শরতের আকাশ
কাজের ফাঁকে তিলসম ক্লান্তি যখন পেয়ে বসল। পিসি ছেড়ে পথের ধারে টং দোকানে এসে দাঁড়ালাম চা খাবো বলে। সপ্তাহের শেষ দিন তবু রাস্তা ছিল অনেকটা ফাঁকা। আর ঢাকা শহরের ফাঁকা রাস্তা কিছুটা হলেও আনন্দ দেয় ঢাকাবাসীকে। মনে মনে আওড়ালাম ভালই হলো এই সময়ে বাইরে এসে। চায়ের কাপে ঠোঁট ডুবাতে ডুবাতে হঠাৎ আকাশের দিকে চোখ পড়ল। স্বচ্ছ আকাশ, গাঢ় নীল, দলে দলে কিছু সাদা মেঘের ছুটোছুটি মনে অন্যরকম এক দোলা দিল। পত্রিকার পাতায় পড়েছি শরতের আগমণের কথা। বর্তমান সময়ে আমার দেশের ছয় ঋতুর বৈচিত্রের দৃশ্য তেমন একটা চোখে পড়েনা। ঘুরে ফিরে তিন অথবা চারটি পরিবর্তন অনুভব হয়। তবে আজকের বিকেলটা আমায় শরতের জানান দিল। শরতের আকাশ যেমন হয়- আজ বইয়ের পাতার সাথে মিল খুঁজে পেলাম। ছোট বেলায় যেমন দেখেছি শরতের আকাশ আজকের আকশটাও আমায় নিয়ে গেল শৈশবের আঙিনায়। মানুষের মনে ঋতুর প্রভাব সত্যিই এটা অনস্বীকার্য।
১৯.০৯.২০১৩
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সালমান মাহফুজ ১৯/০৯/২০১৩চমৎকার অভিজ্ঞতার কথা অনুভূতির রং দিয়ে গদ্যে সার্থকভাবে রূপায়িত করেছেন রাসেল ভাই । এমন প্রকৃতি-চিত্রণ একজন কবির পক্ষেই সম্ভব ।
-
Înšigniã Āvî ১৯/০৯/২০১৩ভীষণ ভাল লাগলো