আমার ব্যর্থতা সমগ্র
প্রাপ্তি -অপ্রাপ্তি,সাফল্য-ব্যর্থতা-অর্জনের প্রভাতফেরী সোনালী সময় কখনো তরতর করে চলে যায় আবার কখনো তনয়ার ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিতই থেকে যায়। আমিও যেন লাগামহীন ঘোড়ার মতো বিরতিহীন ছুটছি তো ছুটছি আধোয়া অন্ধকারে কিংবা কুয়াশার ছিপছিপে তীরতীর করে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়ায় নতুবা ধুসরের ময়লাটে পাংশুল পরিবেশের ভিতর দিয়ে। মাঝে মাঝে মাথা সাড়া জাগিয়ে দেয় সত্যিই কি এই কুয়াশা, কালো ধোয়া, পাংশুল বিবর্ণ ময়লা আমার গায়ে আদৌ স্পর্শ করতে পারে!আমি ঘোড়ার মতো ছুটতে ছুটতে হঠাৎ কোন একটা দিগভ্রম হয়ে হোচট খেয়ে যাই। দূড়ন্ত গতি নিয়ে ছুটি ঠিকই লাগামটা আমার হাতে নাই। আত্মোপলব্ধির পূর্ণ প্রাপ্তির খোঁজে বহুবার হেঁটেছি, প্রশ্ন তুলেছি। পূর্ণ প্রাপ্তির সন্ধান মেলে নাই। ব্যর্থতার ছোবলে প্রতিহত হয়েছি।
যতই উচ্চে গমন করেছি ততই বিষাক্ত ছোবল আমাকে আঁকড়ে ধরেছে। রাতের পর রাত চায়ের দোকানে কত আড্ডার তরতাজা তকমা জমিয়েছি, আমার সুলভ সময় গুলো মহা বিমোহিত চিত্তে বিলাস যাপন করেছি কিন্তু এক কাপ চা তৈরিতে সামান্যতম চেষ্টাটাও করি নাই। ক্লাসের পর ক্লাস বাংক করেছি। নোটশীটে ডুবে ফলাফলও উতড়িয়ে গেছি। পড়ার প্রয়োজনটুকু বোধ করি নাই। জ্ঞানের স্বল্পতা নিয়েই গৌরবের সহিত পাস করা মিষ্টি বিতরণের মিছিলে যোগ দিয়েছি। যে মিষ্টি আমার ব্যর্থতার খোঁলসে আমাকে সুনিপুন ভাবে খুন করা হয়েছে। যখন আমায় বলা হলো এটা আমার জন্য নয় আমাকে দিয়ে সম্ভব নয় আমি নিতান্ত সুবোধ বালকের ন্যায় মেনে নিলাম। জোড় গলায় বলার সাহসটুকু হলো না। বেয়াদবি হবে কিনা। এ সভ্য সুশৃঙ্খল সম্মানের মুকুট আমাকে নিষ্প্রভে ঝিমিয়ে দিয়েছে। আমাকে দিয়ে হবে না। এই মন্ত্র বলে শুধু একবারই বস করা হয় নাই। বহুবার হয়েছে, সেই জন্মের সূচনা লগ্ন থেকে। আমাকে দূর্বল করে দেওয়া হয়েছে। ব্যর্থতার বিষাক্ত ছোবলে আমি এখন অভ্যস্ত।" তুমি পারবে না" বলে শুরু করার আগেই আমার চেষ্টাকে মেরে ফেলা হলো। যখনই ভাবনার সূচনা করতে শুরু করি " ও তুমি বুঝবে না" বলে দমিয়ে দেওয়া হলো। হাতে রঙ তুলি নেওয়ার আগেই বলা হলো আমার দাঁড়া আঁকাআঁকিটা যায় না। আমি এমনই নির্বোধ বাধ্য বালক যে আমি পেরিয়ে যেতে পারলাম না। আমার ব্যর্থতার দেওয়ালের ওপার কি ছিল তা দেখাই হলো না। আমাকে খালি পায়ে মাঠে দৌড়াতে দেওয়া হলো না বলা হলো পায়ে কাঁটা বিধে যাবে, ব্যাথ্যা হবে। বুঝলাম ঠিকই, ভয়ও পেলাম। ভয়ই বা পেলাম কেন? ওই যে ছোট বেলা থেকেই নানান রকম ভয়ের গল্প শোনানো থেকেই জন্ম আমার ভয়ের সৃষ্টি। ভয়ের গল্প গুলো খুব জোড়ালো ভয়ের সাথেই বর্ণনা করা হলো। কিন্তু কোন বীর যুবকের গল্প বলার সময় শুধু কষ্ট গুলোই উপস্থাপন করা হলো সেখানে কতশুত যন্ত্রণা তারই প্রতিচ্ছবি।