চাকরির মহামারি
আজকাল অনেকেই চাকরির ইন্টারভিউ দিতে চান না! সবাই লবিং রেফারেন্সের দিকেই বেশি ছুটছে। অবশ্যই এর পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে।
প্রথমত, আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা মূলত একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা। দু একটা ছাড়া বাকি শিক্ষার ক্ষেত্রে সব প্রায় একই রকম। তাও আবার অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত একই সিলেবাস। মূলত এ সময়টাতে কোমলমতি শিশু কিশোরদের যেদিকে ধাবিত করবেন; তারা সেদিকেই বেশি মনোনিবেশ করে থাকে। মোটকথা এ সময়টাতে মাথায় যে জিনিসগুলো দিবেন তা সহজেই তারা ধরে রাখতে পারে; সময়ের সাথে সাথে মানুষের মস্তিষ্কে বিরুপ চিন্তা ভাবনা প্রবেশ করে; ফলে সঠিকভাবে বেশিরভাগ মানুষ নির্দিষ্ট লক্ষ্যে মনোনিবেশ করতে পারে না। তাই শুরু থেকেই শিশুদেরকে বহুমুখী শিক্ষাদানের মাধ্যমে তাদের কর্মমুখী করে গড়ে তুলতে হবে; তাহলে ছেলে মেয়েরা আর প্রথাগত চাকরির দিকে ঝুঁকবে না।
দ্বিতীয়ত, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা স্বজনপ্রীতি/পরিচিতিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে ফলে যোগ্য লোক চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় এবং এভাবে বঞ্চিত হতে হতে এক সময় সে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে অনীহা প্রকাশ করে। এক সময় ঐ ব্যক্তিও ইন্টারভিউতে না এসে কারো দারস্ত হচ্ছে চাকরির জন্য। এভাবে প্রতি নিয়ত নষ্ট হচ্ছে যোগ্য লোকের স্থান। সুতরাং চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সকলের জন্য সুযোগ উন্মুক্ত করে দিতে হবে। তাহলে মেধার অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে।
তৃতীয়ত, চাকরি বাণিজ্য এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অর্থ কড়ি না থাকলে কিছু চাকরীতে প্রবেশ করাই কষ্ট সাধ্য হয়ে যাচ্ছে; ফলে জাতিগঠনে মেধাহীনতা বিরাজ করছে সর্বত্র।
চতুর্থত, চাকরির ক্ষেত্র বৈষম্য এবং নিয়ম নীতি না থাকার কারণে অনেক মেধাবী হতাশায় ভোগে থাকে; যেখানে একজন এস.এস.সি পাশ করা চতুর্থ শ্রেণীর সরকারী চাকুরিজীবী পায় ১৬০০০+ টাকা সেখানে একজন অনার্স মাস্টার্স করা ছেলেকে অনেক ক্ষেত্রেই ১২০০০ টাকা অপার করা হয়। তাও অনেক প্রতিযোগিকে অতিক্রম করে সে স্থান দখল করতে হয়। তাই এখন সময় এ সকল বৈষম্য দূর করে জাতিকে মেধা শূণ্যতার হাত থেকে রক্ষা করা।
পরিশেষে, এটা নির্দ্ধিধায় বলা যায়; চাকরির ক্ষেত্রে এ সকল মহামারি দূর না করলে সত্যিকার অর্থেই জাতি এক সময় মেধা শূণ্য হয়ে যাবে।
প্রথমত, আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা মূলত একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা। দু একটা ছাড়া বাকি শিক্ষার ক্ষেত্রে সব প্রায় একই রকম। তাও আবার অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত একই সিলেবাস। মূলত এ সময়টাতে কোমলমতি শিশু কিশোরদের যেদিকে ধাবিত করবেন; তারা সেদিকেই বেশি মনোনিবেশ করে থাকে। মোটকথা এ সময়টাতে মাথায় যে জিনিসগুলো দিবেন তা সহজেই তারা ধরে রাখতে পারে; সময়ের সাথে সাথে মানুষের মস্তিষ্কে বিরুপ চিন্তা ভাবনা প্রবেশ করে; ফলে সঠিকভাবে বেশিরভাগ মানুষ নির্দিষ্ট লক্ষ্যে মনোনিবেশ করতে পারে না। তাই শুরু থেকেই শিশুদেরকে বহুমুখী শিক্ষাদানের মাধ্যমে তাদের কর্মমুখী করে গড়ে তুলতে হবে; তাহলে ছেলে মেয়েরা আর প্রথাগত চাকরির দিকে ঝুঁকবে না।
দ্বিতীয়ত, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা স্বজনপ্রীতি/পরিচিতিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে ফলে যোগ্য লোক চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় এবং এভাবে বঞ্চিত হতে হতে এক সময় সে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে অনীহা প্রকাশ করে। এক সময় ঐ ব্যক্তিও ইন্টারভিউতে না এসে কারো দারস্ত হচ্ছে চাকরির জন্য। এভাবে প্রতি নিয়ত নষ্ট হচ্ছে যোগ্য লোকের স্থান। সুতরাং চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সকলের জন্য সুযোগ উন্মুক্ত করে দিতে হবে। তাহলে মেধার অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে।
তৃতীয়ত, চাকরি বাণিজ্য এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অর্থ কড়ি না থাকলে কিছু চাকরীতে প্রবেশ করাই কষ্ট সাধ্য হয়ে যাচ্ছে; ফলে জাতিগঠনে মেধাহীনতা বিরাজ করছে সর্বত্র।
চতুর্থত, চাকরির ক্ষেত্র বৈষম্য এবং নিয়ম নীতি না থাকার কারণে অনেক মেধাবী হতাশায় ভোগে থাকে; যেখানে একজন এস.এস.সি পাশ করা চতুর্থ শ্রেণীর সরকারী চাকুরিজীবী পায় ১৬০০০+ টাকা সেখানে একজন অনার্স মাস্টার্স করা ছেলেকে অনেক ক্ষেত্রেই ১২০০০ টাকা অপার করা হয়। তাও অনেক প্রতিযোগিকে অতিক্রম করে সে স্থান দখল করতে হয়। তাই এখন সময় এ সকল বৈষম্য দূর করে জাতিকে মেধা শূণ্যতার হাত থেকে রক্ষা করা।
পরিশেষে, এটা নির্দ্ধিধায় বলা যায়; চাকরির ক্ষেত্রে এ সকল মহামারি দূর না করলে সত্যিকার অর্থেই জাতি এক সময় মেধা শূণ্য হয়ে যাবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২১/০৩/২০২১right
-
ফয়জুল মহী ২০/০৩/২০২১Right. Good post