলে গেল। তারপরে আমি বিদায় নিয়ে চলে আসলাম কামরুলদের বাসা থেকে।
তারপরে শানকে একটা ফোন দিলাম, ফোন দিয়ে বললাম শান তুই কি সুমন আর কামরুলকে দেখেছিস কোথায়ও পাশ থেকে শান এর উত্তরের আগেই আমি সুমনের কথা বলার আওয়াজ পেলাম সুমন বলে উঠলো শান কে ফোন দিছেরে দোস্ত। শান উত্তরে বলল সাব্বির ফোন দিছে। তারপর সুমন বলে উঠলো আচ্ছা সাব্বিরকে (আমাকে) আসতে বল। শানও আমাকে তাই বলল। আমি বললাম আচ্ছা আসছি কিন্তু কোথায় আসব। তারপরে শান বলল কামরুলদের বাসার পিছনে একটা ফাঁকা মাঠ আছে, মাঠের শেষের দিকে একটু ঘন জংলা তার পিছনে ছোট্ট একটা ঘর আছে সেখানে চলে আয়। আমি উত্তরে বললাম কি বলছিস এসব তুই কি পাগল হয়ে গেলি নাকি? শান বলল নারে তুই আগে আয় তারপরেই বুঝতে পারবি। আমি শানের কথামতো সেই স্থানে চলে গেলাম।
কিরে শান তুই কি করছিস সি সি সি সিগারেট খাচ্ছিস। তারপাশে দেখলাম কামরুল, সুমনও সিগারেট খাচ্ছে আর সবার পরে দেখলাম আমাকে দেখে নেতার মতো নেতৃত্বদানের জন্য সিগারেট ফেলে দিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রায়হান দারিয়ে পড়ল কিন্তু কোন কথা বলল না। আমি তো পুরোপুরি অবাক এরা কারা! এরাই কি আমার বন্ধুরা যারা কখনও কথাও সিগারেট খাওয়া হচ্ছে দেখলে সেখানে ভুলেও একবারের জন্যও দাঁড়াত না, এরা কি তারাই না অন্য কেউ। আমি তারপর সুমকে উদ্দেশ্য করে বললাম কিরে তুই আমাকে কি এর জন্য এখানে ডেকেছিস। সুমন বলল আরে তুই এত অবাক হচ্ছিস কেন? তুই কি এমন দেখে ফেললি যে পুরো আকাশ ভেঙ্গে পড়লি। না তোরা যে এই কাজ করিস তা কি কেউ কি জানে আমি বললাম। না পাগল নাকি যে কেউ জানবে সুমন বলল। আমি বললাম তাহলে এবার আনবে আমি বললাম আর তার সঙ্গে ঐ স্থান থেকে বের হয়ে চলে আসব ঠিক সেই সময় শান আমার হাত ধরে বলতে শুরু করল আরে সাব্বির শুনেই তো দেখ একবার। আমি মানতে চাইলাম না কিন্তু সবার এতবার বলার পরে আমি বললাম কি হয়েছে তোরা কি বলবি বল। কামরুল বলল যে তুই তো জানিসই আমরা কি সমস্যায় আছি পরিবার থেকে কোন টাকা-পয়সা দেয়না তাহলে বল আমরা কিভাবে চলব, ঠিক সেই সময় উজ্জ্বল পথের দিশারি হয়ে এই রায়হান আমাদের সামনে এসে দাঁড়াল আর আমাদের জন্য একটা ব্যবস্থা করে দিল। আর তুই যেগুলোকে বলছিস সেগারেট সেগুলো আসলে সিগারেট না এগুলো হচ্ছে অন্য কিছু। তখন আমি বললাম তাহলে এগুলো কি? এবার সুমন বলল এগুলো যে কি তা পরে জানাব আর তুইও জেনে যাবি। তখন আমি বললাম তাহলে এবার বল তোদের এত এত টাকা আসে কথা থেকে? শান বলল এইসব কি জানা এতটাই প্রয়োজনীয়? তখন আমি বললাম হ্যাঁ অবশ্যই জানার তো প্রয়োজন আছেই। তারপরে হঠাৎ রায়হান বলে উঠলো ওরা ব্যবসা করে। ওরা সবাই আমার দেওয়া পন্য বিক্রি করে আর তুমি হয়তো জিজ্ঞেস করবে কি পন্য তাহলে শোন ওরা মদ, ইয়াবা, গাজাসহ আরও নেশা জাতীয় পন্য বিভিন্ন ধনী ঘরের ছেলেদের কাছে বিক্রি করে পার্সেল করে। তারপরে আমি রাগ হয়ে আমি ঐ জায়গা থেকে চলে আসি তখন কেউ আর আমাকে পিছন থেকে ডাকল না। তারপরে সপ্তাহ খানেক আমার সঙ্গে আর কারও দেখা সাক্ষাৎ হল না। শনিবার শুনতে পেলাম ওদের সবাইকে নাকি সেই শুক্রবারই পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে আর অনেক অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে আর তারসঙ্গে পাঁচ বছরের জেল।
(পনের বছর পরে) আমার এখন ঢাকা শহরে তিনটা ফটো স্টুডিও ও দুইটা ফটো ল্যাব আছে। রাস্তায় একা একা হাঁটছি আর সেই দিনের কথা বার বার কেন জানি মনে পরছে। হঠাৎ চোখ ঘুরাতেই সুমন এর মতো কাকে যেন রিক্সা চালাতে চালাতে যেতে দেখলাম তখনই আমি সুমন বলে দাক দিতে না দিতেই রিক্সা চালন আমার দিকে ফিরে এল। তখন চিনতে পারলাম এই তো আমার বন্ধু সুমন। আমি তো প্রায় কেঁদে দিতে লাগলাম তখনই সুমনও আমাকে চিনতে পারলাম। তখন দুজনে গলা মিলালাম। সুমনকে আমার মিরপুরের স্টুডিওতে নিয়ে গেলাম। তখন সুমন ওর জীবনের শেষ গল্পটুকু আমাকে বলল। তখন আমি ওকে কাজ শিখিয়ে আমার একটা ল্যাব ওকে বুঝিয়ে দিলাম। তারপরে ও সুখে-শান্তিতে জীবন পার করতে হল। তখনই ও বুঝতে পারল জীবনে বাঁচার জন্য দরকার টাকা-পয়সা না একজন সঠিক সঙ্গী।
[email protected]
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
০।।০ ১৯/০৪/২০১৭
ভাল থাকুন সর্বদা ।। শুভ কামনা নিরন্তর...