হলধরের পোষা ভুত
পাহাড়ঘেরা শান্ত একটি গ্রাম—চন্দনপুর। এখানে সবাই পরস্পরকে চেনে, আর সন্ধ্যা নামলেই ঘরে ফিরতে ভালোবাসে। তবে একজন আছেন যিনি দিনে ঘুমান আর রাতে জেগে থাকেন। তার নাম—হলধর রায়।
হলধর রায় একা থাকেন গ্রামের এক কোণে। তার বাড়ির পেছনে একটা বড় বাঁশঝাড়, আর সেই বাঁশঝাড় নিয়ে বেশ কিছু রহস্য ছড়িয়ে আছে। গ্রামের লোকেরা বলে—হলধর রায়ের নাকি দুটি পোষা ভূত আছে!
একদিন গ্রামের একটি চায়ের দোকানে হঠাৎই গুঞ্জন শুরু হলো—
“হলধরের পোষা ভুতের গল্প শুধু গল্প নয়, আমি নিজের চোখে দেখেছি!” বলল গোপাল কাকু, “ পূর্ণিমা রাত ছিল বাঁশঝাড়ের পাশে দুটো সাদা ছায়া কুতকুত খেলছিল!”
"আর আমি শুনেছি ওরা হাসে, একেবারে কু...কু...কু... করে!" বলল নিতাই মেসো।
এমন কথা শুনে- কৌতূহলী হয়ে পড়ল গ্রামের তিন সাহসী যুবক—নয়ন, মিঠু আর বিনোদ। তারা তিন বন্ধু ঠিক করল, আজ রাতেই তারা রহস্যের জবাব খুঁজবে।
রাত বারটা বাজলে তারা চুপিচুপি বাঁশঝাড়ের দিকে গেল। চারদিক চুপচাপ।বিনোদের সাহস তুলনামূলকভাবে একটু কম। হঠাৎ তারা শুনতে পেল—
"কু... কু... কু... কু!"
বাঁশঝাড়ের ফাঁকে সত্যিই যেন কিছু নড়ছে! বিনোদের ভেতরে ধুকপুক শুরু হয়ে গেল্ তার পা দুটি যেন মাটির সাথে আটকে যাচ্ছিল।তবু মিঠু আর নয়নের পিছু পিছু সেও ধীরে ধীরে এগিয়ে গেল। আর তখনই—
হলধর রায় নিজের হাতে একটা ছোট টর্চ নিয়ে হাসতে হাসতে বেরিয়ে এলেন! আর তার পেছনে দুটো ছোট্ট ছায়া—দেখে তো তিনজনেরই চোখ কপালে!
“ভূত নয়, ওরা আসলে দুটো ছোট্ট খুদের পোশাক পরা পেঁচা আমি ওদের রাতে খাবার দেই আর ওদের সাথে বাঁশঝাড়ে খেলা করি!” বললেন হলধর রায়- “গ্রামের সবাই যাকে ভূত ভেবেছে, ওরা তো ওলু আর বুলু নামের আমার দুটি পোষা পেঁচা!” কথা শুনে বিনোদের ধরে প্রাণ এলো। নয়ন বলল- গোপাল কাকু যে বললেন-তিনি নিজে দেখেছেন।”
হলধর রায় হেসে বললেন, “এদেরই দেখেছেন, আমার পেঁচা দুটো খুবই চালাক। ভয় দেখানো ওদের খেলা। কিন্তু ভূত নয়, ওরা আমার বন্ধু!”
পরদিন সকালে নয়নরা সব কিছু জানিয়ে দিল পুরো গ্রামকে। আর গ্রামের মানুষও হাঁফ ছেড়ে বাঁচল।
তবে এখনো মাঝেমধ্যে কেউ যদি বাঁশঝাড়ের পাশে যায় আর "কু... কু... কু..." শব্দ শুনে ভয় পায়, তখন সবাই হেসে বলে—
“আরে ভয় পেও না, ওরা হলধর রায়ের পোষা ওলু আর বুলু!”