আবার সেই ভয়েরই আর্বিভাব ঘটালো।অসাধ্য সাধনের দুর্লভ গল্প গুলো নিতান্ত দূর্বল চিত্তেই বর্ণনা করা হলো। আসলে ব্যাথ্যা কি সেটা পাওয়া হলো না। খালি পায়ে মাঠে দৌড়ানোর যে কি আনন্দ তা আর উপলব্ধিই করা হলো না। আমাকে এমনই সুবোধ বালক বানিয়ে দেওয়া হলো ২৪ বছরটি হলো এখন আমার বাকশক্তির পূর্ণ ব্যবহার করা হলো না। চারদিক আমার প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে গেল আর আমায় বোঝানো হলো আমাকে বিশ্ব মঞ্চ উপস্থাপন করা হলো। আমার সাফল্য আমার ব্যর্থতা সভ্য সমাজের লোকলজ্জার আড়ালে তীব্র প্রকট চিৎকারে আত্মহুতি দিলো। ওইযে রাতে পর রাত বই এর উপর মুখ গুজে চকচকে একখানা বর্লিল কাগজ হাতে ধরিয়ে দিল। চারদিকে যেন ছলছল বন্যাধারায় বইছে পুষ্প বৃষ্টির ফুল ঝুড়ি।রুচি বোধ কয়েক শতগুণ বেড়ে গেল। বাইরে বেরুবো, পাঞ্জাবী পড়বে নাকি টি-শার্ট নাকি শার্ট তার জন্য কয়েক মিনিট ভাবনার প্রয়োজন পড়ে। অথচ একটা শার্টের বোতাম ছিঁড়ে গেছে তার জন্য যেতে হবে সুদক্ষ টেইলার্সের কাছে। কোন বোতাম লাগাবো কোন সুতোয় সেলাই দিবো সেটুকু নির্বাচন করার সক্ষমতা টুকু নেই। খোলা হাওয়া আমার শরীরে বিরুদ্ধ আচরণ করে। বন্ধ হাওয়া যেন খোলা হাওয়াকে দ্বিখন্ডিত করেছে। ক্লাসের লেকচারে অশ্রাব্য অকথ্য অসভ্য রকম ভাবে বর্ণনায় তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছি অথচ একবারো সে সব যে নিখুঁত ভাবে ওই লেকচারের থেকেও প্রাণবন্ত ভাবে জ্ঞানের স্বচ্ছতা রাখা আত্মতৃপ্তির সমীহ। সেদিকে চেষ্টাটুকুর লেশ মাত্র নেই। মিথ্যে অংকারে যেন দাম্ভিকতার সিংহাসনে পৈশাচিক হাসিতে বিনোদন গিলছি। ব্যর্থতার তরীতে ভর করে যে সাফল্যের পতাকা উচ্চে স্থাপ ন করেছি সে তরী আমায় পূর্ণ প্রাপ্তির আত্মোপলব্ধির সোপানে পৌছাতে পারে না।আমার সফলতা কোথায়? কোথায় গেলে পাবো? কিভাবে পাবো? সফলতার রঙ কেমন হয়? হেরে যাবো বলে যে কাজ আমাকে করতে দেওয়া হয় না সেখানে কি কোন গৌরব আছে!