একজন কালাম মাস্টার
সরকার আবুল কালাম আজাদ ওরফে কালাম মাস্টার। তাঁকে আজ তাঁরই সন্তানতুল্য প্রাণপ্রিয় ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা চরমভাবে অপমানিত হয়ে নিজের প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয় থেকে পদত্যাগ করে বেড়িয়ে যেতে হলো। শুধু পদত্যাগ করতেই বাধ্য করেনি তাঁর প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁকে যথাপোযুক্ত কিল, চড়, থাপ্পর, পড়নের কাপড় ছিঁড়েফেঁড়ে শেষে জুতার মালাও পড়িয়ে দিয়েছে। তার গায়ে ট্যাগ লাগিয়ে দিয়েছে ‘‘আওয়ামী লীগের দালাল’’ হিসাবে। আসলেই সে একজন আওয়ামীলীগের দালাল। দালালি না করলে ২৯ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি এতো অল্প সময়ে এমন যায়গায় এসে দাঁড়াতে পারতো না। সারাদেশে এই বিদ্যালয়ের নাম ও সাফল্যের খবর প্রতি বছর বছর পৌঁছাতো না। বছর শেষে এই বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য- ছেলে-মেয়েদের সাথে তাদের অভিভাবকদের ঘুম হারাম হতো না।
শুরুটা কেমন ছিল সেটা জানতে আজ থেকে ২৯ বছর পেছনে যেতে হবে। সরকার আবুল কালাম আজাদ তখন বিনয়ী, ভদ্র, বুদ্ধিদীপ্ত, মেধাবী এবং বিশ্বাসযোগ্য টগবগে এক তরুণ। ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই সে শিক্ষকতা পেশাটাকে দেশের সবচেয়ে যোগ্য এবং মর্যাদার পেশা হিসাবে বিবেচনা করে আসছিল। একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি অথবা একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার স্বপ্ন তিনি ছোটবেলা থেকেই অন্তরে লালন আসছিলেন। বিএ পাশ করার পর নিজের দাদার থেকে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার জন্য দুই বিঘে জমি লিখে নিয়ে তিন রুমের একটি চালাঘর তুলে দাদার নামে “সরকার বাহাউদ্দিন প্রাথমিক বিদ্যালয়” সাইনবোর্ড লাগিয়ে নিজ ও আশেপাশের গ্রামে ঘুরে ঘুরে ছাত্র-ছাত্রী যোগার করে বিনা-বেতনে তাদের পাঠদান শুরু করেন। সেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে তাঁর সাথে যোগ দেন তাঁর আরো ৩/৪ জন বন্ধু।
সরকার বাহাউদ্দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কালাম মাস্টার বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন মহলে দৌঁড়-ঝাপসহ অক্লান্ত পরিশ্রম শুরু করেন। যার ফলে মাত্র ১২ বছরের মধ্যে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয়ে যায়। নামকরণে একটু পরিবর্তন আসে- নাম হয় “সরকার বাহাউদ্দিন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়।” এমপিও ভুক্তির পাঁচ বছর পর এসএসসিতে ২৭ জন পরীক্ষা দিয়ে নয়জন গোল্ডেন প্লাস এবং বাকিরা সবাই এ প্লাস পেলে সারাদেশে সরকার বাহাউদ্দিন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়-এর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে প্রতিবছর সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে সমর্থ হলে স্থানীয় অভিভাবকগণ তাদের ছেলেমেয়েদের এই বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন ও সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাতে শুরু করেন।
বিদ্যালয়ের জন্য আরো যায়গা এবং নতুন ভবন র্নিমাণ জরুরী হয়ে পড়ে। যার জন্য কালাম মাস্টার শিক্ষা মন্ত্রনালয়সহ সরকারের উচ্চ মহলে যোগাযোগ অব্যাহত দৌঁড়-ঝাপ শুরু করেন। তাঁর কাছে দলমত নির্বিশেষে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন মুখ্য বিষয় হয়ে ওঠে। তিনি পরিদর্শনের জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে তার বিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানান। ছাত্র-ছাত্রীরা দুপুরের তপ্তরোদে দাঁড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। বিনিময়ে কুড়ি বছরের মধ্যে প্রসস্থ্য খেলার মাঠসহ আরো দুটি তিনতলা ভবন নির্মাণ হয় ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা যুক্ত হয়।
বিগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলণের সময়ে কালাম মাস্টার নিরব ভূমিকা পালন করেছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলণে যেতে কাউকে বাধা দেননি আবার উৎসাহও দেননি। তাই তিনি আওয়ামীলীগের দালাল হিসাবে চরম অপমানিত হয়ে বিতাড়িত হলেন নিজের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান থেকে। এখন ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের নামও পরিবর্তন করার পক্ষে দাবী তুলছে। ২০২৪-এর গণ আন্দোলণে শহিদ কারো নামে নামকরণের পক্ষে তারা।
শুরুটা কেমন ছিল সেটা জানতে আজ থেকে ২৯ বছর পেছনে যেতে হবে। সরকার আবুল কালাম আজাদ তখন বিনয়ী, ভদ্র, বুদ্ধিদীপ্ত, মেধাবী এবং বিশ্বাসযোগ্য টগবগে এক তরুণ। ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই সে শিক্ষকতা পেশাটাকে দেশের সবচেয়ে যোগ্য এবং মর্যাদার পেশা হিসাবে বিবেচনা করে আসছিল। একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি অথবা একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার স্বপ্ন তিনি ছোটবেলা থেকেই অন্তরে লালন আসছিলেন। বিএ পাশ করার পর নিজের দাদার থেকে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার জন্য দুই বিঘে জমি লিখে নিয়ে তিন রুমের একটি চালাঘর তুলে দাদার নামে “সরকার বাহাউদ্দিন প্রাথমিক বিদ্যালয়” সাইনবোর্ড লাগিয়ে নিজ ও আশেপাশের গ্রামে ঘুরে ঘুরে ছাত্র-ছাত্রী যোগার করে বিনা-বেতনে তাদের পাঠদান শুরু করেন। সেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে তাঁর সাথে যোগ দেন তাঁর আরো ৩/৪ জন বন্ধু।
সরকার বাহাউদ্দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কালাম মাস্টার বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন মহলে দৌঁড়-ঝাপসহ অক্লান্ত পরিশ্রম শুরু করেন। যার ফলে মাত্র ১২ বছরের মধ্যে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয়ে যায়। নামকরণে একটু পরিবর্তন আসে- নাম হয় “সরকার বাহাউদ্দিন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়।” এমপিও ভুক্তির পাঁচ বছর পর এসএসসিতে ২৭ জন পরীক্ষা দিয়ে নয়জন গোল্ডেন প্লাস এবং বাকিরা সবাই এ প্লাস পেলে সারাদেশে সরকার বাহাউদ্দিন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়-এর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে প্রতিবছর সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে সমর্থ হলে স্থানীয় অভিভাবকগণ তাদের ছেলেমেয়েদের এই বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন ও সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাতে শুরু করেন।
বিদ্যালয়ের জন্য আরো যায়গা এবং নতুন ভবন র্নিমাণ জরুরী হয়ে পড়ে। যার জন্য কালাম মাস্টার শিক্ষা মন্ত্রনালয়সহ সরকারের উচ্চ মহলে যোগাযোগ অব্যাহত দৌঁড়-ঝাপ শুরু করেন। তাঁর কাছে দলমত নির্বিশেষে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন মুখ্য বিষয় হয়ে ওঠে। তিনি পরিদর্শনের জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে তার বিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানান। ছাত্র-ছাত্রীরা দুপুরের তপ্তরোদে দাঁড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। বিনিময়ে কুড়ি বছরের মধ্যে প্রসস্থ্য খেলার মাঠসহ আরো দুটি তিনতলা ভবন নির্মাণ হয় ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা যুক্ত হয়।
বিগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলণের সময়ে কালাম মাস্টার নিরব ভূমিকা পালন করেছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলণে যেতে কাউকে বাধা দেননি আবার উৎসাহও দেননি। তাই তিনি আওয়ামীলীগের দালাল হিসাবে চরম অপমানিত হয়ে বিতাড়িত হলেন নিজের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান থেকে। এখন ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের নামও পরিবর্তন করার পক্ষে দাবী তুলছে। ২০২৪-এর গণ আন্দোলণে শহিদ কারো নামে নামকরণের পক্ষে তারা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
suman ০৪/০৯/২০২৪খুবই চিন্তার বিষয়
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ৩০/০৮/২০২৪সবকিছু বিবেচনা করে করা দরকার। গণহারে সবাই খারাপ এটা বলাও বুদ্ধিদীপ্ত নয়।
-
ফয়জুল মহী ৩০/০৮/২০২৪Very sad