অণুগল্প -সেই মুখটি
বউয়ের সাজে রণিতা বলল-এখনো সময় আছে, যদি একবার সায় দাও তো সব কিছু ভেঙ্গে তোমার কাছে চলে আসি।
রুপুর কোনো উত্তর নেই। রণিতা আর নিজ বন্ধুদের সাথে বাসর সাজাচ্ছে। ভালোবাসার মানুষটির বাসর ঘর। যে ঘরে ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে শোবে অন্য পুরুষ।
এবার জোড় করে রুপুর হাত ধরে বারান্দায় নিয়ে আসে রণিতা। চোখ দুটো তার জলে ভেজা।
রণিতা বলল-একটি বার আমার দিকে তাকিয়ে দ্যাখো! যদি গ্রহণ করতে নাই পারবে তবে কেন ভালোবেসেছিলে?
নিরুত্তর রুপু। মুখ ঘুরিয়ে যেতে চাইলে হাতদুটো চেপে ধরে রণিতা। একটা কিছু বলো রুপু। অন্তত আমায় বুঝতে দাও, কেন তোমার এই নিরবতা?
ভেতর থেকে রণিতার ডাক আসে। তার বাবা ডাকে রণিতা! রণিতা! কই গেলিরে মা? রুপুর হাত দুটো মুঠো থেকে ছেড়ে দেয় সে।
রুপু ফের বাসর সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
রাত বারোটা। সব আয়োজন শেষে সবাই গোছগাছে ব্যস্ত। রণিতা রুপুর এক বন্ধুকে ভেতরে ডেকে নেয়। রণিতা জিজ্ঞেস করে-আচ্ছা রুপুর হয়েছেটা কী বলতো। ও কী বুঝতে পারছে আজ কী হতে যাচ্ছে। বারবার চেষ্টা করেও কোনো উত্তর বার করতে পারিনি। তুই বলতো, এসবের মানেটা কী?
বন্ধুটি বললো-দ্যাখ রুপু যা কিছু করেছে তা কেবল তোর বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে। তোর বাবা তোদের বিষয়টা জানতে পেরে গতকাল রুপুদের বাড়িতে গিয়েছিল। রুপুকে ডেকে হাত জোড় করে একরকম ভিক্ষে চেয়ে নিয়েছে তোকে। তোর বাবা ওকে এই বলে ভয় দেখিয়েছে। তোরা একটা কিছু করে বসলে তার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না। আর তুইতো জানিস ছোটবেলায় রুপু একবার পুকুরে ডুবে মরতে বসেছিল। তোর বাবার চোখে পড়ায় ওকে উদ্ধার করেছিল। রুপুর নতুন জীবন দাতা বলে রুপু চায়নি মানুষটিকে কষ্ট দিতে।
ভেতর থেকে রণিতার ডাক আসে। তাকে বাসর ঘরে দেয়ার সব আয়োজন প্রস্তুত। বুকের ভেতর সুনামি বয়ে যাচ্ছে রণিতার। একবার রুপুকে দেখতে ভীষণ ইচ্ছে হয়। দৌড়ে মাঝঘর থেকে সামনের উঠোনে আসে। সব পরিচিত মুখগুলোর মাঝে সেই মুখটি আর চোখে পড়েনা।
১৪.০৯.২০১৩
রুপুর কোনো উত্তর নেই। রণিতা আর নিজ বন্ধুদের সাথে বাসর সাজাচ্ছে। ভালোবাসার মানুষটির বাসর ঘর। যে ঘরে ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে শোবে অন্য পুরুষ।
এবার জোড় করে রুপুর হাত ধরে বারান্দায় নিয়ে আসে রণিতা। চোখ দুটো তার জলে ভেজা।
রণিতা বলল-একটি বার আমার দিকে তাকিয়ে দ্যাখো! যদি গ্রহণ করতে নাই পারবে তবে কেন ভালোবেসেছিলে?
নিরুত্তর রুপু। মুখ ঘুরিয়ে যেতে চাইলে হাতদুটো চেপে ধরে রণিতা। একটা কিছু বলো রুপু। অন্তত আমায় বুঝতে দাও, কেন তোমার এই নিরবতা?
ভেতর থেকে রণিতার ডাক আসে। তার বাবা ডাকে রণিতা! রণিতা! কই গেলিরে মা? রুপুর হাত দুটো মুঠো থেকে ছেড়ে দেয় সে।
রুপু ফের বাসর সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
রাত বারোটা। সব আয়োজন শেষে সবাই গোছগাছে ব্যস্ত। রণিতা রুপুর এক বন্ধুকে ভেতরে ডেকে নেয়। রণিতা জিজ্ঞেস করে-আচ্ছা রুপুর হয়েছেটা কী বলতো। ও কী বুঝতে পারছে আজ কী হতে যাচ্ছে। বারবার চেষ্টা করেও কোনো উত্তর বার করতে পারিনি। তুই বলতো, এসবের মানেটা কী?
বন্ধুটি বললো-দ্যাখ রুপু যা কিছু করেছে তা কেবল তোর বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে। তোর বাবা তোদের বিষয়টা জানতে পেরে গতকাল রুপুদের বাড়িতে গিয়েছিল। রুপুকে ডেকে হাত জোড় করে একরকম ভিক্ষে চেয়ে নিয়েছে তোকে। তোর বাবা ওকে এই বলে ভয় দেখিয়েছে। তোরা একটা কিছু করে বসলে তার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না। আর তুইতো জানিস ছোটবেলায় রুপু একবার পুকুরে ডুবে মরতে বসেছিল। তোর বাবার চোখে পড়ায় ওকে উদ্ধার করেছিল। রুপুর নতুন জীবন দাতা বলে রুপু চায়নি মানুষটিকে কষ্ট দিতে।
ভেতর থেকে রণিতার ডাক আসে। তাকে বাসর ঘরে দেয়ার সব আয়োজন প্রস্তুত। বুকের ভেতর সুনামি বয়ে যাচ্ছে রণিতার। একবার রুপুকে দেখতে ভীষণ ইচ্ছে হয়। দৌড়ে মাঝঘর থেকে সামনের উঠোনে আসে। সব পরিচিত মুখগুলোর মাঝে সেই মুখটি আর চোখে পড়েনা।
১৪.০৯.২০১৩
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ওয়াহিদ ১৯/০৯/২০১৩হৃদয় যেন নাড়া দিল ,খুব ভাল লাগলো .....
-
মাহমুদ নাহিদ ১৪/০৯/২০১৩খুব ভালো লাগলো ।সব সময় এমন লেখাই চাইবো আপনার কাছে ।
-
Înšigniã Āvî ১৪/০৯/২০১৩ভীষণ মন ছুয়ে গেল.....
-
রোদের ছায়া ১৪/০৯/২০১৩ছোট্ট একটি গল্প কিন্তু ভালো লাগা পুরোটাই রইলো। খুব ভালো হয়েছে।