আসলেই কি যা আমাকে করতে দেওয়া হয় না তা আমি পারি না! ভাবতে গেলে সোনালি সময়ের প্রভাতফেরী আলোয় আধার ঘনিয়ে আসে। বাস্তবতার নগ্ন দরজা চিৎকার করে এতোদিন কোথায় ছিলে? তোমাকে তো দেখি নাই। তোমার পরিচয় তো জানা হলো না। তোমাকে প্রবেশানুমতি দেওয়া সম্ভব না। তোমার নরম হাতে এই কঠোর বাস্তবতার শেকল টেনে নিতে পারবে না। টানতে গেলেই লালিত সেই নরম হাতে ফোসকা পড়ে যাবে। ঘুমন্ত শিশুর মতো কোমল সুশীল সমাজে বড় করা হলো ঠিকই কিন্তু যোগ্য হওয়ার সু্যোগটুকু দেওয়া হলো না। ব্যর্থতাকে কাঁধে চাঁপিয়ে দেওয়া হয়েছে জন্মের সূচনা লগ্নেই আর বয়ে বেড়াতে হবে আমৃত্যু।
যতই উচ্চে গমন করেছি ততই বিষাক্ত ছোবল আমাকে আঁকড়ে ধরেছে। রাতের পর রাত চায়ের দোকানে কত আড্ডার তরতাজা তকমা জমিয়েছি, আমার সুলভ সময় গুলো মহা বিমোহিত চিত্তে বিলাস যাপন করেছি কিন্তু এক কাপ চা তৈরিতে সামান্যতম চেষ্টাটাও করি নাই। ক্লাসের পর ক্লাস বাংক করেছি। নোটশীটে ডুবে ফলাফলও উতড়িয়ে গেছি। পড়ার প্রয়োজনটুকু বোধ করি নাই। জ্ঞানের স্বল্পতা নিয়েই গৌরবের সহিত পাস করা মিষ্টি বিতরণের মিছিলে যোগ দিয়েছি। যে মিষ্টি আমার ব্যর্থতার খোঁলসে আমাকে সুনিপুন ভাবে খুন করা হয়েছে। যখন আমায় বলা হলো এটা আমার জন্য নয় আমাকে দিয়ে সম্ভব নয় আমি নিতান্ত সুবোধ বালকের ন্যায় মেনে নিলাম। জোড় গলায় বলার সাহসটুকু হলো না। বেয়াদবি হবে কিনা। এ সভ্য সুশৃঙ্খল সম্মানের মুকুট আমাকে নিষ্প্রভে ঝিমিয়ে দিয়েছে। আমাকে দিয়ে হবে না। এই মন্ত্র বলে শুধু একবারই বস করা হয় নাই। বহুবার হয়েছে, সেই জন্মের সূচনা লগ্ন থেকে। আমাকে দূর্বল করে দেওয়া হয়েছে। ব্যর্থতার বিষাক্ত ছোবলে আমি এখন অভ্যস্ত।" তুমি পারবে না" বলে শুরু করার আগেই আমার চেষ্টাকে মেরে ফেলা হলো। যখনই ভাবনার সূচনা করতে শুরু করি " ও তুমি বুঝবে না" বলে দমিয়ে দেওয়া হলো। হাতে রঙ তুলি নেওয়ার আগেই বলা হলো আমার দাঁড়া আঁকাআঁকিটা যায় না। আমি এমনই নির্বোধ বাধ্য বালক যে আমি পেরিয়ে যেতে পারলাম না। আমার ব্যর্থতার দেওয়ালের ওপার কি ছিল তা দেখাই হলো না। আমাকে খালি পায়ে মাঠে দৌড়াতে দেওয়া হলো না বলা হলো পায়ে কাঁটা বিধে যাবে, ব্যাথ্যা হবে। বুঝলাম ঠিকই, ভয়ও পেলাম। ভয়ই বা পেলাম কেন? ওই যে ছোট বেলা থেকেই নানান রকম ভয়ের গল্প শোনানো থেকেই জন্ম আমার ভয়ের সৃষ্টি। ভয়ের গল্প গুলো খুব জোড়ালো ভয়ের সাথেই বর্ণনা করা হলো। কিন্তু কোন বীর যুবকের গল্প বলার সময় শুধু কষ্ট গুলোই উপস্থাপন করা হলো সেখানে কতশুত যন্ত্রণা তারই প্রতিচ্ছবি।আবার সেই ভয়েরই আর্বিভাব ঘটালো।