হলধর রায় একা থাকেন গ্রামের এক কোণে। তার বাড়ির পেছনে একটা বড় বাঁশঝাড়, আর সেই বাঁশঝাড় নিয়ে বেশ কিছু রহস্য ছড়িয়ে আছে। গ্রামের লোকেরা বলে—হলধর রায়ের নাকি দুটি পোষা ভূত আছে!
একদিন গ্রামের একটি চায়ের দোকানে হঠাৎই গুঞ্জন শুরু হলো—
“হলধরের পোষা ভুতের গল্প শুধু গল্প নয়, আমি নিজের চোখে দেখেছি!” বলল গোপাল কাকু, “ পূর্ণিমা রাত ছিল বাঁশঝাড়ের পাশে দুটো সাদা ছায়া কুতকুত খেলছিল!”
"আর আমি শুনেছি ওরা হাসে, একেবারে কু...কু...কু... করে!" বলল নিতাই মেসো।
এমন কথা শুনে- কৌতূহলী হয়ে পড়ল গ্রামের তিন সাহসী যুবক—নয়ন, মিঠু আর বিনোদ। তারা তিন বন্ধু ঠিক করল, আজ রাতেই তারা রহস্যের জবাব খুঁজবে।
রাত বারটা বাজলে তারা চুপিচুপি বাঁশঝাড়ের দিকে গেল। চারদিক চুপচাপ।বিনোদের সাহস তুলনামূলকভাবে একটু কম। হঠাৎ তারা শুনতে পেল—
"কু... কু... কু... কু!"
বাঁশঝাড়ের ফাঁকে সত্যিই যেন কিছু নড়ছে! বিনোদের ভেতরে ধুকপুক শুরু হয়ে গেল্ তার পা দুটি যেন মাটির সাথে আটকে যাচ্ছিল।তবু মিঠু আর নয়নের পিছু পিছু সেও ধীরে ধীরে এগিয়ে গেল। আর তখনই—
হলধর রায় নিজের হাতে একটা ছোট টর্চ নিয়ে হাসতে হাসতে বেরিয়ে এলেন! আর তার পেছনে দুটো ছোট্ট ছায়া—দেখে তো তিনজনেরই চোখ কপালে!
“ভূত নয়, ওরা আসলে দুটো ছোট্ট খুদের পোশাক পরা পেঁচা আমি ওদের রাতে খাবার দেই আর ওদের সাথে বাঁশঝাড়ে খেলা করি!” বললেন হলধর রায়- “গ্রামের সবাই যাকে ভূত ভেবেছে, ওরা তো ওলু আর বুলু নামের আমার দুটি পোষা পেঁচা!” কথা শুনে বিনোদের ধরে প্রাণ এলো। নয়ন বলল- গোপাল কাকু যে বললেন-তিনি নিজে দেখেছেন।”
হলধর রায় হেসে বললেন, “এদেরই দেখেছেন, আমার পেঁচা দুটো খুবই চালাক। ভয় দেখানো ওদের খেলা। কিন্তু ভূত নয়, ওরা আমার বন্ধু!”
পরদিন সকালে নয়নরা সব কিছু জানিয়ে দিল পুরো গ্রামকে। আর গ্রামের মানুষও হাঁফ ছেড়ে বাঁচল।
তবে এখনো মাঝেমধ্যে কেউ যদি বাঁশঝাড়ের পাশে যায় আর "কু... কু... কু..." শব্দ শুনে ভয় পায়, তখন সবাই হেসে বলে—
“আরে ভয় পেও না, ওরা হলধর রায়ের পোষা ওলু আর বুলু!”
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৭/০৪/২০২৫নাইস
-
ফয়জুল মহী ১৪/০৪/২০২৫ভীষণ সুন্দর লিখেছেন প্রিয়
বিমুগ্ধ, শুভ রাত্রি।