মূল্যবোধ সত্ত্বারবিকাশ ও বোধোদয়
আবেগের তাড়নায় ঝড়ের বেগে কোথা থেকে কোন জোশে আজ যে বাগানে তাণ্ডব চালালে পারবে সেই কুসুম কোমল ছিন্ন ভিন্ন স্বপ্নময় বাগানে আবার পুনঃজীবিত করে পুষ্পবৃষ্টিতে প্রাণ ফিরিয়ে দিতে? যা গেছে তা গেছে। সাদা কাগজে এক কলমের কালি পড়লে তা আর কখনোই মুছে যায় না। পেন্সিল দিয়ে লিখলেও রাবার দিয়ে মিশাবার কালে ক্ষয় হয়। যা গেছে তা আর কখনোই ফিরে আসে না। যা কিছু হয় একবারেই হয়। জীবনের খাতায় দ্বিতীয় বার বলে কোন শব্দ নেই সবই একবার। জন্ম ও মৃত্যুর সুযোগ যেমন একবার তেমনি যা কিছু ঘটে তা কখনোই হুবহু দ্বিতীয় বার ঘটে না। আমাদের মূল্যবোধ উন্নত করা চাই চাই। এর বিকল্প নাই। আমি কতোটা জ্ঞানের সমৃদ্ধশালী তার বড়াই না করে আমি তার কতটুকু সফল প্রয়োগ করতে পেরেছি সেদিকে চর্চা করা উচিৎ। আজ যাকে আঘাত করেছি তার আঘাত এর প্রতিদান কখনোই ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। সে আঘাত এর ক্ষত থেকেই যাবে। আবেগের জোশে নয় মূল্যবোধ থেকে অনুধাবন করা উচিৎ। হয়তো আমরা সবই জানি বুঝি তবে আটকে আছি সেই পুরনো অভ্যাসে। ওই বিড়াল দেখে যদি লাঠি দিয়ে তাড়াইতে না যাই তবে সমাজে পুরুষ বলে বিবেচিত হবো না।তাই ন্যায়সঙ্গত কারণে ঠ্যাংগাইতে যাইতেই হবে। সেখানে ভাববার অবকাশ নেই। যখন সেই বিড়াল তার অধিকার আঙ্গুল দিয়া দেখিয়ে দেয় তখন মলিন হলেও নত হতে না চেয়েই নিজের ভাব মুর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে বলে উঠি আমি তোমার থেকে উন্নত। এই হলো মানব জাতির স্বধর্ম। অনেক প্রানি দেখেছি তারা কত শৃঙ্খল। আজ পর্যন্ত কোন দিন শুনি নাই হরিণে হরিণে হানাহানি বেঁধেছে। বাঘ সবচাইতে হিংস্র প্রানী গুলোর মধ্যে অন্যতম। কই তাদের মধ্যেও তো কোন হানাহানি বাঁধে না। তারা তো কেউ ই তাদের স্বজাতিতে স্বজাতিতে হানা বাঁধায় না। তারাও বোঝে তাদের মাঝেও শৃঙ্খলা আছে। তবে হ্যাঁ একটা জানোয়ার আছে ওরাই ওরাই ঝগড়া বাঁধায় সেটাও মানুষের সংস্পর্শেই থাকে তাদের নিজস্ব স্বকীয়তা নেই। মাঝে মাঝে আমরা এ বাড়ির টার সাথে অপর বাড়ির টার মাঝে লড়াই লাগিয়ে দেই।পরখ করে মজা লুটি কার টার কত দম। আবার দেখি কোন একটা বাইরে থেকে এসে কোন এলাকায় ভুল করে ঢুকে গেছে তার উপর ওই এলাকার সব গুলোই মিলে ভুল করে কিংবা পথ ভুলে চলে আসা অসহায় টার উপর ঝাপিয়ে পড়ে নিস্তেজ করে দেয়।
তবে আমি কনফিউজড আসলে ওদের আমরা অনুসরণ করছি নাকি ওরাই আমাদের কাছাকাছি থেকে আমাদের স্বভাব অর্জন করেছে। ক্ষমতার লোভ তাদের কাছে আমরা শিখছি নাকি তারা আমাদের কাছ থেকে! তবে এদের সাথেই আমাদের অধিক মিল। আসলে আমরা কি কখনোই নিজ সত্ত্বা জানার কিংবা অনুধাবন করার চেষ্টা করি। যদি নিজ সত্ত্বা জানার চেষ্টা করি তবে বোধের সঞ্চরণ হওয়া অস্বাভাবিক কিছুই নয়। বইয়ের ভার ঠিকই বৃদ্ধি হচ্ছে শিক্ষিত হয়ে ওঠা হয় না। প্রযুক্তি উন্নয়ন কিংবা আধুনিকায়ন ঠিকই হচ্ছে কিন্তু চিন্তা চেতনা ওই মধ্যযুগীয়তেই পড়ে রয়েছে। নেই মূল্যবোধের বিকাশ, নেই কোন সত্ত্বার বোধোদয়।
তবে আমি কনফিউজড আসলে ওদের আমরা অনুসরণ করছি নাকি ওরাই আমাদের কাছাকাছি থেকে আমাদের স্বভাব অর্জন করেছে। ক্ষমতার লোভ তাদের কাছে আমরা শিখছি নাকি তারা আমাদের কাছ থেকে! তবে এদের সাথেই আমাদের অধিক মিল। আসলে আমরা কি কখনোই নিজ সত্ত্বা জানার কিংবা অনুধাবন করার চেষ্টা করি। যদি নিজ সত্ত্বা জানার চেষ্টা করি তবে বোধের সঞ্চরণ হওয়া অস্বাভাবিক কিছুই নয়। বইয়ের ভার ঠিকই বৃদ্ধি হচ্ছে শিক্ষিত হয়ে ওঠা হয় না। প্রযুক্তি উন্নয়ন কিংবা আধুনিকায়ন ঠিকই হচ্ছে কিন্তু চিন্তা চেতনা ওই মধ্যযুগীয়তেই পড়ে রয়েছে। নেই মূল্যবোধের বিকাশ, নেই কোন সত্ত্বার বোধোদয়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২৮/০২/২০২২ভালো
-
মোঃ আমিনুল ইসলাম মিঠু ০৮/০১/২০২২ভাল লিখিয়ে
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ০৩/০১/২০২২বেশ ভালো লেগেছে লিখাটি।
-
একনিষ্ঠ অনুগত ০৩/০১/২০২২ঐ চারপেয়ে জন্তুটারও প্রভুভক্তির সুনাম আছে, আছে অনেক বিরত্বগাথা, মানুষের ও আছে। তাই এটা স্পষ্ট করেই বলা যায় ওরা এসব মানুষ হতেই শিখছে। একসময় শেয়াল আর জন্তুটি পাশাপাশি জংগলে মিত্রের মতই থাকতো কিন্তু যখন থেকেই এরা মানুষের সংস্পর্শে এসেছে শেয়ালের শত্রু বনে গেছে।
-
ফয়জুল মহী ০২/০১/২০২২দারুণ অনুভূতি
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ০২/০১/২০২২সুন্দর প্রকাশ।