অসাধ্য সাধনের দুর্লভ গল্প গুলো নিতান্ত দূর্বল চিত্তেই বর্ণনা করা হলো। আসলে ব্যাথ্যা কি সেটা পাওয়া হলো না। খালি পায়ে মাঠে দৌড়ানোর যে কি আনন্দ তা আর উপলব্ধিই করা হলো না। আমাকে এমনই সুবোধ বালক বানিয়ে দেওয়া হলো ২৪ বছরটি হলো এখন আমার বাকশক্তির পূর্ণ ব্যবহার করা হলো না। চারদিক আমার প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে গেল আর আমায় বোঝানো হলো আমাকে বিশ্ব মঞ্চ উপস্থাপন করা হলো। আমার সাফল্য আমার ব্যর্থতা সভ্য সমাজের লোকলজ্জার আড়ালে তীব্র প্রকট চিৎকারে আত্মহুতি দিলো। ওইযে রাতে পর রাত বই এর উপর মুখ গুজে চকচকে একখানা বর্লিল কাগজ হাতে ধরিয়ে দিল। চারদিকে যেন ছলছল বন্যাধারায় বইছে পুষ্প বৃষ্টির ফুল ঝুড়ি।রুচি বোধ কয়েক শতগুণ বেড়ে গেল। বাইরে বেরুবো, পাঞ্জাবী পড়বে নাকি টি-শার্ট নাকি শার্ট তার জন্য কয়েক মিনিট ভাবনার প্রয়োজন পড়ে। অথচ একটা শার্টের বোতাম ছিঁড়ে গেছে তার জন্য যেতে হবে সুদক্ষ টেইলার্সের কাছে। কোন বোতাম লাগাবো কোন সুতোয় সেলাই দিবো সেটুকু নির্বাচন করার সক্ষমতা টুকু নেই। খোলা হাওয়া আমার শরীরে বিরুদ্ধ আচরণ করে। বন্ধ হাওয়া যেন খোলা হাওয়াকে দ্বিখন্ডিত করেছে। ক্লাসের লেকচারে অশ্রাব্য অকথ্য অসভ্য রকম ভাবে বর্ণনায় তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছি অথচ একবারো সে সব যে নিখুঁত ভাবে ওই লেকচারের থেকেও প্রাণবন্ত ভাবে জ্ঞানের স্বচ্ছতা রাখা আত্মতৃপ্তির সমীহ। সেদিকে চেষ্টাটুকুর লেশ মাত্র নেই। মিথ্যে অংকারে যেন দাম্ভিকতার সিংহাসনে পৈশাচিক হাসিতে বিনোদন গিলছি। ব্যর্থতার তরীতে ভর করে যে সাফল্যের পতাকা উচ্চে স্থাপ ন করেছি সে তরী আমায় পূর্ণ প্রাপ্তির আত্মোপলব্ধির সোপানে পৌছাতে পারে না।আমার সফলতা কোথায়? কোথায় গেলে পাবো? কিভাবে পাবো? সফলতার রঙ কেমন হয়? হেরে যাবো বলে যে কাজ আমাকে করতে দেওয়া হয় না সেখানে কি কোন গৌরব আছে!আসলেই কি যা আমাকে করতে দেওয়া হয় না তা আমি পারি না! ভাবতে গেলে সোনালি সময়ের প্রভাতফেরী আলোয় আধার ঘনিয়ে আসে। বাস্তবতার নগ্ন দরজা চিৎকার করে এতোদিন কোথায় ছিলে? তোমাকে তো দেখি নাই। তোমার পরিচয় তো জানা হলো না। তোমাকে প্রবেশানুমতি দেওয়া সম্ভব না। তোমার নরম হাতে এই কঠোর বাস্তবতার শেকল টেনে নিতে পারবে না। টানতে গেলেই লালিত সেই নরম হাতে ফোসকা পড়ে যাবে। ঘুমন্ত শিশুর মতো কোমল সুশীল সমাজে বড় করা হলো ঠিকই কিন্তু যোগ্য হওয়ার সু্যোগটুকু দেওয়া হলো না। ব্যর্থতাকে কাঁধে চাঁপিয়ে দেওয়া হয়েছে জন্মের সূচনা লগ্নেই আর বয়ে বেড়াতে হবে আমৃত্যু।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এস এম শাহনূর ১২/০৬/২০২১ভাল লাগলো