আত্মকথন
যেহেতু দীর্ঘদিন লেখা-লেখির সাথে সম্পৃক্ত; তাই সমাজের আট দশটা মানুষের সাথে চলাফেরা করার মতো এবং তাদের মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি বুঝার মতো কিছুটা সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই আমাকে তাদের প্রিয় মানুষের খ্যাতি দিয়েছে। আবার অনেকেই আমার আচরণে; আমাকে বন্ধু বলে গ্রহন করে নিয়েছে। আজ আমিও তাদেরকে আমার জীবনের একজন বলেই গ্রহন করে নিয়েছি। কারণ আমার ভূবন জুড়ে আজ সে সকল মানুষেরই আর্শীবাদ। যারা আমাকে উৎসাহ যোগায় আমার লেখনি পাঠের মাধ্যমে। সে সকল মানুষকে নিয়ে যখন ভাবতে বসি; তখন অনেক অসঙ্গতি দেখা দেয় আমার মাঝে। অনেক হিসাবই মেলাতে পারি না। শুধুই নির্বাক, হতভম্ব, অশ্রুসজল। এর কারণ হিসাবে সমাজের নির্মমতাকেই অনেকটা দায়ী করা যায়। আজ যেমন মানুষে মানুষে বৈষম্য তৈরি হয়েছে; তেমনি মানুষ আজ ভুলতে বসেছে তার পরিচয়। বেশিরভাগ মানুষ আজ তার পরিচয় জানে না। মানুষ শব্দের মর্মার্থ বুঝে না। সমাজ আজ কুলশিত হয়ে গেছে রাজনৈতিক ছত্র-ছায়ায়। রাজনীতিকে মানুষ আজ সভ্যতার প্রতিপক্ষ মনে করছে। অথচ রাজনীতি হলো সমাজ তথা রাষ্ট্র পরিচালনার খুঁটি। কতিপয় ব্যক্তির উদাসীন মানসিকতা, দেশপ্রেমহীনতা, সর্বোপরি স্বার্থ হাসিলের মনস্কক্রিয়া সমাজ তথা রাষ্ট্রকে ধ্বংসের ধারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। এতে করে সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে; যা একটি রাষ্ট্রকে গৃহ যুদ্ধের দিকে ধাবিত করে বলেই মনে করা যায়। একটি রাষ্ট্রের ভীত তথা অবকাঠামো যখন নষ্ট হয়ে যায় তখন কোন ধরনের এন্ট্রি বায়োটিক সেখানে কাজ করে না। ঐ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রকে ঠিক রাখতে হলে নষ্ট বা পঁচে যাওয়া অংশ বিচ্ছিন্ন করাই শ্রেয়...
....নিয়মিত....
....নিয়মিত....
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোহন দাস (বিষাক্ত কবি) ০৮/০৩/২০২০ভালো
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১২/১০/২০১৯বিউটিফুল
-
আব্দুল হক ০৭/১০/২০১৯সুন্দর, লিখেছেন।।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৬/১০/২০১৯ভালো।